হাসিমুখ নির্মলতার চিঠি। যা কাউকে ক্রুদ্ধ হতে দেয় না, ধৈর্যশীলতার প্রমাণ দেয়। হাস্যোজ্জ্বল মুখ অনেক প্রশ্নেরই বিজ্ঞতম উত্তরদানে সক্ষম। তবে প্রাণখুলে হাসার জন্যেতো হৃদয়ে পর্যাপ্ত আনন্দ থাকতে হয়। তাই হাসতে পারলেই জীবনে সুখী হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সদা সর্বদা মুখে হাসি থাকার জন্যে যে অফুরন্ত প্রাণশক্তি দরকার তাকি আর সবার একই মাত্রায় থাকে? থাকে না।
তবে হাসি নেই মানে হৃদয় বেদনার্ত, দুঃখে আছে কিংবা প্রাণশক্তি কম-এমনটি নয়।। নিছক আনন্দই শুধু নয় কিছু শিক্ষাও আশা করি বইটির পাঠক পাবে। প্রাণ খুলে যাতে হাসতে পারে এমন আনন্দপূর্ণ ও বাসযোগ্য পরিবেশ বিরাজ করুক বিশ্বের সবর্ত্র। সব দেশের, সকল বয়সের, সব ধমের, সকল শ্রেণীর, সকল পেশার তথা বিশ্বের প্রত্যেকটি মানুষ হউক সুখী, শান্তি ও অনাবিল আনন্দে ভরে ওঠুক তাদের জীবন এটাই প্রত্যাশা।
জামাই-শাশুড়ি
নতুন জামাই শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে এসেছে। শ্বশুর জামাই এসেছে দেখে বাজার থেকে এক পাতিল আলাউদ্দিনের দই নিয়ে এসেছে। শ্বাশুড়ি বেড়ে দিচ্ছে আর জামাই খাচ্ছে। জামাইর খাওয়া প্রায়াই শেষ। শ্বাশুড়ি দই’র কথা ভুলেই গেল। জামাই দেখলো যে শ্বাশুড়ি দই দিতে খেয়াল করছে না।
তাই জামাই শ্বাশুড়ির খেয়াল আনার জন্য বললো, আম্মা- আজ আসার সময় পথে একটা সাপ দেখেছি। সাপটা এখান থেকে ঐ যে দইর পাতিল, ঠিক এত লম্বা হবে। দইর কথা মনে পড়তেই শ্বাশুড়ি, আহারে জামাইকে দই দেই নাই, জামাইকে দই দেই নাই। আহারে দইয়ের কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম।
বয়স হয়নি
ঢাকা শহরে গাড়িতে খুব ভীড়। দাড়াবার ও জায়গা নেই। এক ভদ্রলোক সামনের ভদ্রলোককে একটু মুডে জিজ্ঞেস করলেন- ভাই আপনার বয়স কত?
২য় ভদ্রলোক: কেন, হঠাৎ আপনি আমার বয়স জানতে চাচ্ছেন?
১ম ভদ্রলোক: না, ভাবছি আপনার নিজের পায়ে দাঁড়াবার বয়স হয়নি, তাই আমার পায়ের উপর দাঁড়িয়েছেন।
ফরজে গাইন
স্কুলে পলাতক এক দুষ্ট ছাত্র। নবম শ্রেণীতে পড়ে। নাম জিয়া। ইসলাম ধর্মের ক্লাশ। মাওলানা স্যার বেত হাঁকাতে হাঁকাতে ক্লাশে এসে ঢুকলেন। ঢুকেই নজর পড়লো পিছনে কোনায় বসা সেই জিয়ার প্রতি।
শিক্ষক: জিয়া বলতো দেখি ফরজ কত প্রকার?
জিয়া: (পাশের ছাত্রদের গুন গুন পড়া শুনতে পেয়ে বললো) দুই প্রকার স্যার।
শিক্ষক: কি কি?
জিয়া: (আবারও পাশের ছেলেরা গুন গুন করে পড়ছে ফরজে আইন—) ফরজে আইন তার কানে এলো। কিন্তু আর বুঝতে পারলো না। তাই বললো স্যার একটা ফরজে আইন—।
শিক্ষক: অপর ফরজ কি?
জিয়া: (এবার অনুমান করলো যে একটা যেহেতু ফরজে আইন, অপরটি তাহলে গাইন হবে। তাই বললো অপরটি ফরজে গাইন স্যার।
(তার জবাবে স্যার এবং ক্লাশের সকল ছাত্র/ছাত্রী সমস্বরে হেঁসে উঠলো)।
ভদ্রলোক ও ময়লা পানি
এক সাহেব রাস্তার পাশের বিল্ডিং এর ৩য় তলায় থাকেন। কাজের ছেলে সর্বদা তিন তলা থেকে পাশের ঢ্রেনে ময়লা পানি ফেলে। সাহেব একদিন কাজের ছেলেকে বললেন, ময়লা পানি ভদ্রলোক দেইখ্যা পালাইস। সাহেবের কথায় ছেলে ময়লা পানি নিয়ে বাসার বারান্দায় বসে অপেক্ষা করছে, কোন ভদ্রলোক আসে কিনা।
কিছু সময় পর দেখলেন খুব ভাল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পোশাকে এক ভদ্রলোক আসছেন। চাকর ছেলে এবার প্রস্তুত হলো। সোজাসুজি আসতেই ময়লা পানি ঢেলে দিলো ভদ্রলোকের মাথায় উপর। ভদ্রলোক তেলে বেগুনে জলে উঠে চলে আসলো ৩য় তলার সাহেবের সামনে।
ভদ্রলোক: দেখেন আপনার চাকর ছেলে কি করেছে?
সাহেব: কিরে, তোকে না বললাম যে ময়লা পানি ভদ্রলোক দেইখ্যা ফালাইছ।
চাকর ছেলে: আমি তো ময়লা পানি নিয়ে আপনার কথামত বসে আছি, কোনো ভদ্রলোক আসে না। আর উনি আসার সাথে সাথেই আর দেরী করিনি তো।
গরু হারালে যা হয়
এক লোকের গরু হারিয়ে গিয়েছে। গরু খুঁজতে খুঁজতে সে খুব পেরেশান্। সামনে ছেলেকে দেখে এই যে ভাই, আমাদের গরুটা দেখেছেন?
স্ত্রী: আরে তুমি কাকে ভাই বলছো। এতো আমাদের ফারুক (ছেলে)।
স্বামী: (স্ত্রীকে) আরে মা আমার মাথা ঠিক নাই, দুধ ওয়ালা গরু হারালে এমই হয়।
পৃথিবী গোল হবার প্রমাণ
শিক্ষক: এই ছেলে পৃথিবী যে গোল তার প্রমাণ কি?
ছাত্র: স্যার, ১ম পরীক্ষায় লিখেছিলাম পৃথিবী লম্বা, আপনি কেটে দিয়েছেন। ২য় পরীক্ষায় লিখেছি পৃথিবী চেপ্টা, আপনি কেটে দিয়েছেন। এতেই প্রমান হয় যে পৃথিবী গোল।
গতিসীমা ৩০
গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছে এক ছেলে। রাস্তার পাশ দিয়ে একা একা হাটছে। রাস্তার পাশে এক জায়গায় লেখা আছে গতিসীমা ৩০। সেদিকে লক্ষ্য করে কিছুক্ষণ কিজানি ভাবলো। তারপর দৌড়াতে শুরু করলো। সামনে ট্রাফিক আইল্যান্ড ট্রাফিক হাত উচুঁ করে থামতে ইশারা করলো। ছেলেটি বললো, স্যার মাফ করবেন, আমি এর চেয়ে বেশি দৌড়তে পারিনা।
গরু না ছাগল
কুরবাণীর সময় সময় একজন অপরজনকে কি কুরবাণী দিচ্ছে তা জানতে চায়।
১ম জন: আচ্ছা আপনি এবার কি? গরু না ছাগল?
২য় জন: আমি এবার গরু। আপনি?
১ম জন: আমি এবার গরু এবং ছাগল দু’টাই।
৩য় জন: আপনারা যেহেতু গরু ছাগল, তাই রশি নিয়ে আসতেছি, গরু ছাগল তো আর এভাবে ছেড়ে রাখা যায় না।
লাইক করি না
১ম ব্যাক্তি: অনেকে কথায় কথায় ইংরেজী বলে। ঞধষশরহম এর সময় ডড়ৎফ এ ডড়ৎফ এ ইংরেজী বলা খরশব করিনা।
২য় ব্যাক্তি: এই যে আপনি বললেন? ঞধষশরহম, ডড়ৎফ, খরশব এগুলোতো সবই ইংরেজী শব্দ।
১ম ব্যাক্তি: ও, ঝড়ৎৎু আমি খেয়াল করিনি উড়হ’ঃ সরহফ ।
২য় ব্যাক্তি: এই যেত আবার বললেন ঝড়ৎৎু, উড়হ’ঃ সরহফ?
১ম ব্যাক্তি: ঋড়ৎমরাব সব, ওঃ রং সু যধনরঃ.
রুল নং ৩
এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করা হলো তোমার রোল নং কত?
ছাত্র: আমি ৩ৎফ নড়ু।
প্রশ্নকর্তা: ছাত্র কতজন?
ছাত্র: .৩ জন।
আদু ভাইয়ের দৌড় শিখানো
আদু ভাই বহু বছর ধরে শুধু ফেল করেই আসছে। একদিন তার বৃদ্ধ পিতা বার বার ফেল করায় খুব রেগে গেলেন। এবং তাকে লাঠি নিয়ে তাড়া করলেন। আদু ভাই সামনে দৌড়ছে পিতা লাঠি নিয়ে পিছনে তাকে তাড়াচ্ছে।
জনতা: (আদু ভাই) কি হে, হয়েছে?
আদু ভাই: না কিছু হয় নাই। আমি আব্বুকে দৌড় শিখাই।
বিয়ের আগেই ছেলে
এক ব্যাক্তি পীর সাহেবের নিকট বললো, হুজুর আমার জন্য দোয়া করবেন যেনো আমার একটা ছেলে হয়।
পীর সাহেব: ঠিক আছে যাও।
২য় দিন: আবার যেয়ে বললো, হুজুর আমার জন্য একটু দোয়া করুন যেনো আমার একটা ছেলে হয়।
পীর সাহেব পুনরায় দোয়া করলেন।
৩য় দিন: আবার যেয়ে বললো, হুজুর আমার জন্য কি দোয়া করলেন, আমার তো ছেলে হয় না।
পীর সাহেব: আচ্ছা তুমি বিয়ে করেছ কিনা?
মুরিদ: না হুজুর, আমিতো এখনো বিয়ে করিনি।
পীর সাহেব: ও তুমি এখনো বিয়েই করোনিা? বেশ! আগে যেয়ে বিয়ে করো।
মোরগের ডিম
তিন বন্ধু, করিম, রহিম ও অমলেন্দু। করিম অপর দু’জনকে লক্ষ্য করে বললো, আচ্ছা দোস্ত বলতো দেখি ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সীমানায় একটা মোরগে ডিম পেড়েছে, ডিমটা কে পাবে?
রহিম: বাংলাদেশ পাবে।
অমলেন্দু: ভারত পাবে।
এ নিয়ে অমলেন্দু ও রহিমের মধ্যে বেশ কথা কাটাকাটি শুরু হলো। করিম বললো, তোমরা ঝগড়া করছো কেন? আমি বলছি কে পাবে?
বল দেখি কে পাবে?
আরে বোকারা, মোরগে কি ডিম পাড়ে?
বন থেকে হেগে
ছেলে: আচ্ছা আব্বু আমেরিকা কি খুব গরীব রাষ্ট্র?
পিতা: কেন? আমেরিক তো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এবং শক্তিশালী দেশ।
ছেলে: তাহলে সেদেশের প্রেসিডেন্ট কি খুব গরীব?
পিতা: গরীব হবে কেন? কোন দেশের প্রেসিডেন্ট কি গরীব হয়? কেন, তুই কি জন্য এসব জিজ্ঞেস করছিস?
ছেলে: সম্ভবত প্রেসিডেন্টের কোন বাথরুম নেই, তাই না?
পিতা: কিভাবে বুঝলি? খুব আজব কথা বলছিস তো!
ছেলে: কেন, আপানার হাতের খবরের কাগজে এই যে খবর দিয়েছে, “প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন বন থেকে হেগে এলেন ”।
(৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলের কথায় সবাই হেঁসে উঠলো)।
পথচারী ও মালিক
শুকনা মওসুমে রাস্তা দ্েিয় ঘুরে না যেয়ে ক্ষেতের মাঝ দিয়ে অনেককেই চলতে দেখা যায়। এক পথচারী একলোকের ক্ষেতের মাঝ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।
মালিক: এই, কে যাচ্ছে ক্ষেতের মাঝ দিয়ে? আর এক পা সামনে দিলে একেবারে ঠ্যাং ভেঙ্গে ফেলবো।
পথচারী: পিছনে যেহেতু যাওয়া যাবেনা তাই পিছনে হাটতে শুরু করলো। উদ্দেশ্য ক্ষেতের মাঝ থেকে আইলে চলে আসবে।
মালিক: আবার পিছনে হাঁটছো? পিছনে এক কদম হাঁটলে ঠ্যাংগের গিরা ভেঙ্গে ফেলবো।
পথচারী: পিছনে ও যেহেতু যাওয়া যাবেনা তাই ডানে হাঁটতে শুরু করলো।
মালিক: আবার ডানে হাঁটে? ডানে এক কদম দিলে জানে মেরে ফেলবো।
পথচারী: ডানেও যেহেতু যাওয়া যাবেনা তাই এবার বামে হাঁটতে শুরু করলো।
মালিক: আবার বামে হাঁটে? এত বড় সাহস বামে আর এক পা দিলে একেবারে জবাই করে দিবো।
পথচারী: (কংকর্তব্য বিমূড় হয়ে) এখন আমি কি করবো।
মালিক: আবার কি করবে জিজ্ঞেস করে? কি ও করা যাবে না।
বয়স ৪২
শিক্ষক: বলতো আমার বয়স কত?
ছাত্র: ৪২ বছর স্যার।
শিক্ষক: কিভাবে বলছো?
ছাত্র: স্যার আমাদের আমাদের বাসার পাশে এক অর্ধ পাগল আছে, তার বয়স ২১ বছর। আপনি তো দেখছি পুরা পাগল। তাই আপনার বয়স ৪২ বছরতো হবেই।
শ্বশুর বাড়ি
বিয়ের পর জামাই শ্বশুরের বাড়িতে খুব আদর আপ্যায়নে বেড়াচ্ছে। খুশিতে একজায়গায় লিখে রাখে, “শ্বশুর বাড়ি মধুর হাড়ি”।
শালা ছিল খুব চালাক। সে ঐ লেখার নিচে লিখে রাখে, “দিন দু’চারি” জামাই তার নিচে লিখে, “তারপর”?
শালা আবার তার নীচে লেখে, “এরপরে ঝাঁটার বাড়ি”।
হে হে, হে হে
চট্রগ্রামগামী বাস ফেনী, মহিপাল থামলে দিনাজপুরের এক ভদ্রলোক গাড়ী থেকে নেমে একটু পায়চারী করছেন। সামনে দেখেন পেঁপে ওয়ালা পেঁপে বিক্রি করছেন। সবাই খাচ্ছে। তার ও খেতে ইচ্ছে হলো। তিনি জানতেন ফেনী নোয়াখালীর অংশ এবং নোয়াখালী বাসিরা ‘প’-কে ‘হ’-বলে। যেমন পানিকে কয় হানি।
ভদ্রলোক কি চিন্তা করে পেঁপে ওয়ালার পাশে যেয়ে বললো, হে হে। পেঁপে ওয়ালা খেয়াল করছেনা দেখে আর দু তিনবার বললো হে হে, হে হে।
পেঁপে বিক্রেতা বিরক্ত হয়ে বললো, হে হে কি?
ভদ্রলোক বললেন: এগুলো কি?
পেঁপে বিক্রেতা: পেঁপে
ভদ্রলোক কিংকর্তব্য বিমূড় হয়ে বললো, ঠিক আছে দাও এক প্লেট।
ডালের তেল
দুই রিকসা চালক এক মেসে থাকে। একত্রে থাকলে ও দুইজনে খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হয়। এ বলে ও বেশী খেয়েছে— ইত্যাদি ইত্যাদি। পাশে ছিল অন্য এক চালাক লোক লোক, সে এদের ঝহগা দেখতে বেশ মজা পেত। একবার একজনের পেটে অসুখ, তাই খাওয়ার সময় ডালের উপরের পানি খাচ্ছে। পাশের দুষ্ট লোক অপর জনকে কানে কানে বললো, আরে এ যে ডালের তেল খেয়ে ফেলে তুই
দেখিস না?
: তাই নাকি?
: হ্যাঁ, তাই।
: আচ্ছা ঠিক আছে, রাত্রে খাওয়ার সময় দেখা যাবে।
রাত্রে দু’জনে খেতে বসেছে। ঐ জন চামচ দিয়ে ডালের উপরের পানি নিতে চেষ্টা করে, অপরজন চামচ দিয়ে ডাল ঘোলা করে দিচ্ছে, যেনো অপরজন উপর থেকে পানি নিতে না পারে। এভাবে দু’তিনবার এমন করলে অপরজন একটু বিরক্ত হয়ে গেল।
: কি রে, তুই এমন করিস কেন?
: না, তুই ডাল ঘোলা করে খা।
: আরে আমার যে পেটে অসুখ।
: না, তুই ডালের তেল খেয়ে ফেলিস।
পাঙ্গাস মাছ
নতুন জামাই এসেছে শ্বশুর বাড়ি। মেয়ের থেকে জানতে পেরেছে জামাই পাঙ্গাস মাছ খুব পছন্দ করে। জামাই এসেছে দেখে শ্বশুর তাড়াতাড়ি বাজারে গেল। পাঙ্গাস মাছ কিনে বাড়ি ফিরতে রাত একটু বেশী হলো। তাই শ্বাশুড়ী মাছ অর্ধ রান্না করে সিঁকায় রেখে দিলো।
শ্বশুর ও জামাই পাশাপাশি রুমে শুইয়েছে। মাছের ঘ্রাণে জামাইর ঘুম আসছে না। ঘুমের ভান করে জোরে জোরে নাক ডাকছে। হুঁ পাঁঙ্গাস, হুঁ পাঙ্গাস!! পাশের রুমে শ্বশুর জামাইর এরকম নাক ডাকার শব্দ শুনে নাক ডাকার স্বরে বলতে শুরু করলো: ওঁয়াকাল খাইস, ওঁয়াকাল খাইস। শ্বশুরের এরকম জবাব পেয়ে জামাইর নাক ডাকা বন্ধ হয়ে গেল। যেমন জামাই তেমন শ্বশুর বটে।
চোরকারবারী ও পুলিশ
চোরকারবারী: (চাকর ছেলেকে) দেখতো রাস্তায় পুলিশ আছে কিনা?
চাকর ছেলে:স্যার রাস্তায় বহু খোঁজা খুঁজি করেও কোথাও পুলিশ না পেয়ে একেবারে থানা থেকে পুলিশ নিয়ে এসেছি।
চোরাকারবারী: (পুলিশ দেখে) তা—-ই???
(ঐবধৎঃ ঋববষ করেছে)।
১০ মিনিট স্লো
৫ তলার ছাদের উপর থেকে এক লোকের হাত ঘড়ি ফসকে পড়ে গেল। লোকটি সিঁড়ি দিয়ে তাড়াতাড়ি নেমে এসে উপরের দিকে দু হাত তুলে দাড়িয়ে রইলো।
লোকজন: কি হে ভাই, কি হয়েছে। এভাবে উপরের দিকে হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?
লোকটি: আরে ভাই আমার ঘড়িটা ৫তলা থেকে পড়ে গিয়েছে। আমি তো নেমে এসেছি। ঘড়ি তো ১০ মিনিট স্লো। তাই সেটা পরে পড়বে। এজন্যই হাত তুলে ঘড়িটা ধরার জন্য অপেক্ষায় আছি।
লোকজন: আরে তুমি বোকা নাকি। নিচের দিকে তাকিয়ে দেখ তোমার ঘড়ি। ভেঙ্গে গুঁড়ো হয়ে পড়ে আছে।
লোকটি: আহ্হা, তাইতো, এ আমার আগে পড়লো কিভাবে? এটা তো ১০ মিনিট স্লো ছিল!!
মশা টস জালাইয়া খুঁজছে
কি হে, এত গরমের মধ্যে কম্বল গায়ে দিয়েছো কেন? আর ভাই কইওনা, মশার জালায় টকতে না পেরেই কম্বলের ফাঁক দিয়ে জোনাকী পোকা ঢুকছে। মশার ভয়ে কম্বল গায়ে দিয়েছি। আর জোনাকী পোকা দেখেই লোকটি লাফ দিয়ে চিৎকার মেরে উঠলো, ওরে আল্লাহরে মশা আমারে টস জালাইয়া খুঁজছে।
ইহাকেই ঘুম বলে
এক শিক্ষক ক্লাশ নেওয়ার সময় চেয়ারে বসে বসে ঝিমুচ্ছেন। প্রায় তন্দ্রা অবস্থা। ঘুমে নাক ডাকছেন। ছাত্ররা তো বসে বসে যার যার কাজ করছে। এমন সময় ক্লাশে ইন্সপেক্টর প্রবেশ করলো। ছাত্রদের নড়াছড়িতে শিক্ষকের তন্দ্রাভাব কেটে গেল। চোখ খুলেইা দেখেন সামনে ইন্সপেক্টর দাঁড়ানো—। শিক্ষক কাউকে কিছুই না বলে মাথা সোজা করে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলে উঠলেন “ইহাকেই ঘুম বলে” বুঝলে তো? ছাত্ররা সবাই অট্রহাসি দিয়ে উঠলো।
(তিনি মনে হচ্ছে যেন ছাত্রদেরকে ঘুমের তা’লিম দিচ্ছেন)।
জানলে জানোয়ার
শিক্ষক: বলতো যে খেলে তাকে কি বলে?
ছাত্র: খেলোয়াড়।
শিক্ষক: তাহলে বলোতো যে জানে তাকে কি বলে?
ছাত্র: জানোয়ার।
বাংলাদেশের ট্রেন
টিকেটে ট্রেনের সময় ১২টা। এক লোক ১২টা বাজার একটু আগেই ট্রেন স্টেশনে পৌঁছলো। জানে ১২টার ট্রেন আসতে অনেক দেরী হয়। ৩/৪টাও বাজে। তাই ট্রেন স্টেশনে কাপড় বিছিয়ে একটু বিশ্রাম নিতে যাবে, এমন সময় ট্রনের বিকট শব্দ শুনা গেল। জোরে জোরে বললো- আরে ১২টার ট্রেন ১২টায়ই এসেছে।একেবারে জাস্ট টাইম। বাংলাদেশের ট্রেনতো ভালো হয়ে গেছে। পাশে কয়েকজন বললো- আরে না ভাই, এতো খুশি হওয়ার কারণ নাই। এটা গতকাল ১২টায় আসার কথা ছিল। তা আজ ১২টায় এসেছে।
ভোট প্রাথীর কবর যিয়ারত
নির্বাচনে ভোট প্রার্থী: আপনার আব্বা ভালো মানুষ ছিলেন। আমাকে খুব ভাল জানতেন। তাঁর মৃত্যুর সময় জানাযায় আসতে পারিনি। চলেন আপনার আব্বার কবরটা দেখিয়ে দিন, আমি একটু যিয়ারত করে আসি।
ভোটার: আপনি এমন কি বলছেন, আব্বা তো মরেনি। এখনও জীবিত।
ভোট প্রার্থী: ও সোরি।
চোর ও আজরাইল
এক চোর এক বাড়িতে চুরি করতে ঢুকলো। ঢুকার সময় দেখলো, ১টা সাপ সে বাড়ির দিকে ঢুকছে। চুরি করে বের হবার সময় দেখলো ইয়া বড় এক দরবেশ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে। চোরের তো সাহস একটু বেশীই বটে। ধরে বসলো দরবেশ সাহেবকে। বললো, আমি তো চুরি করে বের হচ্ছি। তুই দরবেশ কি মতলবে এসেছিলি। বলতে হবে, নতুবা তোর অবস্থা কাহিল করে দেব। দরবেশ জবাবে বললো আমি আজরাইল, এসেছি সাপ হয়ে, অমুক ব্যাক্তির রূহ নিতে। রূহ নিয়ে এখন চলে যাচ্ছি।
চোর বললো, তাই নাকি? আমার রূহ কবে, কোথায়, কিভাবে নিবে? বলতে হবে।
আজরাইল বললো, তোমার অমুক দিন মৃত্যু হবে, তোমাকে কুমিরে খাবে।
চোর চিন্তা করলো, কুমির তো থাকে নদীতে। সেদিন থেকে সে নদীতে দুরের কথা, পুকুরেও যাওয়া বন্ধ করে দিলো। ঘরের সামনেই একটা কূপ ঠিক করে সেখানেই তোলা পানিতে গোসল ও অন্যান্য কাজ সমাধা করতে লাগলো। আর নির্দিষ্ট দিনের অপেক্ষা করতে লাগলো। চিন্তা করলো আর কুমির আসবে কিভাবে নির্দিষ্ট দিনে সে যখন ঐ স্থানে গোসল করতে গেল, তখন দেখলো স্থানটি বিরাট সাগরের মত এবং এক বিশাল কুমির মূখ হাঁ করে আছে। কুমির দেখেই সে চোর বেহুশ হয়ে গেল এবং সেখানেই তার মৃত্যু হলো।
(মুত্যুকে ঠেকানোর শক্তি কারো নাই)।
শিক্ষিত বাবু ও নৌকার মাঝি
এক শিক্ষিত বাবু যাচ্ছিলেন এক মাঝির নৌকায় চড়ে।
বাবু: হে মাঝি, তোমার বাপ কি করতো? কিভাবে মারা গেছে?
মাঝি: আমার বাবা এ নৌকাই চালাতো। একদিন ঝড়ে পড়ে নৌকা ডুবে তিনি মারা গেছেন।
বাবু: তোমার দাদা কিভাবে মারা গেলেন?
মাঝি: আমার দাদা ও নৌকাই চালাত এবং একইভাবে ঝড়ের কবলে পড়ে মারা গেছেন।
বাবু: যে নৌকা চালাতে যেয়ে তোমার বাপ মারা গেল, তোমার দাদা মারা গেল, সে নৌকা তুমি ছেড়ে দিতে পারনি? তোমার একটু ভয়ও করছেনা?
মাঝি: আজ্ঞে বাবু, ঠিকই বলছেন, আচ্ছা আপনার বাবা কিভাবে মারা গেছেন, একটু জানতে পারি?
বাবু: আমার বাবা চাকুরী করতেন। বৃদ্ধ হয়ে অসুখ হলো। চিকিৎসা করেও সারলো না। শেষে একদিন ঘরেই বিছানার উপর মারা গেছেন।
মাঝি: আচ্ছা আপনার দাদা কিভাবে মারা গেঝেন?
বাবু: দাদাও বৃদ্ধ হয়ে অসুখে একদিন ঘরের মধ্যেই মারা গেছেন।
মাঝি:আচ্ছা বাবু, যে ঘরটাতে আপনার বাবা মারা গেছেন, আপনার দাদা মারা গেছেন, সেই ঘরটা আপনি ছেড়ে দিতে পারেন না? সেই ঘরে থাকতে আপনার একটুও ভয় করে না?
বুুড়িগঙ্গা সেতুতে দুই ভিক্ষুক
বুুড়িগঙ্গা সেতুর উপর দিয়ে দুই ভিক্ষুক বুড়ি হেটে যাচ্ছে। এত বিরাট সেতু দেখে তো তারা বিস্ময়ে হতবাক। পরস্পর কথোপকথনে:-
১ম বুড়ি: ওরে আল্লারে কত বড় হাঁক্কা দেখছো আপু।
২য় বুড়ি: হরে আপু, এডা বানাইতে বহুত টাকা লাগছে, তাই না?
১ম বুড়ি: শ খানেকের কম লাগে নাই।
২য় বুড়ি: হ আপু, তুই ঠিকই বলছিস।
আহম্মকের হাসি
শিক্ষক (ছাত্রদেরকে) বলতো, আহম্মকের হাসি কত প্রকার?
ছাত্রগন: স্যার, এমন প্রশ্ন তো আর শুনিনি।
শিক্ষক: শুন, বলছি। আহম্মকের হাসি ৩ প্রকার। কেউ কোন হাসার কথা বলার সাথে সাথে না বুঝেই প্রথমে সে হাসতে থাকে। পরে যখন বুঝে সে বিষয়টা তো বেশ চমৎকার, তখন সবার সাথে সেও হাসে।
এরপর সে চিন্তা করে, আমি যে শুনেই প্রথম হাসছিলাম, তা কি বুঝে হাসছিলাম। এ চিন্তা করে সে আবার হাসে।
এভাবে কোন একটা হাসির কথা শুনে আহম্মক ৩ বার হাসে।
আপনার মাথা
২য় শ্রেণীর ছাত্র জিতুকে স্কুলে স্যার বলে দিলেন, গু ঐবধফ অর্থ-আমার মাথা। জিতু বাসায় এসে পড়ছে গু ঐবধফ অর্থ- স্যারের মাথা। মা বললেন, নারে , ভুল পড়ছো তো। গু ঐবধফ অর্থ- আমার মাথা। জিতু স্কুলে যেয়ে স্যারের নিকট বলছেÑ গু ঐবধফ অর্থ-মায়ের মাথা। স্যার বললেন, আরে বোকা, মায়ের মাথা নয় আমার মাথা।
জিতু বাসায় এসে আবার পড়তে লাগলো, গু ঐবধফ অর্থ- স্যারের মাথা। তার আব্বা শুনে বললো, আহা! তুমি কি পড়ছো? গু ঐবধফ অর্থ- আমার মাথা। জিতু এবার বুঝলো, এর আসল অর্থ কি। সে স্কুলে যেয়ে স্যারের নিকট বললো-স্যার গু ঐবধফ অর্থ আমি বুঝেছি।
স্যার: বলতো জিতু গু ঐবধফ অর্থ কি?
জিতু: স্যার গু ঐবধফ অর্থ মা, আব্বা এবং আপনার মাথা।
(জিতুর কথায় স্যার এবং সকর ছাত্র/ছাত্রী হো হো করে হেসে উঠলো)।
বি হালায় মাস্টার সাহেব
পুরাতন ঢাকার অনেক লোকেরা কথায় কথায় হালায় বলে। এটা তাদের কথার ভঙ্গি। কথাচ্ছলে বাপ ও ছেলেকে কয় হালায়। আবার ছেলে ও বাপকে কয় হালায়। এটাতে তারা কেউই দোষ মনে করে না। সমস্যা হয় নতুন কোনো বাহিরের লোক তাদের এরকম কথায় একটু আর্শ্চাযাণ্বিত হয়। একবার এক বাসায় বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য মাস্টার ঠিক করা হলো। মাস্টার তো গ্রাম থেকে উচ্চ ডিগ্রি নেওয়ার জন্য ঢাকায় ঢাকায় এসেছেন বেশীদিন হয় নাই। ১ম দিন পড়ানোর জন্য যেয়ে দরজায় নক করলে জানালা দিয়ে ছাত্রের বাপ দেখলো মাস্টার এসেছেন। ছাত্রের নাম ছমির আলী।
বাপ জোরে জোরে ছেলের উদ্দেশ্যে বলছে, ও ছমির আলী বি হালায় তোর বি হালায় মাস্টার বি হালায় আইছে বি হালায় দরজায় বি হালায় দাঁড়াইয়া বি হালায় আছে বি হালায়। তাড়াতাড়ি বি হালায় দরজা বি হালায় খুলে দে বি হালায়।
মাস্টার সাহেব তো এসব কথা শুনে খুব অবাক। মাত্র আসলাম, ভাল মন্দ কোনো কিছু হলো না। দরজায় দাঁড়ানো মাত্র ই এভাবে হালায় হালায় বলে বকাবকি শুরু করেছে। কি অবস্থা। আমার এখানে পড়ানো হবে না। এখনই যাই।
দরজা খোলার আগেই তিনি ফিরে চলে যাচ্ছেন, দরজা খুলেই ছাত্র দেখেন স্যার চলে যাচ্ছেন। তাড়াতাড়ি ছাত্র এগিয়ে বলছে, এই যে স্যার বি হালায় চলে যাচ্ছেন কেন বি হালায়। বাপ ও বের হয়ে এসে গেইটে দাঁড়িয়ে জোরে জোরে ডাকতে লাগলো, এইযে মাস্টার বি হালায় চলে যাচ্ছেন কেন বি হালায়? আইসা পড়েন বি হালায়।
মাস্টার সাহেব তো এসব শুনে আরও দ্রুত পদে বিদায় নিয়ে চলে এলেন।
তার কি আর দেখা পায়?
ভাবী ও মেহমান
এক লোক ছিল, সে মেহমানদারী করতে খুব পছন্দ করতো। যেকোন লোক পথ থেকে যখন তখন নিয়ে আসতে আর স্ত্রীকে বলতো, রান্না তৈয়ার করতে। স্ত্রীর এভাবে রান্না করতে বেগ পেতে হতো। কিন্তু কি আর করবো, স্বামীর হুকুম তো পালন না করেও পারে না।
একদিন এমনই এক লোক নিয়ে এসে স্ত্রীকে রান্না করার নির্দেশ দিয়ে তাকে বাসাং বসিয়ে রেখে সে চলে গেল বাজার করার জন্য। আজ স্ত্রী একটা দুষ্ট বুদ্ধি স্থীর করলো। বৈঠক খানায় মেহমান বসা। স্ত্রী পাটা পুতা নিয়ে মরিচ পিরতে বসলো বৈঠক খানার ভিতরের দিকের দরজার কাছে, যাতে উঁকি দিলে বৈঠক খানা থেকে তাকে দেখা যায়। যেখানে সে মরিচ পিরছে আর জোরে জোরে কান্না শুরু করলো। কিছুক্ষণ পর মেহমান জিজ্ঞেস করলো, ভাবী, আপনি কাঁদছেন কেন?
ভাবী: ভাইয়া বলেন না, আমি তো কাঁদছি নিজের দুঃখে নয়, আমি আপনার চিন্তায় কাঁদছি।
মেহমান: কেন, আমার কি হয়েছে যে আপনি আমার চিন্তায় কাঁদছেন?
ভাবী: না ভাইয়া, আপনি তো আপনার ভাই সম্পর্কে জানেন না। তিনি প্রতিদিন আপনার মত এরকম মেহমানদারীর কথা বলে যে কোন লোককে ধরে নিয়ে আসে, আর আমাকে বলে মরিচ পিষতে।
মেহমান: তারপর?
ভাবী: আরে ভাই, তারপরের কথা চিন্তা করেই কাঁদছি।
মেহমান: আমিতো কিছুই বুঝতে পারছিনা। তারপর কি করেন একটু তাড়াতাড়ি বলেন না ভাবী।
ভাবী: তারপর তিনি আমার থেকে মরিচ সহ ঐ পুতা নিয়ে মেহমানের যেখান দিয়ে ছিদ্র পায় সেখান দিয়েই মরিচ ঢুকান। এঅবস্থা দেখে আমার খুব কষ্ট হয়। কিন্তু কি করবো? আমি তো কিছু করতে পারিনা। আপনার বেলায়ও তাই হবে। এখন ফিরে এসেই শুরু করবেন। আর এ চিন্তায় আমি কাঁদছি।
মেহমান: এ্যাঁ, কি বলেন? আমি তো সরল বিশ্বাসে খুব ভালো মনে করে এসেছিলাম। এখন আমি কি করবো?
ভাবী: ভাইয়া আপনি তো বেড়াতে এসেছেন, আমি তো আপনাকে চলে যেতে বলতে পারিনা। কিন্তু আপনার যে কিছুক্ষন পরে কি মহাবিপদ আসতেছে তা তো আমি বুঝি।
মেহমান: ভাবী , আমি এখনই চলে যাচ্ছি, খোদা হাফেজ।
মেহমান বাড়ির পূর্ব দিকের পথ দিয়ে একটু চলে গেল।
একটু পরে লোকটি বাজার থেকে ফিরে এসে দেখে মেহমান চলে গেছে।
স্বামী: (স্ত্রাকে) মেহমান কই?
স্ত্রী: মেহমান আমার থেকে কিসের মরিচ পিষানের পূতা চায়। আমি দেইনি বলে এইমাত্র চলে গেল।
স্বামী: পুতা চেয়েছে, দেওনি কেন? কতদুরে গিয়েছে। আহারে, সামান্য একটা জিনিস চেয়ে না পেয়ে মনে কষ্ট নিয়ে চলে গেছে। কই দেখি পুতাটা দাও, আমি আগাইয়া তাকে দিয়া আসি।
পূর্ব দিকের পথে একটু এগুতেই স্বামী দেখে যে মেহমান যাচ্ছে।
স্বামী: এই যে ভাই আপনি পুতাটা নিয়া যান, আপনি পুতাটা নিয়া যান। (স্বামী পুতা হাতে লোকটার পিছনে প্রায় দৌড়তে শুরু করলো)।
লোকটি বুঝলো, ভাবী সাহেব যা বলেছেন তা তো পুরাপুরিই ঠিক। মরিচের পুতা আমর ছিদ্র পথে ঢুকানোর জন্য ঐ যে লোকটি আমার পিছনে দৌড়ে আসতেছে। মেহমান এই দেখে শরীরে যত শক্তি আছে তত জোরে দৌড়ে যেতে যেতে আল্লাহর শুকর আদায় করতে লাগলো। আল্লাহ তুই রক্ষা না করলে আজ কি উপায় না হতো।
দেশটা আল্লায় চালায়
একবার এক সোসালিষ্ট দেশের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফরে আসলেন। তিনি কমিউনিষ্ট, আল্লাহকে বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশে বিভিন্ন সাইড সফর করে সংগীকে বলছে, সারা জীবন বলছি আল্লাহ নেই, বাংলাদেশে এসে তো আমার বিশ্বাস পাল্টে গেল।
সফর সংগী: কি হইছে, কি বলছো কিছু বুঝতে পারছি না তো?
কমিউনিষ্ট: না আল্লাহ তো আসলেই আছে।
সফর সংগী: তোমার মাথা কি এদেশে এসে খারাপ হয়ে গেল?
কমিউনিষ্ট: আল্লাহই যদি না থাকে তবে এদেশটা চালায় কে? একটা দেশতো এভাবে চলতে পারেনা?
সফর সংগী: তাই নাকি, কেমনে বুঝলে?
কমিউনিষ্ট: এই যে এই দেশে সর্ব পর্যায়ে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, তারপরেও দেশটা যে চলছে, তা নিশ্চয়ই আল্লাহ চালায়, তা না হলে চলে কিভাবে?
বুদ্ধিমতি ছাত্রী
ছাত্রীদের মৌখিক পরীক্ষায় প্রশ্নকর্তা তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার বুকের ‘ও’ দু’টা কি”? সবাই লজ্জায় মাথা নত করে চলে এলো, কেউ কোন উত্তর দেয় নাই। ফলে সবাই ফেল করলো। একটা বুদ্ধিমতি ছাত্রী শুধু বললো স্যার, আমার বুকের ‘ও’ দু’টি ঠড়বিষ। তার উত্তর সঠিক হয়েছে এবং পাশ করেছে।
লন্ডনে এক নোয়াখাল্যা এবং ইংরেজ
লন্ডনে এক নোয়াখাল্যা এবং এক ইংরেজ এর সাথে কথা হচ্ছে।
ইংরেজ: আপনার বাড়ি কোথায়?
নোয়াখালী বাসী: ঘবশিধষর (নিউক্যালী)। ইংরেজ ভদ্রলোক কিছুই বুঝলোনা। চীনের কোন একটা শহর ভেবে আবার জিজ্ঞেস করলো-
ওং রঃ হবধৎ ঝঁহমযধর (সাংহাই)?
নোয়াখালী বাসী: ঘড়, ঘড়, ওঃ রং হবধৎ ঋবহযর. (ফেনহাই)।
ইংরেজ বোকার মত তাকিয়েই রইলো, কিছুই বুঝলো না।
‘ম’ এর স্থলে ‘ব’
শিক্ষক (আয়াকে) এই বুয়া, এক কাপ লেবু চা দেন তো।
আয়া: লেমু চা নি?
শিক্ষক: না, লেমু চা না, লেবু চা। একদিন বলছি না ‘ম’ এর স্থলে ‘ব’ বলবেন।
আয়া: আচ্ছা।
একদিন শিক্ষকের মামা গ্রাম থেকে এসেছেন তাঁর খোজে। আয়া এসে বললেন, স্যার আপনার বাবা এসেছেন, আপনাকে ডাকে।
শিক্ষক: আরে কি বলেন, আমার বাবা তো মারা গেছেন অনেক আগে, বাবা আসবে কোত্থেকে?
আয়া: না স্যার আপনি একটু দেখে যান, আপনার বাবাই এসেছেন।
শিক্ষক : কি বলো, এযে আমার মামা।
আয়া: আপনি যে বলছেন ‘ম’ এর স্থলে ‘ব’ বলতে?
শিক্ষক: আরে বোকা, সব জায়গায় ‘ম’ এর স্থলে ‘ব’ বলতে হয়?
জানেনা। তবে সে এতটুকু বুঝেছে যে, ‘হ’ কে ‘প’ বললেই শুদ্ধ হয়। যেমন হানি কে পানি, হান কে পান, হঁচা কে পঁচা ইত্যাদি।
বাজারে যেয়ে সাদা কিনতে হবে। বাড়িতে তো বলতো হাদা। তাই তার নিয়মে শুদ্ধ বলতে যেয়ে বললো- ১ ছটাক পাদা দেনতো।
দোকানদার বললো, পাদা কি বিক্রি হয়?
ছেলে: কেন হবে না? এগুলো কি?
দোকানদার বললো- সাদা।
ছেলে: ও আচ্ছা। দেন এক ছটাক।
এক প্রবাসী মুসলমানের চালাকি
এক মুসলমান, এক হিন্দু ও এক খৃস্টান শ্রমিক বিদেশে এক জায়গায় একত্রে কাজ করতো, এক রাতে কিছু সুস্বাদু খাদ্য পাওয়া গেল। তাদের মধ্যে মুসলমানটা ছিল খুব চালাক। এ সামান্য খাবার সবাইক ভাগ করলে তেমন কিছু হবেনা। তাই সবটুকু খাবার নিজে খাওয়ার এক ফন্দি আঁটলো।
মুসলমান: এসো আমরা একটা কাজ করি। খাবার টুকু ভালো ভাবে ঢেকে রেখে তিনজনই ঘুমিয়ে পড়ি। রাত্রে যে সবচেয়ে ভালো স্বপ্ন দেখবে সে এ খাবার খাবে।
অন্য দু’জন: ঠিক আছে। এখনই ঘুমিয়ে পড়া যাক। আর দেরী নয়। বাতি নিভেয়ে দেও।
মুসলমান: বেশ, তাই করা যাক। সবাই ঘুমিয়ে পড়লো। সকাল হলো। খাবার ঢাকাই আছে। সবারই চোখ সেদিকে গেল। এখন কে কি স্বপ্ন দেখেছে তা বর্ণনা-
মুসলমান: (হিন্দুকে) তুমি কি দেখেছো?
হিন্দু: আমি দেখি আমি কালি, মহাদেব, লক্ষ্মীরাণী, রাম এদের সাথে সেই গয়া কাশি ইত্যাদি জায়গায় ভ্রমন করছি–ইত্যাদি, ইত্যাদি।
মুসলমান: : (খৃস্টানকে) তুমি কি দেখেছো?
খৃস্টান: আমি দেখি মেরির কাছে আমি দেখা করেছি। তারপর বহু দেশ বিদেশে ভ্রমন করে একবার আকাশ রাজ্য পাড়ি দিয়েছি—ইত্যাদি, ইত্যাদি।
হিন্দু খৃস্টান দু’জনই সত্য মিথ্যা বানিয়ে বহু কিছু বলার চেষ্টা করলো।
হিন্দু ও খৃস্টান: (মুসলমানকে), এবার তুমি বল কি দেখেছো?
মুসলমান: আমি দেখি ইয়া লম্বা সাদা ধবধবে এক ফিরিস্তা স্বর্ণের লাঠি হাতে আমার কাছে এলো। লাঠি দিয়ে আমাকে আঘাত করে ঘুম থেকে জাগিয়ে বললো, এই তুই কিসের মুসলমান হয়েছিস, আজ জানিস না কোন রাত? আজ মহা পবিত্র রাত। তাড়াতাড়ি উঠ, খাবার খেয়ে রোজা রাখ। আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম। বললাম খাবার কোথায় পাবো? সে লাঠি উঠিয়ে ধমক দিয়ে বললো, ঐ যে ঢাকনার নিচে প্লেটে সুস্বাদু খাবার আছে। তা তাড়াতাড়ি খেয়ে রোজা রাখ। আমি তখন বললাম না, এখাবারতো ওরাও খাবে। আমি খেয়ে ফেললে ওরা আমাগে রাগ করবে।
আবার খুব কড়া ভাবে বললো, আরে বোকা, ওরা একজন গেছে গোয়াকাশি আরেকজন আকাশ পাড়ি দিয়েছে, ওরা এখানে আসবে কোথায় থেকে? তাড়াতাড়ি খেয়ে রোজা রাখ। আমি তখন তোদেরকে ডাকলাম, তোরা তো তখন বহুদুরে, আমার ডাক শুনতে পাসনি। তাই আমি একা একা ভয়ে আর কি করবো। কোন উপায় না দেখে খাবার গুলো খেতে বাধ্য হলাম। সবটুকু খেতে চাইনি দেখে আমাকে একটা আঘাত পর্যন্ত করেছে। এখন আর কি করা বল।
হিন্দু ও খৃস্টান: বেশ করেছো। তোমার স্বপ্নই সবচেয়ে ভাল হয়ে গেল, তাইনা?
মুসলমান: তাইতো দেখছি, আমি রোজা রেখে তোদের জন্য দোয়া করে দেব।
পত্রিকা উল্টা করে ধরা
এক টপ ক্লাশের প্রতারক। অথচ তেমন শিক্ষিত নয়। পোশাক পরিচ্ছদে বেশ টিপটপ, বুঝার উপায় নাই। ট্রেনে ফাস্ট ক্লাসে ভি.আই.পি লোকের চলে। তার উদ্দেশ্য হলো এদের সাথে প্রতারণা করে বড় অংকের দান মারবে। হকার থেকে ইংরেজী পত্রিকা চেয়ে নিয়েছে। আসলে কিন্তু পড়তেই জানেনা। আশে পাশের সবাইকে বুঝানো যে সে ও একজন ভি.আই.পি. লোক।
প্রতারক: (পত্রিকা উল্টা করে ধরে) ডেঞ্জারাস এক্সিডেন্ট? বহু লোক হতাহত হয়েছে।
পাশের লোক: কোথায় আপনি দেখলেন এক্সিডেন্ট?
প্রতারক: এই দেখুন না, পরো ট্রাক, বাস উল্টে গেছে, নীচে বহু লোক উল্টা পাল্টা হয়ে পড়ে আছে। দেখছেন, কি যে মারাত্মক এক্সিডেন্ট?
পাশের লোক: আরে আপনি কি বলছেন? কিছুই তো বুঝতে পারছি না। আপনার পত্রিকা ধরাইতো ঠিক হয়নি। আপনি তো পত্রিকা উল্টো করে ধরেছেন। তাই সব উল্টা দেখা যাচ্ছে।
প্রতারক: ও, সরি, আমি তো খেয়ালই করিনি।
বল নিয়ে কাড়াকাড়ি
ছোট ছেলে পিতার সাথে বল খেলা দেখছে।
ছেলে: আব্বু, এরা বলটা নিয়ে এত কাড়াকাড়ি করে কেন?
পিতা: ওরা সবাই বলটা নিজের কাছে পেতে চায়।
ছেলে: কেন আব্বু, বলটা কি খুব দামী?
পিতা: না বলটা তো বেশী দামী নয়।
ছেলে: তাহলে সবাইকে একটা করে বল দিয়ে দিলেই তো ঝগড়া মিটিয়ে যায়। এতে আর কয় টাকাই যাবে।
গ্রামের ছেলে শহরে
গ্রাম থেকে এক ছেলে শহরে বেড়াতে এসেছে। মতিঝিলের বড় বড় বিল্ডিং দেখে সে তো হতবাক। ফুটপাতে দাড়িয়ে বহুতল ভবনের তলা গুনতে লাগলো। এমন সময় এক মাস্তান ছেলে কি কর?
গ্রাম্য ছেলে: (নরম স্বরে)
মাস্তান: জানো না তলা গুনা নিষেধ।
গ্রাম্য ছেলে: না (আরে নরম স্বরে)।
মাস্তান: এক তলা গুনলে তিন টাকা দিতে হয়। (ধমক দিয়ে) কয় তলা গুনছো?
গ্রাম্য ছেলে: (খুব কাকুতি মিনতি করে) ৬ তলা।
মাস্তান: দাও, ১৮ টাকা দাও।
গ্রাম্য ছেলে: (ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি টাকা বের করে দিয়ে) এই নেন।
টাকা নিয়ে মাস্তান একটু দুরে যাওয়ার পর গ্রাম্য ছেরে নিজে নিজে বলছে- দিছি শালারে এক ঠক। আমি গুনছি ১০ তলা। কইছি ৬ তলা। দিছি এক ঠক। (মাস্তান যে ফাঁকি দিয়ে টাকা নিয়ে গেল সে খবর তার নেই)।
মুনাজাত উল্টা করে
এক হুজুর ধানমন্ডি, গুলশানের বড় লোকদের সাথে তার সম্পক। মিলাদ, ৪০শা, খতমে কোরআন ইত্যাদি উপলক্ষ্যে আগেই কত দিবে, কি কি খাওয়াবে, ইত্যাদি কন্ট্রাক্ট করে নেয়। একবার এক ধনী লোকের পিতার মৃত্যু বার্ষিকীতে তাদের দাওয়াত পড়ে। কথা হয় ৫০০/- টাকা করে দেবে।
অনুষ্ঠান শেষে ৩০০/- টাকা করে দেওয়ায় হুজুর অন্য সবাইকে জিজ্ঞেস করলো, এই তোমাদেরকে কত দিয়েছে?
অন্য সকলে বললো, ৩০০/- টাকা করে দিয়েছে। তখন হুজুর সবাইকে সম্বোধন করে বললো, আমরা কোরআন খানী, মিলাদ, দোয়া মোনাজাত ইত্যাদি করে তার পিতাকে জাহান্নাম থেকে নাজাতের ব্যাবস্থা করেছি। এখন সে আমাদের সাথে কেমন ব্যবহার করলো। তাই এসো আমরা সবাই আবার মুনাজাত উল্টা করে ধরি। মুনাজাত উল্টা করে ধরো সবাই (একটু কড়া স্বরে)।
ধনী লোক এঅবস্থা দেখে খুব চিন্তিত হয়ে তাদেরকে ওয়াদাকৃত পরো টাকা দিয়ে মাফ চাইলো। তখন হুজুরগন উল্টা মুনাজাত নামিয়ে নিলেন।
বিধ্বস্ত চেহারায় ম্যাচের ম্যানেজার
ছেলেকে ঢাকায় পাঠিয়েছে লেখাপড়া করার জন্য। একবার ছেলে বাবার নিকট চিঠি লিখলো, বাবা আমি এ মাসে বাড়িতে চিঠিপত্র লিখতে পারবো না। আমি খুব ব্যাস্ত। কারণ আমি ম্যানেজার। চিঠি পেয়ে বাড়িতে বাপ মা সবাই খুব চিন্তায় পড়ে গেল, কি হলো? ছেলেকে পাঠালাম লেখাপড়া করতে, সেকি চাকরি নিলো, লেখাপড়া তো বন্ধ হয়ে যাবে, কি ম্যানেজার হয়েছে?
পরের দিনই বাপ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। ছেলে থাকতো এক মেসে। সে মাসে তার উপর মেসের ম্যানেজারীর দায়িত্ব পড়েছে। ঘটনাক্রমে মেসের কাজের মহিলা একদিন না আসায় রান্নার দায়িত্ব ম্যানেজার সাহেবকেই পালন করতে হচ্ছে। তাই তার সারা গায়ে ঘাম, কালি ইত্যাদি লেগে চেহারা বিকৃত অবস্থা। সে যখন রান্না ঘরে রান্নার কাজে ব্যাস্ত এমনি মুহুর্তে বৃদ্ধ পিতা এসে উপস্থিত। এসেই দেখেন ছেলের সে কি অবস্থা।
বাবা: কিরে তোর এই অবস্থা কেন?
ছেলে: (হতবাকের মত তাকিয়ে) বাবা, আমি তো ম্যানেজার।
বাবা: (ছেলেকে জড়িয়ে ধরে) এখনই চলো, তোমার এমন ম্যানেজারি করা লাগবেনা। এক্ষনি চলো।
(বাবা ছেলের টানা হেঁছড়া, সে এক অবাক দৃশ্য)।
পকেটমার ও ভদ্রলোক
পকেটমার ভদ্রলোকের পকেটে হাত দিয়েছে। ভদ্রলোক পকেটমারের হাত ধরে ফেলেছে।
ভদ্রলোক: পকেটে হাত দিয়েছ এতো মানুষের সামনে। লজ্জা হয় না?
পকেটমার: লজ্জাতো আপনার হওয়া উচিত, কারণ আপনি এতো সুন্দর পোশাক পরে একেবারে সাহেব সেজেছেন। কিন্তু আপনার পকেটে একটি টাকাও নেই।
হ্যালো থেকে হেলছি
টেলিফোন বেজে উঠলো, বাসায় কেউ না থাকায় বাসার কাজের ছেলে ফোন ধরেছে।
ওপার থেকে: হ্যালো।
চাকর ছেলে: হেলছি।
ওপার থেকে: আবার, হ্যালো।
চাকর ছেলে: আরো হেলছি।
ওপার থেকে: আবারও, হ্যালো।
চাকর ছেলে: হেলছি তো।
ওপার থেকে: আবার, হ্যালো।
চাকর ছেলে: হেলতে হেলতে একেবারে ওয়াল এর সাথে লেগে গেলাম, তারপরও হ্যালো হ্যালো বলে, আমি এর চেয়ে বেশি আর হেলতে পারুম না।
সাহেবের মাথার ঘিলু
এক সাহেব কথায় কথায় গিন্নিকে বলে, তোমার মাথায় ঘিলু বলতে কিচ্ছু নেই। সেবার পরীক্ষায় ফলাফলে মেয়েদের একচেটিয়া প্রাধান্য হয়েছে। পত্রিকায় ফলাফল প্রকাশের পর গিন্নি সাহেবের সামনে পরীক্ষার ফলাফল দেখিয়ে একটু অভিনয়ের ভঙ্গিতে বললো: আর কিন্তু আমার মাথায় ঘিলু নেই বলবে না বলছি। দেখলে তো মেয়েদের ফলাফল?
সেনা অফিসারের বিয়ে
কোন এক দেশের সেনাবাহিনীর অফিসারদের অবিবাহিত থাকা নিয়ম। একবার এক অফিসার ছুটিতে বাড়ি গিয়ে আত্মীয় স্বজন সকলের প্ররোচনায় বিয়ে করে ফেলে। এ সংবাদ তার উর্ধ্বতনদের কাছে পৌঁছে যায়। বস উক্ত অফিসারকে ডেকে পাঠায়।
বস: তুমি জানো না বিয়ে করা নিষেধ?
অফিসার: জ্বি, জানি স্যার।
বস: এমন ভুল করলে কেন? এখন তো তোমার মারাত্মক সাজা হবে।
অফিসার: (করজোড়ে) স্যার আমাকে এবারের মতো মাফ করে দিন। আমি আর জীবনে এমন ভুল করবো না। স্যার, আমি আর জীবনে এমন ভুল করবো না।
টটা টইস না
একলোকের তিন নাতনী। তিনজনেই তোঁতলা। তিনজনেই উপযুক্ত। বর পক্ষ যখনই তাদের দেখার জন্য আসে, কথা জিজ্ঞেস করলেই তাদের তোঁতলা (অস্পষ্ট) কথা শুনে চলে যায়। একবার দাদা বললো বর পক্ষের সামনে তোরা কোনো কথা বলবি না। যা বলার আমি বলবো। বলবো যে এরা খুব বেশি লাজুক তাই অন্য করো সামনে কথা বলতে চায় না।
বর পক্ষ এসেছে, তাদেরকে সাজিয়ে সামনে পাঠানো হলো। পূর্ব কথা মতো তারা কোনো কথা বলে না। সব দাদাই বলছেন। দাদা বললেন তারা খুব গুণবতী। কোরমা, পোলাও, থেকে শুরু করে সব পাকাতে পারে। বড় নাতনী দেখলো যে সে একটা জিনিস পাকাতে জানে, তা দাদা বলছে না। মনে চায় যে দাদা সে কথাটা বলুক। সে কথাটা মনে মনে জপছে। আর দাদার উপর বিরক্ত হচ্ছে। দাদা বলছেন না কেন? নিজেই বলে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছে। একপর্যায় ঠিকই সে বলে ফেললো (তোঁতলা স্বরে) আ—মি—খা—টু—টা—ও পা—কা—তে পারি।
মেঝো নাতনী: দিদি, টটা টইস না (কথা বলিস না)।
ছোট নাতনী: আমি টিন্তু একটুও টইনা (আমি কিন্তু একটুও কইনা)।
(কথা তিনজনেরই বলা শেষ হলো, ছেলের পক্ষ যা বুঝার তা বুঝে চলে গেল)।
বেয়াই ও বেয়াইন
বেয়াই এসেছে বেয়াইন এর বাড়ি। বেয়াইন একটু কৃপন। মেহমান দেখলেই মুখ ফুলিয়ে রাখে।
বেয়াই: কি বেয়াইন মুখ ভান করে আছেন কেন? রাগ করলেন নাকি?
বেয়াইন: না, রাগ করবো কেন? আমার চেহারাই এরকম।
গরীব চাষার ক্ষোভ
এক গরীব চাষা। সারাদিন ক্ষেতে কাজ করছে। আল্লাহ একদিন ফসল দিবেন এ আশায় দিন রাত খাটছে। বৈশাখ মাসের শেষের দিকে সারা রাত মুশুল ধারে বৃষ্টি হলো। সকালেও হলো। বৃষ্টির পানিতে মাঠ ঘাট সব ভেসে গেল। দুপুরের দিকে বৃষ্টি একটু থামলো। গরীব চাষা একটা ছাতা হাতে নিয়ে ক্ষেতের ধারে গেল কি অবস্থা দেখার জন্য।
যেয়ে দেখে পানিতে সব ভেসে গেছে। সারা মাঠ পানিতে থৈ থৈ করছে। কোথায়ও ধান গাছের চিহৃও দেখা যাচ্ছে না। কয়েক মাসের হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম ভেসে গেল। ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে চাষা রাগে ক্ষোভে কি করবে, কি বলবে দিশা পাচ্ছে না। তাই অত্যন্ত ব্যাথা মনে ক্ষোভের সাথে নিজে নিজে বললো- দেখ, আল্লাহ হইছো বলে এত করা ঠিক হয় নাই। আল্লাহ হইছো বলে এত করা ঠিক হয় নাই।
বাথরুমে ভাত
এক গ্রাম্য ছেলে, নাম ফরিদ। ঢাকায় খালার বাসায় বেড়াতে এসেছে। শহরে কথাবার্তা সে কিছু বুঝলেও বলতে অভ্যস্ত নয়।
খাওয়ার সময় হয়েছে।
খালা: ফরিদ, যাও, বাথরুমে যেয়ে হাত মুখ ধুয়ে খেতে বস।
ফরিদ: কথা পুরোপুরি বুঝলো না। জিজ্ঞেস করলো, খালাম্মা, বাথরুম কোনটা? খালা বাথরুম দেখিয়ে দিলো। সে তো, বাথরুমে যেয়ে হাত মুখ ধুয়ে বসেই আছে। কিরে? খালা কি বললো, এখানে ভাত কোথায়? অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলো। খালা কি আমাকে ভুল বললো। বাথরুমে ভাত নাই, কি করি। অনেক চিন্তা করে আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসলো।
ফরিদ: খালা কই ভাত তো নাই।
খালা: কোথায়?
ফরিদ: বাথরুমে না বললেন যেতে? কই আমিতো অনেক্ষণ অপেক্ষা করে চলে এসেছি। সেখানে তো ভাত নেই।
(তার কথায় তার ছোট খালাতো ভাই সহ সবাই হেসে উঠলো)।
গুঁইদের বাড়ি
এক লোক বিদেশ যেয়ে বেশ টাকা-পয়সা রোজগার করেছে। আগে আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। টাকা-পয়সা হওয়ায় চিন্তা করলো তার বাড়ির একটা ভালো নাম রাখবে। এ উপলক্ষ্যে কয়েকটা গরু জবাই করে পুরো গ্রামবাসীদেরকে ভালো খাওয়া দিলো। উদ্দেশ্য খাওয়া শেষে সবাইকে বলে দিবে যে, এখন থেকে এ বাড়ির নাম — অমুক।
লোকজন খুব খেলো। কয়েকজন তো এমন খাওয়া খেল যে নড়তে যেন পারছে না। একজন কইলো, কিরে এমন খাওয়া খেয়েছিস, একেবারে গুঁইসাপের মতো পড়ে আছিস। এইভাবে একে একে বলা বলি করতে করতে ঐ বাড়ির শেষ পর্যন্ত লোকমুখে প্রচারণা হলো “গুঁইদের বাড়ি”।
বাড়ির ভালো নাম রাখবে, তাই বাড়ির নাম ফুটলো- গুঁইদের (গুঁইসাপ) বাড়ি।
গৃহকর্তা ও অতিথি
গৃহকর্তা: (অতিথিকে) আপনি যে আমাদের এখানে দুইমাস যাবৎ আছেন বাড়ির লোকদের কথা মনে পড়ে না? তাদের জন্য মন খারাপ লাগে না?
অতিথি: ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, তাদের জন্য মনটা খুবই খারাপ লাগছে। তাই আজই চিঠি লিখছি, তারা যেন সবাই চিঠি পাওয়া মাত্রই এখানে চলে আসে।
আড়াই হাজার থানা
শিক্ষক: বলতো মিঠু, কোন জেলায় আড়াইহাজার থানা আছে?
মিঠু: স্যার, এটা একটা অসম্ভব প্রশ্ন। বাংলাদেশের তো দুরের কথা, পৃথিবীর কোথায়ও একটা জেলায় আড়াই হাজার থানা নাই।
শিক্ষক: শিপু, তুমি পারবে বলতে?
শিপু: স্যার আমার জানা নেই।
শিক্ষক: দিপু, বলতে পারবে?
দিপু: পারবো স্যার। নারায়নগঞ্জ জেলায় আড়াই হাজার থানা আছে।
শিক্ষক: দিপু তোমাকে অশেষ ধন্যবাদ।
ভদ্রলোক ও কাজের ছেলে
এক ভদ্রলোক ঢাকায় থাকেন। বাসার কাজের ছেলে বাড়ি থেকে এসেছে। ভদ্রলোক চাকর ছেলের নিকট বাড়ির খোঁজ খবর নিচ্ছেন-
ভদ্রলোক: কিরে বাড়ির কি খবর, সব ঠিকঠাক আছে তো?
চাকর ছেলে: স্যার, আওর সব ঠিক হায়, শুধু আপনার বাসার কুকুরটা মারা গেছে।
সাহেব: কি? এত ভালো আদরের কুকুরটা মারা গেল, আবার বলিশ আওর সব ঠিক হায়। তা কুকুরটা কিভাবে মারা গেল?
চাকর: সেদিন কুকুরটা বাসার বিড়ালটাকে তাড়া করলো। বিড়ালটা তখন লাফ দিয়ে চুলার উপর ডালের পাতিলের মধ্যে পড়ে পুড়ে মারা গেল। তখন আম্মা লাঠির আঘাতে কুকুরটাকে মেরে ফেললেন। আওর সব ঠিক হায়?
সাহেব: কি?? বিড়ালটাও মারা গেল, আবার বলে আওর সব ঠিক হায়?
চাকর: আপনার যে একমাত্র ছেলে ছিল, সে ছিল চুলার কিনারায়। আম্মা যখন কুকুর পেটাতে ব্যস্ত এসময় আপনার ছেলেটি চুলার মধ্যে পড়ে মারা গেছে। আওর সব ঠিক হায়।
সাহেব: (কপালে হাত দিয়ে) আমার তো সবই গেল। তারপরে কস আওর সব ঠিক হায়।
চাকর: চুলা থেকে আগুন লেগে আপনার রান্নাঘর, গরুঘর ও গোয়ালের গরুগুলো মারা গেছে। আওর সব ঠিক হায়।
সাহেব: কি, আবার বলে আওর সব ঠিক হায়। আমার জীবনটাই তো বরবাদ হয়ে গেল।
চাকর: আগুন আর নিভানো সম্ভব হয় নাই। আগুনে শেষ পর্যন্ত আপনার থাকার বড় ঘরটাও পুড়ে গেছে। মালপত্রও সরানো সম্ভব হয়নি। আওর সব ঠিক হায়।
সাহেব: অ্যাঁ, আমার ঘর, বাড়ি, গরু, ছেলে সবই তো তাহলে শেষ। তুমি আবার বলো আওর সব ঠিক হায়। ও আল্লাহ এখন আমি কি করবো?
জুনাব আলীর আহবান
(লোকমুখে শ্রুত) জুনাব আলী কলেজের দাতা হাজী জুনাব আলী সাহেব অত্যন্ত দানশীল, বিত্তশালী লোক, কিন্তু ক অক্ষর গো মাংশ। একবার কলেজের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী সভায় সভাপতির ভাষণে হাজার হাজার ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে কলেজের সার্বিক উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ভাইসব, “আমি থাকবেন না, আপনারাও থাকবেন না, এলাকাবাসীও থাকবেন না, কিন্তু এ কলেজ থাকবেন”।
সমস্যার প্রবলেম
এক উপজেল চেয়ারম্যান। শিক্ষা বলতে তেমন কিছুই নেই। অঢেল সম্পদের মালিক। এলাকার হাইস্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী সভায় প্রধান অতিথির ভাষনে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন-
“তোমাদের কি সমস্যা আমাকে বলবে। আমি তোমাদের সব সমস্যা প্রবলেম করে দেব”।
(দীর্ঘদিন পর্যন্ত ছাত্রদের মুখে একই কথা- “তোমাদের কি সমস্য আমাকে বলবে। আমি তোমাদের সব সমস্যার প্রবলেম করে দেব”।
ব্রেশ! ব্রেশ!! ব্রেশ!!!
এক স্কুলে ইন্সপেক্টর পরিদর্শনে এসেছেন। বিভিন্ন ক্লাসে যেয়ে ছাত্রদের লেখাপড়ার খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
প্রথমে ৫ম শ্রেণীতে যেয়ে–
ইন্সপেক্টর:- এটা কোন ক্লাশ?
ছাত্রগণ:- ক্লাশ ফ্রাইভ।
ইন্সপেক্টর:- এখন কি পড়া?
ছাত্রগন:- ব্রাংলা।
২য় শ্রেণিতে যেয়ে—–
ইন্সপেক্টর: এটা কোন ক্লাশ?
ছাত্রগণ: ক্লাশ ট্রু।
ইন্সপেক্টর: এখন কি পড়া?
ছাত্রগণ: ভ্রুগোল।
৪র্থ শ্রেণিতে যেয়ে—–
ইন্সপেক্টর: তোমাদের এখন কি পড়া?
ছাত্রগণ: ব্রিজ্ঞান।
ইনস্পেক্টর ছাত্রদের এরূপ উচ্চারণে একটু মনক্ষুন্ন হলেন। হোয়াট, ছাত্ররা এমন ভুল করে কেন?
এবার প্রধান শিক্ষকের কামরায় সকল শিক্ষকদের মিটিং এ তিনি প্রধান শিক্ষককে বললেন, স্যার, আপনারা তো ছাত্রদেরকে প্রনাউনসেশন ঠিকমত শিখান না। কেউ বলে ব্রাংলা, কেউ বলে ব্রিজ্ঞান, এমন কেন?
প্রধান শিক্ষক:- স্যার, এটা ছাত্রদের অভ্রাস।
ইন্সপেক্টর:- (সমস্যা কোথায় তা বুঝতে পেরে) ব্রেশ! ব্রেশ!! ব্রেশ!!!
সংগৃহীত: অধ্যক্ষ মো: ফজলুল হক। তিনি ১৯৬৫ সালের ৩০ শে জুন লক্ষীপুর জেলার রায়পুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম মো: হাবিব উল্যাহ এবং মাতার নাম ফিরোজা বেগম। ব্যক্তিজীবনে তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী।
রিলায়েন্স ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটস লি:, রিলায়েন্স ফার্মাসিউটিক্যালস লি:, পারিজাত ডেভেলপমেন্ট ও ডিজাইন লি:,রিলায়েন্স বহুমুখী সমবায় সমিতি, রিলায়েন্স ভেজিটেবল ওয়েল মিলস লি:, রিলায়েন্স আইটি এন্ড কম্পিউটার সেন্টার, রিলায়েন্স পাওয়ার এন্ড ইলেক্ট্রনিক লি: – অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি গড়ে তুলেছেন।
হলি ফ্লাওয়ার মডেল স্কুল ও কলেজের তিনি প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক অধ্যক্ষ। পরিশ্রমী ও র্কমপ্রিয় এই মানুষটি তার সহজ সরল জীবন ও প্রাণবন্ত উদ্যমের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। তার স্বপ্ন এদেশ একদিন হবে বেকারমুক্ত, থাকবেনা দারিদ্রতার কষাঘাত, প্রতিটি মানুষ সুখে শান্তিতে থাকবে, মুখে ফুটে ওঠবে প্রশান্তি ও তৃপ্তির হাসি। ভোগ নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন তিনি।