মো. ফজলুল হক বাচ্চু
বাংলাদেশ লবণ উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি দেশ। আর ভোগ্যপণ্য লবণ অপরিহার্য পণ্য। হার্ট, লিভার, কিডনি, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি এবং শরীরের অন্যান্য অংশ কিছু কাজের জন্য লবণের উপর নির্ভর করে। রান্নায় ব্যবহার করা হয় বলে ‘লবণ’ সবার কাছে পরিচিত হলেও এর অন্যান্য ব্যবহারও রয়েছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ওয়াশিং পাউডার হিসেবে ব্যবহূত আমদানি করা ইন্ডাস্ট্রিয়াল লবণ বা গ্লোবাল সল্ট ধবর্ধবে সাদা দানাদার লবণ। একটি চক্র নিজেদের পকেট ভারী করতে শিল্পখাতের লবণ কমদামে কিনে আয়োডিন মিশিয়ে দেশীয় লবণ হিসেবে প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করে, এতে মাঠের লবণের দাম পড়ে যায়। এভাবে লবণ শিল্পকে ধ্বংস হয়ে যেতে দেয়া যাবে না।
শিল্প লবণ তথা সোডিয়াম সালফেট খেতে থাকলে কিডনি ও লিভার নষ্ট হয়, ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে, সহজে হজম না হওয়ায় এবং পানি শোষণ করায় মানুষের শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে। সোডিয়াম ক্লোরাইডের সঙ্গে সোডিয়াম সালফেট এর মিশ্রণটি মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। শিল্পকারখানায় ব্যবহারের জন্য কেবল লিকুইড সোডিয়াম সালফেট আনার ব্যবস্থা করা হলে ব্যবহার্য লবণ আমদানি বন্ধ হবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, দেশীয় লবণ নিয়ে জাতীয় চাহিদাও মিটানো সম্ভব হবে।
খাওয়ার লবণ খোলা অবস্থায় রেখে দিলে তা জলীয়বাষ্প শোষণের মাধ্যমে ভিজে যায়; সেটা না হলে বুঝতে হবে যে ঐ লবণে ভেজাল রয়েছে।
তুলনামূলকভাবে এখনো লবণ সবচেয়ে সস্তা এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর একটি। লবণ কেনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা সাধারণত স্থানীয় লবণের ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশ ২০১৯ সালে লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। লবণের উল্লেখযোগ্য ব্র্যান্ডগুলো হচ্ছে- এসিআই পিওর সল্ট, মোল্লা সল্ট, ফ্রেশ সল্ট, কনফিডেন্স সল্ট, সেনা সল্ট, প্রাণ আয়োডাইজড সল্ট, মুসকান সল্ট, আকিজ এসেনশিয়াল আয়োডাইজড সল্ট, মামিয়া প্রিমিয়াম আয়োডাইজড সল্ট। এসব ব্র্যান্ডগুলি বেশিরভাগ লবণ উৎপাদনে স্থানীয় কাঁচামালের উপর নির্ভর করে। কিন্তু কখনো কখনো দেশে উৎপাদিত কাঁচামাল পর্যাপ্ত না হলে কোম্পানিগুলোকে কাঁচামাল আমদানি করতে হয়।
এদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হচ্ছে লবণ শিল্প। লবণ হচ্ছে আল্লাহর দান। দেশের আয়তন হিসেবে সমুদ্র সৈকতটা তুলনামূলকভাবে বড়। দেশের আকৃতির তুলনায় বিশাল সমুদ্র উপকূল পেয়েছে। সমুদ্রের লোনা পানিকে আটকায়ে লবণ তৈরি করতে হয়। সমুদ্রের লোনা পানি ছাড়া লবণ উৎপাদন করা যায় না। কক্সবাজারে বাণিজ্যিকভাবে লবণ উৎপাদন শুরু হয় ১৯৬১ সালে। এদেশে ২৪-৩০ লক্ষ টন লবণের চাহিদা রয়েছে। সরকারের লবণ নীতির খসড়া অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে শিল্প খাতের লবণের চাহিদা ৭৫ শতাংশ বাড়বে। জনসংখ্যা, গবাদিপশু এবং শিল্প কারখানা বৃদ্ধির সাথে সাথে লবণের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে এক্সপোর্ট কোয়ালিটির লবণ উৎপাদন বাড়ানো হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।
দেশের লবণ উৎপাদন কেন্দ্র হচ্ছে কক্সবাজারের ৬টি উপকূলীয় উপজেলা কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, রামু, টেকনাফ ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলায় লবণ উৎপাদনযোগ্য প্রায় ৭০ হাজার একর উপকূলীয় জমি রয়েছে। উৎপাদিত লবণের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার কারণে দিন দিন লবণ চাষ সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১৬ হাজার একর জমিতে বন্ধ হয়ে গেছে লবণ চাষ। তবে খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলেও লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। এখন পলিথিন পদ্ধতিসহ আরো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাড়তি লবণ উৎপাদনে পরিকল্পনা করতে হবে। সারাদেশে লবণ চাষাধীন জমির পরিমাণ প্রায় ৭৩ হাজার একর। সনাতনী পদ্ধতিতে একরপ্রতি ৭৫০ মণ থেকে ৭৭৫ মণ লবণ উৎপাদন হলেও নতুন পদ্ধতিতে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ মণ লবণ পাওয়া সম্ভব। পটুয়াখালী, বরগুনা, বাগেরহাটের সমুদ্র উপকুলীয় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, হাতিয়া ও সদ্বীপ এলাকাও পরীক্ষামূলকভাবে লবণ চাষের আওতায় আনার প্রক্রিয়ায়। কখনো জমির বর্গা, পলিথিন, পানির সেচ, মজুরের বেতন এবং পরিবহন খরচ মিলে বিক্রির চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি পড়লেই চাষিদের দুর্ভোগ নেমে আসে।
২০১৭ সাল থেকে লবণের দাম পড়ে যাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকা বঙ্গোপসাগরের উপকূলের চাষীদের অনেকে বাপ-দাদার ঐতিহ্যের পেশাটি ছেড়ে দিতেও বাধ্য হয়েছে। দেশের লবণ শিল্প বড় হয়েছে। কিন্তু লবণের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না লবণচাষিরা। চাষিদের পর্যায়ে পরিশোধিত করে লবণ বিক্রির কোনো উদ্যোগ নেই। অপরিশোধিত লবণের দামের এতই কম যাতে বঞ্ছিত হাজার হাজার লবণচাষি অনেক উদ্বিগ্ন। তবে লবণটা আমরা তুলনামূলকভাবে কম দামেই কিনি। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর সময়ে বিশাল বিপর্যয় হয়েছিল, লবণ শিল্প মার খেয়েছিল। লবণের কেজি হয়েছিল ১০০ টাকা; যখন চালের কেজি ২-২.৫ টাকা আর ইলিশ মাছ ছিল ২ টাকা। গরিব মানুষ পেটের দায়ে লবণের অভাবে আটা গুলিয়ে খেতে গিয়ে বমি করে দেয়ার ঘটনা বহু ঘটেছে।
বাংলাদেশের প্রায় ১০-১৫ লক্ষ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লবণ শিল্পের উপর নির্ভরশীল। ২০২৪ সালে লবণ উৎপাদনে জড়িত রয়েছেন ৪০ হাজার ৬৯৫ জন চাষি। ২০২৩ সালে ৬৬ হাজার ৪২৪ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছিল ২২ লাখ ৩৩ টন, লবণ চাষির সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন । ২০২১-২২ অর্থবছরে লবণ উৎপাদিত হয় ১৮.৩২ লাখ মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদন হয়েছিল ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন। ২০২০ সালে যখন লবণনীতি করা হয়, তখন দেশের লোকসংখ্যা ১৮ কোটি ধরে লবণের বার্ষিক চাহিদা ২৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছিল।
২০০০-২০০১ অর্থবছরে দেশে লবণের চাহিদা ছিল ৮.৯১, লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯.০০, প্রকৃত উৎপাদন ছিল ৯.৯১, লবণ উৎপাদন এলাকায় জমির পরিমাণ ছিল ৫১৫৪১ একর, চাষির সংখ্যা ছিল ৩৭২৯৩ জন। ২০০১-২০০২ অর্থবছরে দেশে লবণের চাহিদা ছিল ৮.৮২, লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯.০০, প্রকৃত উৎপাদন ছিল ৭.৭৫, লবণ উৎপাদন এলাকায় জমির পরিমাণ ছিল ৫৪৭১৭ একর, চাষির সংখ্যা ছিল ৩৬৬৩৮ জন। ২০০২-২০০৩ অর্থবছরে দেশে লবণের চাহিদা ছিল ৯.০০, লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯.২০, প্রকৃত উৎপাদন ছিল ৮.১০, আমদানি ১.০০, লবণ উৎপাদন এলাকায় জমির পরিমাণ ছিল ৫৮৬৫৩ একর, চাষির সংখ্যা ছিল ৩৮৩২৮ জন।
২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে দেশে লবণের চাহিদা ছিল ১১.৪৪, লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯.৫০, প্রকৃত উৎপাদন ছিল ৯.৭০, আমদানি ১.০০, লবণ উৎপাদন এলাকায় জমির পরিমাণ ছিল ৬১৫০২ একর, চাষির সংখ্যা ছিল ৪০৫৯৫ জন। ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে দেশে লবণের চাহিদা ছিল ১১.৪৪, লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১.৫০, প্রকৃত উৎপাদন ছিল ৭.৮২, আমদানি ১.০০, লবণ উৎপাদন এলাকায় জমির পরিমাণ ছিল ৬৩৬৫৫ একর, চাষির সংখ্যা ছিল ৪২০০০ জন। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে দেশে লবণের চাহিদা ছিল ১১.৪৪, লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২.০০, প্রকৃত উৎপাদন ছিল ১৫.৭৫, আমদানি ১.৫৩, লবণ উৎপাদন এলাকায় জমির পরিমাণ ছিল ৭০০৫০ একর, চাষির সংখ্যা ছিল ৪৪৫৭৪ জন। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে দেশে লবণের চাহিদা ছিল ১১.৪৪, লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩.০০, প্রকৃত উৎপাদন ছিল ১০.৬৫, লবণ উৎপাদন এলাকায় জমির পরিমাণ ছিল ৭০৭৫৪ একর, চাষির সংখ্যা ছিল ৪৫০০০ জন।
২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে দেশে লবণের চাহিদা ছিল ১২.৬৫, লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩.০০, প্রকৃত উৎপাদন ছিল ১২.২২, লবণ উৎপাদন এলাকায় জমির পরিমাণ ছিল ৬৮১০১ একর, চাষির সংখ্যা ছিল ৪৩৬২৭ জন। ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে দেশে লবণের চাহিদা ছিল ১২.৯৮, লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩.২০, প্রকৃত উৎপাদন ছিল ১৩.৭২, লবণ উৎপাদন এলাকায় জমির পরিমাণ ছিল ৭১১৯০ একর, চাষির সংখ্যা ছিল ৪৭৪৬০ জন। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে দেশে লবণের চাহিদা ছিল ১৩.৩৩, লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩.৫০, প্রকৃত উৎপাদন ছিল ১৭.০৭, লবণ উৎপাদন এলাকায় জমির পরিমাণ ছিল ৬৭৭৫৭ একর, চাষির সংখ্যা ছিল ৪৩৫৫৩ জন।
২০২২ সালে লবণ এবং বিশুদ্ধ সোডিয়াম ক্লোরাইডের শীর্ষ আমদানিকারক দেশ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৮১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, জাপান ৩৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, চীন ৫৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি ২৮৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার, দক্ষিণ কোরিয়া ২৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, বেলজিয়াম ১৮১ মিলিয়ন ইউএস ডলার, কানাডা ১৫২ মিলিয়ন ইউএস ডলার, তাইওয়ান ১৩২ মিলিয়ন ইউএস ডলার, ইন্দোনেশিযা ১২৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার, ফ্রান্স ১১২ মিলিয়ন ইউএস ডলার। ২০২২ সালে লবণের শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ হলো- নেদারল্যান্ডস – বিশ্ব রপ্তানির ১৩.৩% (৪৩৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার), জার্মানি – ৯.৬৫% (৩১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ভারত – ৯.৫৬% (৩১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), ইউএসএ- ৬.২৯% (২০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), কানাডা – ৫.৯৫% (১৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া ৫১২ মিলিয়ন ইউএস ডলার, মেক্সিকো ২৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত ২৯০ মিলিয়ন মেট্রিক টন সামুদ্রিক লবণের বাজার মূল্য ছিল ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। ২০২২ সালে ১৫১ মিলিয়ন মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন করে লবণ উৎপাদনের শীর্ষ তিনটি দেশ চীন, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে লবণের আমদানি ও রপ্তানিকারক উভয়ই। দেশটি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে হংকং (৪৬ শতাংশ), পাকিস্তান (১৬.৯ শতাংশ) এবং জার্মানি (৩৭ শতাংশ) থেকে লবণ আমদানি করে। ২০২০ সালে লবণের আমদানি মূল্য ছিল ৪১৯.৪৭ হাজার ইউএস ডলার, এবং আমদানির পরিমাণ ছিল ১.২৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন। বাংলাদেশ তার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত লবণ গাম্বিয়া (৯৯ শতাংশ) এবং সুইজারল্যান্ডে (১ শতাংশ) রপ্তানি করেছে যার মূল্য ২০২০ সালে ছিল ৯১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন।
জাপানে লবণকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। জাপানিরা বিশ্বাস করে যে লবণ পরিষ্কারক এবং বিশুদ্ধতা রক্ষাকারী। যেসব দেশে সমুদ্র সৈকত নেই বা যেসব দেশের লবণ উৎপাদনের উপায় নেই; সেসব দেশে আয়োডিন যুক্ত মানসম্মত লবণ রপ্তানি করা গেলে উৎপাদনও আরো বাড়ানো যায়। এজন্য লবণকে রপ্তানি পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এক্ষেত্রে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কাজটা লবণ রপ্তানির ক্ষেত্র তৈরি করা, নিজের দেশের উৎপাদিত লবণ যাতে অন্য দেশে রপ্তানি করা যায় সেই লিংক বের করা। এর মধ্য দিয়ে এই সেক্টরের হাজার হাজার উপকূলীয় লবণ চাষীর পরিবারকে চরম দারিদ্র্যের স্তর থেকে বের করে নিয়ে আসার সম্ভাবনাও রয়েছে। মনে রাখতে হবে লবণের কোনো ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও আমদানির বিষয়টি আত্মঘাতী। দেশের লবণচাষিদের বাঁচাতে আমদানি পরিহার করাটাই শ্রেয়। চাষিদের নিরাপত্তা, লবণ আমদানি বন্ধ এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হলে ভবিষ্যতে আরও বেশি লবণ চাষ হতে পারে।