মানুষ হবার স্বপ্ন নিয়ে-
গ্রামের একটি ছেলে শহরে এসেছিল।
উন্নত মহৎ মানুষের মতো মানুষ হয়ে-
খোকার ফেরার আশায় ছিল বাবা-মা।
ছেলেটি উচ্চশিক্ষিত হলো,
অনেক নামি-দামি ডিগ্রি পেলো,
দেশি-বিদেশি বহু সার্টিফিকেট নিলো,
উন্নত ক্যারিয়ার হলো,
ক্ষমতা-প্রভাব আর পদ-পদবী পেলো।
কিন্তু মানুষ কী আর হলো!
অপরাধী হয়ে ঘরে ফিরলো!
কোন সেই চোরাবালি;
যেখানে হারিয়ে গেল ভালো মানুষ হবার স্বপ্ন!
দূরদূরান্তে বিস্তৃত করে পাশবিকতা-
মানুষের সমাজে তার ভূমিকা এমন যেন বন্য!
স্বপ্নরা জন্ম নেয়!
স্বপ্নরা ভিড় করে মনে!
কখনো স্বপ্নের বীজ থেকে-
ফুলে ফলে ভরপুর হয় বৃক্ষ।
কখনো স্বপ্ন হয়-
ঝরে পড়া জীর্ণশীর্ণ পাতার মতো।
স্বপ্নরা বেঁচে থাকে
পথিকের মৃত্যুর পরও পথ টিকে থাকার মতোই
স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে যারা ক্রমাগত ওঠতে থাকে;
তারা স্বপ্নপূরণেই সিঁড়িরও পরিচর্যা করে,
স্বপ্নসারথীদের যথার্থ যত্ন নেয়।
গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে
স্বপ্নের পথে যাত্রা করা লাগে
সঠিকভাবে চলতে লেগে থাকা লাগে
স্বপ্নের ঠিকানা মিলে
অবিরত চেষ্টা ও সাধনার পথে
স্বপ্নদর্শীর দাফন-কাফন হয়;
তবে স্বপ্নেরা ছড়িয়ে পড়ে-
একজন থেকে বহুজনে,
এক স্থান থেকে বহু স্থানে।
স্বপ্নের কোনো সীমান্ত নেই, সীমানা নেই।
কেউ স্বপ্ন দেখে,
কেউ স্বপ্ন দেখায়।
স্বপ্নরা ডানা মেলে আকাশে উড়ে বেড়ায়।
কেউ স্বপ্নহীন চোখ মেলে,
কেউ স্বপ্নচোখ খোলে।
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা এসে স্বপ্নচুরিকে দূরে ঠেলে।