মো. শামীম আল মামুন। দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান। তাকে নিয়ে তার পরিবারের স্বপ্ন ছিল সে প্রবাসী শ্রমিক হবে। অথচ পরীক্ষার ভালো রেজাল্টই গড়ে দেয় নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা, নতুন জীবন।
ছোটবেলায়ও সংসারের কাজ করে ক্লাসে যেতেন আবার ক্লাস থেকে ফিরে কাজে নিয়োজিত হতেন। যখন হোস্টেলে সপ্তাহে ২৫ টাকা ও ৫ কেজি চালেই চলতো, তখনো অর্থনৈতিক সঙ্কট ছিল তীব্র; অন্যদের সহযোগিতা নিয়েও চলতে হয়েছে।
গরুর বাছুর বিক্রি করা ৪ হাজার টাকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোচিং করেছেন। জমি বিক্রি করেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন। বাচ্চাকে পড়িয়ে তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাতিল করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাকালীন লজিং থেকেছেন, টিউশনী করেছেন। অথচ অনার্সে ১ম স্থান এবং মাস্টার্সে ২য় স্থান অধিকার করেন। ৭ বছর বিভাগীয় সমিতির ছাত্র প্রতিনিধি তথা ভিপি ছিলেন।
বর্তমানে তিনি বাংলা প্রভাষক ও আদর্শ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর উপাধ্যক্ষ। শিক্ষকতা করেছেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও সাভার মডেল কলেজের বাংলা বিভাগে। এখন এমফিল করছেন তিনি।