সদা হাসি–খুশি, সদালাপি, প্রাণোচ্ছ্বল ও সদাচারে বিশ্বাসীতরুণ ব্যারিস্টার এরশাদ আহমেদ নিশান। জন্ম টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে। তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ালস থেকে এল.এল.বি এবং লন্ডন সাউথ ব্যাংক ইউনিভার্সিটি থেকে এল.এল.এম ডিগ্রি অর্জন করেন। নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব কানটেরবারি থেকে কপ এট ল, নিউজিল্যান্ড কাউন্সিল অব লিগ্যাল এডুকেশন থেকে নিউজিল্যান্ড ল এন্ড প্রাকটিস এক্সামিনেশন এ কৃতিত্বের সাক্ষর রাখেন।
তিনি লন্ডন সাউথ ব্যাংক ইউনিভার্সিটিতে পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টস অফিসার এবং নিউজিল্যান্ডের স্কাই টিভির সহকারী আইন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। মানবকল্যাণ ও দেশোন্নয়নের স্বপ্ন পূরণে দেশের মাটি ও মানুষের কাছাকাছি থেকে কাজ করার ইচ্ছে থেকেই সদ্য দেশে ফিরেছেন তিনি। দেশে ফিরেই তরুণদের নিয়ে পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করণে সামাজিক সচেতনতা তৈরিতে ‘সেভ দ্য ফ্যামিলি–বাংলাদেশ’ নামে সংগঠন গড়ে তুলেছেন। তিনি সংগঠনটির কো-ফাউন্ডার । মানবতার সেবায় নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে আগ্রহী এই তরুণ উদ্যোক্তার মুখোমুখি হয়েছিল পরিবার ডটনেটের প্রতিবেদক শাওন মুকুল।
শাওন মুকুলঃ প্রবাসে স্থায়ী না হয়ে দেশে ফিরে আসার পেছনের কারণ জানতে চাই।
এরশাদ আহমেদ নিশানঃ আমি আমার দেশের মানুষদের দেশে থেকে আইনী সহায়তা দিতে চাই। আমি বিশ্বাস করি নিজ দেশে থেকে মানুষকে আইনী সহায়তা দেয়ার কাজ যত সহজ, ভিন দেশে থেকে সেভাবে কখনো সম্ভব নয় বা সময় হয়ে উঠে না।
মুকুলঃ সেভ দ্য ফ্যামিলি-বাংলাদেশ সংগঠন প্রতিষ্ঠার কারণ কী?
নিশানঃ পরিবার হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রাথমিক কোষ। আমি মনে করি পরিবার থেকে মূল্যবোধের শিক্ষা পেলেই একটি শিশু সৎ, আদর্শবান ও দেশপ্রেমিক হয়ে গড়ে ওঠে। মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ যত বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা তত কমবে। অপরাধ কমলে, সবাই যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় ও ন্যায়-নীতি-সততার চর্চা করে তবে লিগ্যাল সাপোর্টের প্রয়োজনও কম হবে। ফলে আদর্শ পরিবার নিশ্চিত করা আমার লিগ্যাল সাপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ। সেভ দ্য ফ্যামিলি-বাংলাদেশ এর উদ্দেশ্যই হচ্ছে, to ensure sustainable development at the family.
মুকুলঃ সেভ দ্য ফ্যামিলি-বাংলাদেশ কিভাবে কাজ করছে?
নিশানঃ আমরা গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করছি, বিষয়ভিত্তিক গবেষণাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। এছাড়া দরিদ্র ও নিঃস্ব পরিবারকে ফ্রি আইনী সহায়তা ও স্বাস্থ্য সহায়তা দিয়ে থাকি। আমরা ক্ষুদ্র পরিসরে কাজ শুরু করেছি; তবে সবার আন্তরিক সহায়তা নিয়ে ভবিষ্যতে কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
মুকুলঃ পাঠকের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন কী?
নিশানঃ সমৃদ্ধ দেশ ও উন্নত জাতি গঠনে সম্মিলিত ও সংগঠিত উদ্যোগ খুব বেশি প্রয়োজন। আমি মনে করি মানবতার সেবায় কাজ করার চেয়ে বড় গৌরবের কিছু নেই। সমাজ ও মানুষের জন্য ভালো কাজ করা, মানুষের সেবা ও সহযোগিতা করেই প্রকৃত আনন্দ উপভোগ করা যায়। প্রত্যেকের উচিৎ নিজ নিজ অবস্থান থেকে উদার মনে মানুষের কল্যাণে সাধ্যানুযায়ী কাজ করা। শুধু নিজে ভালো থাকার মাঝে সত্যিকারের সুখ নেই, সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে পারার মাঝেই সার্থকতা ও তৃপ্তি।
মুকুলঃ ব্যস্ততার মাঝেও সময়দানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
নিশানঃ আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে পাঠক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।