মেসুত ওজিলকে জার্মানির ‘জিদান’ হিসেবে ডাকেন অনেকে। এই জার্মান ফুটবলার তুরস্ক থেকে আসা এক অভিবাসী পরিবারে ১৯৮৮ সালে জন্ম নেন। তাঁর মা গুলিজার ওজিল ও বাবা মুস্তাফা ওজিল। ছোটবেলা থেকেই স্কুলে ফুটবল খেলার জন্য খুব জনপ্রিয় ছিলেন ওজিল।
মায়ের কড়া শাসনের মধ্যে বড় হয়েছেন ওজিল। অভিবাসী ছিলেন বলেই ছেলেকে নিয়ে মায়ের ভয়টা একটু বেশিই ছিল। ছোটবেলা থেকে মা-বাবার প্রতি খুব অনুরক্ত ওজিল। তাঁর ভাষ্যে, ‘আমরা একটা পরিবেশে বড় হয়েছি যেখানে বেঁচে থাকা ছিল বড় সংগ্রামের নাম। আমার মা আমাকে প্রতিদিন বেঁচে থাকা শিখিয়েছেন।’
ওজিলের মা তারুণ্যে তুরস্ক থেকে জার্মানিতে অভিবাসী হিসেবে পা রাখেন। স্বামী মুস্তাফা, দুই ছেলে আর দুই মেয়েকে নিয়ে অভিবাসীর কঠিন জীবন পার করেছেন। সেই জীবন দেখেছেন মেসুত। আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না বলে বেশ দুঃসহ শৈশব কাটান তাঁরা। বাবা-মায়ের কষ্টকে অনুপ্রেরণা ভেবে মেসুত এগিয়ে গেছেন নিজের স্বপ্নের দিকে।
২০০৬ সালে মা গুলিজার মেসুত ওজিলকে তুরস্কের হয়ে ফুটবল খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। গানিং ফর গ্রেটনেস: মাই লাইফ জীবনীগ্রন্থে ওজিল সে সময়কার সংকটের কথা লিখেছিলেন। মায়ের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়ে জার্মানির জার্সি গায়ে জড়ান মেসুত। ছেলের ভালো খেলা দেখে মা বুঝতে পারেন, ছেলের সিদ্ধান্তই সঠিক।