তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেন, ‘মা হচ্ছে সমবেদনা, রহমত-দয়া এবং আত্মোৎসর্গের প্রতীক। একটি সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমাদের মায়েরা আমাদের ভালোবাসতে, সম্মান করতে, সংহতি স্থাপন করতে, সহনশীলতা দেখাতে এবং সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করতে শেখান। আর এ গুণাবলি একটি দেশে আনন্দ ও সুখ-শান্তি প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে।
মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। মা হচ্ছে সন্তানের শক্তির উৎস, প্রথম শিক্ষক ও নিরাপদ স্বর্গ। মা হচ্ছেন সন্তানের একমাত্র শক্তি ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল। মাতৃত্ব ত্যাগ করা মানে মানবতার ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা। কোনো নারীরই এমন পেশা গ্রহণ করা উচিত নয়, যা তাকে মা হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে।
কোনো মুসলিম পরিবারের উচিত না জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এবং পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করা। আমার পিতা একজন ফল বিক্রেতা ছিলেন। আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল না। মাঝে মাঝে তরকারির পরিবর্তে তরমুজ দিয়ে রুটি খেতে হতো। বাবা-মায়ের দ্বীন-ইসলামের প্রতি টান ছিল। তাই উনারা আমাকে কোরআন হেফজ করার জন্য মাদরাসায় ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন।
যখন বাল্যকালে আমি মাদরাসাতে পড়তে যেতাম, তখন আমার এলাকার কিছু মানুষ আমাকে বলতেন- বেটা! কেন তোমার ভবিষ্যত খারাপ করছো? তুমি কি বড় হয়ে লাশ গোসল করিয়ে পাক করে দেওয়ার কাজ করবে? মাদরাসার ছাত্রদের গোসল করানো ছাড়া আর কি কোনো কাজ জোটে? তাই বলছি কোনো ভালো স্কুলে ভর্তি হয়ে যাও আর নিজের ভবিষ্যত তৈরি করার চিন্তাভাবনা কর।
আমাকে এই ধরনের উপদেশ যারা দিত তাদের বেশিরভাগই ছিলেন বয়স্ক-বৃদ্ধ। তাই আমি তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বগলে বই নিয়ে মাদরাসা ইমাদুল খতিব এর পথে হাঁটা দিতাম। সময় গতির সঙ্গে দৌঁড়াতে থাকলো আর আমি ইস্তানবুলের মাদরাসা থেকে ১৯৭৩ সালে নিজের পড়া শেষ করলাম।
কোরআন পড়ার সাথে হেফজও শেষ করলাম। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়লাম। তুর্কির প্রসিদ্ধ মারমারাহ ইউনির্ভাসিটিতে ভর্তি হলাম। সেখান থেকে অর্থশাস্ত্র ও প্রশাসনিক বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করলাম। কিন্তু প্রাসঙ্গিক শিক্ষা মাদরাসা থেকেই অর্জন করেছি।’