ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সালমা স্বামী শিবলী সাদিককে তালাক দিয়েছেন। দিনাজপুর-৬ আসনের এমপি শিবলি সাদিককে ২০ লাখ টাকা দিয়ে রফাদফা করতে হয়েছে। কণ্ঠশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানকে তালাক দিয়েছেন। কণ্ঠশিল্পী হৃদয় খান স্ত্রী কণ্ঠশিল্পী সুজানাকে তালাক দিয়েছেন। অভিনেত্রী সারিকা স্বামী মাহিন করিমকে তালাক দিয়েছেন। নায়িকা মাহিয়া মাহির তালাকের কাহিনী তো আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
সাংস্কৃতি জগতের মানুষ সালমা, হাবিব, হৃদয়, সারিকা, মাহি শুধু নয়; দেশে আশঙ্কাজনক হারে বিবাহ-বিচ্ছেদ বাড়ছে। অল্পশিক্ষিত, কম শিক্ষিত শুধু নয়; উচ্চ শিক্ষিত পরিবারে এ ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সামাজিক অস্থিরতা, প্রগতিশীলতার নামে নারী স্বাধীনতা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-ব্লগ-টুইটারে আসক্তি, পর পুরুষের প্রতি নারীর আসক্তি, সামাজিজ ও নৈতিক অবক্ষয়, ব্যক্তিত্বের দ্বন্ধ ইত্যাদি কারণে এ বিচ্ছেদ ঘটছে। এই বিচ্ছেদে পুরুষের চেয়ে নারীরাই করছেন বেশি। আর শিক্ষিত কর্মজীবী নারীরা বিবাহ-বিচ্ছেদে এগিয়ে রয়েছেন।
এক জরিপে দেখা গেছে ৭০ দশমিক ৮৫ ভাগ নারী এবং ২৯ দশমিক ১৫ ভাগ তালাক দিচ্ছেন পুরুষরা। সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর মেহতাব খানমের মতে দুটি কারণে ইদানিং বিবাহ-বিচ্ছেদ বাড়ছে। প্রথমত, মেয়েরা আগের চেয়ে বেশি শিক্ষিত হচ্ছে। তারা এখন অনেক সচেতন। মুখ বুজে নির্যাতন সহ্য না করে ডিভোর্সের পথ বেছে নিচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, মোবাইল কোম্পানিগুলোর নানা অফার, ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট, ফেসবুক এবং পর্নোগ্রাফির মতো সহজলভ্য উপাদান থেকে আকৃষ্ট হয়ে মূল্যবোধ ও নৈতিকতা হারাচ্ছেন। ফলে বিয়ের মতো সুদৃঢ় সম্পর্ক এবং নৈতিক বিষয়টি ছিন্ন করতে একটুও দ্বিধা করছেন না।
সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব