পরিবারকে ‘ফুলবাগান’ করতে হলে স্বামী ও স্ত্রী উভয়কে অবদান রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রীর নেতিবাচক চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন করে ইতিবাচক করতে হবে। পরিবারকে সুখী ও সুন্দর করতে হলে সন্তানদেরকেও কোনো উৎসবের অপেক্ষা না করে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে পরিবারের সবার সাথে উদ্যাপন করতে হবে।
যা আছে তার সঠিক ব্যবহার করতে হবে, কী নেই তা নিয়ে হাহুতাশ বন্ধ করতে হবে। পরিবারের সদস্যদেরকে ভালো রাখতে চাইলে প্রথমে আপনাকে সুখী আর শান্তিমগ্ন হতে হবে। সুখের উৎস আপনাকে খুঁজে নেবে না, আপনাকেই সুখের উৎস বানিয়ে নিতে হবে। আবেগকে ত্যাগ করুন, এমন সব বাক্য উচ্চারণ করবেন বা এমন কাজ করবেন না, যার জন্যে পরে অনুতাপ করতে হয়। রাগ-দুঃখ-নেতিবাচক আবেগ-মনোভাবকে সামলানোর কৌশল আয়ত্ব করে ভালোবাসাকে জয় করুন।
আপনার চি্ন্তাধারা আর অনুভব আপনার দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত-পরিচালিত হতে হবে, অন্যের দখলে গেলে আপনার ইচ্ছাশক্তির প্রয়োগ করতে পারবেন না। যে কোনো পরিস্থিতিকে মেনে নেবার ক্ষমতা বাড়লে আপনার নেতিবাচক আবেগ থাকবে না, ঘন ঘন রাগ হওয়া ও মানসিক চাপ অনেকটাই কমবে, অসহিষ্ণু হবেন না, প্রতিক্রিয়াশীল হবেন না বরং প্রতিবেদনশীল মনোভাব নিয়ে যথার্থ যুক্তিগ্রাহ্য সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন।
আপনি প্রাথমিক আকর্ষণের মোহ কাটিয়ে উঠতে পারলে, ঘন ঘন আবেগের পরিবর্তনকে অতিক্রম করে যেতে পারলে সারাজীবন ভালোবাসাকে সতেজ ও চিরস্হায়ী করে রাখতে পারবেন, প্রিয়জনদের সাথে জীবনকে উপভোগ করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারবেন৷ জীবনকে পরিচালনার জন্য জগতের সাথে মানিয়ে নেয়া যেমন দরকার, মনকে চাপমুক্ত রেখে মনের ভাবকে সঠিকভাবে প্রকাশ করা ও সৌজন্যপূর্ণ আচরণ করতে পারা তেমনই দরকার।
একটি বীজ মাটির সামান্য গভীরে না পুঁতে উপরে কিংবা বেশি গভীরে পুঁতলে অঙ্কুরিত হয় না, ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশেও পরিমিতি বোধ থাকা জরুরি। অন্যের প্রতি আপনি যত সজাগ-সংবেদনশীল হবেন, আপনিও তত সংবেদনশীলতা পাবেন। বাড়িতে শান্তি, ভালোবাসা আর সুখের তরঙ্গ আনতে প্রথম পদক্ষেপ আপনাকেই নিতে হবে। সবার মাঝে শান্তি-সুখ-তৃপ্তি থাকলে, ভালো সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতা বাড়ে, জীবনযাত্রার মান সামগ্রিকভাবে উন্নত হয়, উজ্জীবিত করে, উদ্যম বাড়ে৷