বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) হলো দেশের প্রথম নেতৃত্ব বিষয়ক প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে বাংলাদেশের তরুণ নেতৃত্ব বিষয়ক সর্বাধিক বিশ্বাসযোগ্য, স্বনামধন্য এবং আকাঙ্ক্ষিত প্ল্যাটফর্ম। বিভিন্ন মাধ্যমের তরুণদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, তাদেরকে প্রয়োজনীয় নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সরকারি, বেসরকারি, ও বিভিন্ন নাগরিক খাতে কাজ করতে সক্ষম করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
এর সকল প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য হলো সারা বিশ্বের সমাজব্যবস্থায় সমৃদ্ধি, ন্যায়বিচার, এবং সবার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিওয়াইএলসি গড়ে তুলতে চায় ন্যায়পরায়ণ, সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ।
বিওয়াইএলসি’র লক্ষ্য
বিওয়াইএলসি’র লক্ষ্য হচ্ছে- একটি সমৃদ্ধ এবং সমতার পৃথিবী গড়ে তোলা যার মূলে থাকবে সাহসিকতা, সহানুভূতিশীলতা এবং যোগ্য নেতৃত্ব। উদ্দেশ্য হচ্ছে- সমাজের বিভিন্ন অবস্থান থেকে উঠে আসা তরুণদের মধ্যে একটি সংযোগ সৃষ্টি করে তাদের নেতৃত্বের গুণকে বিকশিত করা; যাতে তারা সরকারি, বেসরকারি এবং বেসামরিক খাতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে। লক্ষ্য হলো এদেশের তরুণ প্রজন্মের মাঝে কার্যকরী নেতৃত্ব চর্চার ধারা তৈরি এবং তাদের মধ্যকার সম্ভাবনাগুলোকে জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করা। যাতে করে তারা দেশের বিরাজমান সমস্যাগুলোর দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে কাজ করতে পারবে।
বিওয়াইএলসি’র বিশ্বাস
বিওয়াইএলসি বিশ্বাস করে “ক্ষমতা এবং নেতৃত্ব” দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। নেতৃত্ব কোনো পদবী নয় বরং একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে মানুষকে তাদের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে অনুপ্রাণিত করা হয়। এর ফলে ক্ষমতা থাকুক কিংবা না থাকুক প্রতিটি মানুষই নেতৃত্ব চর্চা করতে পারে।
কী চায় বিওয়াইএলসি
বিওয়াইএলসি দেশের তরুণদের জন্য এমন কিছু সুযোগ তৈরি করে দেয় যেখানে তারা নেতৃত্ব চর্চার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। বিওয়াইএলসির এই উদ্যোগের একটি ভিত্তি হলো ভিন্ন আর্থসামাজিক এবং শিক্ষামাধ্যম থেকে উঠে আসা তরুণদের একত্রিত করার মাধ্যমে নেতৃত্ব চর্চায় আগ্রহী করা। এতে করে শিক্ষার্থীরা ভিন্ন মতামত ও পরিবেশের সাথে মানিয়ে কাজ করার দক্ষতা অর্জন করে।
ইংরেজি, বাংলা ও মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে বিওয়াইএলসি সকল শিক্ষার্থীদের একটি সার্বজনীন মঞ্চ দিতে চায় যেখানে তারা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বোঝাপড়ার ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। তরুণদের মধ্যে আদর্শগত পার্থক্য এবং শিক্ষা ব্যবস্থার ভিন্নতার কারণে চির ধরা সামাজিক ঐক্য এবং সামাজিক কলহ নিরসন করে সহানুভূতি তৈরি করে বিওয়াইএলসি।
মুখস্থ বিদ্যা নির্ভর বর্তমান পাঠ্যসূচী সূক্ষ্ম চিন্তা, সৃজনশীলতা এবং নেতৃত্বের যোগ্যতার প্রসার না ঘটায় শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাঁধার সম্মুখীন হয়। একটি বাস্তবসম্মত পাঠ্যসূচী অনুসরণের মাধ্যমে বিওয়াইএলসি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সূক্ষ্ম চিন্তা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, দলীয় কাজের গুণাবলি এবং কার্যকরী যোগাযোগের গুণাবলী গড়ে তোলে।
বাংলাদেশে একটি প্রচলিত ভুল ধারনা রয়েছে যে নেতৃত্ব শুধুমাত্র ক্ষমতায় থেকেই চর্চা করা যায়। এ কারনে এদেশের জনগণ তাদের নিজেদের সমস্যা সমাধানের জন্য সব সময় ক্ষমতাসীন ব্যক্তির উপর নির্ভর করেন। বিওয়াইএলসি পাঠ্যসূচিতে ক্ষমতাসহ কিংবা ক্ষমতা ছাড়া নেতৃত্ব চর্চার উপর গুরুত্ব প্রদান করে। শিক্ষার্থীদের ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের উপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের উদ্যোগ নেয়ার জন্য উৎসাহিত করে, সার্বিক বাঁধা দূর করার জন্য চেষ্টা করতে অনুপ্রাণিত করে।
বিওয়াইএলসি’র ইতিহাস
বিওয়াইএলসি ২০০৮ সালের জানুয়ারী মাসে যাত্রা শুরু করে। সে সময় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র ইজাজ আহমেদ এমন একটি নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের কথা চিন্তা করছিলেন যা বিভিন্ন অবস্থান থেকে উঠে আসা তরুণদেরকে নেতৃত্বের গুণাবলীর পাশাপাশি তাদেরকে তাদের নাগরিক দায়িত্ব পালনেও উদ্বুদ্ধ করবে।
ইজাজ এবং তৎকালীন এমআইটি’র শিক্ষার্থী সাম্মি কুদ্দুস তখন একটি মাসব্যাপী কার্যক্রম বিল্ডিং ব্রিজেস থ্রু লিডারশীপ ট্রেনিং (বিবিএলটি)’র পরিকল্পনা করেন যা পরে ২০০৮ সালের মার্চে ক্যথ্রিন ডেভিস শান্তি পুরস্কার পায়। ২০০৮ সালের অক্টোবরে বিওয়াইএলসি নিজেদের পরিচালনা পরিষদ গঠন করে। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে এটি বাংলাদেশের জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস থেকে একটি নির্দলীয় সামাজিক উদ্যোগ হিসেবে নিবন্ধন প্রাপ্ত হয়।
জুলাই ১৮, ২০০৮ চট্টগ্রামে বিল্ডিং ব্রিজেস থ্রু লিডারশীপ ট্রেনিং (বিবিএলটি) কার্যক্রমের মাধ্যমে বিওয়াইএলসি যাত্রা শুরু করে। জানুয়ারী ৫, ২০০৯ বিওয়াইএলসি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশে নিবন্ধিত হয়। জুন ২০, ২০১০ বিল্ডিং ব্রিজেস থ্রু লিডারশীপ ট্রেনিং জুনিয়র (বিবিএলটি জে) কার্যক্রম যাত্রা শুরু করে। মার্চ ৩, ২০১১ ২০০ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে প্রথম নেতৃত্ব বিষয়ক সম্মেলন আয়োজন করে।
মার্চ ৩, ২০১২ নিজস্ব শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বিওয়াইএলসি গ্র্যাজুয়েট নেটওয়ার্ক (বিজিএন)’র যাত্রা শুরু হয়। নভেম্বর ২০, ২০১২ আর্ট অ্যান্ড প্র্যাকটিস অফ লিডারশীপ কর্মশালা শুরু হয়। মার্চ ২০, ২০১৩ বারিধারা জে ব্লক এর সদর দপ্তরে স্থানান্তরিত হয় বিওয়াইএলসি। অক্টোবর ৫, ২০১৩ ইয়ুথ লিডারশীপ বুটক্যাম্প শুরু হয়। নভেম্বর ৭, ২০১৩ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। মে ৫, ২০১৬ বিওয়াইএলসি’র নতুন ওয়েবসাইট ও ব্র্যান্ডিং এর যাত্রা শুরু।
বিওয়াইএলসি’র প্রতিষ্ঠাতা ইজাজ আহমেদ
বিওয়াইএলসি’র প্রেসিডেন্ট এন্ড ফাউন্ডার, ফ্যাকাল্টি ইজাজ আহমেদ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় বিওয়াইএলসিকে নিয়ে পরিকল্পনা করেন এবং পরবর্তী প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে একটি সৎ, উন্নত ও সর্বব্যাপী সমাজ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে তিনি ২০০৯ সালে বিওয়াইএলসিকে বাংলাদেশে একটি অলাভজনক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন করেন।
বিওয়াইএলসিতে তার অবদানের জন্য ইজাজ অসংখ্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তার মধ্যে ‘আশোকা’ ফেলোশিপ, এইজেন হাওয়ার ফেলোশিপ এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুল এর রাইজিং স্টার পুরস্কার পান। ইজাজ এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকার প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন। সেন্ট অ্যানড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টে এর একজন সম্মানসূচক ফেলো হিসেবে কাজ করছেন।
ইতোপূর্বে তিনি বিশ্ব ব্যাংক, ইউএনডিপি এবং বাংলাদেশ সরকারের ব্যাংকিং, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, প্রাকিতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং বেসামরিক খাতের উন্নয়ন মুলক বিভিন্ন কার্যক্রমে কাজ করেছেন। তিনি ঔষধ খাতে নিয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি হার্ভার্ড কেনেডি স্কুল থেকে পাবলিক পলিসি’তে স্নাতকোত্তর এবং সেন্ট অ্যানড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
ইজাজ আহমেদের চিন্তা ও কর্ম
বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ইজাজ আহমেদ এর নেশা নেতৃত্ব গড়া। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার আগ্রহ ও বাসনা প্রবল।
বাংলাদেশে নেতৃত্বের সমস্যা দূরীকরণে নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার স্বপ্ন তার দীর্ঘদিনের। নতুন প্রজন্মকে ভালো এবং খারাপের মাঝে পার্থক্য বুঝায়ে দেশের ভালো নিশ্চিত করাই তার লক্ষ্য। তিনি নতুন প্রজন্মকে শেখাচ্ছেন যে, যে যার অবস্থা থেকে নেতৃত্ব করতে পারে, নেতৃত্ব মানে একটি প্রক্রিয়া।
ইজাজ ভাই নবীনদেরকে শেখাচ্ছেন গ্রহণযোগ্য ও অগ্রহণযোগ্যের মধ্যে পার্থক্য কী। ভালো পড়াশোনার সাথে নিজের দায়িত্বের প্রতিও সচেতন করছেন। নিজের দায়িত্বের প্রতি সচেতন না হলে কোনোদিনই ভালো মানুষ হওয়া যায় না।
ইজাজ ভাই শত বিভক্তির মাঝেও ঐক্যের সূত্র খোঁজেন। বিভিন্ন মাধ্যমের ছেলেমেয়েদের একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসে নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ দেন। তিনি শেখান-কর্তৃত্বসহ নেতৃত্ব দেওয়া যায়, কর্তৃত্ব ছাড়াও নেতৃত্ব দেওয়া যায়।
তিনি নিজেকে ও জীবনের উদ্দেশ্য জেনে নিজের সম্পর্কে সচেতন হতে উৎসাহিত করেন। চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হতে বলেন। নতুন প্রজন্মকে সমস্যটাকে আগে বুঝে, পরে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে বলেন।
বিওয়াইএলসি কি করে
নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ
বিওয়াইএলসি বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ ধরণের নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকে। অভিজ্ঞ শিখনপদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রোগ্রামগুলোতে বিশ্লেষণধর্মী ভাবনা, সমস্যা সমাধান এবং যোগাযোগ দক্ষতা গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
পেশাগত উন্নয়ন
২১ শতকের প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকুরিবাজারের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে বিওয়াইএলসি গ্র্যাজুয়েটদের জন্য রয়েছে প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপে অংশ নেওয়ার সুযোগ।
অনলাইন শিক্ষণ
সবার মাঝে নেতৃত্ব শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টার একটি অংশ হলো বিওয়াইএলসিএক্স। এটি একটি অনলাইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা নেতৃত্ব ও পেশাগত উন্নয়নের কোর্সগুলো সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে।
বিওয়াইএলসি গ্রাজুয়েট নেটওয়ার্ক
বিজিএন’ হলো গ্র্যাজুয়েটদের মধ্য থেকে নির্বাচিত একটি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত বিওয়াইএলসির অ্যালামনাই এসোসিয়েশন। গ্র্যাজুয়েটদের আত্মউন্নয়ন এবং সামাজিক উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত রাখতে বিজিএন নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে।
ইয়ুথ লিডারশীপ প্রাইজ
সমাজ পরিবর্তনে তরুণদের সামর্থ্যকে তুলে ধরতে নিজ নিজ কমিউনিটিতে সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তরুণদের বিওয়াইএলসি ইয়ুথ লিডারশীপ প্রাইজ দেওয়া হয়।
ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট (ওয়াইএলএস)
ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট হলো তিনদিনব্যাপী তরুণ নেতৃত্ব বিষয়ক সম্মেলন। এখানে তরুণরা তাদের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে যেসব বাধার সম্মুখীণ হন সেগুলোর প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয় । এ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আবেদকারীর মধ্য থেকে তরুণ প্রতিনিধিদের বাছাই করা হয়। তারা সরকারি, বেসরকারি ও অলাভজনক খাতে অবদান রাখা বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তা এবং নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করার সুযোগ পান।
ফলে এখানে জ্ঞানার্জন এবং নেটওয়ার্কিং এর সমন্বয় থাকে। উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন, বিশ্বের যোগ্য নাগরিক হবার শিক্ষা ও ক্যারিয়ার, নারী পুরুষ নির্বিশেষে নেতৃত্বচর্চা, রাজনীতি ও উদ্ভাবন ইত্যাদি বিষয়বস্তুর সংমিশ্রণ ঘটে এই সামিটে। একত্রে কাজ করার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন সেটা তাদের বিশ্লেষণী ক্ষমতাকে এবং নেতৃত্বচর্চাকে আরো বিকশিত করে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অথবা ক্যারিয়ারের শুরুতে থাকা যে কেউ ওয়াইএলএস’র জন্য আবেদন করতে পারেন।
বিওয়াইএলসিএক্স
এছাড়া বিওয়াইএলসি এর আধুনিক অনলাইন শিক্ষামাধ্যম বিওয়াইএলসিএক্স, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের ওপর ২৫টি কোর্স চালু করা হয়েছে। এ কোর্সগুলো বাংলাদেশের তরুণদের উপযোগী করে নেয়ার বিশেয়ায়িত অনলাইন কোর্স যা তাদের নেতৃত্ব, পেশাদারিত্ব এবং একবিংশ শতাব্দীর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করবে।
বিওয়াইএলসিএক্স এর কোর্সগুলো দেশের সব তরুণদের জন্য সহজলভ্য করে তুলবে এবং তাদেরকে একবিংশ শতাব্দীর জন্য কর্মোপযোগী করে গড়ে তুলবে। বিওয়াইএলসিক্সের প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীরা অনলাইনেও প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে সহায়তা পাবেন এবং সরাসরি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও তাদের বিওয়াইএলসি অফিস অব প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্টের সহায়তায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
চাহিদা ও গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এবং ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার উপযোগী করে সিরিয়াল আকারে কোর্স তৈরি করার পরিকল্পনাও বিওয়াইএলএক্স-এর রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ইনোভেশন অ্যান্ড ডিজাইন থিস্কিং, উদ্যোক্তা, ডাটা সায়েন্স , ব্যবসা পরিসংখ্যান, অথনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং ডিজিটাল মার্কেটিং।
যোগাযোগ
একাদশ ও দ্বাদশ তলা, মেডোনা টাওয়ার,
২৮, মহাখালী সি/এ, ঢাকা ১২১৩, বাংলাদেশ