এরদোগানের পরিবার

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। সবচেয়ে জনপ্রিয় মুসলিম নেতা। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের বন্ধু। দুর্দান্ত এই রাজনীতিবিদ মুসলিম উম্মাহর আশার আলো। তার বাবা আহমদ এরদোগান, মা তানজিলে হানিম। পাঁচজন সহোদরের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। ১৯৭৮ সালের ৪ জুলাই এমিনি এরদোগানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তার প্রথম পুত্র আহমেত বারান ১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর জন্ম নেন নেকমিতিন বিলাল ও এশরা। ১৯৮৫ সালে তার দ্বিতীয় কন্যা এবং চতুর্থ সন্তান সামিয়ে জন্মগ্রহণ করেন।

রজব তাইয়েব এরদোগান

মুসলিম বিশ্বের মহান এই নেতা ১৯৫৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের ইস্তাম্বুলের কাশিমপাশা শহরতলীতে ‘জুরজু’ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আহমদ এরদোগান ১৩ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন কিন্তু ১৯৫২ সালে সেই সংসার ভেঙ্গে যায়। ১৯৫৩ সালে বিয়ে করেন তানযিলে হানিম নামে এক মহিয়সী নারীকে। তার পিতা পেশায় তুর্কি কোস্টগার্ডের জাহাজের ক্যাপ্টেন ছিলেন। একসময় আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় ফলও বিক্রি করতেন। আরবি মাস রজব থেকে রেজেপ, দাদার নাম থেকে তাইয়েব এবং বংশীয় উপাধি এরদোগান। আগের সংসারে দুই ভাই আর এই সংসারে দুই ভাই, একবোন মিলে এরদোগানরা ৫ ভাই-বোন।

এরদোগানের শিশুকাল কেটেছে কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে। তের বছর বয়সে আবার ইস্তাম্বুল চলে আসেন।পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব বেশি ভালো ছিল না। ছুটির দিনগুলোতে তিনি বাজারে বেরিয়ে পড়তেন। সিমিট (রুটি), পানি, লেবু বিক্রি করতেন। এখান থেকে যে অর্থ আসত, তা দিয়ে পরিবারকে সহায়তার পাশাপাশি স্কুলের বেতন পরিশোধ করতেন। একসময় তার সামনে তরমুজ বিক্রি করা ছাড়া আর কোন পথ ছিল না। যা দিয়ে তিনি বাবাকে সাহায্য করতেন এবং নিজের প্রাথমিক শিক্ষার খরচ যোগাড় করতেন। কোনো কোনো দিন তরকারীর পরিবর্তে তরমুজ দিয়েও রুটি খেতে হতো।

গভীর রাতে বা ফজর নামাজের পরে কিছুটা অবসর সময় পান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। সে সময়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান তিনি। মাঝেমধ্যে সময় পেলেই নাতিকে কোরআন শেখাতে বসে যান। একটি পরিবারের সাথে আরেকটি পরিবারের সম্পর্ককে তিনি খুব গুরুত্ব দেন। তাইতো তাকে দেখা যায় ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোয়ানকে নিয়ে সাধারণ একটি পরিবারের সাথে মাটিতে বসে ইফতার করতে। সাধারণ নাগরিকের বাড়িতে গিয়েও এরদোগান দম্পতি সেই পরিবারের সঙ্গে বসে চা পান করে এবং গল্প করেন। শিশুদের শিক্ষা সহায়ক ট্যাবলেট কম্পিউটার উপহার দেন।

এমিনে এরদোগান

এমিনের জন্ম ইস্তাম্বুলের উস্কুদারে ১৯৫৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এমিনে গুলবারান হিসেবে। তিনি তুরস্কের আদি আরব বংশোদ্ভূতদের একজন। এমিনের পরিবার তুরস্কের সিরতে প্রদেশের স্থানীয় অধিবাসী। সিমাল এবং হাইরিয়ে গুলবারানের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট এবং একমাত্র কন্যা সন্তান।

এমিনে ইস্তাম্বুল মিথাত পাশা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট ফর গার্লস থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেছেন। বেশ কমবয়স থেকেই সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড এবং পরে নারী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি। আইডিয়ালিস্ট উইমেন’স এসোসিয়েশন নামের নারী অধিকার ও নারী রাজনীতি বিষয়ক দলটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন হলেন এমিনে গুলবারান।

দলটির নামকরণও তিনিই করেছিলেন। দলটির সঙ্গে কাজ করা অবস্থায় এমিনে নিয়মিত ন্যাশনাল টার্কিশ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন এবং লেডিস ফাউন্ডেশন ফর সায়েন্স অ্যান্ড কালচার – এ সংগঠন দু’টোর বিভিন্ন আয়োজন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতেন।

তুরস্কে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে একত্রিত করে ধনী-গরীবের মিলিত ইফতার আয়োজনের প্রচলনে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি। প্রেসিডেন্ট এরদোগানের শক্ত অবস্থানের পেছনে রয়েছে স্ত্রী এমিনের শক্ত হাত। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে তুরস্কে কন্যাশিশু ও নারীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বেশকিছু প্রকল্প চালান এমিনে।

শিশুশ্রম ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধেও কিছু প্রচারণা কর্মসূচি তার অধীনে চলমান রয়েছে। যেসব আন্তর্জাতিক আয়োজনে মাথায় কাপড় বা স্কার্ফ পরা অবস্থায় যাওয়া নিষিদ্ধ থাকে, সেখানে অন্য ফার্স্ট লেডিরা অংশ নিলেও এমিনে যাননি। এ নিয়ে বেশ আলোচনার শিকারও হন তিনি।

বাল্যবিবাহ রোধ, নারী শিক্ষা ও নারী অধিকার নিশ্চিতকরণ নিয়ে দেশ-বিদেশে কাজ করা এবং ত্রাণ ও মানবিক সহায়তায় ভূমিকা রেখে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন এমিনে। আন্তর্জাতিক কিছু সম্মাননাও পেয়েছেন এই ফার্স্ট লেডি। ২০১০ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানে হওয়া বন্যায় আক্রান্ত মানুষদের দেখতে নিজেই পাকিস্তানে যান এবং বন্যাপীড়িতদের সহায়তায় তহবিল জোগাড়ে সাহায্য করেন; নিজের গলার হার বন্যায় দুর্গতদের সাহায্যে দান করেন।

এই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এমিনেকে হিলাল-ই-পাকিস্তান সম্মাননায় ভূষিত করেন। ২০১১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ক্রানস মনটানা ফোরাম এমিনের সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে ‘প্রিক্স দে লা ফনডেশন’ প্রদান করে।

কক্সবাজার ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন, উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের হাতে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন। ২০১৮ সালে মানবতার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো ভিত্তিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব মুসলিম ফিলানথ্রপিস্ট কর্তৃক গ্লোবাল ডোনারস ফোরামের সম্মাননা পদক লাভ করেন।

এমিনে এরদোগান বলেন, একজন মা হিসেবে, নারী হিসেবে ও মানুষ হিসেবে আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের এমন একটি বিশ্ব তৈরি করতে হবে যেখানে সবাই পাশাপাশি বসবাস করতে পারবে। যেখানে কেউ জাতিগত বা ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হবে না।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে এমিনে এরদোগান বলেন, নিরপরাধ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর এ নিধনযজ্ঞ খুবই অমানবিক ও হৃদয়বিদারক। তুরস্ক অসহায় এসব রোহিঙ্গার পাশে থাকবে।

জাতিসংঘের ‘ওয়েস্ট ওয়াইজ সিটিজ গ্লোবাল চাম্পিয়ন’ পুরস্কার নিয়ে এমিনি এরদোগান বলেন, সবুজ পরিবেশ গড়তে তুরস্ক এবং ইউএন হ্যাবিট্যাট পরস্পরকে দৃঢ়ভাবে সহযোগিতা করবে। আমরা বিশ্বাস করি বর্জ্য সচেতন শহর প্রকৃতি এবং পরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাৎপর্যরপূর্ণভাবে অবদান রাখবে। পরিবেশের মতো বিষয়ে তুরস্কের তরুণদের সংবেদনশীলতা আগামীর শুভদিনের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করবে। বর্তমান প্রজন্মই জলবায়ু সংকট লাঘব করতে পারবে।

শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার নারী ও শিশুদের সম্মানে ইফতার ও ডিনারে দেয়া বক্তব্যে এমিনি রাসুল (সা.) এর হিজরতের পরে মদিনার আনসার ও মুহাজিরদের সম্পর্কের ইতিহাস টেনে বলেন, ‘তোমরা কেউ গৃহহীন নও, আমাদের দেশ তোমাদেরও দেশ, তোমাদের দ্বিতীয় মাতৃভূমিতে তোমাদের স্বাগতম’।

আহমেত বুরাক এরদোগান

আহমেত বুরাক ৪ জুলাই ১৯৭৯ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শিক্ষা গ্রহণ করেছেন ইমাম হাতিপ স্কুলে। আলমাম্যাটার ইস্তাম্বুল বিলগি ইউনিভার্সিটিতে। তিনি ইস্তাম্বুল বিলগি ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি লন্ডনে অর্থনীতি পড়তে তুরস্ক ত্যাগ করেন।তিনি পেশায় ব্যবসায়ী, এমবি ডেনিজিলিকের মালিক। তার স্ত্রী সেমা কেতেঞ্চি ওসমান কেটেনসির মেয়ে। ২০০১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

নেকমিতিন বিলাল এরদোগান

নেকমিতিন বিলাল এরদোগান ১৯৮১ সালের ২৩ এপ্রিল তুরস্কের ইস্তানবুলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এরদোগান-এমিনি দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। ১৯৯৯ সালে কার্টাল আনাদোলু ইমাম হাতিপ লিসেসিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয় শেষ করার পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি ব্লুমিংটন থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তারপরে ২০০৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন এফ কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্ট থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

স্নাতক শেষ হওয়ার পরে তিনি বিশ্ব ব্যাংকে কিছুদিন ইন্টার্ন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৬ সালে তুরস্কে ফিরে এসে ব্যবসায়িক জীবন শুরু করেন। সামুদ্রিক পরিবহণ কর্পোরেশন বিএমজেড গ্রুপ ডেনিজিলিক ভে ইনসাত সানায়ি এননিম শিরকেতির তিনজন সমান অংশীদারদের মধ্যে অন্যতম। তিনি তরকিয়ে জেনালিক ভে ইয়েটাইম হিজমেত ভাকফি (তারজেভ) নামক একটি শিক্ষা ও ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদেও রয়েছেন।  বিলাল ২০০৩ সালে রেয়ান উজুনেরকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির দুজন পুত্র, আমের তায়িপ এবং আলী তাহির এবং একটি মেয়ে ফাতেমা সেরার রয়েছে।

 

এশরা এরদোগান

এশরা এরদোগানের জন্ম ১৯৮৩ সালে ইস্তাম্বুলে। তিনি কাদকী ইমাম হাতিপ হাইস্কুলে পড়াশুনা করেন। ২০০৩ সালে ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাসে স্নাতক পাস করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৬ সালে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তার স্বামী বেরাত আলবায়রাক এর পিতার নাম সাদেক আলবায়রাক। ২০০৪ সালের ১১ জুলাই লাটফি করদার কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।বিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন- রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যাড্রিয়ান নাস্তাসে, গ্রীক প্রধানমন্ত্রী কোস্টাস কারামানালিস, জর্দানের রাজা আবদুল্লাহ দ্বিতীয়, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ গুল এবং গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লির স্পিকার ব্লেলে্ট আর্নিস।

এশরা এরদোগান একজন তুর্কি সমাজবিজ্ঞানী। এশরা- বেরাত দম্পতির চারজন সন্তান রয়েছে। আহমেট আকিফ ২০০৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। এমাইন মাহিনুর ২০০৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। সাদিক ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। হামজা সালিহ ২০২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বোর্ড সদস্য- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে টার্কেন ফাউন্ডেশন, তুরস্ক যুব ও শিক্ষা পরিষেবা ফাউন্ডেশন তুরজিইভি এবং তার পিতা রজব তাইয়েব এরদোগানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত গ্রিন ক্রিসেন্ট। তিনি প্রতিবন্ধীদের জন্য ইমরানিয়ে পৌরসভা দ্বারা শুরু করা ‘আমরা স্বেচ্ছাসেবক, আমরা শেখাই’ প্রচারণায় অংশ নেন এবং প্রতিবন্ধী মেয়েদের বর্ণমালা শিখিয়েছেন।

 

সামিয়ে এরদোগান

সামিয়ে এরদোগানের জন্ম ১৯৮৫ সালের ২২ আগস্ট। তিনি এরদোগান-এমিনে দম্পতির দ্বিতীয় কন্যা এবং চতুর্থ সন্তান। তিনি  ট্র্যাবসনের আরক্লা-ইমাম হাতিপ হাই স্কুলে পড়াশুনা করেন। ২০০২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত গ্রেড না পেয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা চালিয়ে যান। একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বৃত্তি পেয়ে তিনি ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় ব্লুমিংটন থেকে সমাজবিজ্ঞান এবং রাজনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় ব্লুমিংটন থেকে বিএ এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স  থেকে এমএসসি সম্পন্ন করেন। তিনি লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। তার স্বামী সেলুক বায়রাকটর। ২০১৬ সালের ১৪ মে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির একজন সন্তান রয়েছে। ২০১৩ সালে তিনি তার বাবার অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন যিনি সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।  ২০১০ সালে তিনি ডরুক ইজগারা ফুড ট্রেড লিমিটেড কোম্পানির অংশীদার হন।

২০১০ সালে তিনি জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ শুরু করেন।তার দায়িত্ব ছিল বৈদেশিক সম্পর্ক মনিটরিং এবং বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে তার প্রতিচ্ছবি পর্যবেক্ষণ। এই অবস্থানের কারণে তিনি অনেক আন্তর্জাতিক ভ্রমণের অংশ হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের অক্টোর‌্য অক্টোবর তিনি চার বছর পিতার পরামর্শদাতা ছিলেন।

About পরিবার.নেট

পরিবার বিষয়ক অনলাইন ম্যাগাজিন ‘পরিবার ডটনেট’ এর যাত্রা শুরু ২০১৭ সালে। পরিবার ডটনেট এর উদ্দেশ্য পরিবারকে সময় দান, পরিবারের যত্ন নেয়া, পারস্পরিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করা, পারিবারিক পর্যায়েই বহুবিধ সমস্যা সমাধানের মানসিকতা তৈরি করে সমাজকে সুন্দর করার ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পরিবার ডটনেট চায়- পারিবারিক সম্পর্কগুলো হবে মজবুত, জীবনে বজায় থাকবে সুষ্ঠুতা, ঘরে ঘরে জ্বলবে আশার আলো, শান্তিময় হবে প্রতিটি গৃহ, প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের মানবিক মান-মর্যাদা-সুখ নিশ্চিত হবে । আগ্রহী যে কেউ পরিবার ডটনেট এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ যেকোনো বিষয়ে লেখা ছাড়াও পাঠাতে পারেন ছবি, ভিডিও ও কার্টুন। নিজের শখ-স্বপ্ন-অনুভূতি-অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দিতে পারেন সবার মাঝে। কনটেন্টের সাথে আপনার নাম-পরিচয়-ছবিও পাঠাবেন। ইমেইল: poribar.net@gmail.com

View all posts by পরিবার.নেট →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *