ড. রহমাতুল্লাহ রফিক। তুরস্কের ইস্তানবুল গেলিসিম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
ছোটবেলায় এতটাই দুরন্ত ছিলেন যে ৩ বার হাত ভেঙ্গেছিল।
৩য় শ্রেণিতে পড়াশোনার সময়ই তিনি বাড়ির বাইরে থাকা শুরু করেন। মাছ ধরতেন। ক্রিকেট খেলতেন।
শৈশব কৈশরে পড়াশোনায় কিছুটা অমনোযোগীও ছিলেন। মুখস্ত বিদ্যাকে ছোটবেলা থেকেই খুবই অপছন্দ করতেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। অনার্সে ৩য় স্থান ও মাস্টার্সে ২য় স্থান অধিকার করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাকালে সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে চলমান রাজনীতি নামক মাসিক ম্যাগাজিন বের করেছিলেন।
যার স্লোগান ছিলো উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রসারে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
একসময় জিটিভি, ঢাকা টাইমস ও একপক্ষে কাজ করেছেন। তুরস্ক থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সংবাদ মাধ্যম তুর্কি নিউজ বাংলার সম্পাদক ছিলেন।
শিক্ষক বাবার কষ্ট তাকে পথ দেখিয়েছে। মানুষের ভালোবাসাকে সেরা প্রাপ্তি বলে মনে করেন । অত্যন্ত আশাবাদী একজন মানুষ তিনি।
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি স্টাডিজ এর চেয়ারম্যান। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ সোস্যাল, পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনোমিক রিসার্চ এর সম্পাদক। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে তার প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। গবেষক হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজও করেছেন।
কনটেম্পরারি ওয়ার্ল্ড পলিসি, পলিটিক্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস নামে একটি বই লিখেছেন। অনেক বই ও প্রকাশনায় সহ-লেখক হিসেবে কাজ করেছেন। বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক গবেষণা কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন। সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করেছেন।
তুরস্কের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। রাজনীতিমুক্ত পরিবেশ। তুরস্কে বিদেশিদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি স্কলারশীপের সুযোগ রয়েছে। স্কলারশিপ ছাড়াও বিদেশিদের নিজের খরচে পড়াশোনার সুযোগ আছে। তুরস্কে পড়াশোনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হওয়ার সুযোগ-সুবিধা একটু কম।