একটি গোলাপকে বাঁচানোর জন্য-
হাসিমুখে সন্তানকে বিদায় জানিয়েছিল মা।
বিয়ের নাকফুল বিক্রির টাকা হাতে দিয়ে-
স্বামীকে রণাঙ্গনে পাঠিয়েছিল নববধূ।
একটি গোলাপকে বাঁচানোর জন্য-
ছেলেটি প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল,
হিমালয়সম সাহসে বুক বেধেছিল,
আকাশসম স্বপ্ন মনে ধরেছিল,
হাসিমুখে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল।
একটি গোলাপকে বাঁচানোর জন্য-
কতজন প্রাণের মায়া ত্যাগ করেছিল,
প্রেয়সীর হাতছানির আবেদন ভুলেছিল,
বুকের তাজা রক্তে জমিন রঞ্জিত করেছিল।
একটি গোলাপকে বাঁচানোর জন্য-
জায়নামাজে বসে কেঁদেছিল ভাই হারানো বোন।
বাবার জন্য অপেক্ষার পর অপেক্ষা করেছিল সন্তান।
বন্ধুর কফিন ছুঁয়ে শপথ করেছিল বন্ধু।
আজ সেই গোলাপটিকে অপবিত্র করছে-
দুর্নীতিবাজদের মাখানো দুর্গন্ধ কাদা।
ফুলের পাপড়ি খুলে বিদেশে পাঠিয়েছে-
মানুষের রক্তচোষা সুদখোর-ঘুষখোর-পাচারকারীরা।
কালো টাকা দেশপ্রেমিক যোদ্ধাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।
ঋণ খেলাপি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সাথে বেঈমানী।
রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয়ে শহীদের রক্তের অবমাননা।
গোলাপটির এসব দেখে-শোনে আর্তনাদ করে প্রকৃত মালিরা!
রক্তজলে সিঞ্চিত হয়েও যেই পুষ্পটির সুরভি কমেনি;
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত-
সেই ফুলটিকে করেছে ছিন্নভিন্ন ক্ষতবিক্ষত জরাজীর্ণ!
বড্ড মলিন পুষ্পটি সৌরভ হারিয়ে যেন স্বপ্নভঙ্গের পথে!