লেখক, গবেষক, অধ্যাপক হাসানুর রশীদ। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চল্লিশটি বই লিখেছেন আপন মনে অবলীলায়। তিনি শিল্প-সাহিত্য-দর্শন-ইতিহাস-অর্থনীতি-ধর্মীয়সহ বিবিধ-বিষয়ক সৃজনশীল গ্রন্থের বিপনিকেন্দ্র পাঠকবাড়ি গড়ে তোলেছেন। এটি একটি প্রকাশনী প্রতিষ্ঠানও! প্রতি শুক্রবারের সাহিত্য আড্ডা সাহিত্যবাক।
পাঠকবাড়ি প্রকাশনের বই বিক্রয় কেন্দ্রটি খুব চমৎকার। দেশের সেরা প্রকাশনাগুলোর বইও রয়েছে। ইট, কাঠ, পাথরের শহরে সাহিত্য নিয়ে যারা ভাবেন বা শত ব্যস্ততার মধ্যেও যাদের মনের আনাচে কানাচে সাহিত্য নিয়ে একটু গল্প বা আড্ডার খায়েশ জাগে তারা অনেকেই চলে আসেন পাঠক বাড়িতে।
গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো কবি, সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও গবেষক হাসানুর রশীদের নিত্য দিনের কর্ম । শিক্ষকতা জীবনে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকৃত পাঠদান ছিলো যার কর্তব্য। হাসানুর রশীদ বলেন, এ দেশের রাজনৈতিক বিভাজন ভিলেজ পলেটিক্সের রূপান্তর মাত্র। ’৭৫ পরবর্তীতে এই রাজনীতিতে বিভাজন শুরু হয়। ক্ষমতা হচ্ছে দখলের ব্যাপার। যে জাতি যেমন, সে জাতির নেতা ও রাজনীতি তেমন।
তিনি মনে করেন, বইপড়া মানুষের চিন্তাশীলতার বিস্তার ঘটায়। আর লেখালেখির ক্ষেত্রে পূর্ণ মনোযোগ দরকার। খন্ডকালীন লেখকদের মহৎ কাজ করা কঠিন।
সুনিপুণ ও দক্ষতার সাথে ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা আন্দোলন, জননেত্রী শেখ হাসিনার ছন্দময় রাজনৈতিক জীবনসহ ব্যক্তিজীবন , দেশ ও মানুষের জীবন নিয়ে অনেক বই লিখেছেন হাসানুর রশীদ। তার অসংখ্য প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়। কবিতা, গল্প ও উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। তিনি ছিলেন ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং রাজপথের তুখোড় ছাত্রনেতা । পরবতীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি যখন মাস্টার্স করছিলেন তখন সেখানেও সততা ও কর্মনিষ্ঠ এবং কর্মীবান্ধব বড় ছাত্রনেতা হয়ে ওঠেন।
হাসানুর রশীদের লেখা বইগুলোর মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চিন্তাধারা, জননেত্রী শেখ হাসিনা, সাতচল্লিশ থেকে স্বাধীনতা-বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ (১ম ও ২য় খণ্ড একত্রে), জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবন ও রাজনীতি, বঙ্গবন্ধু তথ্যকোষ, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন, নওমিকে কেউ মনে রাখেনি, স্বাধিকার খণ্ড- ২ (সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও বাংলার ইতিহাস), স্বাধিকার খণ্ড- ১ (সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও বাংলার ইতিহাস), ঘানিঘরের শব্দ, নীলুর ভালোবাসা, একজীবন, জমিদারবাড়ির মেয়ে, গ্রহণধরা মুখ, নীল পাঞ্জাবির নীলু , কেবল তোমাকে চাই, নৃশংসতার তৃতীয় পুরাণ, রং করা মুখ, বৃষ্টিধরা দিন, ফিরে এলো নীলু, নীলুর ট্রেনিং সেন্টার ও র্যাবের অভিযান।
স্মৃতি এবং একটি লজ্জার সূত্রপাত, রোদেলার বিয়ে, প্রেম ও চক্রান্ত, পেন্ডুলামের খাতা, পরীর দেশের মেয়ে, ছোটোপশুর বন, নিয়ে যাবে কে আমাকে, নীলু ও তার কিশোর গ্যাং, নীলা, উড়ে যায় মেঘ, অন্যগ্রহের বাসিন্দা, বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রনির্মাণ, আমাদের বঙ্গবন্ধু, স্বজনদের চোখে আগস্টের কান্না, বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ও পঁচাত্তরের নেপথ্য অপশক্তি, অশরীরী মেয়ে, করোনাকালের প্রেম, বাকশাল উত্তরণের পথ, ১৫ আগস্টে হারোনো মুখগুলো, সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধুর সরকার গঠন, বাকশাল ও বঙ্গবন্ধুর সমাজতান্ত্রিক দর্শন ও বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক জীবনের ক্যামেরাবন্দি কিছু মুহূর্ত ইত্যাদি।