সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে এক গ্লাস পানি পান করা শরীরের জন্য খুবই ভালো। এ অভ্যাসটি যদি আপনি রপ্ত করতে পারেন, তবে অনেক ধরনের অসুখ-বিসুখ থেকে আপনার শরীর মুক্ত থাকবে; আপনিও থাকবেন সুস্থ ও সবল।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফুটানো পানি পান করা উচিত। হালকা নোনতা পানি ভালো, কিন্তু সাধারণত প্রতিদিনই আমরা খাবার থেকে সোডিয়াম পেয়ে থাকি। তাই শরীরে এর অভাব না-হলে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করার দরকার নেই। মধুমিশ্রিত পানি অনেকের পছন্দ। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে মধুমিশ্রিত পানি মানে আবার অতিরিক্ত ক্যালরি। তাই সবচেয়ে ভালো সাধারণ পানি ফুটিয়ে পান করা। আর সে পানি ঠাণ্ডাও না, গরমও না- এমন হলে ভালো। সাধারণত রাতে ঘুমের মধ্যে পানি পান করা হয় না। তখন শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। সকালের এক গ্লাস পানি সে অভাব পূরণ করবে। তা ছাড়া, সকালে খালি পেটে পানি খেলে আপনার প্রস্রাবও ক্লিয়ার হবে।
সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানি অন্তত চারটি উপকার করে। তাই আমাদের সকালে পানি খাওয়া উচিত এবং এটাকে অভ্যাসে পরিণত করা উচিত। সকালে খালি পেটে পানি পান করলে শরীরের পানির অভাব পূরণ হবে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, এতে পাকস্থলির কার্যক্ষমতা বাড়ে, রাতের বেলা বিপাকপ্রক্রিয়া চলতে থাকে এবং সকাল নাগাদ এ কাজ শেষ হয়ে যায়। তখন খালি পেটে এক গ্লাস পানি পাকস্থলিকে সক্রিয় করে তুলতে ভূমিকা রাখে। আবার এতে পাকস্থলির ওপর না-হক চাপও পড়ে না, এতে মস্তিষ্ক তুলনামূলকভাবে অধিক সচল হয়। কীভাবে? আমরা জানি রক্তের একটা বড় অংশই পানি। আর পানি পান করলে তা আমাদের রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে। আর রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকলে, মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে এবং এর ফলে মস্তিষ্ক অধিক সচল হয়।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও পরিমিত পানি পান করা উচিত। শুধু সকালে নয়, সারাদিনই প্রয়োজন অনুসারে পানি পান করতে হবে, একটু একটু করে। রাতে শোয়ার আগে ৫০ থেকে ২০০ মিলিলিটার পর্যন্ত পানি পান করতে বলেন তাঁরা। শোয়ার আগে এর চেয়ে বেশি পানি না-পান করাই ভালো। কারণ, তাতে ঘুমের গুণগত মান কমে যায়। সুস্থতার জন্য প্রতিদিন পানি পান করা উচিত অন্তত ২০০০ মিলিলিটার। যাদের কিডনিতে পাথর হয়েছে, বা যারা উচ্চ কলেস্টেরলের রোগী, তাদের সব ঋতুতেই প্রতিদিন অন্তত ২০০০ মিলিলিটার করে পানি পান করা উচিত। এক্ষেত্রে পানিটুকু খেতে হবে সারা দিন ধরে, একটু একটু করে।
সংগৃহীত