শরীরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখন যেসব খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় তার মধ্যে শর্করা খুব কমই অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হলে খানিকটা শর্করা গ্রহণ করতেই হবে কারণ শর্করা খাদ্যের মৌলিক অংশগুলোর অন্যতম।
শর্করা জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে শক্তি সঞ্চয় করে। যার মধ্যে রয়েছে স্টার্চ বা শ্বেতসার, চিনি এবং আঁশ।
শর্করা নানান ধরণের থাকে। এর মধ্যে কিছু শর্করা আমাদের শরীরের জন্য খারাপ। কিছু থাকে ভালো। আবার কিছু শর্করাকে শরীর প্রকৃয়াকরণ করতে পারেনা।
বিবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিজ্ঞানীদের গবেষণা মতে রান্না করা এবং ঠাণ্ডা করার ফলে খারাপ শর্করা অনেক সময় ভালো শর্করায় পরিণত হয়ে যায়।
পাস্তা, ভাত আর পটেটো পুনরায় গরম করে খাওয়া ভালো। বিশেষ করে মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করলে সেটি প্রতিরোধী শ্বেতসার বাড়িয়ে দেয়। তবে সেগুলো অনেক গরম করতে হবে।
শরীরের জন্য পাউরুটিও বেশ ভালো শর্করা। তবে সাদা রঙের পাউরুটির বদলে কালচে ধরণের রুটি খেতে শুরু করলে তা আরও ভালো। এছাড়া পূর্ণ গমের তৈরি পাউরুটি বা রুটিতে প্রতিরোধী শ্বেতসার থাকে, যার ফলে আপনার শরীরের অনেক অন্ত্রের ভেতর দিয়ে সেটি যাতায়াত করে।
এছাড়া সাদা ও বাদামী খাবার বাদ দিয়ে যত বেশি সম্ভব সবুজ খাবার খেতে পারেন। সবুজ খাবারে থাকে উপকারী শর্করা।
তবে অনেক চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানী খারাপ টাইপ টু ডায়াবেটিস এর জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করাযুক্ত খাবারকে দায়ী করে। এছাড়াও খারাপ শর্করা সন্তানের জন্মদানকেও বাঁধাগ্রস্ত করে বলে জানা গেছে।