ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য খুবই দরকারি। ভিটামিন ডি-এর সবথেকে বড় উৎস হল সূর্যের রশ্মি। এছাড়াও, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ করতে, মস্তিষ্কের উন্নয়ন এবং তার কার্যকারিতা আরো উন্নত করতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। পাশাপাশি শিশুদের রিকেট, প্রাপ্তবয়ষ্কদের অস্টিওমেলাসিয়া, ঠাণ্ডা লাগা, ক্লান্তি-অবসাদ দূর করতে, দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রত্যেক মানুষের প্রতিদিন অন্তত ১০ মাইক্রোগ্রাম করে ভিটামিন ডি প্রয়োজন। আর ক’দিন পরই শীতকাল পড়ে যাবে। তার আগে জেনে নিন, শীতকালে কোন কোন খাবার থেকে ভিটামিন ডি পাবেন। ১) তৈলাক্ত মাছ। যেমন, স্যামন, সার্ডিন। ২) কমলালেবুর রস ৩) রেড মিট ৪) ডিমের কুসুম ৫) চিজ ৬) তোফু
যে শিশুরা বেড়ে ওঠার মুহূর্তে এবং শৈশবে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ডি গ্রহণ করে, পরবর্তিতে তাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক কম থাকে। বিশেষ করে টাইপ ১ ডায়াবেটিস এবং রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতাসংশ্লিষ্ট শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে আসে।
বিশ্বজুড়ে বছরে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ৩-৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন হরমোন উৎপাদনকারী কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলেই এই রোগ দেখা দেয়। এক গবেষণায় বলা হয়, অ্যান্টিবডিগুলো যখন অগ্ন্যাশয়ের ইসলেট কোষগুলোকে ধ্বংস করে তখন দেহে আর ইনসুলিন হরমোন উৎপন্ন হয় না। এ সমস্যাকে বলা হয় ইসলেট অটোইমিউনিটি। করোলাডো ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ এবং প্রধান গবেষক জিল নোরিস জানান, বিজ্ঞানীদের মধ্যে এ ধারণা বহু দিনের যে ভিটামিন ডি ইনলেট অটোইমিউনিটি এবং টাইপ ১ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে।
ডায়াবেটিস জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় ৮৬৭৬ শিশুকে পরীক্ষা করা হয়। ওরা টাইপ ১ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে ছিল। ইসলেট অটোইমিউটিনি রয়েছে এমন ৩৭৬ জন শিশুর তুলনা করা হয় সুস্থ ১০৪১ জন শিশুর সঙ্গে। আরো দেখা গেছে, যে শিশুরা জেনেটিকভাবে টাইপ ১ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে রয়েছে এবং শিশুকালে কম ভিটামিন ডি পেয়েছে তাদের প্রত্যেকের ইনলেট অটোইমিউটিনি দেখা দিয়েছে। কিন্তু শিশুকে সময়মতো পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি দেওয়া হলে তাদের টাইপ ১ ডায়াবেটিস ঝুঁকি লক্ষণীয় মাত্রায় কমে আসে।