শিশুদের অধিক পরিমাণে বিস্কিট ও মিষ্টি খাওয়ালে তা থেকে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ হতে হবে। স্কটল্যান্ডে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকরা তেমনটাই জানিয়েছেন। ১৮টি দেশে ৫৬টি সমীক্ষায় এই তথ্য পেয়েছেন গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা বলেন, বেশি বিস্কিট –লজেন্স খেলে ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়তে পারে। অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া ভালো স্বাস্থ্যের প্রমাণ মোটেই নয়। বিস্কুট বা মিষ্টি তৈরিতে এমন কিছু থাকে, যা পরিমাণের বাইরে খেলে শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়। ক্যান্সারও হতে পারে। নাতি–নাতনিরা কান্নাকাটি, বায়না, জেদ করলেই হাতের কাছে যা খাবার পাচ্ছেন ধরিয়ে দিচ্ছেন। তা সব সময় ঠিক নয়। রোজ চায়ের সঙ্গে টা মানে যদি বিস্কুট হয়, তাহলে এটি হঠাৎ শরীরের ব্লাড সুগার লেভেল বাড়িয়ে দেয়। আবার নিয়মিত বিস্কুট খাওয়ার কারণে শিশুদের অ্যালার্জি হতে পারে। এছাড়া চিনির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে দাঁতের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
দামি কোম্পানির বিস্কিটও শরীরের কোনো ভালো করে না। উল্টো মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। শুধু তাই নয়, ধীরে ধীরে দেহের ভেতরে নানাবিধ ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা বাড়িয়ে নানা সব জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পথকেও অনেকাংশে প্রশস্ত করে। যেভাবে বিস্কিট আমাদের শরীরে ক্ষতি করে থাকে সাধারণত যে যে উপাদানগুলি দিয়ে বিস্কুট বানানো হয়, সেগুলি একেবারেই শরীর বান্ধব নয়। যেমন-
ক্যালরির মাত্রা বৃদ্ধি পায়: অনেকেই মনে করেন বিস্কুট খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না। এই ধরণা কিন্তু একেবারে ঠিক নয়। কারণ বিস্কুটে কম করে হলেও ৫৬ ক্যালরি থাকে। এই পরিমাণ ক্যালরি ঝরাতে প্রায় ৩০ মিনিট অ্যারবিক্স করার প্রয়োজন পরে, যা কেউই করেন না। ফলে মেদ বৃদ্ধি হতে শুরু করে। তাই এবার থেকে ক্ষিদের চোটে মুঠো মুঠো বিস্কুট খাওয়ার আগে একবার অন্তত ভাববেন, ক্ষিদের কমাতে গিয়ে ওজন বাড়াচ্ছেন না তো!
বিস্কিট খেলে ফাইবারের ঘাটতি মেটে না: যে সব বিস্কুটকে ফাইবার সমৃদ্ধ বলে বাজারে বিক্রি করা হয়, তার বেশিরভাগেই যে পরিমাণ ফাইবার থাকে, তা আমাদের দিনের চাহিদার সিকিভাগও পূরণ করে না। তাই এমন বিস্কুট খেলে দেহে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, এমনটা ভেবে নেওয়ার ভুল কাজটা করবেন না।
ক্রিম বিস্কিট: বাচ্চারা এই ধরনের বিস্কুট খেতে সাধারণত খুব ভালবাসে। তাই ক্রিম বিস্কুট আদৌ শরীরের পক্ষে উপকারি কিনা, সে বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়াটা জরুরি। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এমন ধরনের বিস্কিটে প্রচুর মাত্রায় চিনি থাকে। সেই সঙ্গে কৃত্রিম রং-ব্যবহারও করা হয়, যা অনেক ক্ষেত্রেই শরীরে পক্ষে ভালো হয় না। তাই সাবধান থাকাটা জরুরি।