দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ল্যাক্টোব্যাসিলাস থাকার কারণে মন খারাপের প্রকোপ কমাতে দইয়ের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। দইয়ের আরো কিছু উপকারিতা রয়েছে। এক কাপ দই খেলে শরীরে প্রায় ৩০০ গ্রাম ক্যালসিয়ামের প্রবেশ ঘটে। এই পরিমাণ ক্যালসিয়াম যদি প্রতিদিন শরীর পেতে থাকে, তাহলে হাড় এত শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে যে কোনো ধরনের হাড়ের রোগ ধারে কাছে ঘেঁষারও সুযোগ পায় না।
ওজন কমাতে নিয়মিত দই খাওয়ায় দারুন উপকার। কারণ এই দুগ্ধজাত খাবারটিতে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিক উপাদান শরীরে জমে থাকা ফ্যাট সেলেদের গলাতে শুরু করে। ফলে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না। দইয়ে উপস্থিত পটাশিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর সোডিয়ামের আধিক্য কমাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। প্রসঙ্গত, শরীরে নুনের পরিমাণ বাড়তে থাকলে ওয়াটার রিটেনশন বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে।
প্রতিদিন ডায়েটে দই থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। দইয়ে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনো কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে রোগমুক্ত জীবন পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত থাকে উপকারি ব্যাকটেরিয়া, যা পাকস্থলির কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতে এবং নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনি যদি খাদ্যরসিক হয়ে থাকেন, তাহলে রোজ একবাটি করে দই খেতে ভুলবেন না যেন!