বাঙালির রান্নায় ধনেপাতার জুড়ি নেই। সবজি, মাছ থেকে শুরু করে ধনেপাতায় রান্না করা তরকারির তালিকা অনেক লম্বা। রান্নার স্বাদ বাড়াতে ধনেপাতা যেন জাদুর মতো কাজ করে। তবে এ পাতা শুধু তরকারির স্বাদই বাড়ায় না, এর অনেক ঔষধি গুণও রয়েছে।
ধনেপাতায় অনেক উপাদান রয়েছে, যা মানব শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারী। চিকিৎসকরা জানান, প্রতিদিন ধনেপাতা খেলে অনেক রোগ দ্রুতই দূর হবে।
কিডনি : মানবদেহের অন্যতম উপাদান হলো কিডনি। অনেক মানুষই নানা রকমের কিডনি রোগে ভোগেন। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ধনেপাতার শরবত খেতে পারেন। এতে করে কিডনির মধ্যে জমে থাকা ক্ষতিকর লবণ এবং বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে যায়।
কোলেস্টেরল, যকৃত ও হজমশক্তি বৃদ্ধি : ধনেপাতা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এ ছাড়া হজমে উপকারী এবং পেট পরিষ্কার হয় ধনেপাতা খেলে। এমনকি যকৃতকে সঠিকভাবে কাজ করতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে ধনেপাতা।
ডায়াবেটিস ও আলসার : ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ধনেপাতা বিশেষ উপকারী। এটি শরীরের ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তের সুগারের মাত্রা কমায়। ধনেপাতায় থাকা অ্যান্টিসেপটিক মুখে আলসার নিরাময়েও উপকারী। এ ছাড়া চোখের জন্যও ভালো কাজ করে এই পাতা।
রক্তশূন্যতা ও ক্যান্সার : ঋতুস্রাবের সময় রক্তসঞ্চালন ভালো রাখতে ধনেপাতা বিশেষ উপকারী। এতে থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করতেও কাজ করে। এ পাতায় থাকা ফ্যাট স্যলুবল ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ‘এ’ ফুসফুস এবং পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।
অন্যান্য গুণ : ধনেপাতায় অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা বাতের ব্যথাসহ হাড় এবং জয়েন্টের ব্যথা উপশমে কাজ করে। স্মৃতিশক্তি প্রখর ও মস্তিষ্কের নার্ভ সচল রাখতে সাহায্য করে। ধনেপাতায় থাকা সিনিওল অ্যাসেনশিয়াল অয়েল এবং লিনোলিক অ্যাসিডে অ্যান্টিরিউম্যাটিক এবং অ্যান্টি-আর্থ্রাইটিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান, যা ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে।