শরীরের ওজন বেশি বেড়ে গেলে শারীরিক সৌন্দর্য যেমন নষ্ট করে তেমনি বিভিন্ন ধরণের রোগও বেড়ে যায়। তাই ওজন স্বাভাবিক রাখাই জরুরি। ওজন কমাতে অনেকে বিভিন্ন ধরনের ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করেন। আপনি কী জানেন এমন কিছু হলুদ ফল আছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে? আসুন জেনে নিই সেই ৫টি হলুদ ফলের কথা-
হলুদ ক্যাপসিকাম: বাজারে বিভিন্ন ধরনের মরিচ পাওয়া যায়। হলুদ ক্যাপসিকাম স্বাদে কিছুটা মিষ্টি হলেও ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে এতে। এদের মধ্যে ক্যাপসাইসিন ও থাকে যা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিপাকের গতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই সালাদ ও স্যান্ডউইচ বানাতে হলুদ ক্যাপসিকাম ব্যবহার করুন। যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
হলুদ: হলুদে ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে দ্রুত গতির করাসহ নানাবিধ স্বাস্থ্য উপকারীতা রয়েছে। হলুদ চর্বি ভাঙ্গতে সাহায্য করে এবং শরীরে চর্বি জমতেও বাঁধা দেয় কারণ এতে কারকিউমিন থাকে। তরকারিতে হলুদ ব্যবহার করুন ভালো ফল পেতে।
লেবু: লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে পেকটিন নামক ফাইবার থাকে যা দীর্ঘ সময় যাবৎ পেট ভরা থাকতে সাহায্য করে এবং শরীরের চর্বি ভাঙ্গতেও সাহায্য করে। এর উপকারিতা পাওয়ার জন্য ১ গ্লাস উষ্ণ পানিতে ১ টি লেবুর রস চিপে নিন। আরও বেশি উপকারিতা পাওয়ার জন্য এর সাথে মধু মিশাতে পারেন। দিনের প্রথমভাগে এই মিশ্রণটি পান করুন।
কলা: বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন যে কলাতে উচ্চমাত্রার ক্যালোরি থাকে। মজার ব্যাপার হলো ব্যায়ামের পর কলা খেলে দ্রুত শক্তি পাওয়া যায়। যদি আপনি আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে চান তাহলে ১ টি কলার অর্ধেক অংশ ভালো করে পিষে নিন এবং এর সাথে শুষ্ক জিরা যোগ করুন। প্রতিদিন সকালে এই মিশ্রণটি ২ চামচ গ্রহণ করুন। এরপর দেখুন ফলাফল।
মধু: এই সোনালি তরলটি চিনির একটি চমৎকার বিকল্প। আপনার চায়ে মধু মেশান, এতে চিনির চেয়ে কম ক্যালোরি থাকে। এছাড়াও মধু চর্বি কমাতে এবং পরিপাক প্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ১ চামচ আদার রসের সাথে মধু মেশান। ওজন কমানোর জন্য দিনে ১ বার এটি পান করুন।
সূত্র: দ্য হেলথ সাইট