আনিসুর রহমান এরশাদ
পড়াশুনায় ফাঁকিবাজ যে ছেলেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি, তাকে সারাবিশ্বের সবাই এক নামে চেনে- মার্ক জাকারবার্গ! ফেসবুকের অবিশ্বাস্য উত্থানের নেপথ্য নায়ক সর্বকনিষ্ঠ সেন্টিবিলিয়নিয়ার মার্ক জাকারবার্গ। শুধুমাত্র মেধা, আত্মবিশ্বাস আর পরিশ্রম দিয়ে শূণ্য থেকে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার হয়েছেন। ফেসবুকের অবিশ্বাস্য উত্থানের পেছনের মানুষ তিনিই। দুনিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছেন এক ফেসবুক বানিয়ে।
মাত্র ২৩ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ার হন। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই বিশ্বখ্যাত সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব হয়েছেন। ২০১৬ সালেই ফোর্বসের প্রকাশিত পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তিদের তালিকায় স্থান করে নেন। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী এই ব্যক্তি অনেক উদ্যোক্তাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। এ জন্য তাকে এসব উদ্যোক্তার গুরুও বলা হয়। আজ জানাব ৩৬ বছর বয়সেই ১২০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক এক সেন্টিবিলিয়নার সম্পর্কে।
বিপুল অর্থবিত্তের মালিক
ইন্টারনেট উদ্যোক্তা মার্ক এলিয়ট জাকারবার্গ বিপুল অর্থবিত্তের মালিক। আমেরিকান কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার ডেভেলপার। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রেসিডেন্ট ও সহপ্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠিত ও মালিকানাধীন ফেসবুকের নিয়মিত ব্যবহারকারী ২৮০ কোটির উপরে, এবং এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মার্কেটিং প্লাটফর্ম। প্রতিদিন ফেসবুক ব্যবহার করে ১৮৪ কোটি ব্যবহারকারী। এছাড়া তিনি চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সহ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। সৌর পাল মহাকাশযান উন্নয়ন প্রকল্প ব্রেকথ্রু স্টারশট এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ডের অন্যতম সদস্য হিসাবেও কাজ করছেন তিনি। ২০১৩ সালে ফরচুন ম্যাগাজিনের সেরা ৫০০ তালিকায় ফেসবুক প্রথমবারে মত স্থান করে নেয়। ২৮ বছর বয়সী জুকারবাগ সর্ব কনিষ্ঠ সিইও হিসেবে তালিকায় স্থান পেয়ে ইতিহাস গড়েন।
জন্ম ও বংশ পরিচয়
জাকারবার্গের জন্ম ১৯৮৪ সালের ১৪ মে নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইনস এলাকায়। বাবা এডওয়ার্ড জাকারবার্গ ছিলেন দাঁতের ডাক্তার। আর মা কারেন জাকারবার্গ কাজ মানুষের মন নিয়ে- পেশায় ছিলেন একজন মনোবিজ্ঞানী। মা-বাবার চার সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলে জাকারবার্গ। বাকি তিন বোন- র্যান্ডি জাকারবার্গ, ডোনা জাকারবার্গ ও অ্যারিয়েলে জাকারবার্গ। হোয়াইট প্লেইনসে জন্মালেও বেড়ে ওঠা বাড়ির কাছাকাছি ডবস ফেরি নামের এক গ্রামে। বেড়ে উঠেছিলেন একজন ইহুদী হিসেবে। কিন্তু অনেকদিন নিজেকে নাস্তিক হিসেবেই পরিচয় দিতেন। তবে এখন বিশ্বাস করেন ধর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী।
ছেলেবেলা ও শৈশবের দুরন্তপনা
মার্ক ছেলেবেলা থেকেই শৈশবের দুরন্তপনার পাশাপাশি মেতে উঠেছিল কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করার নেশায়। যে বয়সে শিশু-কিশোরদের কম্পিউটার চালানো মানে গেমস খেলে সময় কাটানোর কথা, সে বয়সে ০ আর ১ নিয়ে মাতামাতি দেখা যায় তার মধ্যে। বয়স যখন তার ১২, তখনই একটা কম্পিউটার প্রোগ্রাম বানিয়ে ফেলেন তিনি। সেটা বল ড্রপ খাওয়ানো বা একটা বিন্দু বড় হতে হতে বল হয়ে যাওয়ার মতো প্রোগ্রাম না, রীতিমতো কাজের প্রোগ্রাম।
মার্কের তৈরি করা ‘জ্যাকনেট’ প্রোগ্রামটি তাঁর চেম্বারে ব্যবহার করতেন এডওয়ার্ড। চেম্বারে নতুন কোনো রোগী এলে অভ্যর্থনাকারী জাকনেট দিয়ে এডওয়ার্ডকে সেই তথ্য জানাতে পারতেন। এই প্রোগ্রামটি জাকারবার্গ লেখেন আটারি বেসিক নামের একটি প্রোগ্রামিং ভাষা দিয়ে। তথ্য জানিয়ে একধরনের যোগাযোগ ঘটানোর কাজই করত জ্যাকনেট। ভাই-বোন, মা-বাবা নিজেরা বাড়ির মধ্যে জ্যাকনেট দিয়ে একজন আরেকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।
এটার পরপরই জাকারবার্গ তার বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে বানিয়েছিলেন একটা কম্পিউটার গেমস। কয়েকজন বন্ধু ছবি আঁকতে পারত। তারা তার বাসায় আসত, ছবি এঁকে দিত একের পর এক। আর জাকারবার্গ সেসব ছবি ব্যবহার করে প্রোগ্রাম লিখে লিখে গেম বানিয়ে ফেলেছিলেন। ছেলের কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরির কাজটাকে উৎসাহ দিতেন এডওয়ার্ড। তাই ছেলের জন্য কম্পিউটারের গৃহশিক্ষক নিয়োগ করে দেন তিনি। সেই শিক্ষক ডেভিড নিউম্যান সপ্তাহে এক দিন যেতেন জাকারবার্গের বাড়ি আর তাকে নিয়ে কম্পিউটারের কাজ করতেন। নিউম্যান জাকারবার্গ সম্পর্কে পরে বলেছেন, ‘এমন বিস্ময়বালকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাওয়া কঠিন।’
মার্ক জাকারবার্গের শিক্ষাজীবন
আর্ডসেলি হাই স্কুলে জাকারবার্গ গ্রিক এবং ল্যাটিন ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে স্কুলজীবন কাটে নিউ হ্যাম্পশায়ারের খুব উন্নত প্রিপারেটরি স্কুল ফিলিপস এক্সেটার একাডেমিতে। এখানে এসেও চলতে থাকে প্রোগ্রামিং। তিনি বিজ্ঞান এবং ক্লাসিক্যাল শিক্ষায় পুরস্কৃত হন। তিনি বেশ দক্ষ হয়ে ওঠেন ফেন্সিংয়ে। এ বিশেষ ধরনের তলোয়ার খেলায় স্কুল দলের দলনেতা ছিলেন তিনি।
তিনি সাহিত্যেও বেশ প্রতিভার পরিচয় দিয়েছিলেন, ক্লাসিক সাহিত্যে তিনি একটি ডিপ্লোমাও অর্জন করেছিলেন। তিনি মহাকাব্যিক কবিতার লাইন থেকে আবৃত্তি করার জন্য পরিচিত ছিলেন। উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই জাকারবার্গ তৈরি করেন নিজের পছন্দমতো গান শোনার সফটওয়্যার ‘প্যান্ডোরা’র প্রাথমিক সংস্করণ। আর তখন এটা কিনে নিতে চাইছিল আমেরিকান অনলাইন লিমিটেড (এওএল) ও মাইক্রোসফট। কিন্তু জাকারবার্গ বিক্রি করেননি।
স্কুল শেষে ২০০২ সালে জাকারবার্গ ভর্তি হন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে হার্ভার্ড থেকে ডিগ্রি নেওয়া হয়নি তার। যে কাজের জন্য জাকারবার্গ আজকের জায়গায় পৌঁছেছেন, তার গোড়াপত্তন হার্ভার্ডেই। সহপাঠী দিব্য নরেন্দ্র এবং ক্যামেরন ও টাইলার উইঙ্কলিভস নামের যমজদের নিয়ে জাকারবার্গ তৈরি করেন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট, যার নাম ছিল হার্ভার্ড কানেকশন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতেন।
দ্বিতীয় বর্ষেই তিনি কোর্সম্যাচ নামে একটি প্রোগ্রাম তৈরী করেন যেটি একজন শিক্ষার্থীকে অন্য শিক্ষার্থীদের কোর্স নির্বাচনের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সুবিধাজনক ক্লাসটি বেছে নিতে সাহায্য করত। এছাড়াও তিনি ফেসম্যাশ নামে আরও একটি প্রোগ্রাম তৈরী করেছিলেন যেটি ক্যাম্পাসের যেকোনো দুইজন শিক্ষার্থীর ছবির মধ্যে তুলনা করত, এবং এদের মধ্যে কে বেশি আকর্ষণীয় তা নির্বাচনের জন্য অন্য ইউজাররা ভোট দিতে পারত। প্রোগ্রামটি তুমুল জনপ্রিয়তা পেলে ও ক্যাম্পাস কতৃপক্ষ এটিকে দৃষ্টিকটু বিবেচনা করে ক্যাম্পাসে এর ব্যবহার বন্ধ করে দেয়।
দ্য ফেসবুক ডট কম
এরপর সহপাঠী এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন, এন্ড্রু ম্যাককলাম, ডাস্টিন মস্কোভিটজ এবং ক্রিস হিউজের সাথে হার্ভাডের একটি ছাত্রাবাসের রুমে বসে ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠা করেন সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট দ্য ফেসবুক ডট কম। তাতে ধীরে ধীরে ছবি রাখা, মন্তব্য করার সুবিধা যোগ হতে থাকে। তবে ২০০৪ সাল পর্যন্ত হার্ভার্ডের ডরমিটরির বাইরে বেরোয়নি ফেসবুক। কিন্তু জাকারবার্গ পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে পুরোটা সময় ফেসবুকে দিতে শুরু করেন। প্রথমদিকে শুধু কলেজ ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে চালু করা হলেও এটি খুব দ্রুত বিস্তার লাভ করে।
ফেসবুকের অতীত থেকে বর্তমান
২০০৪ সালের জুন মাসে ফেসবুকের জন্য অফিস নেন ক্যালিফোর্নিয়ার প্যালো অ্যালটোতে। কয়েকজন সহপাঠী মিলে এটিকে ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৪ সালের শেষে ফেসবুকের ব্যবহারকারী দাঁড়ায় ১০ লাখে। ২০০৫ এর ডিসেম্বরের মধ্যে ৫৫ লাখে পৌঁছে। ২০০৬ সালে ক্রিস পুটনাম নামে এক ব্যক্তি ফেসবুক হ্যাক করেছিলেন। এর ফলে পরদিন সকালেই তিনি ফেসবুকের প্রধান কার্যালয়ে চাকরি পেয়েছিলেন!
২০১২ সালে ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটিতে পৌঁছে। বর্তমানে ফেসবুকের অধীনস্থ কোম্পানি হচ্ছে- ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ওকুলাস ভিআর। ফেসবুকের সদর দফতর আগে ছিল স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ পার্কে, বর্তমানে ম্যানলো পার্কে। ১১১টি ভাষায় ফেসবুক ব্যবহার করা যায়। ফেসবুকের স্রষ্টা জুকারবার্গের এই ক্যারিয়ার অতুলনীয় এবং অভূতপূর্ব।
দাতব্য কাজে অর্থ দান
২০১০ সালে জাকারবার্গ সই করেছেন ‘গিভিং প্লেজ’ উদ্যোগে। নিজের সম্পদের ৫০ শতাংশ এ উদ্যোগে দান করবেন সারা বিশ্বের শিশুদের কল্যাণে। জাকারবার্গ চান, শিশুদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখানো হোক স্কুলে স্কুলে। এরই মধ্যে কোড ডট অর্গ নামে ওয়েবসাইট চালু হয়েছে এই উদ্যোগ থেকে। শিশুদের প্রোগ্রামিং শেখানোর কাজটাও শুরু হয়ে গেছে। তিনি চান, আজকের শিশুরা ভবিষ্যতে প্রযুক্তি দুনিয়ায় নিজেদের জায়গা করে নিক।
২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি নিউ জার্সির ভঙ্গুর পাবলিক স্কুল ব্যবস্থাকে টেনে তোলার জন্য ১০ কোটি মার্কিন ডলার অনুদান প্রদান করেন। সেই বছরের ডিসেম্বরে ‘দানের শপথনামায়’ স্বাক্ষরের মাধ্যমে তিনি তার জীবনে অর্জিত আয়ের ৫০ শতাংশ দাতব্য কাজে ব্যয় করার প্রতিজ্ঞা করেন। প্রথম কন্যা সন্তান লাভের পর জুকারবার্গ দম্পতি তাদের ফেসবুক শেয়ারের ৯৯% দান করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। সান ফ্রান্সিসকো ভিত্তিক একটি স্বায়ত্বশাসিত বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র বায়োহাবের জন্য ৬০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল বরাদ্দ করেন।
ধূসর রঙের টি-শার্ট
ফেসবুকের চেহারা কদিন পর পর বদল করলেও, মার্ক জাকারবার্গ তাঁর টি-শার্ট বদল করার সময় পান না। ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতার কথা চিন্তা করলে ধূসর রঙের টি-শার্ট পরিহিত ঝকঝকে তরুণের কথাই চোখে ভাসে। এক ধূসর রঙের টি-শার্টটি গায়ে দিয়ে তিনি দিনের পর দিন পার করে দেন! বিস্ট নামে জাকারবার্গের একটি পোষা কুকুর আছে। নিজস্ব ফেইসবুক প্রোফাইলও আছে এই কুকুরের।
নিজবাড়ি ছাড়াও জুকারবার্গের আছে মোট ৪টি বাড়ি। সবগুলোই নিরাপত্তার স্বার্থে। এর মধ্যে ২ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারে কেনা ক্যালিফোর্নিয়া লেক তাহোর বাড়ি ও ১০ কোটি ডলারে হাওয়াইয়ের বাড়িটি সবার নজর কাড়ার মতো। মার্ক জাকারবার্গ ও ফেসবুক প্রতিষ্ঠার ঘটনার অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়েছে চলচ্চিত্র দ্য সোশাল নেটওয়ার্ক। চলচ্চিত্রটিতে জাকারবার্গের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জেসি আইসেনবার্গ।
বিয়ে ও সংসার
জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতে দেরি করেননি মার্ক। মাত্র ২০ বছর বয়সেই কাজটি সেরে ফেলেছেন। জাকারবার্গ ২০০৩ সাল থেকে চীনা-আমেরিকান মেডিক্যাল শিক্ষার্থী প্রিসিলা চ্যান এর সাথে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। প্রিসিলার সাথে তার হার্ভার্ডে পরিচয় হয়েছিল। কেউই প্রথম পরিচয়ের সময় প্রতিষ্ঠিত ছিলেন না।
চ্যানের জন্য তিনি ২০১০ সালে মান্দারিন ভাষা শেখেন। সেপ্টেম্বর ২০১০-এ তারা একসঙ্গে বসবাস শুরু করেছিলেন এবং ১৯ মে ২০১২-এ তারা বিয়ে করেন। ক্যালিফোর্নিয়ার পাওলো আলটোতে অবস্থিত জুকারবার্গের বাড়িতে অনুষ্ঠান হয়। দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। ম্যাক্সিমা চ্যান জুকারবার্গের জন্ম ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর এবং আগস্ট চ্যান জুকারবার্গের জন্ম ২০১৭ সালের ২৮ আগস্ট।
মার্ক জাকারবার্গের প্রতিজ্ঞা
২০১৮ সালে ফেসবুকের গুরুত্বপূর্ণ নানা সমস্যার সমাধান করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। যেমন হয়রানি, ঘৃণাত্মক বক্তব্য, কোনো রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ প্রতিহত করা। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সব অঙ্গরাজ্যে গিয়ে মানুষদের সঙ্গে দেখা করার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।
২০১৬ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ শিখে এই প্রযুক্তিনির্ভর সিস্টেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন। ২০১৫ সালে প্রতি মাসে অন্তত দুটি বই পড়ার সংকল্প করেছিলেন মার্ক। ২০১০ সালে চীনা ভাষা মান্দারিন শিখবেন বলে জানিয়েছিলেন। তিনি দৌড়াতে পছন্দ করেন, বনে শিকার করেন ও রান্না করতে পছন্দ করেন এবং মানুষের সামনে বক্তৃতা দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।