মিজান রহমান
সন্তান প্রতিপালনে আমাদের সমাজে অনেক শিক্ষিত বাবা-মাও এতোটাই পিছিয়ে আছেন যে বিষয়টি অনেক বেদনাদায়ক মনে হয় আমার কাছে! অথচ, পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব হলো এক বিরাট আমানতদারি! আমাদের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত একজন বাবা কিংবা মা হিসেবে সেই আমানত রক্ষা করার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা চালানো! সঠিক জ্ঞান, তথ্য এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই কেবল আমরা সঠিক উপায়ে সেই চেষ্টা চালাতে পারি।
ইংরেজিতে দুটি কথা আছে, “Do as I say” এবং “Do as I do”। প্রথম বাক্যটির অর্থ হলো, “আমি যা বলি তাই করো”। দ্বিতীয় বাক্যটির অর্থ হলো, “আমি যা করি তা-ই করো”। অনেক বাবা-মা প্রথম বাক্যটির প্রতিমূর্তি হওয়ার কারণে সফল বাবা মা হতে ব্যর্থ হন। কারণ শিশুরা কমান্ড শুনতে পছন্দ করে না বরং তারা সম্পূর্ণরূপে অনুকরণপ্রিয়, ফলে, তারা দেখে শিখে। -“বড় হওয়ার মন্ত্র” নামক একটি অপ্রকাশিত মনোবৈজ্ঞানিক বই থেকে।
প্যারেন্টিং শেখার বিষয়
,প্যারেন্টিং খুব জরুরী একটি শেখার বিষয়। সন্তান লালন পালনে আমি অনেক শিক্ষিত বাবা-মার অজ্ঞতা দেখে ভীষণ অবাক হই। স্ত্রীকে ভালোবাসা তো দূরের কথা সন্তান লালন পালনে পুরুষরা সমস্ত দায় কীভাবে স্ত্রীদের উপর চাপানো যায় এই ধান্ধায় থাকেন। পান থেকে চুন খসলেই রাগে অগ্নিশর্মা। অথচ সন্তান লালন পালনে যে স্বামী স্ত্রী উভয়ের দায় সমান এই উপলব্ধি এমনকি শিক্ষিত লোকের মাথাতেও আসে না দেখে আমি ব্যথিত হই। অনেক শিক্ষিত বাবা আবার মনে করেন, আমার কাম টাকা ইনকাম, টাকা দেওয়া, এতেই দায়মুক্তি! এগুলো আমি আমার কাছের লোকজনদের দেখে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বললাম।
অনেকেই বাচ্চা-কাচ্চা মানুষ করা নিয়ে টেনশনে থাকেন। এই টেনশন যৌক্তিক। সন্তান-সন্ততি নিয়ে আমার নিজস্ব অনুভূতি হলো: আমাদের ছেলে মেয়ে আমাদের সম্পদ নয়, তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের কাছে আমানত। বাবা-মা হিসেবে আমরা যদি এই আমানত রক্ষায় ব্যর্থ হই, এই জন্য আল্লাহ তায়ালা হয়তো আমাদেরকে আটকাবেন না, কিন্তু আমানত রক্ষায় আন্তরিক প্রচেষ্টা নিয়োগ না করলে বিচারের দিনে কিন্তু ফেঁসে যেতে পারি! দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল বলেছিলেন: সবচেয়ে ভালো উপায় হলো আন্তরিক চেষ্টা করা, তারপর বাকিটা ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া।
টোটাল প্যারেন্টিং
অনেক বাবাকে দেখেছি, সন্তানকে অনেক ভালোবাসেন, স্নেহ করেন, জড়ায় ধরেন, চুমু দেন। এক কথায় সন্তানের প্রতি ভালোবাসার কমতি নাই। কিন্তু সন্তানের মাকে কথায় কথায় ধমকান! ধমক দেওয়ার সময় সন্তানের মায়ের প্রতি মানে স্ত্রীর প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধার ভাব থাকে না। এটার সাইকোলজিকাল ব্যাড ইমপ্যাক্ট অত্যন্ত গভীর হয়, জানাচ্ছেন “বড় হওয়ার মন্ত্র” গ্রন্থের লেখক।
প্যারেন্টিং একটি সামগ্রিক বিষয়। কেবল একটা পার্টে মনযোগ দিয়ে অন্য পার্টে গলদ থাকলে সন্তান প্রতিপালনে পরিপূর্ণভাবে সফল হওয়া যায় না। একটা বিরাট গলদ থেকে যায় শিশুর শৈশবেই! এটাকে শিশুর শৈশব চুরি হওয়ার সঙ্গে তুলনা করা যায়!
শিশু আর বড় হয় না। নেতিবাচক ইমোশনাল লাইফ নিয়ে শিশু বড় হওয়ার পরেও থেকে যায় শিশু!
রিলিজিয়াস প্যারেন্টিং
প্রখ্যাত নারী সাহাবী রুবায়ী বিনতে মুয়াবিদ রা. থেকে খালিদ ইবনে জাকওয়ান বর্ণনা করেন। “একবার এক আশুরার সকালে রাসূল সা. আনসারগণের বাড়িতে ঘোষণা দিয়ে পাঠালেন যে, যারা আজ রোজা শুরু করেনি তারা সেভাবেই দিন শেষ করুক, কিন্তু যারা রোজা শুরু করেছে তারা যেনো তাদের রোজা পূর্ণ করে! রুবায়ী বিনতে মুয়াবিদ রা. বলেন, এরপর থেকে আমরা ওইদিন রোজা রাখতাম আর আমাদের শিশুদেরও রোজা রাখাতাম। শিশুরা যখন ক্ষুধায় খাবারের জন্য কান্না করতো আমরা তাদেরকে উলের খেলনা দিয়ে ব্যস্ত রাখতাম যেনো তারা ইফতার পর্যন্ত খেলায় ব্যস্ত থেকে ক্ষুধার কথা ভুলে যায়! রাসূল সা. বলেন: ‘আল্লাহর পথে এক সা’ পরিমাণ দান করার চেয়ে একজন পিতার জন্য তার সন্তানকে উত্তম অভ্যাস শেখানো অনেক বেশি উত্তম!’
সাইকোলজিকাল প্যারেন্টিং
“ব্যক্তিগত বিকাশের একটি আইনসঙ্গত, সহজ ও সংক্ষিপ্ত উপায় হলো মনোচিকিৎসা গ্রহণ। নানা কারণে অধিকাংশ মানুষকেই যা এড়িয়ে যেতে দেখা যায়। অন্যদিকে কেউ কেউ হয়তো মনোচিকিৎসা গ্রহণে আগ্রহী হন বটে, কিন্তু একটা ভিন্ন পরিস্থিতিতে! মনোচিকিৎসা গ্রহণে আগ্রহীদের একটা বড় অংশ হলেন, এমন বাবা-মা যারা তাদের সন্তানদের বখে যাওয়া কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীনতা ঠেকাতে চান!
নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার পর তারা তাদের সন্তানদের মাদকাসক্তি, বদমেজাজ, পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল, ইত্যাদি নানা সমস্যা সমাধান করতে চান যে কোনো ‘শর্টকাট’ উপায়ে! ফলে, তারা মনোচিকিৎসকের সরনাপন্ন হন। এসব ক্ষেত্রে কিছু বাবা-মা মনোচিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞান রাখলেও অনেক বাবা-মা চান, চিকিৎসক প্রকৃত সমস্যা উদঘাটন না করেই যেনো জাদুকরের মতো তাদের সন্তানের সমস্যা দূর করে দেন! অনেকে অদ্ভূত রকম রক্ষণশীল আচরণও করেন।
সমস্যার গোড়ায় হাত দিয়ে যখন কোনো বাবা-মাকে দেখিয়ে দেয়া হয় যে, আপনার সন্তানের সমস্যা আসলে আপনাদেরই সামগ্রিক জীবনাচরণের মাঝেই লুকিয়ে আছে। নিজেদের জীবনাচরণ বদলান, আপনার সন্তানের জীবনাচরণ বদলে যাবে। তারা অবাক হয়ে বলেন, এটা কেমন হাস্যকর বিষয়? আমরা চাই আমাদের সন্তানের মনোচিকিৎসা! এখানে আমাদের বদলানোর কথা আসবে কেনো? তারপর তারা হয়তো সরনাপন্ন হন অন্য কোনো পছন্দের মনোচিকিৎসকের! সেই মনোচিকিৎসক হয়তো তাদেরকে কষ্টবিহীন কোনো সংক্ষিপ্ত পথের সন্ধান দেন! কিন্তু ‘শর্টকাট’ পথে দায় সারা যায়, সমস্যার সমাধান তো পাওয়া যায় না! তাদের সমস্যা সমস্যাই থেকে যায়। এক পর্যায়ে গিয়ে তারা নিজেদের এবং বন্ধুদেরকে মিথ্যা স্বান্তনা দিয়ে বলেন: ‘সন্তানের জন্য আমরা চেষ্টার কিছুই তো বাকি রাখিনি। সন্তানকে নিয়ে কমপক্ষে চারজন মনোচিকিৎসকের কাছে গিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই তো হয়নি।’
প্যারেন্টিং সাইন্স-আর্টস-স্পিরিচুয়াল বিষয়
“সাইন্স হলো কিছু সুসংঘবদ্ধ নিয়ম, কৌশল, কাঠামো এবং পূর্বানুমানের সমষ্টি, আর্টস হলো, প্রজ্ঞা, ভালোবাসা, বিবেক এবং সাধারণ জ্ঞানের সমষ্টি কিন্তু প্যারেন্টিং একই সঙ্গে সাইন্স, আর্টস, এবং স্পিরিচুয়াল বা আধ্যাত্মিক বিষয়।” উপরের চমৎকার উক্তিটি হিশাম আত তালিবের “প্যারেন্টস-চাইল্ড রিলেশন্স: এ গাইড টু রেইজিং চিলড্রেন” বইয়ের উক্তি। গুড প্যারেন্টিং বইয়ের লেখক নেসার আতিক উনার বইয়ের প্রথম অধ্যায় এই চমৎকার উক্তিটি দিয়ে শুরু করেছেন।
সাইন্টিফিক প্যারেন্টিং
বাচ্চার কোন বয়সে কোন খাবারটা কোন ধরণের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এটা জানাই হলো সাইন্টিফিক প্যারেন্টিং। যেমন ধরেন, বাচ্চার ছয়মাস বয়স পর্যন্ত বাচ্চাকে বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু খাওয়ানো নিষেধ। কেনো? এটার সুনির্দিষ্ট পুষ্টিগত এবং চিকিৎসা বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। সাধারণ মানুষ হিসেবে এ বিষয়টি না জেনেও আমরা মেনে চলি। চলতে হবে। সন্তানের কল্যাণের জন্যই আমরা সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের সরণাপন্ন হবো। এটাই সাইন্স।
আর্টস প্যারেন্টিং
এই বিষয়টিতেই মূলত অধিকাংশ বাবা-মা ব্যর্থ হন। সন্তানের দেহের বিকাশের জন্য বাবা-মা যতটা জোর দেন, সন্তানের মনের বিকাশের জন্য তত জোর দেন না। মনের বিকাশের জন্য যে জোর দেওয়া দরকার এটা অনেক বাবা-মার খেয়ালই থাকে না। সন্তান কোনো একটা খাবার খাচ্ছে না, সন্তান কথা শোনে না, সন্তানের আরও নানাবিধ সমস্যার সূত্র ধরতে পারার প্রজ্ঞা অনেক বাবা-মার থাকে না। অনেক বাবা-মা সন্তানকে ভালোবাসার মানে কী, এটাই বুঝেন না। অনেক বিবেকহীন বাবা ছড়িয়ে আছে আমাদের আশে পাশে! জানি, এক্ষেত্রে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, কঠিন কিছু বাস্তবতা আছে! এজন্য আমি মনে করি প্যারেন্টিং একটি অতীব জরুরী শেখার বিষয়। অনেকেই নিজেকে পণ্ডিত ভেবে এই বিষয়টিকে এড়িয়ে যাই। এ বিষয়ে অনেক কথা আছে। সামনে আসবে ইনশাআল্লাহ। এখন এই পোস্টের মূল আলোচ্য বিষয় স্পিরিচুয়াল প্যারেন্টিয়ে আসি।
স্পিরিচুয়াল প্যারেন্টি
স্পিরিচুয়াল প্যারেন্টিং কী? একটা চমৎকার উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বুঝিয়ে বলি। সন্ধ্যায় এক বন্ধুসম বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। উনি উনার বড় ছেলেকে হাফেজী পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। এছাড়া উনার আরও দুটি ছোট ছেলেকেও হাফেজ বানাবেন বলে নিয়ত করেছেন! কিন্তু বড় ছেলেকে যখন হাফেজীতে ভর্তি করালেন তখন কিছু আধুনিক শিক্ষিত আত্মীয়স্বজন রীতিমতো উনাকে ধরে বসলেন, তোমার ছেলের তো মেধা ভালো ছিল, কেনো ওকে হাফেজীতে দিলা, কেনো মাদ্রাসায় পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলা, ইত্যাদি। কিন্তু উনি আলহামদুলিল্লাহ উনার সিদ্ধান্তে অটল থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এটাকেই স্পিরিচুয়াল প্যারেন্টিং বলে। আর্টস প্যারেন্টিংকেও স্পিরিচুয়াল প্যারেন্টিং এর অন্তর্ভুক্ত ভাবা যায়।
শিশুরা দেখে দেখে শিখে
কার্ল জাঙ বলেছেন, শিশুরা আদেশ পালন করতে ভালোবাসে না! বরং তারা দেখে দেখে শিখতে ভালোবাসে! আপনি কী করতে বলছেন, শিশুরা এটাতে কম গুরুত্ব দেয়! বরং আপনি কী করছেন শিশুরা তা অনুকরণ করতে ভালোবাসে এবং দেখে দেখে শিখতে ভালোবাসে!
দুর্ব্যবহারে সন্তান হবে শত্রু
‘সন্তানের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করবেন না। দুর্ব্যবহার করলে সন্তান হবে আপনার শত্রু। সাবালক হওয়ার পর সন্তানকে মারধর গালিগালাজ করলে তারা নিজেদের গতি করার জন্য বাবা-মার কাছ থেকে দূরে চলে যেতে চাইবে!’ -মনের উপর লাগাম, ইবনুল জাওযী (মাসুদ শরীফ অনুদিত)
হৃদয়ে ভালোবাসা গেঁথে দেয়া
“আপনার সন্তান আসলে আপনার সন্তান নয়। তারা হলো জীবনের প্রবল আকাঙ্খার পুত্র এবং কন্যা! তারা আপনার মাধ্যমে এসেছে, আপনার কাছ থেকে নয়। এবং যদিও তারা আপনার সঙ্গেই আছে তবুও তারা আপনার সঙ্গে নেই! আপনি তাদের হৃদয়ে ভালোবাসা গেঁথে দিতে পারেন, কিন্তু আপনার চিন্তা গেঁথে দিতে পারবেন না! কারণ, তাদের রয়েছে নিজস্ব চিন্তাজগৎ। আপনি তাদের শরীর দখল করতে পারেন, কিন্তু তাদের মন দখল করতে পারবেন না! কারণ, তাদের চিন্তাজগৎ আছে আপনার চিন্তাজগৎ থেকে এগিয়ে।
আপনি ভাবছেন আজকের কথা, তাদের ভাবনা জুড়ে আছে অনাগত আগামীকাল। আপনি তাদের চিন্তাজগতে পৌঁছানোর ক্ষমতা রাখেন না, এমনকি স্বপ্নেও তাদের কল্পনার জগতে যাওয়ার সামর্থ আপনার নেই! আপনি তাদেরকে যথাসাধ্য পছন্দ করতে পারেন, কিন্তু আপনাকে পছন্দ করার জন্য তাদেরকে বাধ্য করতে পারেন না! জীবন পেছনে পেছায় না, জীবন গতকালের দিকে ভুলেও ফিরে তাকায় না!
আপনি হলেন ধনুক, আপনার সন্তান তীর! ধনুক থেকে তীর ছুড়া হলে তীরকে ফেরানো অসম্ভব! তীরন্দাজ খুব সুক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন অসীম দিগন্তরেখায়! তিনি তাঁর সর্বশক্তিমান সত্ত্বার গুণেই তীরকে বেঁধে রাখেন ধনুকের সঙ্গে! আপনার বাঁধন তুলে দিন তীরন্দাজের হাতে!
তারপর ভারমুক্ত হোন, তাঁরই দয়ায়! ছুড়ে দেওয়া তীরকে তিনি ভালোবাসেন! আবার ভালোবাসেন স্থির হয়ে পড়ে থাকা ধনুককেও ‘
* কহলিল জিবরানের কাব্যগ্রন্থ “দ্য প্রোফেট” থেকে অনুদিত!
সন্তানকে ভালোবাসতে চাইলে স্ত্রীকে ভালোবাসুন
ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে। ‘ইফ ইউ ওয়ান্ট টু লাভ ইউর চাইল্ড, লাভ ইউর ওয়াইফ।’ মানে, আপনি যদি আপনার সন্তানকে ভালোবাসতে চান, আপনার স্ত্রীকে ভালোবাসুন। চোখ বন্ধ করে আপনি ভাবুন, যখন বিয়ের জন্য কোনো মেয়েকে আপনি দেখছেন, সেই মেয়েটি হবে আপনার সন্তানের মা। এই একটা ছোট পরামর্শ আমার ওয়াইফ সিলেকশনে দারুণ হেল্প করেছিল। আপনার স্ত্রী কেবল আপনার স্ত্রী না তিনি আপনার সন্তানের মাও!
সূত্র: প্রোডাক্টিভ প্যারেন্টিং