ডা.আঁখি আক্তার আন্নী
দাঁতের ক্ষয়,বাচ্চাদের এক অতি সাধারণ সমস্যা। গবেষণায় দেখা গেছে যে,প্রায় ২৮% বাচ্চার, বিশেষ করে ২-৫ বছর বয়সের মধ্যে,হয় দাঁতের ক্ষয় বা একটা অন্তত গর্ত বা ক্যাভিটির সমস্যায় ভোগে। অনেকসময় ‘দুধ দাঁত পড়ে যাবে ’ এই ভেবে অনেক অভিভাবক বাচ্চার দাঁতের যত্নের প্রতি উদাসীন থাকেন। কিন্তু এটি মোটেই কাম্য নয়। কারণ,ভবিষ্যতে এটি মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। যেমন-
★শিশু দাঁতের অভাবে খাবার চিবাতে না পারায় হজমে সমস্যা হতে পারে যা তার খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি করে এবং শিশু পুষ্টিহীনতায় ভোগে।
★কিছু বর্ণ উচ্চারণের জন্য দাঁত ও জিহ্বার সংস্পর্শ লাগে যা দাঁত না থাকলে শিশু সঠিক উচ্চারণ শিখতে ব্যাহত হয় এবং পরবর্তীতে তা ঠিক করতে অভিভাবকদের বেশ বেগ পেতে হয়।
★নতুন দাঁত পরবর্তীতে আঁকাবাঁকা হতে পারে।
★দাঁত না থাকায় শিশু আত্মহীনমন্যতায় ভোগে যা শিশুর মানসিক বিকাশ কে ব্যাহত করে।
★ক্যাভিটি তৈরিতে সহায়ক ব্যাকটেরিয়া মাড়িসহ জিহ্বা বা ওরাল মিওকোসাতেও ইনফেকশন ছড়াতে পারে।
★দুধদাঁতে ক্যাভিটি থাকলে স্থায়ীদাঁতেও ক্যাভিটির সম্ভাবনা থাকে আরো দ্বিগুণ।
মুখগহ্বর এর যত্ন শিশুর দাঁত ওঠার পরে তো বটেই বরং জন্মের পর থেকেই নিতে হয়।পরিস্কার ভেজা কাপড় দিয়ে আলতোভাবে দাঁত ও মাড়ি পরিস্কার করে দেয়া অবশ্য কর্তব্য। মায়ের দুধ ও ফর্মলা দুটোতেই সুগারের কারণে দাঁতের ক্ষয় হওয়া শুরু করে যাকে আমরা “Nursing Bottle Caries” বলে থাকি। এছাড়া জিহ্বায় সাদা ছত্রাকের স্তর ও পরে যায়।
বাচ্চার দাঁত ও মুখের যত্নে মনোযোগী হউন,আর যাদের বাচ্চারা এসমস্যায় ভুগছেন ইতিমধ্যে তারা হেলথমেন এ যোগাযোগ করতে পারেন পরামর্শের জন্য। আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ, তাদের সুস্থ হাসি নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।
লেখক: ডেন্টাল সার্জন- ক্লিনিকা ডেন্টাল কেয়ার, অনলাইন কনসালটেশন- HealthMen