পড়া থেকে লেখা । পাঠক থেকেই লেখক। লেখালেখির ক্ষেত্রে স্বতস্ফূর্ততা লাগে, ভেতর থেকে আসতে হয়। কখনো লেখালেখিতে যদি বাধ্যবাধকতা চলে আসে, তখন লেখক তার ভালোলাগা-ভালোবাসার স্বাভাবিক গতিপথ হারায়।
লেখালেখির ক্ষেত্রে ধরাবাধা কোনো সূত্র নেই। একজন সফল লেখকের পন্থা-পদ্ধতিও আরেকজন লেখকের সাফল্যের ক্ষেত্রে সহায়ক নাও হতে পারে।
চলতে গেলে বাধা আসে, ছুটতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়। বাধাকে অতিক্রম করার মাধ্যমে ভয়কে জয় করার সাহস তৈরী হয়। চলার পথে অজানাকে জানা হয়। অজানাকে জানার মাধ্যমে ভুল ধারণা ভেঙ্গে যায়, জানার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।
যার পড়তে ভালো লাগে না, তার লিখতে আসা ঠিক না। আর পড়া মানে শুধু বই পড়া নয়; জীবনকে পড়া, জগতকে পড়া, সমাজকে পড়া, সৃষ্টিকে পড়া, স্রষ্টাকে পড়া ইত্যাদিও হতে পারে।
কখনো কখনো পড়ার জন্য চোখ লাগে, আবার কিছু কিছু পড়ার জন্য মন লাগে। অর্থাৎ অনুধাবন, অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি লেখালেখিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কল্পনা শক্তি দরকার, বিশ্লেষণী ক্ষমতা দরকার, ভাষাগত দক্ষতা দরকার।
সব পড়ে ফেলতে হবে বা সবসময় পড়তে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে বিশ্লেষণ করতে হলে, উপলব্ধি ক্ষমতা বাড়াতে হলে পড়তে হবেই। পড়া ও লেখা যাকে ক্লান্ত না করে আরো প্রাণবন্ত ও উদ্যমী করে তারা খুব সহজেই লেখালেখি চালিয়ে যেতে পারে।
চিন্তার দর্পণ থেকে : এক
লেখার সময়কাল: ২৮-০৯-২০২১