আলহামদুলিল্লাহ।
পরিবার বইটির প্রথম সংস্করণের সব বই ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে বইটি প্রকাশিত হয়েছিল।
অথচ বইটি প্রকাশের পথ তখন মসৃণ ছিল না মোটেই।
প্রথম বই! তারপরও করোনাকাল! সংকটে বিপর্যস্ত জনজীবন!
এমন সময়েও দ্বিতীয় সংস্করণে শীঘ্রই যেতে হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।
অনেকেই চাহিদাও জানিয়েছেন। অনেকে অর্ডার করলেও দেয়া যাচ্ছে না।
আমার ইচ্ছা- পরবর্তী সংস্করণে বইটির গুণগতমান উন্নত হবে! বই আরো সমৃদ্ধ হবে!
বইটি যারা সংগ্রহ করেছেন; তাদের মধ্যে ফেসবুক বন্ধুদের অনেকেও রয়েছেন।
দ্বিতীয় সংস্করণের আগে বইটি সম্পর্কে আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য-পরামর্শ-প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন।
ছাপা হয়ে যাবার পর আর সংযোজন-বিয়োজন-কারেকশনের কোনো সুযোগই থাকে না।
লেখক-পাঠকের মধ্যকার সেতুবন্ধন বই।
বই লেখক-পাঠকের মধ্যে সম্পর্কের সুদৃঢ় প্রাচীরও তৈরি করে।
ফলে পাঠকের পরামর্শ-মন্তব্য-প্রতিক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ!
পাঠক পাঠ করে তৃপ্তিবোধ করেছেন কি-না!
অনুধাবন করেছেন কি-না! সাধারণত তা লেখকের জানার সুযোগ থাকে না!
তবে লেখক জানেন-সত্য প্রকাশে দৃঢ়তা ও হিম্মত লাগে।
শিল্প বোধ লাগে। লেখক-পাঠকের নিবিড় সম্পর্ক লাগে!
লেখালেখির ক্ষেত্রে স্বতস্ফূর্ততা লাগে, ভেতর থেকে আসতে হয়।
লেখালেখিতে বাধ্যবাধকতা চলে আসলে লেখকের ভালোলাগা-ভালোবাসার স্বাভাবিক গতিপথ হারায়।
ধরাবাধা কোনো সূত্র মেনে লিখছি না। কারো পন্থা-পদ্ধতিও হুবহু ফলো করছি না।
কাটতি বাড়াতে জনপ্রিয় কোনো ইস্যুতেও লিখছি না।
স্থূল তরল কথাবার্তার ব্যবহার নেই। অকারণ চটকদার কথার ফুলঝুরিও নেই।
পড়তে ভালো লাগে, লিখতেও ভালো লাগে। এই ভালোলাগাটা স্রষ্টার অপর অনুগ্রহ!
তাই সৃষ্টির কল্যাণেই কলম নিবেদিত! দ্বিতীয় বই লিখেছি নেতৃত্ব বিষয়ে!
বইয়ের উপজীব্যই এমন নয় যে পাঠক হুমড়ি খেয়ে পড়বে।
আসলে লেখার ব্যাপারে পাঠকই ভালো বলতে পারেন।
লেখকও গভীর রাত জেগে লিখেন। অনেক পাঠকও গভীর রাত জেগে পড়েন।
পাঠক প্রশংসাও করতে পারেন, সমালোচনাও করতে পারেন।
যুক্তি খন্ডাতেও পারেন। উদ্দেশ্যের সাথে দ্বিমতও করতে পারেন।
সব লেখকই বই কিনলে খুশি হন। বই পড়লেও খুশি হন।
পাঠের পরে লেখাটির ব্যাপারে জানালে আরো খুশি হন।
পাঠক মুখ ফিরিয়ে নিলে লেখকের সকল আয়োজন ব্যর্থ হতে বাধ্য।
লেখক-পাঠক একে অপরের পরিপূরক, কখনো কখনো সম্পূরক!
অনেকে বই বাসায় রাখেন! অনেকে লাইব্রেরীতে রাখেন!
অনেকে পড়া শেষ হলে আরেকজনকে পড়তে দেন।
এভাবেই জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের পথ প্রশস্ত হয়!
আলোকিত মানুষ গড়ায় ভূমিকা রাখেন অনেকেই।
সব ধরণের পাঠকের জন্যই অনেক অনেক শুভ কামনা।
লেখার সময়কাল
০৬-০৯-২০২১