আনিসুর রহমান এরশাদ
কখনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার কখনো মানব সৃষ্ট দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ। সড়ক দুর্ঘটনা কিংবা অগ্নিকাণ্ডের আকস্মিক দুর্ঘটনায় হতাহত হয় মানুষ। অনেকের বহুদিনের স্বপ্নসৌধ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়, সব অর্জন ম্লানও হয়ে যায়। অনেক সময় গোটা পরিবারই শেষ হয়ে যায়, তছনছ হয়ে যায়। হতাহত ব্যক্তি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম হলে করুণ পরিণতি ভোগ করে তার পরিবার, পরিবারটি প্রায় পথে বসে পড়ে। পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া, অর্থনৈতিক দৈন্যদশায় ভোগে পরিবারের সদস্যরা। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তি হয় বোঝা, চিকিৎসা করাতে যেয়ে অনেক সময় ফতুর হয়ে যায় পরিবার। ফলে পরিবারে দীর্ঘদিন চলে দুর্ঘটনার জের ও প্রভাব থেকে যায় সারা জীবনের জন্য। দুর্ঘটনা অকালে অনেক অমূল্য প্রাণহানি বা আহতদের অঙ্গহানি করছে। নিজের জীবন অথবা নিজের পরিবারের কারো জীবন হারানোর আগেই জীবনের মূল্য ঠিক করে আপনি সচেতন হোন এবং অন্যকে সচেতন করুন। বিপদগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকুন।
ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ
ভবন ধস, অগ্নিকাণ্ড কিংবা সড়ক দুর্ঘটনাসহ অনেক দুর্ঘটনায় হতাহতাদের পারিবারিক সংকট নজরের বাইরে থেকে যায়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা খরচ চালানো, আয় উপার্জন না থাকায় নাবালক সন্তানকে কাজে দেওয়া, কখনো কখনো সন্তানকে কোনো নিসন্তান দম্পতির কাছে দিয়ে দেয়াসহ পারিবারিক জীবন ধ্বংস হয়ে যায়।
এসব ‘সাইড-ইফেক্ট’ বিবেচনা করলে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে। পরিবারের কর্মক্ষম ব্যক্তি হঠাৎ যদি আয় অনুপযোগী হয়ে পড়েন, তাহলে পারিবারিকভাবে টিকে থাকার লড়াই কয়েকগুণ কঠিন হয় এবং আহত ব্যক্তির বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষাও ক্ষীণ হয়ে যায়। তিনি তখন নিজেকে বোঝা মনে করেন। কর্মজীবী পুরুষের আয়হীন হয়ে পড়ার হতাশা দূর করতে কাউন্সেলিং দরকার। আর তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা থাকা জরুরি। সেটা দেওয়া হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং এর আওতায় থাকতে হবে।
সাইড ইফেক্টগুলো চিহ্নিত করা
দুর্ঘটনায় আহত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিবারে খরচের হার স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। মাসিক ওষুধ আর কাউন্সেলিং এর পাশাপাশি সেই কর্মক্ষম ৬০ শতাংশের হঠাৎ আয় না থাকাটা তাদের জীবন দুর্বিসহ করে তোলে। যেকোনো দুর্ঘটনাতেই নিহত ব্যক্তির পরিবার যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়, আহত ব্যক্তির পরিবার তার চেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত হন, বিষয়টি এমন নয়। অথচ এখনো ক্ষতিপূরণের হিসাব নিহত না জীবিত সেটার ওপর নির্ভর করেই করা হয়।
যিনি আহত অবস্থায় বেঁচে থাকলেন তার জীবনে কর্মক্ষমতার যে সময়সীমা ছিল, সেটা ধরে তাকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় না। ফলে তিনি যেমন হেনস্তার শিকার হন, তার পরিবারের সদস্যরাও একইসাথে ভুক্তভোগী হন। তাই মানব সৃষ্ট দুর্ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি সাইড ইফেক্টগুলো ঠিকমতো চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী ক্ষতিপূরণে নতুন আইন প্রণয়ন করা জরুরি।
মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা
একটি বড় দুর্ঘটনার পর তীব্র মানসিক চাপ হলে তা সামলানোর জন্য ব্যবস্থাপনা জরুরি। নয়তো এটি তার জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে এবং ব্যক্তিকে দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতার মধ্যে ফেলে। সে খুব উদ্বেগের ভেতর থাকে। তাকে স্বাভাবিক করতে মূল চিকিৎসা হলো সাইকোলজিক্যাল ইন্টারভেনশন, কাউন্সেলিং, দীর্ঘমেয়াদি সেশন দেয়া ও তার কথাবার্তা শুনা। যে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার, সে যে দোষী নয়, সে এখান থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসতে পারে, এটা বোঝাতে হয়। প্রয়োজনে চিকিৎসক কর্তৃক এক্সপোজার থেরাপি দিতে হয়, মনোবল বাড়াতে রিলাক্সেশন থেরাপি দিতে হয়, মোটিভেশন দেয়া এবং মানসিক শক্তি বাড়ানোর পদ্ধতি শেখাতে হয়।
পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার
দুর্ঘটনা-পরবর্তী সময়ে অনেকের মানসিক চাপ হয়। একে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার বলে। অবশ্য একই দুর্ঘটনায়ও সবার সমস্যা একই ধরণের বা একই মাত্রায় হয় না। কারো মধ্যে কম আবার কারো মধ্যে বেশি হয়। ডিজঅর্ডার হলে মানুষ খুব আতঙ্কগ্রস্ত থাকে। কারো মধ্যে ঘটনাটা বারবার ফিরে আসলে, ঘটনা এখনো তার সাথে ঘটছে ভাবলে, দুঃস্বপ্ন দেখলে সে ভীতিগ্রস্ত থাকে। অল্পতেই চমকে ওঠে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তার মধ্যে শারীরিক প্রতিক্রিয়া, ঘাম বা অন্য কিছু দেখা যায়। সেই অবস্থাকে সে এড়িয়ে যায়।
লিফটে ধর্ষিত মেয়ে লিফট এড়িয়ে যাবে, বিল্ডিং ধসে ধ্বংসস্তূপে থাকা ব্যক্তি বিল্ডিংয়ের কাছে যেতে ভয় পাবে, আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যক্তি আগুন দেখলে অস্বাভাবিক আচরণ করবে, কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিবে, ফ্রেগমেন্টেড মেমোরি বা স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাবে বা ভুলে যাবে। এ রকম চাপ হলে তাদের স্বাভাবিক জীবনে খুবই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সে সব নেতিবাচক চিন্তা করে, পৃথিবীকে ভয়ঙ্কর মনে করে, কাউকে বিশ্বাস করে না। তার মধ্যে বিষণ্নতার লক্ষণ চলে আসে। আত্মহত্যার প্রবণতা চলে আসে। সে নিজেকে অপরাধী মনে করে। তার কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
অনাকাক্সিক্ষত, অকস্মাৎ ঘটে যাওয়া বড় দুর্ঘটনায় মানুষের মানসিক দিকগুলোর বেশি ক্ষতি হয়। দুর্যোগের ভয়াবহতা যত বেশি হবে, সরাসরি আক্রান্ত বা পর্যবেক্ষণকারী মানুষের ভেতর দুর্যোগ পরবর্তী মানসিক সমস্যার স্থায়িত্ব, ব্যাপ্তি ও তীব্রতাও তত বেশি হবে। কোনো ঘটনায় যদি স্বল্প সংখ্যক মানুষ অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা থেকে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ দুর্যোগে আক্রান্ত হলে সেখানে মানসিক প্রভাব বেশি পড়ে। যেমন, ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের প্রভাব অনেক দিন পর্যন্ত থেকে যায়। ইচ্ছে করে ঘটানো যুদ্ধ, সন্ত্রাসী আক্রমণ বা এমন কিছু দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মানসিক সমস্যা ও সমস্যার তীব্রতা বেশি হয়। অনিচ্ছাকৃত কারণে বিমান দুর্ঘটনা, পরিবহনের অন্য কোনো বড় দুর্ঘটনা, শিল্প কারখানায় ঘটে যাওয়া কোনো অনাকাক্সিক্ষত বিস্ফোরণের ঘটনায় আক্রান্ত মানুষের মানসিক সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝড়, সাইক্লোন, টর্নেডোর কারণে মানসিক সমস্যাও তীব্রতর হতে দেখা যায়। এসব ক্ষেত্রে মানসিক সমস্যার ধরণ অনেকাংশে নির্ভর করে মানুষের মেনে নেওয়ার ক্ষমতা, অভ্যস্ততার ওপর। নারী ও ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের মানসিক সমস্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সন্তানের মৃত্যুতে মায়েরাই মানসিকভাবে বেশি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। পূর্বে থেকে মানসিক চাপে থাকা বা রোগাক্রান্ত মানুষটির মানসিক অবস্থা এমনিতেই নাজুক থাকে, তার উপর খাঁড়ার ঘা এর মতো এসব দুর্যোগ চেপে বসে মানুষটিকে বিক্ষিপ্ত করে তোলে। যেসব মানুষ পূর্বে ব্যক্তিগতভাবে কিংবা সমষ্টিগতভাবে কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস আছে, তাদের মানসিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
মানসিক সমস্যার সৃষ্টি
কিছু কিছু বিশেষ অভিজ্ঞতাও মানসিকভাবে বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে। যেমন কাছের কাউকে মারা যেতে দেখা, কিশোর বয়সের সন্তানকে হারানো, গুলি বা বন্দুকের মুখে দাঁড়িয়ে থাকার অভিজ্ঞতা, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে আটকে যাওয়া এবং আপাতভাবে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা, দুর্যোগ বা দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হওয়া ইত্যাদি। দুর্ঘটনায় আক্রান্ত মানুষের শারীরিক সমস্যাও পরবর্তীতে মানসিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। যেমন- শরীরের কোথাও পুড়ে যাওয়া, ছিঁড়ে যাওয়া, মাথায় আঘাত পাওয়া, শরীর বিষাক্ত কিছুর সংস্পর্শে আসা বা শরীরে অন্য কোনোভাবে বিষক্রিয়া তৈরি হওয়া ইত্যাদি।
এসব সমস্যা পরবর্তীতে কাজের ক্ষেত্রে, চিন্তা করার ক্ষেত্রে, মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষেত্রে বারবার অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে যাওয়াসহ আরো অনেক ধরনের মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। যুদ্ধের কারণে বা রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে নিজের বাড়ি ছেড়ে আসা, নেতিবাচক প্রভাবের কারণেও মানসিক সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিহীনতা, বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতনসহ অনেক কিছুই মানুষের সমস্যা কিংবা রোগ তৈরি করতে পারে। ধর্ষণের মতো অনেক বিষয় আছে, যেসব বিষয়ে মানুষ মুখ খুলতে চায় না। সামাজিকভাবে অপদস্থ হওয়ার ভয় কাজ করে। এসব ক্ষেত্রে সে তার কথাগুলো, তার ভয়গুলো কারো সাথে ভাগ করতে না পারলে তার মধ্যে এক ধরনের মানসিক চাপ কাজ করে।
মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়াজনিত সমস্যা
সামাজিক বন্ধন, পারিবারিক সহযোগিতা, বন্ধু-বান্ধবদের সহযোগী মনোভাব মানসিক সমস্যা মোকাবেলা ও কমিয়ে আনতে দারুণভাবে সহায়তা করে। যাদের পূর্বে এধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং যারা সাফল্যের সাথে এগুলো মোকাবেলা করেছেন তাদের পরামর্শ সাহসী করে, দৃঢ় ও শক্তভাবে মোকাবেলায় ভূমিকা রাখে। দুর্যোগ বা দুর্ঘটনার তীব্রতা যত বেশি হয় ব্যক্তিগত বিষয়গুলোর গুরুত্ব তত কমে আসে। বিভিন্ন রকম মানসিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। মিডিয়ায় প্রচার-প্রচারণা ও প্রচার কৌশলও একটি বড় ব্যাপার। কিভাবে বিষয়গুলো মানুষ দেখছে, কতটুকু দেখছে, সেসব আবার মানুষ কিভাবে নিচ্ছে তাও একটি বড় ব্যাপার।
পৃথিবীর অনেক দেশ শিশুদের দুর্ঘটনার প্রচার থেকে দূরে রাখার সব রকম চেষ্টা করে থাকে। এমনকি ফেসবুকে ভয়াবহ চাপদায়ক কোনো ঘটনা বারবার দেখলে মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়াজনিত সমস্যা হতে পারে। ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর কয়েক দিন ক্রমাগত এই খবরটাই নিউজফিডে দেখতে থাকা, সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা আগুন লাগার ভিডিওটিও বেশ কয়েকবার দেখা, নানা দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যাওয়া, শরীর ও মনে অস্বস্তি দানা বেঁধে ওঠা, স্বাভাবিক থাকা অবস্থায়ই হঠাৎ সমস্ত শরীর ঘাম দিয়ে ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, বুকটা এমনভাবে চেপে আসা যেন মনে হয় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে, মাথা ঘোরা, বুকের ধড়ফড়ানি বেড়ে যাওয়ার মতো একধরনের উদ্বেগজনিত মানসিক রোগ।
সাধারণত যাঁরা মানসিকভাবে নাজুক বা অতিরিক্ত উদ্বিগ্নতায় ভোগেন, যেকোনো চাপ নেওয়ার যাদের ক্ষমতা কম অথবা যারা ইতোমধ্যে কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, তাদের মধ্যে এ ধরনের সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা বেশি থাকে। ঘুমের সমস্যা (ঘুম আসতে দেরি হওয়া, ভেঙে ভেঙে ঘুম হওয়া, দুঃস্বপ্ন দেখা); বুকে চাপ বা অস্বস্তি, বুক ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, হাত-পা ঝিমঝিম করা, কান-মাথা হঠাৎ গরম হয়ে যাওয়া, হাঁটতে গিয়ে ভারসাম্যহীনতা বোধ করা, বমি বমি ভাব, পেটে গ্যাস বা চাপ, হঠাৎ হাত-পা ঠাণ্ডা বা অবশ হয়ে আসা, মুখ শুকিয়ে আসা, অস্থিরতা বোধ করা, হাত-পা কাঁপা, মাথা ব্যথা, ঘাড় ব্যথা, শরীরের নানা জায়গায় দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, মৃত্যুভীতি বা হঠাৎ পড়ে যাওয়ার ভয় ইত্যাদি।
এসব ক্ষেত্রে শরীর ও মনকে রিল্যাক্স রাখার জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম তথা ধীরে ধীরে লম্বা করে শ্বাস পেটে নিয়ে কিছুক্ষণ রেখে হালকা করে ছাড়ুন। নিয়মিত হাঁটা, ব্যায়াম, সাইক্লিং, সাঁতার কাটা, খেলাধুলা করুন। এ ছাড়া সামাজিক মেলামেশা বাড়ানো, বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করা, কোনো কিছুতে ভয় পেলে সেটা পরিহার না করে ধীরে ধীরে সম্মুখীন হওয়া ইত্যাদিও চাপ মোকাবিলা করার ক্ষমতা বাড়ায়। আর উদ্বিগ্ন অবস্থা মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।
ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সচেতনতা বাড়ানো
সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মাত্র ২০% তাদের দুর্ঘটনার পর আইনি সহায়তা নিয়ে থাকেন, এই সংখ্যা বাড়াতে সচেতনতা দরকার। সাধারণ মানুষের মধ্যে ট্রাফিক আইন মানার প্রবণতা বাড়াতে, নিয়ম মেনে চলা মানুষদের সংখ্যা বাড়াতে পরিবারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পানি খেয়ে বোতল ছুড়ে মারা, কলা খেয়ে খোসা রাস্তায় ফেলে দেয়ার বদ অভ্যাস বন্ধ করতে হবে। যারাই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী তারাওতো কোনো পরিবারের সদস্য, আর যারা ভুক্তভোগী তারাও কোনো পরিবারে আছেন। ফলে পারিবারিক পর্যায়ে দুর্ঘটনার প্রতিকার ও প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো গেলে আশা করা যায় ক্ষয়ক্ষতি কমে আসবে।