ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থটের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আহমাদ তুতুনজি বলেন, ‘স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা লেখাপড়া শিখে পরীক্ষার সম্মুখীন হই, আর বাস্তব জীবনে আমরা পরীক্ষার মুখোমুখি হয়ে পড়াশুনা করি।
একজন বিজ্ঞ লোকের সাথে নাতিদীর্ঘ আলোচনা বা তার একটু সঙ্গ মাসব্যাপী অধ্যয়নের সমান।
উত্তম মানুষ তিনি, যিনি কচ্ছপের গতিতে সঠিক পথে চলেন, সে নয় যে খরগোশ বা হরিণের মত দ্রুত গতিতে ভুল পথে ধাবিত হয়।
অগণিত শিক্ষার্থী পাওয়া যায়, কিন্তু পরিশীলিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা নগণ্য।
জীবন চলার পথ পরিক্রমায় আমি বহু শিক্ষিত লোক দেখেছি। কিন্তু তাদের মাঝে ভদ্র, নীতিবান লোকের সংখ্যা খুবই কম পেয়েছি।
নিজের চারপাশের সকলকেই খুশী করতে মনোনিবেশ করাই ব্যর্থতার দ্বার খুলে দেয়।
এ পর্যন্ত তুমি কী অতিক্রম করে এলে তার সাথে তুলনা করো না, বরং নিজের সামর্থ দ্বারা কী অর্জন করা উচিত ছিল তার সাথে হিসাব মেলাও।
সফলতাই সব কিছু নয়, সফলতা লাভের আগ্রহই সব কিছু।
সফলতা পেতে হলে মানুষকে লোকচক্ষুর অন্তরালে অবস্থানকারী, নেতিবাচক, হিংসুক ও পরশ্রীকাতর লোকদের থেকে দূরে থাকতে হবে। কেননা আমাদের সম্পর্কে যেসব কথা তারা বলে, তা আমরা তাদের থেকে দূরে থাকলে যতটা ক্ষতি করে, তাদের থেকে দূরে না থাকলে তা আরো বেশি ক্ষতি করবে। যা মানুষকে অসুস্থ করে ফেলে। পরিণামে মনুষত্বের অকাল মৃত্যু ঘটে।
একদেশদর্শিতা, হতাশা, অলক্ষুণে ভাব কলেরার মতো মারাত্মক রোগ; সবসময় এগুলো থেকে দূরে থাকবে।
যাদের মাঝে ব্যর্থতা মোকাবিলা করার মতো সাহস আছে, তারাই কঠিন বাধা অতিক্রম করে সফল হতে পারে।
মানুষ কোনো বিষয়ে উৎকর্ষ সাধন করতে পারে না যদি তাতে অভ্যস্ত হওয়ার পরিবর্তে দক্ষ না হয়।
যারা ব্যর্থ তারা বলে যা বাস্তবে লাভ হয় তা-ই সফলতা, সাফল্য একটা ভাগ্যের ব্যাপার মাত্র।
বর্তমান বিশ্বে ব্যর্থতা সবচেয়ে খারাপ বিষয় নয়, বরং কোনো কিছুতে দক্ষ না হতে পারাই আসল ব্যর্থতা।
মানুষের কোনো স্বপ্নই কষ্ট ছাড়া বাস্তবায়ন হয় না। চূড়ান্ত সফলতা সেই লাভ করে যার সাহস, ধৈর্য ও সহনশীলতা শক্তি আছে।
যারা ব্যর্থ তারা দু’শ্রেণীতে বিভক্ত। এক শ্রেণী শুধু চিন্তা করে কিন্তু তা বাস্তবায়ন করে না, আর এক শ্রেণী চিন্তা না করেই কাজ করে।
ক্ষতিগ্রস্ত হলে মানুষ শেষ হয়ে যায় না বরং অহংকারই তাকে শেষ করে দেয়।
জীবনে ঝুকি নেয়া ছাড়া উন্নতি হয় না।
বীরত্ব ছাড়া এই জীবনে বড় কিছু বাস্তবায়ন করা যায় না।
একটু মুচকি হাসি দিতে কিছুই খরচ হয় না, কিন্তু অনেক কিছুই অর্জিত হয়।
আমাদের দেখা যতকিছু উদ্ভাবিত ও আবিষ্কৃত হয়েছে, তা উদ্ভাবিত ও আবিষ্কারের পূর্বে এই ফায়সালা দেয়া হয়েছে যে, এটা খুবই অসম্ভব।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকালে তুমি যদি পূর্ণ প্রস্তুতিসহ আসো, তাহলে পুরস্কার না পেলেও তুমি সফল।
যে কাজ করে না তার কোনো ভুল হয় না, যে কাজ করে তারই ভুল হয়। আর যেখানে ভুল হয়, সেখানেই ভুল সংশোধনের রাস্তা বের হয়।
সবচেয়ে ভালো আত্নতৃপ্তি হলো নিজের ভিতরে এ অনুভূতি থাকা যে, তুমি সঠিক পথে আছো, এতে যদি সারা দুনিয়া তোমার শত্রু হয়ে যায়, তাতেও কোনো অসুবিধা নেই।
কোন একক ব্যক্তি নিজেকে যতই যোগ্য মনে করুক না কেন! ১ সংখ্যাটি থেকে দূরে আরেকটি ১ সংখ্যা বসালে ১ ও ১ মিলে ২ হবে। কিন্ত যদি পাশাপাশি ১ এবং ১ সংখ্যা বসানো যায় সেটি হবে ১১। অর্থাৎ আলাদা আলাদা কাজ করার চেয়ে একত্রে কাজ করলে বহুগুণ বেশি কাজ করা সম্ভব হয়।
ভালো কথার চেয়ে ভালো কাজ অনেকগুণে উত্তম।
আমাদের জীবনের প্রত্যেকটি মহান অর্জনের সূচনা হয়েছে চিন্তা ও ক্ষুদ্র উদ্যোগ দিয়ে।
জীবনের সকল অর্জনই সাফল্য নয়, বরং কষ্টদায়ক কর্মের মাধ্যমে যা অর্জিত হয় তা-ই সাফল্য।
যে কোনো কাজ সম্পন্ন করার সর্বোত্তম পন্থা সর্বদা বিদ্যমান, সে পন্থা লাভ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখা উচিৎ।
মানুষ দ্রুত কাজ বা তার দ্রুত গতিকে ভুলে যায়। কিন্তু কোয়ালিটিসম্পন্ন কাজ মানুষ কখনো ভোলে না।
আপন সত্তার সাথে প্রতিযোগিতাই বিশ্বের সর্বোত্তম প্রতিযোগিতা, মানুষ যখন আপনসত্তার সাথে প্রতিযোগিতা করে তখন নিজেই উৎকর্ষিত হয় এভাবে যে, তার আজকের জীবন যেন গতকালের চেয়ে সুন্দর হয় এবং আজকের চেয়ে আগামীকালের জীবন যেন আরো সুন্দর হয়।
পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া কোনো প্রত্যাশাই পূরণ হয় না।
দ্রুততর যোগাযোগ, আধুনিক প্রযুক্তির ইন্টারনেট ও কম্পিউটারের এ যুগে জ্ঞানই একমাত্র শক্তি বলে গণ্য হয় না, বরং বাস্তবে জ্ঞানের সঠিকভাবে প্রয়োগই শক্তি।
মানুষ সবচেয়ে বেশি কার্যকরী যে অস্ত্র লাভ করতে পারে তা হলো সময় ও ধৈর্য।
কোনো কিছু প্রত্যাশা করা ছাড়া প্রদত্ত একটি সস্তা উপহারের প্রভাব, বিনিময় পাওয়ার প্রত্যাশায় প্রদত্ত মূল্যবান উপহারের প্রভাবের চেয়ে অনেক বেশি।
এমন অনেক সমস্যা আছে যা মানুষকে মেনে নিতে হয়; কিছু সমস্যা অনেক কঠিন, আর কিছু মানুষের ক্রোধের উদ্রেক করে।
জীবনে সমস্যার অস্তিত্ব না থাকায় সৌভাগ্যের কারণ নয়, বরং সমস্যা জয় করতে পারলেই সৌভাগ্য নাগালে আসে।
যেসব মানুষ ব্যর্থতাকে মোকাবিলা করার সাহস রাখে, তারাই সঠিক কাজে সাফল্য পায়।
জীবনে মানুষের ব্যর্থতাই তার আসল পরাজয় নয়। বরং ব্যর্থ হবার পর হাত গুটিয়ে বসে থাকার নামই চূড়ান্ত পরাজয়।
অতীত নিঃশেষিত হয়েছে, ভবিষ্যত সুদূর পরাহত, কিন্তু বর্তমান হচ্ছে মহাসুযোগ, আমাদেরকে এ সুযোগ বিজ্ঞতা ও বিচক্ষণতার সাথে কাজে লাগাতে হবে।
সর্বোচ্চ ভবনের মালিক হওয়ার জন্য দুটি পদ্ধতি আছে: (১) নিজের চারপাশের সকল ভবন গুঁড়িয়ে দেয়া, (২) সবচেয়ে উঁচু ভবন নির্মাণ করা। এর মধ্যে সর্বদা দ্বিতীয় পন্থা অবলম্বন করাই শ্রেয়।
যে সব মানুষ অন্যের বড়ত্বকে খাটো করে বা ধ্বংস করতে চায় সে বড় নয়। বরং যে মানুষ অন্যের বড়ত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে নিজে বড়ত্ব প্রমাণ করতে পারেন তিনিই সবার থেকে বড় হয়ে যান।
মানুষের উদ্যম ছাড়া পৃথিবীর বড় কোনো কাজ সফলতা পায়নি। জীবনে চলার পথে মানুষের নিকট অপছন্দনীয় হলেও অনেক সময় ণ্ডরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
সমস্যামুক্ত জীবনে সুখ নেই, আনন্দ নেই বরং মানুষের সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানেই জীবনে সুখ দেয়, আনন্দ বয়ে আনে।
আমার জীবনে গতকাল হলো আমার ব্যাংকের ভাঙানো চেক যা ইতোমধ্যে খরচ হয়ে গেছে। আর আগামীকাল হলো অবশিষ্ট চেক। যা ব্যাংক ম্যানেজার তারিখের আগে ভাঙাতে দেবে না। আর আমার জীবনের আজকের দিনটি হলো নগদ টাকা। যা বিচক্ষণতার সাথে খরচ করলে আমার এবং আমার পরিবার পরিজনসহ সবারই কল্যাণ বয়ে আনবে।’