এত মিল!
তবুও কেন অমিল?
আমাদেরতো একটিই দেশ
আমাদেরতো একটিই মানচিত্র
আমাদেরতো একটিই পতাকা
আমাদেরতো একটিই জাতীয় সঙ্গীত
তাহলে আমাদের মধ্যে-
এত দলাদলি কেন?
এত কাদা ছোড়াছুড়ি কেন?
এত সংঘাত-লড়াই কেন?
এত হিংসা-বিদ্বেষ কেন?
সবার শিরা-ধমনীতেই লাল রক্ত
কবরই সবার নিশ্চিত ঠিকানা
একই আকাশের নীচে বসবাস
একই জমিনের উপর বিচরণ
তবু এত আক্রমণ কেন?
মারামারি-রক্তারক্তি কেন?
শত্রুতা কেন? ষড়যন্ত্র কেন?
দমন-নিপীড়ন কেন?
সবাই বেড়ে উঠেছিতো-
একই সূর্যের আলোতে
একই চাঁদের আলোতে
একই বৃষ্টিস্নাত হয়ে
একই বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে
তবু আমরা গর্ব-অহংকারের-
শক্ত দেয়াল তৈরি করেছি
উন্নত-অনুন্নতের তকমা লাগিয়েছি
শ্রেষ্ঠ-অধমের মার্কা দিয়েছি
বিজয়ী-অগ্রগামী হতে প্রতিযোগিতা করেছি
আমাদের খাবারের উৎসতো এক
আমাদের পানীয়র উৎসও এক
আমাদের জ্বালানির উৎসতো এক
আমাদের দেহঘড়ির ফাংশনও এক
তবু চিন্তায় পার্থক্য বেশ
কাজে বৈপরিত্য অশেষ
জীবনে কত ভিন্নতা
জীবিকায় বৈচিত্র্যতা
আমরা সবাই একই প্রক্রিয়ায় এসেছি
সবার বিদায়ও হয় প্রায় একই প্রক্রিয়ায়
অনেক কিছুই একই নিয়মে মেনেছি
জন্ম থেকে মৃত্যুর পদ্ধতি একই রকম
জীবন-প্রণালীর মিলও কত রকম
তবু আমরা বিতর্ক করছি
ভিন্নমতে ভিন্নপথে চলছি
বহুরুপী হতে মুখোশ পড়ছি
বিচিত্র পদ্ধতি তালাশ করছি
এভাবেই মিলের চেয়ে দাপট বেড়েছে অমিলের
গলাগলির চেয়ে পিটাপিটি, কাঁধেকাঁধের চেয়ে কিলাকিলি
হাতে হাত নেই, চোখে চোখ নেই
মনে থাকা বিষ দূরের শর্টকার্টও নেই।
আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারতাম
যদি দেশ-জাতিকে এগিয়ে নিতে চাইতাম
মানুষের উন্নতি-মুক্তি চাইতাম
পরের কল্যাণে সুখ খুঁজে পাইতাম
আমরা একসাথে পথ চলতে পারতাম
মন থেকে একই আদমের সন্তান ভাবতাম
সবাইকে একই স্রষ্টার সৃষ্টি মানতাম
একই প্রকৃতির অংশ বলে বিশ্বাস করতাম
লেখার সময়কাল: ০৮-০৯-২০২১