‘দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধশালী বিয়ের’ লক্ষ্য নিয়ে একটি ইসলামি ডেটিং অ্যাপ চালু করেছে ইরান সরকার। তরুণদের বিয়েতে উৎসাহিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন ‘হামদাম’ (সঙ্গী) নামের এই অ্যাপটির সাহায্যে বিয়ে করতে ইচ্ছুক তরুণ-তরুণীরা পছন্দের সঙ্গী খুঁজে পেতে এবং বাছাই করতে পারবেন।
ডেটিং অ্যাপ কী?
পছন্দের মানুষের সন্ধান দিতে রয়েছে বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপ। মনের মানুষের খোঁজে অ্যাপগুলো ব্যবহার করে অনেকেই।
ইসলামি ডেটিং অ্যাপ
ইরানের মানুষ দেরিতে বিয়ে করছে। এ কারণে দেশটিতে জন্মহার কমছে। ডিভোর্স বাড়ছে আর বিয়ে কমছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ তরুণ-তরুণীরা যাতে দ্রুত বিয়ে করতে পারে তার জন্য এই ডেটিং অ্যাপ চালু করেছে। এমন সমস্যা সমাধানে সরকারি ডেটিং অ্যাপটি চালু করেছে।
হামদাম কী ও কেন?
রাষ্ট্র অনুমোদিত ইসলামিক ডেটিং অ্যাপটি চালু হলো ইরানে । যার নাম রাখা হয়েছে ‘হামদাম’। ফার্সি ভাষায় হামদাম শব্দের অর্থ ‘সঙ্গী’।
ইসলামি ডেটিং অ্যাপের ব্যবহার যেভাবে
অ্যাপটি ব্যবহার করতে প্রথমে ব্যবহারকারীকে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। এরপর ব্যবহারের আগে ব্যবহারকারীকে মনস্তাত্বিক নিরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। কোনো যুগলের মধ্যে যখন মিল (সম্পর্ক ম্যাচ) হবে তখন অ্যাপের এক সার্ভিস কনসালটেন্ট দুই জনের পরিবারকে পরিচয় করিয়ে দেবে। বিয়ের পর ওই দম্পতিকে চার বছর সঙ্গ দেবেন ওই কনসালটেন্ট কর্মকর্তা।
ডেটিং অ্যাপে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
অ্যাপটিতে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার’ (আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স) ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাপটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তেবইয়ান কালচারাল ইন্সটিটিউট। হামদামের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, সত্যিকার অবিবাহিত যারা স্থায়ীভাবে বিয়ে ও একমাত্র জীবনসঙ্গীর সন্ধান করছে তাদের সহায়তার জন্যই অ্যাপটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার হয়েছে।
ডেটিং অ্যাপ জনপ্রিয় ইরানে
ইরানে ডেটিং অ্যাপ বেশ জনপ্রিয়। তবে ইরানে এই ধরনের অ্যাপের মধ্যে বৈধ একমাত্র হামদাম অ্যাপ, বাকি অ্যাপগুলো অবৈধভাবে চলছে। হামদাম অ্যাপটিতে ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা ইরানের নাগরিকদের জন্য উপযোগী। ইরানে এখনো ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে ১ কোটি ৩০ লাখ অবিবাহিত রয়েছেন।
সুস্থ পরিবার গঠনে ডেটিং অ্যাপ
ইরানের ইসলামী প্রচারণা সংস্থা তেবইয়ান কালচারাল ইন্সটিটিউটের প্রধান কোমেইল খোজাস্তে বলেন, বহির্শক্তির হুমকির মুখে ইরানের পারিবারিক মূল্যবোধ। ইরানের ওপর শত্রুরা তাদের নিজস্ব ধারণা চাপিয়ে দিতে চায়। এই হুমকি উত্তরণ করে সুস্থ পরিবার গঠনে হামদাম অ্যাপটি সহায়তা করবে।
জনসংখ্যা বাড়াবে ডেটিং অ্যাপ
জনসংখ্যা বৃদ্ধি বিশ্বের সব দেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ চেষ্টা করছে তাদের দেশের জনসংখ্যা কমুক। আবার কেউ তাদের দেশে জনসংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টায় নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। এবার জনসংখ্যা বাড়ানোর তেমনই এক পদক্ষেপ নিয়েছে ইরান সরকার। সেজন্য সরকারিভাবে ডেটিং অ্যাপ চালু করেছে দেশটি।
ডেটিং অ্যাপের অসুবিধা
ডেটিং অ্যাপের সমালোচকরা বলেন, ডেটিং অ্যাপের এই প্রযুক্তি কখনো মুসলিম নর-নারীকে সঠিক সন্ধান দিতে পারবে না। এগুলোর দ্বারা জিনা, অশ্লীলতা আরো বাড়বে। যারা এসব অ্যাপ তৈরী করছে তাদের দেশে বিয়ে কম ছিল তাই করছে। কিন্তু যেসব দেশের বাস্তবতা ঠিক উল্টো, সেসব দেশ কোন উদ্দেশ্য বা কেন এই অ্যাপ ব্যবহার করবে। এর মাধ্যমে প্রতারণা বাড়বে, ভুল বুঝাবুঝি বাড়বে আর কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণ বেশি হবে।
ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারে সতর্কতা
যারা ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে সঙ্গীকে খুঁজে নিয়েছেন তাদের তথ্য চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে। আর হ্যাকাররা টাকার জন্য এসব তথ্য দিয়ে দিতে পারে অন্যদের হাতে। এতে করে ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যক্তি জীবনে বিভিন্ন ধরনের বিপত্তি দেখা দিতে পারেন বলে সতর্ক করেছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে নিপীড়ন, হয়রানি এবং গুপ্ত হামলারও শিকার হতে পারেন ব্যবহারকারীরা।
অধিকাংশ ডেটিং অ্যাপে নিরাপত্তা ত্রুটি থাকায় হ্যাক করে ব্যবহারকারীর অবস্থান জেনে নিতে পারে হ্যাকাররা। অ্যাপের নিরাপত্তা ত্রুটির কারণে সহজেই সার্ভার থেকে ব্যবহারকারীর গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো সম্ভব। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা ব্যবহারকারীকে হয়রানি বা হামলা করতে পারেন। ফলে এসব অ্যাপ ব্যবহারকারী পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নয়।
ডেটিং অ্যাপের সুবিধা
ডেটিং অ্যাপে যারা নিজেদের পছন্দের সঙ্গী খুঁজে পেয়েছেন সেই সম্পর্ক বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, এর ফলে দুই মানুষের মধ্যে ভৌগলিক সম্পর্কই শুধু নয়, শিক্ষা এবং সামাজিক আদানপ্রদানও অনেক বেড়ে যায়। বিভিন্ন দেশের যুবক–যুবতীর মধ্যে চালানো সমীক্ষায় এসব দাবি করেছে সুইজারল্যান্ডের গবেষকরা।
সমীক্ষাটিতে দেখা যায় যারা ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন, তাদের থেকে যারা ডিজিটাল পরিবেশে মেলামেশা করেননি তাদের সম্পর্কের স্থায়ীত্ব এবং গভীরতা অনেক বেশি।
নতুন ডেটিং অ্যাপে দুজন মানুষ নিজেদের সঙ্গীর মানসিকতার সঙ্গে আগে থেকেই অনেক ভালোভাবে পরিচিত হয়ে যান। ফলে পরস্পরের মধ্যে মানসিক সন্তুষ্টি থাকে। স্বাভাবিকভাবে যোগাযোগ হওয়া দুই নারী–পুরুষের বদলে এই অ্যাপের মাধ্যমে মিলিত হওয়া মহিলাদের সন্তানের কামনাও প্রবল হয়। পরস্পরকে আরও বেশি এবং আরও ভালো করে জানার আকাঙ্খা তৈরি হওয়ায় সম্পর্ক আরও মধুর হয়ে ওঠে।
ডেটিং অ্যাপ নিয়ে বিতর্ক
মালয়েশিয়ার বিতর্কিত ডেটিং অ্যাপ সুগারবুক। আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন এমন কমবয়সী নারীদের সঙ্গে বয়স্ক বিত্তবান পুরুষদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় সুগারবুক। অ্যাপটিতে যোগ দেয়া শিক্ষার্থীদেরকে ‘সুগার বেবি’ হিসেবে ডাকা হয়। আর অর্থ দেওয়া বয়স্ক ব্যক্তিদের বলা হয় ‘সুগার ড্যাডি’৷ এই অ্যাপের স্লোগান হচ্ছে “হয়্যার রোমান্স মিটস ফাইন্যান্স”, যার বাংলা মানে হয়- যেখানে প্রেম আর অর্থের মিলন হয়।
অ্যাপটির দাবি এতে ব্যবহারকারীদের জন্য “সুগার রিলেশনশিপ”-এর ব্যবস্থা করা হয় যার ফলে ব্যবহারকারীরা আর্থিক সহায়তার বিনিময়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন। অ্যাপটির ভাষ্যমতে এটি হচ্ছে , একটি সামাজিক মাধ্যম, যা সমাজের উচ্চবিত্তদের সঙ্গে লাভজনক সম্পর্ক তৈরিতে সহায়তা করে। ২০১৬ সালে যাত্রা করা এই অ্যাপটির গ্রাহক সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রেও রয়েছে।
ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারে এগিয়ে নারীরা
পুরুষদের থেকে মহিলারাই বেশি সক্রিয় অনলাইন ডেটিং অ্যাপে । এদের অধিকাংশই মনে করেন, কোনো দুর্বল সম্পর্ক থেকে বেরানোর সবচেয়ে ভালো উপায়, নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিতি হওয়া। অনলাইন ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারের ট্রেন্ড অনেকাংশে বেড়ে গেছে। দীর্ঘ কথোপকথন, একসঙ্গে নেটফ্লিক্সে সিরিজ কিংবা ছবি দেখা যায়। ৎ
আগে বেশির ভাগ মানুষেরা বিশ্বাস করতেন না যে ভার্চুয়াল ডেটিংয়ের মাধ্যমে সঙ্গী নির্বাচন করা যায়। কিন্তু বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহারের পরই তাঁদের এই মত অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। অধিকাংশ নারীদের ডেটিং অ্যাপের পার্টনারের প্রতি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। যেটা থেকে বোঝা যায় মানুষ বর্তমানে হালকা মেজাজে ডেটিং করার থেকে এই বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব গুরুত্ব দিচ্ছে। সেই সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পাশাপাশি মানসিক টানও প্রাধান্য পাচ্ছে।
ডেটিং অ্যাপ সনাতনী ও আধুনিক
সনাতনী ডেটিং অ্যাপের থেকে অনেকটাই ভিন্ন আধুনিক ডেটিং অ্যাপ। পুরনো অ্যাপের মতো এখানে ইউজার প্রোফাইল বিস্তারিতভাবে দেওয়া নেই, বরং রেটিং ফটো এবং সোয়াইপ রিভিউ সিস্টেম রয়েছে।
ডেটিং অ্যাপ আনছে ফেসবুক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আনছে ডেটিং অ্যাপ ‘স্পার্কড’। অ্যাপটিতে প্রথমে চার মিনিটের ভিডিও ডেটিং করা যাবে। সরাসরি মেসেজিংয়ের বদলে ভিডিওর মাধ্যমে অ্যাপটি বাজারে অন্য ডেটিং অ্যাপের তুলনায় আলাদা হবে।
স্পার্কড নামের অ্যাপ্লিকেশন থেকে চার মিনিটের ভিডিও করার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এখানে পাবলিক প্রোফাইল থাকবে না। নতুন ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে কোনো সিঙ্গেল ব্যক্তি ভালোবাসার মানুষ খোঁজার জন্য সরাসরি উপস্থিত হন। তবে পাবলিক প্রোফাইল না থাকার কারণে নিবন্ধনের সময় বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। কোন ধরনের মানুষের সঙ্গে তিনি ডেট করতে চান সে কথাও উল্লেখ করতে হয়।
অ্যাপটিতে কারও সঙ্গে ডেটের শিডিউল পেলে ১০ মিনিটের ভিডিও করার অনুমতি মিলবে। এই অ্যাপ অ্যাপলের অ্যাপ-স্টোর বা গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে না। সরাসরি ব্রাউজার থেকেই সাইনআপ করতে হবে। তবে স্পার্কড অ্যাপ ফেসবুকের প্রথম ডেটিং অ্যাপ নয়। ২০১৯ সালে তারা ফেসবুক ডেটিং নামে একটি অ্যাপ চালু করেছিল।
ডেটিং অ্যাপ টিন্ডার
টিন্ডার অ্যাপটি আমাদের নতুন বন্ধুর সন্ধান দেবে। তবে এখানে সবাইকে ফ্রেন্ড হিসাবে অন্তভুক্ত করা যাবে না। নিজের প্রোফাইলের সঙ্গে মেলে এমন কাউকে অন্তভূক্ত করা যাবে এই অ্যাপে।
ডেটিং অ্যাপ ওকেকিউপিড
ওকেকিউপিড একটি অনলাইন ডেটিং অ্যাপ। ব্যবহারকারীরা নিজেদের পছন্দ, ইচ্ছা ইত্যাদি লিখে প্রোফাইল বানাতে পারেন। ব্যবহারকারীদের প্রোফাইলের তথ্য যদি অন্য কারোর সঙ্গে মিলে যায়, তা হলেই তাকে ফ্রেন্ড হিসাবে অ্যাড করা যাবে। এতে মেসেজিং সিস্টেমও রয়েছে।
ডেটিং অ্যাপ ট্রুলিমেডলি
যারা একা তাদের জন্য সবথেকে জনপ্রিয় অ্যাপ হলো ট্রুলিমেডলি। নিজেদের পছন্দমতো কাউকে পেলে প্রথম ‘আস্ক এ ফ্রেন্ড’ অপশন আসবে। ফ্রেন্ডলিস্টে যুক্ত হয়ে গেলেই কথা বলা শুরু করা যাবে। ট্রুলিমেডলি প্রোফাইলের সঙ্গে ফেসবুক, লিঙ্কডিনের প্রোফাইলও সংযোগ করা যায়। সেইসঙ্গে নিজের ছবি ও মোবাইল নাম্বারও দেওয়া যায় এখানে।
ডেটিং অ্যাপ হ্যাপেন অ্যাপ
রাস্তায় অচেনা কাউকে দেখে পছন্দ হয়ে যায় অনেকসময়। কিন্তু ওই অচেনা মানুষটির সঙ্গে কথা বলার উপায় নেই। এই অচেনা মানুষটিরই সন্ধান দেবে হ্যাপেন অ্যাপ। প্রথমে নিজের ছবি দিয়ে প্রোফাইল বানাতে হয়। রাস্তায় পাশ নিয়ে অচেনা কেউ গেলে হ্যাপেন অ্যাপের সাহায্যে তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে অচেনা মানুষটিরও অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে হ্যাপেন অ্যাপে। এই পুরো পদ্ধতিটাই জিপিএস-এ হয়। ইতিমধ্যে এই অ্যাপটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ডেটিং অ্যাপ আইসেল
আইসেল একটি ডেটিং কমিউনিটি অ্যাপ। তবে এই অ্যাপের প্রত্যেক ব্যবহারকারীর পরিচয় ও তথ্য খতিয়ে দেখা হয়। যদি প্রোফাইলে কোনো সমস্যা বা তথ্য কম থাকেতাহলে তা রিজেক্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ডেটিং অ্যাপের ইতিহাস
Match.com (১৯৯৩) কে-ই পৃথিবীর প্রথম যথার্থ ডেটিং ওয়েবসাইট হিসেবে ধরা হয়। এরপর প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গেই নানান বিবর্তনের মাধ্যমে ভৌগলিক অবস্থানভিত্তিক প্রথম ডেটিং অ্যাপটি চালু হয় ২০০২ সালে জার্মানির বার্লিন শহরে। এলজিবিটিকিউ মানুষদের পারস্পরিক যোগাযোগের স্বার্থে প্রথম বৈপ্লবিক পদক্ষেপ এই `PlanetRomeo’ অ্যাপটিই।
তারপর প্রযুক্তি ব্যবসার প্রতিযোগিতা এবং সামাজিক বিপ্লবের ফসল হিসেবে একে একে চলে আসে- OkCupid (২০০৪), Grinder (২০০৯), Badoo (২০১০), Flip (২০১০), QuackQuack (২০১০), Tinder (২০১২), Blued (২০১২), Hinge (২০১২), Bumble (২০১৪), TrulyMadly (২০১৪), Happen (২০১৪), Woo (২০১৪), Aisle (২০১৪) প্রভৃতি ডেটিং অ্যাপগুলি। উদ্বৃত্ত সমস্ত ডেটিং অ্যাপই আমাদের দেশে কম-বেশি ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয়।
তথ্যসূত্র
www.aajkaal.in
www.bbc.com
www.aljazeera.com
দ্য ভার্জ
www.bongodorshon.com
bdnews24.com
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট
techshohor.com