ইউটিউব জার্নালিজমে অনেকেই ঝুঁকছেন। ইউটিউবে সাংবাদিকতার ট্রেন্ড তৈরিও হয়েছে। ভালো কনটেন্টে মানুষের সাড়াও মিলছে। অনেকে ভালো পরিমাণে উপার্জনও করছেন।
সাংবাদিকতা যেন এখন ইউটিউব নির্ভর হয়ে পড়ছে! যারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইউটিউব জার্নালিজম করছেন অনেকের অর্জনই আশাব্যঞ্জক। এটি সহজলভ্য হওয়ায় এবং স্বাধীনতা থাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বের সাথে একটি ইউটিউব চ্যানেলকে তথ্যপ্রচারের কাজে ব্যবহার করতে পারলে এটি শক্তিশালী গণমাধ্যম হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারছে। ভবিষ্যৎ সাংবাদিকতার ভরসা ইউটিউব জার্নালিজম।
ইউটিউব শো জনপ্রিয় হচ্ছে। অনেক ইউটিউব চ্যানেল মূলধারার গণমাধ্যমের চেয়েও বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তবে এসবের মাধ্যমে ভুয়া সাংবাদিকের দৌরাত্ম্য যাতে বাড়তে না পারে সেটি নিশ্চিত করা দরকার। যাতে ইউটিউবে প্রচারও বস্তুনিষ্ঠ ও সাংবাদিকতার নীতি মেনে হয়।
ইউটিউব ব্যবহার করে সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ইউটিউব মূল টিভির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। জনপ্রিয় অনুষ্ঠানও টিভিতে যত মানুষ দেখছে, পরে ইউটিউবে দেখছে তার চেয়ে বেশি মানুষ।
প্রতি মিনিটে প্রায় ৩০০ ঘণ্টা সময়কালের ভিডিও আপলোড হয় ইউটিউবে। প্রতিদিন এসব ভিডিও দেখতে ইউটিউবে ঢু মারে প্রায় ৩০ মিলিয়ন মানুষ। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলও ইউটিউবে চালাচ্ছে তাদের কার্যক্রম।
২০২৫ সালের ভেতরে টেলিভিশন মিডিয়ার একটি বৃহত্ অংশ ইউটিউব-ভিত্তিক হয়ে পড়বে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট বাণিজ্যের ৯ শতাংশ এখন ইউটিউব সংশ্লিষ্ট।