এম.এ. জলিল অনন্ত যিনি অনন্ত জলিল হিসেবেই বেশি পরিচিত, তিনি রান্নাও করতে পারেন। কাজে অনেক ব্যস্ত থাকেন। তারপরও অবসরে ছেলেকে সময় দেন। ওর সঙ্গে খেলেন। এমনকি একসঙ্গে ব্যায়ামও করেন।
জলিল বলেন, ‘আসুন বন্ধুগণ, আমরা নামাজকে না বলি আমাদের কাজ আছে; বরং কাজকে বলি আমাদের নামাজ আছে। বাংলাদেশে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে নামাজের কথা বললে ছুটি দেয় না। পৃথিবীর প্রতিটা স্তরেই মানুষ আল্লাহ নির্ধারিত। তাই আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। আল্লাহর কাছে যারা শুকরিয়া আদায় করেন, তাদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন।’
প্রতিদিন ভোরে ঘুম ভেঙেই নামাজ পড়ছেন অনন্ত জলিল। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, আর সময় পেলেই হাদিসের বই অনন্তর হাতে, গাড়িতেও যাত্রাপথে পড়ছেন ইসলামী বই। অফিসের কাজের বিরতিতে কুরআনও পড়ছেন। আর সুযোগ পেলেই ছুটে যাচ্ছেন ধানমন্ডি ৩২ এর তাকওয়া মসজিদে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকেও ইসলামি পোশাকে প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করেছেন তিনি। প্রকাশ করেছেন মসজিদের ভেতর তারা নানা কর্মকাণ্ড।
তিনি একাধারে একজন চলচিত্র পরিচালক, প্রযোজক, নায়ক ও গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। অনন্ত জলিল সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে ৩টি এতিমখানা নির্মাণ করেছেন। মিরপুর ১০ নং , বাইতুল আমান হাউজিং ও সাভার মধুমতি মডেল টাউনে আছে এতিমখানাগুলো। এ ছাড়াও সাভারের হেমায়েতপুরের ধল্লা গ্রামে সাড়ে ২৮ বিঘার উপর একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন অনন্ত জলিল। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরে অবস্থিত বায়তুস শাহ জামে মসজিদ এর নির্মাণকাজেও অবদান রাখেন।