শুধু সমালোচনা না করে উত্তম বিকল্প দিতে সচেষ্ট হোন

সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালান। শুধু সমালোচনা না করে উত্তম বিকল্প দিতে সচেষ্ট হোন। সমস্যার সমাধানে মনোনিবেশ করুন, সর্বোত্তম বিকল্প দিন। স্বার্থসন্ধানী, লোভী, ষড়যন্ত্রকারীদের ক্ষমতা হ্রাস করুন। বহুমুখী যোগ্যতা ও সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের যত্নটা ব্যক্তিপর্যায় থেকে শুরু করুন। স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক, সেবামূলক, সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তুলুন। মেধার সুষ্ঠু বিকাশে উপযুক্ত পরিচর্যা করুন। প্রবীণ-বিজ্ঞ-সফলদের কাছ থেকে অনেক কিছুই জানা ও বোঝার সুযোগ তৈরি হতে পারে। সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত যোগাযোগ, প্রশ্ন করা ও উত্তর খোঁজার প্রবণতা জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করবে।

আকর্ষণীয় করে নিজেকে উপস্থাপনার কৌশল আয়ত্ত করুন। পোশাকে-পরিচ্ছদে, কথায়-বার্তায়, লেখায়-বক্তৃতায় সুরুচিশীলতার পরিচয় দিন। আকর্ষণীয় উপস্থাপনার ওপরই অনেক ক্ষেত্রে সাফল্য নির্ভর করে। সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নের শুভ চিন্তা সমাজে সহজেই ছড়ানো সম্ভব লেখালেখির মাধ্যমে। একটি ভালো লেখার প্রভাব পৃথিবী যতদিন টিকে থাকবে ততদিনই ক্রিয়াশীল থাকতে পারে। লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে দিক নিদের্শনা দিতে পারেন চিন্তাশীল, প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন লেখকরা। তাই লেখালেখিতে পারদর্শিতা দরকার। তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জন করুন। কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার করুন।

পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিন, সর্বোত্তম বিকল্প খুঁজুন। যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধির স্বার্থে ইংরেজিতে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হবে; যাতে লেখার মাধ্যমে, বলার মাধ্যমে, প্রযুক্তিকে ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী কর্মপরিসরকে বিস্তৃত করা যায়। ভালো বক্তৃতার শক্তি অনেক। ভালো বলতে পারলে ভালোভাবে উপস্থাপন করা যায়, কার্যকর যোগাযোগ করা যায়, জনমত গঠন করা যায়, ক্যারিয়ারে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠা যায়, মানুষের কল্যাণে প্রচার-প্রচারণা চালানো যায়, বৃহৎ কোনো উদ্যোগ  বাস্তবায়ন করা যায়, নেতৃত্ব দেয়া যায়, সফলতার স্বর্ণালি দিগন্ত উন্মোচন করা যায়, একসাথে অনেককে অনুপ্রাণিত-উৎসাহিত-অবহিত-উত্তেজিত করা যায়। একজন ভালো বক্তা  অনেক ক্ষেত্রেই ভালো ভূমিকা রাখতে পারেন।

সমন্বিত প্রয়াস

দেশ-জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করতে চাইলে সম্মিলিত বৃহৎ উদ্যোগ বেশি সুফল বয়ে আনতে পারে। স্বপ্নের জগৎ তৈরির ইচ্ছা-আগ্রহ, বিবেক-আবেগ-অনুভূতির তাড়না ও বিক্ষিপ্ত চিন্তার চেয়ে সমন্বিত প্রয়াস বিদ্যমান সমস্যার সমাধান  ও সংকট নিরসনে বেশি কার্যকর। অন্যকে স্বমতে আনার যোগ্যতা অর্জন করা প্রয়োজন; এক্ষেত্রে জ্ঞান ও সাহসের বিকল্প নেই। বুদ্ধিমান ভীরু তুলনামূলক কম জ্ঞানী সাহসী ব্যক্তিত্বের কাছে যেকোনো প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ধরাশায়ী হতে পারে। সৃষ্টির সেবায় আত্মনিয়োগ করার মতো মহৎকার্য সাধনে অনেক বড় কাজ একাকী করা যায় না।

যৌথ প্রচেষ্টায় অনেকক্ষেত্রে যা সহজ, একক প্রচেষ্টায় তা অসম্ভবই বটে। পারস্পরিক আলাপচারিতায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেয়া বক্তব্যে আবেগই অযৌক্তিক বিষয়ের অবতারণা ঘটায়। সেজন্যে সচেতন থাকতে হবে। কারো দুর্বলতা জেনে দুর্বল পয়েন্টে আঘাত করে ঘায়েল করার প্রয়াস চালানো যাবে না। ঘটনা প্রত্যক্ষ করার জন্য দুটো চক্ষুই যথেষ্ট। ঘটনা উপলব্ধির জন্য প্রয়োজন সচেতন মনের। আর তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও বিচার  বিশ্লেষণে প্রয়োজন জাগ্রত বিবেক।

অজানাকে জানা

দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করতে চাইলে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ, সমাজের বিশেষ সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলোকে বুঝতে হবে। নতুবা ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে, যা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মানুষের যে জ্ঞান হয়, পড়ে-শুনে কিংবা কোনো মাধ্যমে দেখে সেরকম হবে না। দেশ-বিদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য জানার জন্যে দর্শনীয় নানা স্পটগুলো ঘুরে দেখুন, বিভিন্ন মানুষের সাথে মিশুন, সমাজ ও সংস্কৃতি দেখুন; মানব সমাজের বৈচিত্র্যকে উপলব্ধি করতে পারবেন। অজানাকে জানার মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন সভা, সেমিনারে অংশগ্রহণ, লাইব্রেরিতে বসে অধ্যয়ন ও ইন্টারনেট ব্যবহারই যথেষ্ট নয়। অচেনাকে চেনার জন্য ভ্রমণ করুন। এতে জ্ঞানপিপাসু মন তৃপ্ত হবে, মানসিক প্রশান্তি লাভ হবে।

নিজেকে বিশ্ব নাগরিক ভাবুন; প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিন। মনে রাখবেন- না জেনে না বুঝে কারো ভালো করতে চাইলেও ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই যদি দেশ, দেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে কিছু করতে চান তবে দেশের মাটি ও মানুষ, সমাজ-সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও আবেগ-অনুভূতিকে গভীরভাবে উপলব্ধি করুন। ভৌগোলিক কোনো সীমানার মধ্যে নিজেকে বন্দী করে রাখা ঠিক না। চিন্তা, কর্মপরিসর, বিস্তৃতি বিশ্বব্যাপীই প্রসারিত করতে হলে গড়ে তুলতে হবে বিশ্বমানের উপযোগী যোগ্য করে।

যোগাযোগ

আমরা জীবনের বাঁকে বাঁকে অনেকের সংস্পর্শে আসি। অনেকের ফোন, ফ্যাক্স, ইমেইল, সেলফোন নং কিংবা স্থায়ী- অস্থায়ী ঠিকানা সংগ্রহে না থাকার কারণে পরবর্তীতে যোগাযোগ সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে পরিচিতদের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা সংরক্ষণে ডায়েরি ব্যবহার করতে পারেন। ভিজিটিং কার্ডগুলো অ্যালবামে সংরক্ষণ করতে পারেন। জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী, জাতীয় ও ধর্মীয়  বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো, আমন্ত্রণ জানানো, বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে পারেন। ডাক, মোবাইল, ফোন, ফ্যাক্স, কুরিয়ার, ইন্টারনেট, সংবাদপত্র  ও মিডিয়া চ্যানেলকে প্রয়োজনে ব্যবহার করুন। ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তা ও কাজে অনেকেই সহজে আকৃষ্ট হয়। মানুষ নতুনত্বের সন্ধানী। তাই ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তা ও কাজ বৃদ্ধি করুন। ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে গণযোগাযোগে পারদর্শী হোন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করুন।

যোগাযোগের স্কিল ভালো থাকলে নতুন নতুন কৌশলে প্রচার করে -প্রসার ঘটাতে ও নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে পারবেন। রক্তের সম্পর্ক, এলাকার সম্পর্ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক, কর্মক্ষেত্রের সম্পর্ক, খেলার মাঠের সম্পর্কসহ বিভিন্ন সম্পর্কের বন্ধনে তৈরি দাবি ও অধিকারকে কাজে লাগিয়ে কিছু করার জন্য প্রয়োজন তীক্ষè বুদ্ধির, যোগাযোগ রক্ষা করার মতো ধৈর্যের, উদার মানসিকতার, প্রয়োজনীয় উপায়-উপকরণের। কেউ প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করে এগিয়ে যাবে, কেউ প্রযুক্তি ব্যবহার না করায় পিছিয়ে পড়বে আবার কেউ প্রযুক্তির অপব্যবহার করে ধ্বংস হয়ে যাবে।

সংরক্ষণ

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার জন্য হলেও স্বীকৃতি, সম্মাননা, পুরস্কার অর্জনসহ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ নানান মুহূর্তগুলোর ছবি-ভিডিও-অডিও সংরক্ষণ করা যেতে পারে। একজনের সাফল্য আরেকজনকে আরো বড় সফলতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করতেই পারে। ছবির অ্যালবাম সমৃদ্ধের পাশাপাশি অটোগ্রাফ নেবার জন্যেও আলাদা নোটবুক ব্যবহার করা যেতে পারে।

একটি সুন্দর কথা, পরামর্শ একটি জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। জীবন ডায়রিতে প্রয়োজনীয় কিছু  লেখা, আলোচনা-বক্তৃতা রেকর্ড বা নোট করে রাখা পরবর্তীতে মানসিক তৃপ্তির পাশাপাশি ব্যক্তির উন্নতি করে; ব্যক্তিকে উদ্যমী ও আগ্রহী করে। তত্ত্ব ও তথ্যের জগতের এমন অনেক বিষয় দেখি ও  শুনি যা গুরুত্বপূর্ণ হলেও  সংরক্ষণ না করায় প্রয়োজনের সময় আর খুঁজে পাওয়া যায় না। দ্বিতীয়বার জীবনে আর হারানো সুযোগটি নাও আসতে পারে। তাই কলম ও নোট বুক সাথে রেখে প্রয়োজনে  নোট নিতে হবে।

যারা ঘটনার মহানায়ক রূপে আবির্ভূত হন, বড়মাপের মানুষ হন তারা জীবনের নানা ঘটনা, চারপাশের বাস্তবতা এবং জীবন ও জগৎ থেকে অর্জিত শিক্ষা ও অভিজ্ঞতাকে লিখতে পছন্দ করেন। যা থেকে পরবর্তী প্রজন্ম শিক্ষা নিতে পারে। সিদ্ধান্ত-স্বপ্ন, চিন্তা ও পরামর্শ লিখে রাখলে তা নিজেকেও অনুপ্রাণিত করতে পারে।

সামাজিক কাজ

সমাজ কল্যাণমূলক ও সেবামূলক কাজকে গুরুত্ব দিন। স্বার্থচিন্তায় বিভোর মানুষের সংখ্যা যত বাড়বে পৃথিবীতে শান্তি ততই কমবে। সমাজে গঠনমূলক ও কল্যাণকর চিন্তার প্রকাশ ও অবাধ সুযোগ থাকতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে হলেও পরের কল্যাণে  ও সমাজ উন্নয়নে কাজ করুন। দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত হোন। ভালোকাজে ব্যস্ত থাকলে অপরাধপ্রবণতা কমবে, উদ্ভাবনী শক্তি ও সৃজনশীল চিন্তার বিকাশ ঘটবে। সঠিক পরিকল্পনা ও শক্তিশালী কর্মপ্রচেষ্টায় কঠিন কাজ ও সহজ হয়ে ওঠে।

মানবপ্রেম মানুষের বড় গুণ। মানবিকতা ও মনুষ্যত্ববোধই মানবসেবার মহৎ গুণটির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সত্যিকারে ভালোবাসিতো তাকেই যার প্রতিক্ষণের আনন্দ মানসিক প্রশান্তি ও তৃপ্তিতে ভরিয়ে তুলে। যার সামান্য দুঃখ বেদনায়ও হৃদয়ে কষ্টানুভূত হয় সেইতো প্রিয়জন; যার ঘৃণা বা বিরক্তির চেয়ে সহানুভূতি ও সহমর্মিতা বেশি শক্তিশালী।  ভালোবাসার আবেগ ও অনুভূতি ছড়িয়ে পড়তে হবে বিস্তৃত পরিসরে, সকল মানুষের মাঝে। একজনের একটু গোমড়া মুখ দেখে খাওয়া, ঘুম সব হারাম হয়ে যায়, আরেকজনের জীবন বিপন্ন দেখলেও মন কেঁদে ওঠে না।  এতো স্বার্থপর, পশুর চেয়েও নিৎকৃষ্ট, মানবজাতির কলঙ্ক। নীল আকাশের বড়ত্ব, মহাসাগরের বিশালতা, প্রকৃতির উদারতাও যাকে ক্ষুদ্র চিন্তায় বিভোর রাখে সে সত্যিই হতভাগা!

পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার মানুষের সাথে মিশলে তাদের স্বভাব, প্রকৃতি, চাহিদা সম্পর্কিত ধারণা অর্জন করা যাবে।  পুঁথিগত বিদ্যা দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে আয় রোজগার করে জীবন চালানো যায় প্রকৃত জ্ঞান লাভ হয় না।  প্রকৃত জ্ঞানী হিসাবে নিজেকে গড়ার জন্য জানতে হবে, বুঝতে হবে,  সমৃদ্ধ করতে হবে।

আত্মগঠন

জাতিগঠনে বক্তিগঠনের কোনো বিকল্প নেই। সুনাগরিক করে গড়ে তুলতে দরকার পরিকল্পনা ও কার্যকর পদক্ষেপ। শারীরিক অসুস্থতা, মানসিকভাবে দুর্বল, জ্ঞানগত ক্ষেত্রে পশ্চাৎপদ, অলসতা ও আরামপ্রিয়তা অনাকাক্সিক্ষত। ভোগবাদী-স্বার্থপর চিন্তা নয়, ত্যাগের মানসিকতা বৃদ্ধি করুন। যদি সবাই  শিক্ষিত হয়, সুস্থ-সবল ও কর্মক্ষম হয়, হিংসা-বিদ্বেষ-সংকীর্ণতামুক্ত হয়, নিজের জীবন ও জগৎ সম্পর্কে সচেতন হয় তবে ব্যক্তিকপর্যায়ের এই উন্নতির ফলাফল বৃহত্তর পর্যায়েও পড়বে।

প্রত্যেকে বছরে ৩টি করে গাছ লাগালে কত কোটি বৃক্ষ রোপণ হবে!  শিক্ষিতরা যদি বছরে প্রত্যেকে ১ জন করে নিরক্ষরকে অক্ষরজ্ঞানদান করার দায়িত্ব নেন, তবে নিরক্ষর আর থাকে না। প্রতিটি সচ্ছল পরিবার যদি বৎসরে একটি অসচ্ছল পরিবারকে নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে স্বাবলম্বী করেন তবে ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে চলার মতো পরিবার থাকবে না।

সম্পদ থেকে যেমন দান-খয়রাত-যাকাত দিতে হয়; শিক্ষা-জ্ঞান অর্জন করলেও নিঃস্বার্থভাবে তা অন্যকে বিলাতে হয়। নিজের সুস্থ থাকাটাই অসুস্থের সেবা করার প্রেরণা হওয়া উচিত। তা হলে আপনি একান্ত নিজের জন্য কিছু করবেন, পরিবারের জন্য কিছু দায়িত্ব পালন করবেন; আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধব ও পাড়া-প্রতিবেশীর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তব্য পালন করবেন।

বাস্তবতা

জীবন বাঁচাতে, বেড়ে উঠতে বাতাস-পানি-আলো সরবরাহকারী প্রকৃতি-পরিবেশের প্রতিও দায়িত্ব রয়েছে।  প্রত্যেকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, অন্ন, বস্ত্র, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পরিবার, সমাজ, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র সবারই কম-বেশি দায়িত্ব রয়েছে।  প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করলেই উন্নয়ন হয়। নিজেকে সময়োপযোগী করে গড়ে তুলুন। ‘যোগ্য একক ব্যক্তির’ পরিপূরক কখনই দশকোটি অযোগ্য ব্যক্তিও হতে পারে না।

তীব্র অনভূতিশীল চেতন হৃদয়েই ইতিবাচক পরিবর্তন দ্রুত সম্ভব। প্রতিভাবানের ক্ষিপ্রতা সাধারণের কাছেই পাগলামো মনে হয়ে। গুণমানহীন শিক্ষা প্রতিভা ধ্বংস করে, বেকার সৃষ্টি করে, মানব সম্পদ নষ্ট করে। অযোগ্যের জন্য যোগ্য মানুষের অধীনতা অবশ্যম্ভাবী বাস্তবতা। যোগ্যতায় অনগ্রসর হয়ে চেতনায় অগ্রসর হওয়া অকার্যকর। অজ্ঞতা খুবই বিপজ্জনক। ধর্ম বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে না, কিছু মানুষই বিভ্রান্তিকে বৈধতা দিতে ধর্মের আশ্রয় নেয়। সরল চিন্তার দর্পণে জটিল বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটা অসম্ভব।

মনোযোগ

প্রয়োজনীয় কাজে নিজেকে আগ্রহী করে তোলা এবং সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করতে হবে। এটা অভ্যাস হয়ে গেলেই দেখবেন যে আর চেষ্টা করার দরকার হচ্ছে না। ব্যাপারটা আপন আপনিই ঘটে যাবে। মনে রাখার জন্য প্রয়োজন আগ্রহ আর পরিশ্রম। একাগ্রতা হলো মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা। একাগ্রতা অভ্যাসের বিষয়। মানুষ যা পছন্দ করে তাতে সহজেই মন দিতে পারে। এর জন্য প্রধানত প্রয়োজন মনোযোগের বিষয়কে মনোগ্রাহী করে তোলা। টিভি দেখা বা গান শোনার ক্ষেত্রে লাগে নিস্ক্রিয় মনোযোগ। কিন্তু বই পড়ার জন্য প্রয়োজন সক্রিয় মস্তিষ্কের ব্যবহার।

স্বাভাবিক মানুষের একাগ্রতা বাড়ানোর উপায়-বহিরাগত বিষয়গুলোকে হতে হবে চমকপ্রদ। অন্তর্গত বিষয়ের প্রতি ভালোবাসা আগ্রহ তৈরি করুন। আগ্রহের বদলে একাগ্রতা আনতে পারে প্রয়োজনবোধও। বড়দের ক্ষেত্রে অনেক সময় একাগ্রতার পেছনে আগ্রহের বদলে প্রয়োজনবোধই অধিক ক্রিয়াশীল। পড়াশুনায় একাগ্রতা বাড়াতে- লেখার ও ভালো বই পড়ার অভ্যাস করুন। আর কাজের একাগ্রতা বাড়াতে-নিজের দুর্বলতা খুঁজে বের করা, আবেগ দূরে সরিয়ে কাজ করা, উদ্বেগও টেনশন মুক্ত থাকা, কাজের পরিমাণের চেয়ে তার মানকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। একাগ্রতা বাড়ানো একদিনে সম্ভব নয়; দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা দরকার।  প্রয়োজনীয় কাজে মনোযোগী হতে হবে।

উন্নয়ন

উন্নয়নের অন্যতম বিবেচনার বিষয় হলো মানবিক ক্ষেত্র। উন্নয়নে ব্যক্তিগঠন ও সম্মিলিত প্রয়াসের কোনো বিকল্প নেই। জীবনের লক্ষ্যে ভিন্নতা ব্যক্তির চিন্তায়-মননে-কাজ-কর্মে ভিন্নতা আনে। যারা স্বকীয়তা ও ব্যক্তিত্ব প্রমাণ করতে পারেন তারাই বড় হন। টার্গেটে পৌঁছতে  হলে নিজেকে প্রস্তুুত করার সিদ্ধান্ত নেয়া ও পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়নে চেষ্টা করতে হয়, মানসিক প্রস্তুতি নিতে হয়। সমস্যায় সাফল্য লাভের উপযুক্তরা ঘাবড়ে যায় না।

পৃথিবীতে কয়েক ধরনের মানুষ আছে। কিছু মানুষ আছে যারা তার আত্মপরিচয়ই জানে না, নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন, এরা অজ্ঞ। কিছু মানুষ নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে জানে, আত্মপরিচয় সংকট নেই, তবে কিভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবে তার কৌশল, পদ্ধতি জানে না; ফলে এরা নিস্ক্রিয় ভূমিকা রাখে। কিছু মানুষ কৌশল জানে এবং মানে এরাই সত্যিকারের সৌভাগ্যবান, সাফল্যলাভকারী। আর কিছু মানুষ কৌশল জেনেও মানে না এরা জ্ঞানপাপী। কে কোন ধরনে নিজেকে ফেলবে সেটা তার ইচ্ছা ও প্রচেষ্টার উপরেই নির্ভরশীল।

সফলতা

সফলতা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সাফল্যের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। সফল হতে চাই লক্ষ্য, চাই উদ্দেশ্য, চাই তীব্র আকাক্সক্ষা। স্বপ্ন ও সম্ভাবনায় বিশ্বাস, আশাবাদী মনোভাব, পরিকল্পনা, বদলে দেয়ার ইচ্ছা ও স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার আকাক্সক্ষা। একটি অবিচলিত স্বভাব ও ধৈর্য রসবোধ ও সুখের অন্বেষণে খুব মূল্যবান। যেখানে সুখ আছে সেখানে সুখ বিকশিত হয়। চাপ-হতাশা-বিষাদের পরিবেশে ভালোবাসা দ্রুত শুকিয়ে যায়।

নিরাশাবাদী লোক অন্যেরও ক্ষতির কারণ হয়। তাই আশাবাদী মনোভাব থাকা প্রয়োজন। যেকোনো শুভ উদ্যোগকে স্বাগত জানানোতেই সুন্দর মনের পরিচয়। মহৎ উদ্দেশ্যে কাজ করার মধ্যেই সত্যিকারের মানসিক প্রশান্তি লাভ সম্ভব। কোনো কাজে সফল হতে হলে সে কাজকে ভালোবাসা গুরুত্বপূর্ণ। যার মন সুন্দর, তার চিন্তা সুন্দর। যার চিন্তা সুন্দর তার আচরণ ও কাজকর্মও সুন্দর হয়।

মনের চোখ শক্তিশালী না হলে কোনো দেখাই পরিপূর্ণ হয় না। ক্ষুদ্র মনের মানুষ মহৎ ব্যক্তির বৃহৎ আয়োজনেরও ইতিবাচক কোনো অর্থ খুঁজে পায় না। তাই তো সুন্দর মনের মানুষ ছাড়া সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব।  অসুন্দর মন কোনো কিছুতেই সুন্দরের দেখা পায় না। মনের সমৃদ্ধিই শ্রেষ্ঠতম সফলতার নির্ধারক।  মনকে সুন্দর বানান, জীবনটা সুন্দর ও সার্থক হবে।

নিজ দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হোন। সফলতার জন্য সঠিক পতে চেষ্টা ও পরিশ্রম করুন, কল্যাণের পথে থেকে মঙ্গল হাসিলের সাধনা করুন। নিজেদেরকে দুর্বল ও পরমুখাপেক্ষী মনে করে বক্রপথে চলবেন না। নিজের অবস্থার পরিবর্তনের জন্য নিজেই উদ্যোগী হোন, সিদ্ধান্ত নিন। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালান। নিজের ইতিবাচক পরিবর্তন নিজে না চাইলে  সবাই মিলে চেষ্টা করলেও আভ্যন্তরীণ পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই পাবেন যতটুকু আশা করবেন।

সর্বোচ্চ ততটুকুই করতে পারবেন, যতটুকু করার ক্ষমতা আছে বলে বিশ্বাস করবেন। যে যা পেতে চেষ্টা করে সে তাই পায়। পাওয়ার পরিমাণটা নির্ভর করে পরিশ্রমপ্রিয় মানসিকতা ও চেষ্টার উপর। ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থ হাসিলের সংকীর্ণ মানসিকতা নয় বরং মানবতা ও মনুষ্যত্বের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণই সৌভাগ্যবান। যে জীবন মানুষের কল্যাণে ব্যয় হয় না, মানবতার উপকারে আসে না; বৃথা সেই জীবন।

বিশ্বাস

দুশ্চিন্তাপ্রসূত ভালোবাসা একটা বিশেষ আকারের কাঁটার মতো। আপনি যত সেটা টেনে তুলতে চেষ্টা করেন তত গভীরভাবে সেটা আপনার মাংসের মধ্যে ঢুকে যায়। বিশ্বাস এক রকম হলে ভালোবাসা সংহত ও শক্তিশালী হয়। বিশ্বাসের অংশীদার সঙ্গীর জন্য একটা স্থায়ী আবেগদীপ্ত অনুভূতি পোষণ করা সম্ভব। দুশ্চিন্তা কখনোই নয়।

ধৈর্য সহকারে ও নিরন্তর প্রয়াসের মাধ্যমে চূড়ান্ত উৎকর্ষের কাছাকাছি পৌঁছার চেষ্টা করতে হবে। আইডিয়ার প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন, কখনোই অপরকে অন্যকে তুচ্ছ জ্ঞান করবেন না। অভিজ্ঞতা তখনই মূল্যবান হয় যখন তা দুঃখ-কষ্টের ভেতর দিয়ে অর্জিত হয়; যখন দুঃখ-কষ্ট দেহ ও মনের ওপরই ছাপ রেখে যায়। কারো ভালো ব্যবহারের প্রতিদানে খারাপ ব্যবহার করা নিকৃষ্ট কাজ।

কারো আচার-আচরণ দেখেই তার নিন্দা করা, যাচাই-বাচাই না করে বিশ্বাস করা, ত্রুটি খোঁজা, দুর্বলতা পেলেই সমালোচনা করা অযৌক্তিক। বিশেষ কোনো একটি আচরণ দেখে কাউকে যিনি ঘৃণা-উপহাস করছেন, সে তো সমালোচকের চেয়েও অনেক দিক থেকে ভালো মানুষ হতে পারে। কেউতো অন্যের সব গুণ জানে না, ভেতরের সবটুকু উপলব্ধি করতে পারে না; তাই নিজের সীমাবদ্ধতা বুঝুন, অপরকে প্রাপ্য সম্মান দিন।

মানবসম্পদ

শিশু-কিশোরদের মেধা, মননশীলতা, প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে হবে। শিক্ষা-দীক্ষায়, চিন্তা- চেতনায়, উন্নত ও জ্ঞানী করে গড়ে তুলতে হবে। আজকের শিশুটি যদি তার মেধা ও বুদ্ধির বিকাশের সুযোগ না পায়, তবে সেটি হতে পারে জাতির জন্য বড় ধরণের বিপর্যয়ের কারণ। জ্ঞানের আলোকে আলোকিত হলে আজকের শিশুটিই একদিন হয়তো মাহাথির মুহাম্মদের মত রাষ্ট্রনায়ক, এ আর খানের মতো বড় ডাক্তার,বরেণ্য ইঞ্জিনিয়ার, স্বনামধন্য গবেষক, বিশ^মানের সাহিত্যিক, জগদ্বিখ্যাত চিন্তাবিদ, ইউনূসের মতো নোবেল বিজয়ী হবে। এরকম একজন মানুষ একটা জাতির জন্য বড় পাওয়া।  অকালে হারিয়ে যাওয়া মেধা, প্রতিভার অপমৃত্যুতে দেশ, জাতি তথা বিশ্বমানবতা বঞ্চিত হয়। প্রত্যেকটি শিশু কিশোরই সম্ভাবনাময়; তাদের যত্ন নিতে হবে।  উপযুক্ত পরিবেশ, সুযোগ, সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

অন্যের  উন্নতি অগ্রগতি নিশ্চিত করুন, আপনারও কল্যাণ ও মঙ্গল হাসিল হবে। শিক্ষালাভের সুযোগ নিশ্চিত করুন, যোগ্য-দক্ষ-মানসম্মত নাগরিক তৈরি হবে। শারীরিক শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারই যথেষ্ট নয়;  বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তি, চিন্তা শক্তি ও মনন শক্তির যথাযথ ব্যবহার করুন। তাদের রয়েছে সুন্দরভাবে বাঁচার অধিকার। শুধু পেটসর্বস্ব জীবের মতো মানুষের পশুর সাথে পার্থক্য শুধু আকৃতিগত।

শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে শুধু উদরপূর্তির ব্যবস্থাটুকু করে ক্ষান্ত হয় যে মানুষ, সে পশুর স্তরে নেমে যায়। জীবনের বিনিময়ে যারা জীবিকা কেনে; বেশি দামে বিক্রি হলেই তাকে বেশি মূল্যবান মনে করে তারা। ক্ষুধা নিবারণের মাধ্যমে বেঁচে থাকা ও যৌন সম্পর্কে বংশ বিস্তার সম্ভব। তবে এভাবে বেঁচে থাকাকে মানুষের মতো বেঁচে থাকা বলে না। একজন মানুষের ধ্যান-জ্ঞান-চিন্তা-কর্ম যদি জীবিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে তবে সে পশুদের মতই। মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব বুদ্ধিতে, চিন্তায়, বিবেক ও জ্ঞানে। কিন্তু যদি চিন্তাশক্তি বা বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তিকে ব্যবহার না করা হয়, তবে তো সে জীবন বৃথা।

সমাজে পরিবর্তন আনয়ন

ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রথম সমাবর্তনে বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, ‘মোবাইলের এই যুগে একসঙ্গে একাধিক জনের সঙ্গে প্রেমের প্রবণতা বেড়েছে। এর পরিণাম খুব ভয়াবহ হচ্ছে, বিয়ে বিচ্ছেদ অনেক বেড়ে যাচ্ছে।  মোবাইলে একজনের লগে প্রেম কইরা ১৫ দিন পরে আরেকজনের লগে কর, এটা করা ঠিক নয়। এসব কারণে ডিভোর্স বেশি হচ্ছে। একটা বাচ্চা হওয়ার পরও ডিভোর্স হচ্ছে। তাহলে এই বাচ্চাটার পরিণতি কী? তাকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছি? খুব দুঃখজনক। আমাদের কালচারে এমন হওয়ার কথা নয়। আমাদের কৃষ্টিতে এমন হওয়ার কথা নয়। এখন অহরহ হচ্ছে। একে গুরুতর সামাজিক অবক্ষয়। এটা দূর করতে হবে। এর বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। যারা এমন করে তাদের এ্যাভয়েড করতে হবে।  হাতে হাতে স্মার্টফোন আসায় এখন যেকোনো ঘটনায় সমস্যার সমাধানের দিকে না গিয়ে ঢালাওভাবে ভিডিও করার প্রবণতা মারাত্মক।

আমরা দেখেছি, রাস্তায় একটা গাড়ি এক্সিডেন্ট করল। আমরা হয়ত দাঁড়িয়ে আছি বা গাড়িতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ল, আমরা গাড়ি থেকে নেমে বাঁচানোর জন্য গিয়েছি। এখন হোন্ডা যখন এক্সিডেন্ট করে তখন আগে ভিডিও করে। কেমনে পড়ল সেইডা ভিডিও করে, তাকে বাঁচাবে, সাহায্য করবে, তার মধ্যে নেই। এই কয়দিন আগে বনানীতে আগুন লাগল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেতেই পারে না, পাবলিকের ভিড়। সবাই ভিডিও করছে। হোয়াট ননসেন্স। এ ধরনের মানসিকতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। ফাস্টফুড ও কোমল পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া ও জ্ঞানার্জনের স্থান, টাকাপয়সা রোজগারের জায়গা নয়।

মা-বাবা অনেক কষ্ট করে তোমাদের লেখাপড়ার খরচ জোগায়। তাই খেয়ালের বশে বা লোভ-লালসায় পড়ে নিজেদের জীবন নষ্ট করবে না। পরিবার, সমাজ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে নিযুক্ত করো। কখনো অর্জিত ডিগ্রির মর্যাদা, ব্যক্তিগত সম্মানবোধ ও নৈতিকতাকে ভূলুণ্ঠিত করবে না। অতীতকে মনে রেখে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখবে। জীবনের চড়াই-উতরাই পথে হতাশ হবে না; বরং সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করবে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রেরণামূলক প্রচার চালিয়ে সমাজে পরিবর্তন আনতে হবে, না হলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।’

 

 

About পরিবার.নেট

পরিবার বিষয়ক অনলাইন ম্যাগাজিন ‘পরিবার ডটনেট’ এর যাত্রা শুরু ২০১৭ সালে। পরিবার ডটনেট এর উদ্দেশ্য পরিবারকে সময় দান, পরিবারের যত্ন নেয়া, পারস্পরিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করা, পারিবারিক পর্যায়েই বহুবিধ সমস্যা সমাধানের মানসিকতা তৈরি করে সমাজকে সুন্দর করার ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পরিবার ডটনেট চায়- পারিবারিক সম্পর্কগুলো হবে মজবুত, জীবনে বজায় থাকবে সুষ্ঠুতা, ঘরে ঘরে জ্বলবে আশার আলো, শান্তিময় হবে প্রতিটি গৃহ, প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের মানবিক মান-মর্যাদা-সুখ নিশ্চিত হবে । আগ্রহী যে কেউ পরিবার ডটনেট এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ যেকোনো বিষয়ে লেখা ছাড়াও পাঠাতে পারেন ছবি, ভিডিও ও কার্টুন। নিজের শখ-স্বপ্ন-অনুভূতি-অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দিতে পারেন সবার মাঝে। কনটেন্টের সাথে আপনার নাম-পরিচয়-ছবিও পাঠাবেন। ইমেইল: poribar.net@gmail.com

View all posts by পরিবার.নেট →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *