ঘৃণিত অভ্যাস বিশ্বাসঘাতকতা। কুখ্যাত ষড়যন্ত্রকারী ও জঘন্য বিশ্বাসঘাতকরা ইতিহাসের নর্দমায় নিক্ষিপ্ত হন, মৃত্যুর পর কাক পক্ষীও তাদের নাম উচ্চারণ করে না। পলাশি যুদ্ধের বিশ্বাসঘাতকদের কেউই ভালোভাবে মৃত্যৃবরণ করতে পারেনি। তাদের পরিণতি হয়েছে খুবই ভয়াবহ, করুণ ও মর্মান্তিক। আসলে ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতার পরিণাম কখনোই শুভ হয় না, তাদের স্থান হয় ইতিহাসের আস্তাকুড়ে।
প্রধান সেনাপতি মীর জাফর অল্প বয়সী সিরাজউদ্দৌলাকে জাহাপনা বলে কুর্নিশ করাকে আত্মমর্যাদা হানিকর মনে করতেন আর সাদা চামড়ার লর্ড ক্লাইভদের প্রশংসায় গদগদ হয়ে মসনদ দিয়েছেন। শেষ জীবনে করুণ পরিণতি হয়েছে নবাবের নিকটাত্মীয় মীর জাফরের, জামাতা মীর কাসেমের কাছে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, দুরারোগ্য কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। কপালে কবর জোটেনি নবাবের আপন খালা ঘসেটি বেগমের, মিরনের নির্দেশে নৌকা ডুবিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
জগৎ শেঠকে দূর্গের চূড়া থেকে গঙ্গায় নিক্ষেপ করা হয়। মহারাজা স্বরূপচাঁদকে মীর কাসেম হত্যা করে। রায় দূর্লভ কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। রবার্ট ক্লাইভ কর্তৃক প্রতারিত হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং উন্মাদ অবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে উমিচাঁদের মৃত্যু ঘটে। রাজা রাজবল্লভ পদ্মায় ডুবে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। মীর জাফরকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখলকারী মীর কাসেম বকসারের যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পালিয়ে বেড়ান এবং অজ্ঞাতনামা অবস্থায় দিল্লীতে তার করুণ মৃত্যু ঘটে।
ইয়ার লতিফ খান যুদ্ধের পর হঠাৎ করে নিরুদ্দিষ্ট হয়ে যান, তিনি গুপ্তহত্যার শিকর হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। তহবিল তছরুপ ও অন্যান্য অভিযোগের বিচারে মহারাজা নন্দকুমারের ফাঁসিকাষ্ঠে মৃত্যু হয়েছিল। ইংরেজদের নির্দেশে মীর জাফরের বড় ছেলে অসংখ্য কুকর্মের নায়ক মিরনকে হত্যা করে মেজর ওয়ালস। দুই রাকাত সালাত আদায়ের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে নবাব সিরাজকে নির্মমভাবে হত্যাকারী মুহাম্মদী বেগ কূপে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুবরণ করে। নবাব সিরাজকে ধরিয়ে দেয়া ফকির দানিশ শাহ বা দানা শাহর মৃত্যু ঘটেছিল বিষাক্ত সাপের কামড়ে। রবার্ট ক্লাইভ দেশে ফিরে গিয়ে একদিন বাথরুমে ঢুকে নিজের গলায় নিজের হাতেই ক্ষুর চালিয়ে আত্মহত্যা করে। বাংলার বিপুল সম্পদ চুরি করে বিলেতে যাবার সময় জাহাজডুবে স্ক্রাফটনের অকাল মৃত্যু ঘটে।ওয়াটসনের ক্রমাগত স্বাস্থ্যহানী হলে কোনো ওষুধেই ফল না পেয়ে কলকাতাতেই করুণ মৃত্যু হয়।
শত্রু বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না, বিশ্বাসঘাতক হয় কাছের মানুষরাই! ফাঁসির পর সাদ্দাম হোসেনের লাশের ওপরে থুতু ছিটিয়েছিল ইরাকের নাগরিকরাই। সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজ আলিঙ্গন করার উদ্দেশ্যে দু হাত বাড়িয়ে দেয়ার প্রতিউত্তরে হঠাৎই পকেট থেকে রিভলবার বের করে পরপর তিনটা গুলি করেন সৎ ভাইয়ের ছেলে ফয়সাল বিন মুসাইদ। শেষ পর্যন্ত বাদশাহ ফয়সালকে হত্যকাণ্ডের দায়ে জনসমক্ষে শিরোশ্ছেদে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। জীবনের সব চাইতে বড় শত্রু থাকে সব থেকে কাছের বন্ধুর মতো করে।যার উপর বিশ্বাস করেছিলেন সেই যখন নিজ স্বার্থে ঘাতক হয়ে ওঠে তখনই ঘটে বিশ্বাসঘাতকতা।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের ভেতরেই একটি উদ্যান পথে হেঁটে যাওয়ার সময় ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর সকালে ভারতের তৃতীয় এবং প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধীর মৃত্যু হয়েছিল নিজেরই দুই দেহরক্ষী সতওয়ান্ত সিং ও বেয়ান্ত সিংয়ের গুলিতে। তামিলনাড়ুতে একটি নির্বাচনী জনসভায় লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলম (এলটিটিই) জঙ্গির আক্রমণে নিহত হন ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধী। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি ভারতের জাতির জনক এবং অহিংস আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে রাত্রিকালীন পথসভায় গুলি করে হত্যাকারী নথুরাম গডসের মৃত্যুদণ্ড ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কার্যকর করা হয়।
নরোয়েজিয়ান সেনা কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ ভিদকুন আব্রাহাম লাউরিটজ জনসন কুইজলিং জার্মানদের নরওয়ে দখলের জন্য যাবতীয় সামরিক তথ্য হিটলারের কাছে পাচার করেন, অনেক ইহুদীদের অবস্থান নাৎসিদের জানান। পুরস্কার হিসেবে হিটলার তাকে দখলকৃত নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী বানান। ১৯৪৫ সালে জার্মানদের আত্মসমর্পণের পরে নরওয়ের জনগণ তাকে বিচারের সম্মুখীন করে, বন্দী অবস্থায় কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এবং ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কুখ্যাত বেইমান মার্কাস জুনিয়াস ব্রুটাস ছিলেন ইতালির রোমের জেনারেল এবং তৎকালীন নগর রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক জুলিয়াস সিজারের প্রথম জীবনের বন্ধু এবং অনুগ্রহ গ্রহণকারী। অথচ খ্রিস্টপূর্ব ৪৪ শতকে জুলিয়াস সিজারকে হত্যায় অংশ নেন ব্রুটাস, যা ছুরিকাঘাতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরতে থাকা সিজারকে হতবাক ও ব্যথিত করেছিল। ব্রুটাসের মুখের পর্দা সরে গেলে সিজার তাকে দেখে বলে Et tu, Brute? অর্থাৎ ব্রুটাস তুমিও!!
মরক্কোতে জন্মগ্রহণকারী জন ক্রসম্যান নামে পরিচিত মার্ডেচাই ভান্নু গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ইসরাইলের পারমাণবিক প্রকল্পের ৫৭টি ছবি ও তথ্য এক মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে লন্ডনের সানডে টাইম পত্রিকায় প্রকাশ করেন। মোসাদের মার্কিনি এজেন্ট সুন্দরী চেরিল বেনটভকে সিন্ডির আকর্ষণে আনন্দ ভ্রমণে ইতালি গিয়ে ফাঁদে পড়েন, ইসরাইলে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। শত্রুর সাথে যুদ্ধ করে যতটা না ক্লান্ত বোধ ও ক্ষতি হয়, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয় নিজেদের মধ্যে লোকায়িত মুখোশধারী বন্ধুদের বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে। বিশ্বাসঘাতক হতে পারে সরকার, আবার বিশ্বাসঘাতক হতে পারে জনগণও।
২০০৭ সালে পাকিস্তানের তথা মুসলিম বিশ্বের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো রাওলপিন্ডিতে নির্বাচনী জনসভায় বুলেট প্রুফ গাড়ি থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ার জন্য মাথা বের করলে গুলি করে হত্যা করা হয়। পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে রাওয়ালপিন্ডির কোম্পানিবাগের মুসলিম সিটি লীগের একটি জনসভায় গুলি করে হত্য করে আততায়ী সাদ আকবর বারাক। পুলিশ ঘটনাস্থলেই আততায়ীকে গুলি করে। পাকিস্তানের সেনা শাসক জিয়াউল হক ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ঘাতকের হাতে মৃত্যুবরণ করেছেন।
১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর ডালাসে এক মোটরশোভাযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডি আততায়ী লি হার্ভি অসওয়াল্ডর গুলিতে নিহত হন। ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল গান্ধীর অহিংস আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ কিংবদন্তি আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের মতো মানবতাবাদী নেতার প্রাণ কেড়ে নেয় আততায়ী শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থি যুবক জেমস আর্ল রে-এর বুলেট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম ও রিপাবলিকান পার্টির প্রথম রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিংকন ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল ওয়াশিংটনের ফোর্ড থিয়েটারে নাটক দেখার সময় জন উইলকস বুথ নামের আততায়ীর হাতে নিহত হন। লিংকনের মাথার পেছনে গুলি করে পালিয়ে যান উইলকস।
দু মেয়াদে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী আইজ্যাক রবিনকে ইগল আমির নামে এক উগ্রপন্থি ইহুদি হত্যা করে। দেশটির এক আদালত ইগল আমিরকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন। কানাডিয়ান কনফেডারেশনের জনক থমাস হিউজ ম্যাকগি আততায়ী প্যাট্রিক জে হোয়েলানের হাতের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতে মৃত্যুবরণ করেন। আততায়ীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ফ্রান্সে চিকিৎসারত অবস্থায় ২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর ফিলিস্তিনি মহান নেতা ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুকে এখনও রহস্যজনক মনে করেন ফিলিস্তিনি জনগণ, মোসাদ তাকে শ্লো পয়জনিং করে হত্যা করে বলে দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।
১৯৭৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র মদতপুষ্ট সামরিক রক্তাক্ত ক্যু-এর ফলে চিলির জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত হয়, ডাক্তার সালভেদর আলেন্দেকে হত্যা করা হয়। মিসরের আনোয়ার সাদাতকে হত্যা করা হয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯ তারিখে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সলোমন বন্দরনায়েক তালদুয়ে সোমারামা নামীয় একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর স্বাধীনতার স্থপতি পাত্রিস লুমুম্বাকে ১৯৬০ সালের ডিসেম্বরে গ্রেফতার করা হয়, ১৯৬১ সালের জানুয়ারি মাসের ১৭ তারিখ বন্দী অবস্থায় তাকে হত্যা করা হয়। কিউবার বিপ্লবের অন্যতম মহানায়ক বিপ্লবী আর্নেস্ত চে গুয়েভারাকে ১৯৬৭ সালে সিআইএ আহত অবস্থায় আটক ও ৯ অক্টোবর হত্যা করে।
ইতিহাসের ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক অস্ট্রিয়ার কাউন্টার ইন্টিলেজেন্সীর প্রধান আলফ্রেড রেডের বিশ্বাসঘাতকতার মূল্য দিতে হয়েছিলো অস্ট্রিয়ার ৫ লক্ষ মানুষের জীবন দিয়ে। একজন ডবল এজেন্ট হয়ে গোপনে রাশিয়ার হয়েও কাজ করার কথা প্রকাশের পর আত্মহত্যা করে সে। এফিয়েলটস নামক এক স্পার্টান পার্সীয়ান রাজার সাথে হাত মিলিয়ে পার্সীয়ান সৈন্যদের একটি গোপন পথ দেখিয়ে দিয়ে স্পার্টান যোদ্ধাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় এবং স্পার্টান রাজা লিওনাইডাসসহ যোদ্ধারা মৃত্যুর মুখে পতিত হন। চেঙ্গিস খানের নেতৃত্বে মঙ্গোলরা এত সহজে এত বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে পারতো না, যদি না মিন্গ তান এর মতো বিশ্বাসঘাতকরা না থাকতো, যে মঙ্গোলদের কাছে চাইনিজ সৈন্যদের অবস্থানসহ অন্যান্য তথ্যাদি পাচার করে দেন।
পৃথিবীর সবথেকে জঘন্য বিশ্বাসঘাতক জুডাস মাত্র ৩০ রৌপ্য মুদ্রার বিনিময়ে যীশুকে রোমান সৈন্যদের হাতে ধরিয়ে দিতে সহায়তা করে । জাপানের আগ্রাসনের পক্ষে অবস্থান নেয়া চাইনিজ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক ওয়াং জিংউই জাপানীরা পরাজয় বরন করার পূর্বেই মৃত্যুবরন করেন।অর্থের বিনিময়ে আমেরিকান পারমাণবিক প্রযুক্তি সম্পর্কে গোপন তথ্য রাশিয়ানদের কাছে পাচার করায় আমেরিকান দম্পতি জুলিয়াস ও ইথেল রসেনবার্গের মৃত্যুদন্ড হয়েছিল।
রবার্ট হ্যানসেন টাকার বিনিময়ে মার্কিন ডবল এজেন্টদের নামসহ অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য কেজিবির এক এজেন্টের কাছে বিক্রি করে ধরা পরে আজীবন জেলে থাকেন। আমেরিকান সিভিল ওয়্যারের অন্যতম সফল জেনারেল বেনিডিক্ট আর্নল্ড টাকার বিনিময়ে ব্রিটিশদের সাথে যোগ দিয়ে ইংল্যান্ডে চলে যায়। যুদ্ধের পরে ব্রিটিশরা তাকে ছুড়ে ফেলে দিলে তিনি অনেক কষ্টে এবং জরাজীর্ণ অবস্থায় কানাডায় মৃত্যুবরণ করেন। বার্মার প্রধানমন্ত্রী অং সান (সু চি’র পিতা) সহ আরও অনেকেই ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ঘাতকের বুলেট বা বোমার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
ইসলামের প্রথম যুগে চার খলিফার মধ্যে তিন খলিফাকে ঘাতকদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছিল । এসব খুনি -বিশ্বাসঘাতকদের কেউ মরেছে কারাগারে, কেউ করেছে আত্মহত্যা, কারো জীবন গিয়েছে পালিয়ে থেকেই। আর এখনতো পদ থেকে বহিস্কার হলে বা বাদ পড়লে কিংবা একটু লাভের মুখ দেখলেই দল পরিবর্তন করে রাজনীতির বিশ্বাস ঘাতকরা। এরা রাজনৈতিক জীবনে পদ-পদবির জন্য সব সময়ই মরিয়া থাকেন। মুনাফিক ও বিশ্বাসঘাতকরা চক্রান্ত করে, নিজের সার্থে আঘাত লাগলেই দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। বিশ্বাসঘাতকদের ওপর অন্যরা অভিসম্পাত দেয়।