যার উপকার করছেন তার ব্যাপারেও সতর্ক থাকুন। আপনি ক্ষতি করছেন না বলেই যে কেউ আপনার ক্ষতি করবে না- এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। আপনি উপকার করেছেন বলে আপনারও উপকার করবে- এমন নিশ্চিন্ত থাকাও নিরাপদ নয়।
নিরপেক্ষ দাবি করা সহজ, তবে নিরপেক্ষ থাকা কঠিন। একজন মানুষের পক্ষে একই সাথে অপরাধীর পক্ষে এবং ভিকটিমের পক্ষে থাকা সম্ভব নয়! যিনি সত্যের পক্ষ নেন মিথ্যার পক্ষে তিনি কী করে থাকেন! অবৈধের পক্ষ নেয়াতো দোষ । যিনি শত্রুর পক্ষে তিনি মিত্রেরও পক্ষে, যিনি ন্যায়ের পক্ষে তিনি অন্যায়েরও পক্ষে- এটা পুরোটাই অবাস্তব।
নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা মানে সুবিধাবাদী অবস্থানে থাকা। নিজেকে সুরক্ষিত রাখা। কোনো পক্ষকেই অখুশি বা খুশি করার চিন্তা না থাকা। নিজের সুবিধাজনক অবস্থানের পরিবর্তনের ঝুঁকি না থাকা। ভোট দেয়ার সময়তো নিরপেক্ষ বলে কোনো ব্যালট থাকে না।
সঠিক পক্ষ বেছে নেওয়ার মানে অগ্রগতির সিদ্ধান্ত নেয়া। সঠিক মত ও পথের অনুসরণ করা। বৈষম্যমূলক আচরণ না করা। ন্যায়বিচার করা। সাদাকে সাদা বলা, কালোকে কালো বলা। ধর্মান্ধ বা দলকানা না হওয়া। যা ন্যায্য তা মানাটাই সোজা লাইন; মাঝামাঝি কোনো স্থান নেই।