‘অপরাধ যত নিকৃষ্ট হবে শাস্তি ততটাই ভয়ঙ্কর হবে। যারা একদম সাধারণ মানুষ, আইন বোঝেন না, মনস্তত্ত্ব বোঝেন না তারাও জানেন বা বোঝেন, গুরুদণ্ডের গুরু শাস্তি হওয়া বাঞ্ছনীয়। সচেতনতা বাড়ানো। অপরাধ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা এর প্রথম ধাপ।
অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে
যারা অপরাধী তাদের ভেতর কিন্তু ছোট থেকেই অপরাধমনস্কতা লুকিয়ে থাকে। কারোর প্রকাশ পায় সঙ্গে সঙ্গে। কারোর দেরিতে। সত্যিই অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। পরিসংখ্যান বা স্ট্যাটিসটিক্স বলছে সেকথা। তার কারণ, সমাজে গতিপ্রকৃতির এত পরিবর্তন হয়েছে যে মানুষের মধ্যে ‘আমরা বঞ্চিত’ এই মনোভাব অত্যন্ত বেশি দেখা যাচ্ছে। এই বঞ্চনাবোধ যার মধ্যে তীব্র এবং আত্মসংযম কম সে-ই বাধা পেরিয়ে অপরাধ করছে।
ইতিবাচক কিছু ভাবুন
আমরা কমবেশি সবাই নানারকম সমস্যায় ভুগি। তবে এটার সঙ্গে মনের রোগকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। সব সময় নিজেকে নিয়ে চিন্তা, আমিত্ব সত্ত্বার বিকাশ ঘটানো বা আমি যা বলছি তাই সঠিক , বাকিরা ভুল। এমনটা করলে হবে না। সবসময় কারও প্রতি নেতিবাচক মনোভাব না রেখে ইতিবাচক কিছু ভাবুন এতে করে অন্যের মতামত বা তাঁর কথা শুনলেও আমরা জীবনে অনেক সময় অনেক উপকার পাই।
অপরের কথা শোনা দরকার
এমনকি সব সময় নিজের মতো করে চললে হয় না। অপরের কথা শোনা বা জানারও দরকার আছে। তবে হঠাৎ করেই কেউ ডিপ্রেশনে চলে যায় না। কাজের প্রতি একঘেয়েমি, জীবনের ব্যর্থতাও আমাদের মানসিক অবসাদের জন্য দায়ী। তবে এই সমস্ত কিছু যেমন নিজে থেকেই চেষ্টা করলে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব, তেমনই অনেকে আবার বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ নেন।
নিয়মানুবর্তিতা খুবই জরুরি
যদিও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আমাদের সকলের জীবনে নিয়মানুবর্তিতা খুবই জরুরি। আধুনিকতার যাঁতাকলে চাপা পড়ে বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েরা যেটাকে প্রায় ভুলতে বসেছে। কিন্তু যে কোনও মানুষের জীবনে সময়ানুবর্তিতা বা রুটিন অনুযায়ী জীবন যাপন করা খুব জরুরি। যদিও কাজের চাপে সব সময় সেটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। দৈনন্দিন জীবনে একটু সঠিক নিয়মকানুন মেনে চললে আখেরে লাভ আমাদেরই।
সময়ের কাজ সময়ে করা উচিত
আট থেকে আশি যে কোনও বয়সী মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখতে সবার আগে মনের সুস্থতা জরুরি। মন ভালো না থাকলে যে কোনও মানুষেরই খাবার খাওয়া বা যেকোনও কাজের প্রতি অনীহা তৈরি হয়।আর যা থেকে ধীরে ধীরে শরীরে বাঁসা বাঁধে দুরারোগ্য ব্যাধি। সুতরাং আমাদের সকলের জীবনেই সময়ের কাজ সময়ে করা উচিত।এতে যেমন নিজের মন ভালো থাকে, তেমনই নতুন কোনও কিছু করার প্রতি আগ্রহ জন্মায়।’
এনডিটিভি বাংলা ও আনন্দবাজার পত্রিকা