অধ্যাপক ডা. ফাহমিদা ফেরদৌস
বর্তমান সময়ে অনেক শিশুর মা-বাবাই কর্মজীবী থাকেন। বিশেষ করে শহুরে জীবনে। শিশুর মানসিক বিকাশে কর্মজীবী মা-বাবার বেশকিছু করণীয় রয়েছে ।
স্কুলে যখন যাবে তখন শিক্ষক যদি শিশুর মধ্যে কোনো আচরণগত সমস্যা দেখতে পায়, তখন অবশ্যই বাবা মাকে ডেকে বলা উচিত। মা-বাবা তখন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে চলে যাবেন এবং পরামর্শ নেবেন। আর যদি শিশুকে কাজের মেয়ের কাছে বা সংসারে কেয়ার গিভারের কাছে রেখে যান, তাহলে শিশুর জন্য একটি দৈনন্দিন রুটিন করে যেতে হবে। এটি তৈরি করবে বাবা, মা আর শিশু বসে। রুটিন অনুযায়ী শিশুকে ফলোআপ করতে হবে। ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করতে হবে। স্কুলে গেলেও খেয়াল রাখতে হবে সে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে কি না। টিফিনে যে টাকা দিচ্ছি সেটি কোথায় ব্যবহার করছে- এসব বিষয়ে খেয়াল রাখবে।
সন্ধ্যার পর শিশুর সঙ্গে বসবে। বসে শিশুকে কোয়ালিটি অব টাইম, গুণগত সময় দিবে। দিয়ে শিশুর সঙ্গে বসে আবেগীয় সম্পর্ক তৈরি করবে। মাথা বা গায়ে হাত রেখে জিজ্ঞেস করবে, ‘বাবা তুমি আজকে সারা দিন কী করেছ’? রুটিন পালন করলে পুরষ্কার দিতে হবে। তবে পুরষ্কার হতে হবে মা বাবার সামর্থের মধ্যে। উচ্চাকাঙ্ক্ষা যেন তৈরি হয়ে না যায়, সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, মানসিক বিভাগ, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
সূত্র: এনটিভিবিডি.কম