দ্রুত বৃদ্ধির জন্য শিশুকে যে খাবার খাওয়াবেন

শিশুর একেক বয়সে উচ্চতা বৃদ্ধির হার একেক রকম। শিশুরা বছরে ১০-১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। বয়ঃসন্ধিকালে হঠাৎ করেই লম্বা হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি বেড়ে যায়। ১৪-১৫ বছরের পর থেকে বৃদ্ধির হার আবারও কমতে থাকে, গড়ে ১ সেন্টিমিটার হারে বেড়ে চলে ১৯ থেকে ২১ বছর বয়স পর্যন্ত। এরপর একসময় বৃদ্ধি থেমে যায়। অনেক সময় লম্বা হওয়ার জন্য অনেক বাবা-মা শিশুকে ব্যায়াম করান। তবে শুধু ব্যায়াম করলেই হবে না ব্যায়ামের সাথে আপনার খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে। অনেক খাবার আছে যা আপনার শিশুকে লম্বা হতে সাহায্য করবে।

শিশুকে নিয়মিত দুধ খেতে দিতে ভুলবেন না। তাহলে আপনার আদরের শিশুটি তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠবে এবং সাথে সাথে লেখাপড়ায়ও অনেক হুশিয়ার হবে। কলা শিশুর বাড়াতে অনেক উপকারি খাদ্য। সুস্থ থাকতে মজবুত হাড় গড়তে নিয়মিত কলা খাওয়ান শিশুকে। উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করা ছাড়াও কলা হজমে সাহায্য করে ও পেট পরিষ্কার রাখবে আপনার শিশুকে।

ডিম ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। আর সুস্থ শরীর, শক্ত হাড় ও লম্বা হতে সেদ্ধ ডিম অবশ্যই শিশুর খাবার টেবিলে রাখা দরকারি। কারণ ডিম শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই জন্য শিশু ডিম না খাইতে চাইলেও তাকে জোর করে ডিম খায়ানো প্রয়োজন। সামুদ্রিক মাছ প্রোটিন ও ভিটামিনে ভরপুর। স্যালমন ও টুনার মতো মাছে আছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ডি ও প্রোটিন। যেটা আপনার শিশুর উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। সুতরাং চেষ্টা করবেন প্রতিবার শিশুর খাবারের সময় যেন সামুদ্রিক মাছ থাকে।

গাজরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ও এ আছে। ভিটামিন এ হাড়ের ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে। এতে হাড় শক্ত ও সুস্থ থাকে। তার রান্না হোক বা কাচা গাজর খাওয়ার ব্যবস্থা করবেন।যেকোনো দুগ্ধ জাতীয় খাবারে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়া দই-এ ভিটামিন এ, বি, ডি ও ই আছে যা শিশুর উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টি আছে। এটা আপনার শিশুর উচ্চতা বাড়াতে দারুণ সাহায্য করবে। মুরগির মাংসে প্রোটিনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। এটি খেলে শরীরের টিস্যু ও পেশির গঠন খুব ভালোভাবে হয়। তাই আপনার শিশুকে চেষ্টা করবেন যাতে তাকে নিয়মিত মুরগির মাংস খেতে দিতে।

About পরিবার.নেট

পরিবার বিষয়ক অনলাইন ম্যাগাজিন ‘পরিবার ডটনেট’ এর যাত্রা শুরু ২০১৭ সালে। পরিবার ডটনেট এর উদ্দেশ্য পরিবারকে সময় দান, পরিবারের যত্ন নেয়া, পারস্পরিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করা, পারিবারিক পর্যায়েই বহুবিধ সমস্যা সমাধানের মানসিকতা তৈরি করে সমাজকে সুন্দর করার ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পরিবার ডটনেট চায়- পারিবারিক সম্পর্কগুলো হবে মজবুত, জীবনে বজায় থাকবে সুষ্ঠুতা, ঘরে ঘরে জ্বলবে আশার আলো, শান্তিময় হবে প্রতিটি গৃহ, প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের মানবিক মান-মর্যাদা-সুখ নিশ্চিত হবে । আগ্রহী যে কেউ পরিবার ডটনেট এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ যেকোনো বিষয়ে লেখা ছাড়াও পাঠাতে পারেন ছবি, ভিডিও ও কার্টুন। নিজের শখ-স্বপ্ন-অনুভূতি-অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দিতে পারেন সবার মাঝে। কনটেন্টের সাথে আপনার নাম-পরিচয়-ছবিও পাঠাবেন। ইমেইল: poribar.net@gmail.com

View all posts by পরিবার.নেট →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *