মায়েরা শিশুদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কিছু ধারণা পোষণ করেন যা সত্যি নয়। শিশুদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে প্রচলিত এই ধরনের ভুল ধারণাগুলো হচ্ছে-
বেশি চিনিজাতীয় খাবার শিশুর অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়- চিনিজাতীয় খাবার শরীরে শক্তি সঞ্চার করে। তবে এর সঙ্গে অস্থিরতার তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। অনেক সময় ছোটরা অস্থির ও খিটখিটে হয়ে যেতে পারে। তবে এর কারণ চিনি নয় বরং অপর্যাপ্ত ঘুম এবং সঠিক পুষ্টির অভাব হতে পারে। খাবারে আয়রনের অভাব এবং শারীরিক কসরতের অভাবে শিশুদের আচরণে এ ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।
বড়দের থেকে শিশুরা বেশি বেছে খায়- শিশুদের বয়সের সঙ্গে তাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হয়। এক্ষেত্রে তাদের নিত্যনতুন খাবারের সঙ্গে পরিচয় হয়। শুরুতেই তাদের অনেক খাবার পছন্দ নাও হতে পারে। কারণ নতুন খাবারের সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ারও বিষয় আছে। আর প্রথমে কোনো খাবার পছন্দ না হলে মায়েরা মনে করেন শিশু খাবার নিয়ে ঝামেলা বেশি করছে। তবে এক্ষেত্রে প্রথম কয়েক দিন ধৈর্য ধরে খাওয়ানোর চেষ্টা করলে শিশু অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।
ওটমিল শিশুদের জন্য সেরা- প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ওটস বেশ উপাদেয় খাবার। তাই বলে সেটি যে শিশুদের জন্যও সমান পুষ্টিকর হবে সেটি ভাবা ঠিক নয়। ওটসে প্রচুর আঁশ থাকে যা শিশুর হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
শিশুকালের অ্যালার্জি ভালো হয়ে যায়- ছোটবেলায় কিছু কিছু খাবারে অ্যালার্জি থাকতে পারে, যা অনেকেই মনে করেন বড় হওয়ার পর তা ভালো হয়ে যেতে পারে। তবে এই ধরনের অ্যালার্জি অনেক ক্ষেত্রে ভালো হলে কিছু কিছু খাবারের অ্যালার্জি থেকে যেতে পারে।
শিশুদের স্বাদের ধরন বড়দের থেকে ভিন্ন- ছয় বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের বিভিন্ন খাবারের প্রতি আগ্রহে পরিবর্তন আসতে থাকে। তাই যদি শিশুদের শুধু মিষ্টি বা ঝাল ছাড়া খাবার খাওয়াতে থাকেন তাহলে সব ধরনের খাবারে তার অভ্যস্ততা আসবে না। এক্ষেত্রে পরে ঝাল খাবার খাওয়ায় সমস্যা হতে পারে। তাই শিশুদের অল্প পরিমাণে সব ধরনের খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।