‘দক্ষিণের মেয়ে মিশেল লাভন রবিনসন। ২৫ বছর ধরে তুমি শুধু আমার স্ত্রী বা আমার সন্তানদের মা নও, তুমি আমার পরম বন্ধু। তোমাকে এমন এক ভূমিকা পালন করতে হয়েছে, যা তুমি হয়তো চাওনি।
কিন্তু তুমি তোমার মাধুর্য, চারিত্রিক দৃঢ়তা, শৈলী ও প্রফুল্লতা দিয়ে সেই ভূমিকাকে তোমার নিজের করে নিয়েছ। নতুন প্রজন্ম এখন তোমাকে অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব মনে করে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তুমি আমাকে গর্বিত করেছ।’
‘মিশেল ও আমার জন্য শিকাগো হচ্ছে এমন জায়গা, যেখান থেকে সবকিছুর শুরু। আমার দুই মেয়ে ‘দুই বিস্ময় বালিকা’ । আমি আমার জীবনে যা কিছু করেছি, এর মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশি গর্বিত তোমাদের বাবা হিসেবে।
তোমরা চৌকস, তোমরা সুন্দর, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তোমরা দয়ালু, বিচক্ষণ ও অনুভূতিপ্রবণ। তোমরা এতগুলো বছর স্পটলাইলে থাকার যন্ত্রণা খুব সহজেই সামলে নিয়েছ।’
‘একদিন সবাই মিলে রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। কথা প্রসঙ্গে বললাম, নতুন প্রজন্মের কাছে স্ন্যাপচ্যাট নাকি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে! সাশা, আমাকে কি একটু বোঝাবে? সাশা আমাকে বোঝাতে শুরু করল। ওর কাছ থেকে বিষয়টি বোঝার পর আমি আর মিশেল মিলে সেখানে বসে এটা নিয়ে আলোচনা করছিলাম।
আমি মিশেলকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং এর প্রভাব সম্পর্কে বলছিলাম। হঠাৎ বুঝতে পারলাম, সাশা এই আলাপ ভিডিওতে ধারণ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব নিয়ে বাবা জ্ঞান দিচ্ছে!’ —এমন একটি শিরোনাম দিয়ে সাশা স্ন্যাপচ্যাটে তাঁর বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
সূত্র : এবিসি টেলিভিশনে জিমি কিমেলের লাইভ অনুষ্ঠান, শিকাগোতে দেওয়া বিদায়ী ভাষণ
বাবাদের এমনই হওয়া দরকার।