‘আমি হৃদয়জয়ী নেতৃত্বের পথের সম্মানিত লেখককে অভিনন্দন জানাচ্ছি। একটি অজনপ্রিয় কিন্তু জীবনের জন্য প্রয়োজনীয়, ব্যক্তি-সমাজ-রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় একটি ইস্যুতে তিনি বই লিখেছেন। আনিসুর রহমান এরশাদ ভাইকে হৃদয়ের গভীর থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যিনি নিজ দায়িত্বে প্রোডাকশন করেছেন, একটি অসাধারণ কনটেন্ট তৈরি হয়েছে।
আমি প্রোডাকশন প্রসেস দেখেছি। কাগজটা দেখেছি। আমি পরোখ করেছি পাখির চোখে এবং ত্রুটি সন্ধানী মন নিয়ে। যে প্রডাকশনটা হয়েছে তা চমৎকার। সেজন্য আল্লাহ আপনাকে পুরস্কার দান করুন। বইটি থেকে কেউ যদি নেতৃত্বের ব্যাপারে ন্যূনতম অনুপ্রেরণা খুঁজে পান এবং লিডারশীপ প্রসেসে এগিয়ে আসে তাহলেই এই প্রচেষ্টা সার্থক হবে।
মানুষ শুধুমাত্র সঠিক নেতার অভাবে অথবা নেতৃত্বের সঠিক বোঝাপড়ার অভাবে অনেক কষ্ট করছে, নির্যাতিত হচ্ছে। যারা দরিদ্র, ক্ষুধার্ত, চিকিৎসা নিতে পারে না; তাদের কাছে অসাধারণ সব তত্ত্বের চেয়ে, অসাধারণ সব লেকচারের চেয়ে প্রয়োজন জীবন ঘনিষ্ঠ লিডারশীপ। যারা তাদের সংকটকে বুঝতে পারবে, তাদের সংকটগুলো নিয়ে কাজ করতে পারবে, তাদের সমস্যাগুলোর সমাধান দিবে, তাদের অস্বাভাবিক জীবনকে স্বাভাবিক করে দেবে, তাদের ক্ষুধার্ত জীবনে খাবার এনে দিবে, তাদের দখলকৃত জমিকে ফেরৎ দিবে, তাদের অসুস্থতায় সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। যতদিন না পর্যন্ত আমরা প্রাকটিক্যাল লিডারশীপ অ্যাপ্রোচে যেতে পারব, বৃহত্তর মানুষের যাপিত জীবনে সাপোর্ট আসবে না; তারাও এসব নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখবে না।
যে লিডারশীপ মানুষের জন্য ভাবে না, মানুষের জীবনে সমস্যার সমাধান দিতে পারে না; সে লিডারশীপ কখনোই তাদের স্বপ্নযাত্রাকে শেষ করতে পারবে না। তাই আমাদের আগামী দিনের প্রজন্ম কোন লিডারশীপ অ্যাপ্রোচে বড় হবে, তাত্ত্বিক লিডারশীপ নাকি গণমানুষের জন্য প্রাকটিক্যাল সমাধানধর্মী লিডারশীপ নিয়ে বড় হবে সেই বোধ তৈরি হোক।
হৃদয়জয়ী নেতৃত্বের পথ তৈরিতে এই বইটি আলোকবর্তিকা হয়ে দাঁড়াবে। অসাধারণ লিখেছেন লেখক। পুরো বইয়ে আমি নজর দিয়েছি। সিরিয়াস লেভেলে পরিশ্রম করেছেন। আমি লেখকের জন্য হৃদয়ের গহীন থেকে দোয়া করছি। এই বইটিতেও সার্ভিসধর্মী নেতৃত্ব তৈরির কথা বলা আছে। আমি বিশ্বাস করি লিডাররা নতুন করে চিন্তা করবে এবং গাইডলাইন দিবে । আমি বইটির সাফল্য কামনা করছি। বইটি পাঠকপ্রিয় হোক।’
নূর মোহামম্দ আবু তাহের গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।