ড. আতিউর রহমান বলেন- যেকোনো কাজেই লেগে থাকতে হয়। জীবনে হতাশার কোনো জায়গা নেই। এক সিঁড়িতে পা পিছলে গেলেই শেষ নয়। ঘুরে দাঁড়িয়ে ফের পা রাখতে হয়। তারুণ্যই আমাদের বড় স্বপ্ন। তাদের ওপর ভর করেই আগামীর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলব, যে বিষয়েই পড়ো না কেন, তাতে পুরো দখল থাকতে হবে। শিক্ষার সঙ্গে কোনো ফাঁকি চলে না।
তিনি বলেন-সারা পৃথিবী জানে, আমি গরিবের অর্থনীতিবিদ এবং গরিবের গভর্নর। কিন্তু গরিবের গভর্নর হতে গিয়ে আমি ধনীদের আক্রান্ত করিনি। কারণ আমি নিজেও জানি, ধনী এবং গরিব মিলেই একটা দেশ। যারা সাধারণ মানুষ, গরীব মানুষ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যখন খাবারের দাম বাড়ে, কাপড়ের দাম বাড়ে ও বাড়িভাড়া বাড়ে, গরিবেরা তা বহন করতে পারে না। মূল্যস্ফীতি গরিবের সবচেয়ে বড় শত্রু । আমার মনে হয়, রিজার্ভের দিকে না তাকিয়ে বিনিয়োগের জন্য ভিন্নভাবে দেখা দরকার।
তিনি বলেন- সাধারণ মানুষের সঙ্গে চলতে পারা বড় আনন্দের। এ আনন্দ আমি খুব কাছে থেকে অনুভব করেছি, এখনও করছি। এ দেশের মানুষ বড় আশাবাদী ও উদ্যমী। সবাই একসঙ্গে হাঁটতে চায়। শুধু হাঁটার রাস্তাটি পরিস্কার করে রাখতে হয়। স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্র তৈরির দায়িত্ব সরকারেরই। যারা রাষ্ট্র, সমাজের নিয়ন্ত্রক তাদের ওপরেই সব নির্ভর করে।
সূত্র : বিবিসি, জাগো নিউজ, প্রথম আলো ও ইউটিউব