‘এমনভাবে বাঁচো যেন কাল তুমি মরবে। এমনভাবে শেখো যেন তুমি সর্বদা বাঁচবে।
আপনি নিজে সেই পরিবর্তন হোন যা আপনি সারা বিশ্বে সবার মধ্যে দেখতে চান।
আপনার বিশ্বাস আপনার চিন্তাধারা হয়ে যায়, আপনার চিন্তাধারা আপনার শব্দে পরিণত হয়, আপনার শব্দ আপনার কর্ম হয়ে যায়, আপনার কর্ম আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়, আপনার অভ্যাসই আপনার মূল্য, আপনার মূল্যই আপনার নিয়তি।
যদি সঠিক পথ বেছে নেন, তাহলে আশা ছাড়বেন না। কারণ, যতই বাঁধা-বিপত্তি আসুক না কেন একদিন না একদিন ভালো মানুষদের জয় হবেই হবে।
একজন মানুষের চরিত্র এবং জীবন কতটা সুন্দর হবে, তা নির্ভর করে তার মানসিকতার উপরে। তাই কোনো মানুষকে যদি ভিতর থেকে চিনতে চান, তাহলে তার মানসিকতা কেমন, তা জানার চেষ্টা করুন।
কাউকে সন্তুষ্ট করতে বা কোনো ঝামেলা এড়াতে কোনো কাজে ‘হ্যাঁ’ বলাটা সবথেকে বড় পাপ। যদি মনে করেন এই কাজটা আপনি করতে পারবেন না, তাহলে বিশ্বাসের সঙ্গে ‘না’ বলতে শিখুন।
মানুষ তার চিন্তাধারা নির্মিত প্রাণী। মানুষ নিজেকে যা ভাবে তাই হয়ে যায়। যদি আমি ভাবি আমি একটি কাজ করতে পারব না, সম্ভবত আমি কাজটি করতে অক্ষম হয়ে যাব। অন্যদিকে, আমি যদি বিশ্বাস করি যে আমি কাজটি করতে পারব, তাহলে অবশ্যই আমি কাজটি করার জন্য সক্ষমতা অর্জন করব, যদিও প্রথম দিকে আমি কাজটি করতে সমর্থ না হই।
এমন হতে পারে যে আপনি জানতে পারলেন না আপনার কর্মের ফলাফল কী হল। কিন্তু আপনি যদি কিছু না করেন, তবে কোনো ফলাফলই উৎপন্ন হবে না।
কেউ আপনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে বা সমালোচনা করলে আপনার কিছু করার নেই। কিন্তু সেই খারাপ ব্যবহার বা সমালোচনার জবাব আপনি কীভাবে দিচ্ছেন, তা কিন্তু আপনি নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাই ভেবে-চিন্তে জবাব দিন।
সামান্য অভ্যাস অধিক উপদেশের থেকে ভালো।
নিজস্ব প্রয়োজনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছোট জীব ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারে।
আপনি আদৌ শক্তিশালী কিনা, তা কিন্তু দৈহিক ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে না। বরং আপনি মানসিকভাবে কতটা শক্তিশালী, তার ওপর সবটা নির্ভর করে থাকে। তাই মানসিকভাবে নিজেকে শক্তিশালী করে তুলুন।
নোংরা পায়ে ঘরের ভিতরে আসা যেমন ঠিক নয়, তেমনই নেতিবাচক চিন্তাকে প্রশ্রয় দেওয়াও উচিত নয়।
আমার অনুমতি ছাড়া আজ পর্যন্ত কেউ আমাকে মানসিকভাবে আঘাত করতে পারেনি।
অনেক টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন না দেখে, বরং ছোট ছোট সুখের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ুন। দেখবেন, দুঃখ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
পরিশ্রম করেই সন্তুষ্ট থাকুন। তার ফল কী পেলেন তা নিয়ে বেশি ভাবতে যাবেন না।
মানুষ হিসেবে আমাদের সবথেকে বড় দক্ষতা কি জানেন? নিজেকে বদলে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে আমাদের মধ্যে।
সর্বদা নিজের বিচার, শব্দ এবং কর্ম অনুসারে লক্ষ্য স্থির করুন। সর্বদা নিজস্ব চিন্তাধারা, বিচার কে পবিত্র রাখুন এবং সেইভাবে লক্ষ্য স্থির করুন। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
সত্য এক, পথ অনেক।
শান্তির কোনো পথ নেই, কেবলমাত্র শান্তি আছে। যেই দিন প্রেমের শক্তি, শক্তির প্রেম থেকে বড় হবে সেই দিন বিশ্বে শান্তি কায়েম হবে।
প্রত্যেক মানুষকে তার নিজের মধ্যেই শান্তি খুঁজতে হবে। আর শান্তিকে বাস্তবায়িত করার জন্য বাহ্যিক পরিস্থিতি দ্বারা নিজেকে অপ্রভাবিত রাখতে হবে। আমরা যদি দুনিয়াতে প্রকৃত শান্তি চাই, তবে তা শিশুদের সাথে শুরু করতে হবে।
আমি হিংসার বিরোধিতা করি কারণ যখনই মনে হয় হিংসার দ্বারা কিছু ভালো হচ্ছে তখন সেটা অস্থায়ী হয় আর যখন খারাপ হলে সেটা স্থায়ী হয়। হিংসার ছাপ সহজে মিটতে চায় না। তাই অহিংসার পথে এগলেই মানুষের মঙ্গল। হিংসা গড়তে জানে না। সে শুধু ধ্বংস করে।
যে সত্যে নম্রতার ছোঁয়া নই, সেই সত্য অহংকারীর ক্যারিকেচার ছাড়া আর কিছুই নয়।
সততা, নম্রতা এবং সাহস, প্রতিটি মানুষের মধ্যেই এই তিনটি গুণ থাকা চাই। যেখানে ভালোবাসা রয়েছে, সেখানেই তো জীবনের সন্ধান মেলে।
আমি যেমন, ঠিক সেইভাবে নিজেকে মেলে ধরাটাই আসল স্বাধীনতা।
বল প্রয়োগ করে বা ভয় দেখিয়ে নেতা হওয়া যায় না। জননেতা হতে গেলে মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়, তাদের একজন হয়ে উঠতে হয়।
সাতটি মহাপাপ: কর্মহীন ধন, অন্তরাত্মাহীন সুখ, মানবতাহীন বিজ্ঞান, চরিত্রহীন জ্ঞান, নীতিহীন রাজনীতি, নৈতিকতা ছাড়া ব্যবসা, ত্যাগ ছাড়া পূজো।
দুনিয়াতে সত্য ছাড়া আর কোনো কিছুই চিরদিন বাঁচে না।
মনুষত্বের ওপর বিশ্বাস হারাবেন না। মনুষত্ব ভালো সাগরের মতো। সাগরের কয়েক ফোঁটা জল নোংরা হলে সমস্ত সাগর নোংরা হয়ে যায় না।
আমি তাকেই ধার্মিক মনে করি যে অন্যের ব্যথা বুঝতে পারে। পাপকে ঘৃণা করুন, পাপীকে নয়।
ক্রোধ এবং অসহিষ্ণুতা হলো সঠিক বোধগম্যতার শত্রু।
কর্ম তার ফলের থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে সঠিক কর্ম করতে হবে। আপনি সেই কর্মের ফল পাবেন কিনা তা আপনার হাতে নেই। তার মানে এই নয় যে আপনি সঠিক কর্ম করা ছেড়ে দেবেন।
তখনই কথা বলো যখন তা মৌন থাকার থেকে ভালো।
মনুষ্যত্বের মহানতা মনুষ্য হওয়াতে নয়, দয়ালু হওয়াতে।
চোখের বদলে চোখ সমস্ত বিশ্বকে অন্ধ করে দেবে।
আমার জীবন আমার বার্তা।
ভয়ই হলো শত্রু, যদিও আমরা সেটাকে ঘৃণা ভেবে থাকি, কিন্তু আসলে এটা ভয়।
দুর্বল কোনোদিন ক্ষমা করতে পারে না। ক্ষমা হলো বলবানের লক্ষণ।
জনসমর্থন ছাড়া সত্য দাঁড়িয়ে থাকে। সত্য আত্মনির্ভরশীল।
সাহসীরাই মন খুলে ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারেন। কারণ, এ কাজ ভীতুদের সাধ্যের বাইরে।
নিঃশব্দ সবথেকে বড় কথন। ধীরে ধীরে গোটা দুনিয়া আপনাকে শুনবে।
ভিড়ের অংশ হওয়া সহজ কাজ। কিন্তু একা দাঁড়ায়ে লড়াই চালাতে হলে সাহসের প্রয়োজন পড়ে।
অনেক টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন না দেখে, বরং ছোট ছোট সুখের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ুন। দেখবেন, দুঃখ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
জীবন নশ্বর, তাকে অমর করতে শেখো।
ব্যক্তির দেহ, মন ও আত্মার সুষম বিকাশের প্রয়াস হলো শিক্ষা।
যেসব কাজে মানুষের কল্যাণ হয়, তার প্রতিটিই সর্বোচ্চ যত্নের সাথে করা উচিৎ।
একজন মানুষের সত্যিকার জীবন ততক্ষণ পর্যন্ত শুরু হয় না, যতক্ষণ না সে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থের জন্য বাঁচা বন্ধ করে অন্যদের জন্য বাঁচা শুরু করে।
মানুষটি কতদিন বাঁচল, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সে জীবনে কী করেছে।
মিথ্যার আয়ু খুবই অল্প।
আমরা সবাই হয়তো আলাদা নৌকায় করে এখানে এসেছি, কিন্তু এখন আমরা একই জাহাজের যাত্রী।’
সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মহাত্মা গান্ধীর বক্তৃতা থেকে