‘গোলাপ গাছে কাঁটা থাকে বলে অভিযোগ করতে পারি; কিংবা কাঁটাওয়ালা গাছে গোলাপ জন্মে এটা ভেবে আনন্দিতও হতে পারি। সফল মিথ্যাবাদী হওয়ার মতো যথেষ্ট স্মৃতিশক্তি কারো নেই।
আমার সবচেয়ে সেরা বন্ধুটি হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যে আমাকে একটি বই দিয়েছে যেটি আমি পড়িনি। মানুষ যতটা সুখী হতে চায়, সে ততটাই হতে পারে।
সুখের কোনো পরিসীমা নেই। ইচ্ছে করলেই সুখকে আমরা আকাশ অভিসারী করে তুলতে পারি।
যারা অপেক্ষা করে তারাই পায়, আর তারাই হারায় যারা তাড়াহুড়া করে। যারা অপেক্ষা করে তারা হয়তো কিছু পায়, কিন্তু তারা সেইটুকুই পায় যা পরিশ্রমীদের পুরস্কার দেওয়ার পর উদ্বৃত্ত থাকে।
যথাস্থানে পা রেখেছ কি-না তা আগে নিশ্চিত হও, এরপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়াও।
প্রত্যেককে বিশ্বাস করা বিপদজনক; কিন্তু কাউকে বিশ্বাস না করা আরো বেশি বিপদজনক।
আপনি সবসময় কিছু লোককে বোকা বানাতে পারেন, কিছু সময় সবলোককে বোকা বানাতে পারেন, কিন্তু সব সময় সব লোককে বোকা বানাতে পারেন না।
আপনি যা-ই হন না কেন ভালো কিছু হন। আপনি প্রস্তুতি নেন এবং কোনো দিন আপনারও সুযোগ আসবে।
স্বীকৃতি না পেলে চিন্তিত হবেন না, তবে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য হওয়ার চেষ্টাটি করুন।
মিতব্যয়ী না হয়ে আপনি সম্পদশালী হতে পারেন না।
শক্তিমানকে দুর্বল করে আপনি দুর্বলকে শক্তিমান করতে পারেন না। ধনীদের দরিদ্র করে, দরিদ্রকে ধনী করতে পারেন না।
ঋণের টাকায় উন্নত আর্থিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেন না।
যারা মজুরি দেয়, তাদের অবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে যারা মজুরি উপার্জন করে তাদের সাহায্য করা যাবে না।
মানুষের স্বাধীনতা এবং উদ্যোগ নষ্ট করে চরিত্র এবং মনোবল গঠন করা যাবে না।
শ্রেণি ঘৃণা জাগ্রত করে মানুষের ভ্রাতৃত্ববোধের উন্নতি করা যাবে না।
আয়ের থেকে ব্যয় বেশি করে সংকট এড়ানো যাবে না।
মানুষ নিজে যা করতে পারে বা মানুষের করা উচিত তা করে দিলে মানুষকে স্থায়ীভাবে সাহায্য করা যায় না।
যদি আমার কাছে একটি গাছ কাটার জন্য ৮ ঘণ্টা সময় থাকে, তাহলে আমি কুড়াল ধার করার জন্য ৭ ঘণ্টা ব্যয় করব।
আজকে ফাঁকি দিয়ে তুমি আগামীকালের দায়িত্ব থেকে পালাতে পারবে না।
কোনো ব্যক্তি কী কারণে রেগে যাচ্ছে তা দেখে তার চরিত্র সম্পর্কে জানা যায়।
চরিত্র হচ্ছে গাছের মতো, পরিচিতি ছায়ার মতো। দুর্দশা দিয়ে নয় বরং কাউকে ক্ষমতা দিয়ে দেখো তার আসল চরিত্র জানতে হলে।
শিক্ষার অর্থ মানুষে যা জানে না তা শেখানো নয়। শিক্ষার অর্থ তাদের সঠিক আচরণ করতে শেখানো যা তারা করে না।
এক প্রজন্মের স্কুল কক্ষের দর্শনটি পরবর্তী সময়ে সরকারের দর্শন হবে।
শাস্তির চেয়ে ক্ষমা মহৎ।
আমরা এই ভূমি উৎসর্গ, পবিত্র কিংবা মহিমান্বিত করতে পারি না। যে সমস্ত জীবিত এবং মৃত ব্যক্তিরা মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন, তারাই এই ভূমিকে পবিত্র করেছেন। সুতরাং এই পবিত্রতা হ্রাস করা আমাদের পক্ষের কাজ নয়।
আমরা এখানে যাই বলি না কেন পৃথিবী হয়তো সেটি বেশি দিন স্মরণে রাখবে না। দৃষ্টিও দেবে খুব সামান্য। কিন্তু আমাদের বীর সন্তানদের কার্যকলাপ কখনোই স্মৃতির পাতা বিস্মৃত হবে না বরং তাদের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য আমাদের বেঁচে থাকতে হবে।
নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে প্রতিনিয়ত। আমাদের বীর সন্তানেরা নিষ্ঠার জন্য চরম মূল্য দিয়ে গেছেন। আমাদের উচিত সেই নিষ্ঠা মনের মধ্যে লালন করা। এখান থেকে আজ আমরা দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করব যাতে করে তাদের আত্মত্যাগ বৃথা হয়ে না যায়। যেন এই জাতি বিধাতার কৃপায় স্বাধীনতার নবজন্ম লাভ করে।
জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা পরিচালিত সরকার ও জনগণের জন্য গঠিত সরকার যেন কখনো পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত না হয়।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের বিভিন্ন বক্তৃতা থেকে