বৈশ্বিক সার্চ জায়ান্ট গুগল এবং অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সিইও সুন্দর পিচাই বলেন, ‘আশাবাদী হও। উদার হও। সহজে সন্তুষ্ট হয়ো না। অল্পতে ভেঙে পড়ো না। ভয় পেও না ঝুঁকি নিতে। সেটাই করো, যা মন চায়।
পড়াশোনা জরুরি। তবে তার চেয়েও জরুরি হাতেকলমে শিক্ষা। প্রয়োজন নতুন কিছু করা আর নতুনভাবে চিন্তা করা।
কী স্বপ্ন দেখছ, আগে সেটা বুঝে নেওয়া ভালো। প্রযুক্তির কিছু বিষয় বিরক্তির কারণ হতে পারে অধৈর্য করে তুলতে পারে কিন্তু ধৈর্য হারালে চলবে না।
প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটবে এমন কিছু তৈরি হবে, যা আমার প্রজন্ম স্বপ্নেও ভাবেনি। ধৈর্যই নতুন উদ্ভাবনের পথ খুলে দেবে।
পরিবেশ বা শিক্ষা নিয়ে আমাদের প্রজন্মের চিন্তা-ভাবনা তোমাদের হতাশ করতে পারে। তবু বলবো, ধৈর্য ধরো।
বিশ্বের দরকারে পরিবর্তন করতেই হবে।
ধৈর্য না হারিয়ে নিজেদের ভালোবাসার জিনিসকে আঁকড়ে ধরলেই মিলবে সফলতা।
হৃদয় যা বলবে সেটাই করুন। যে কাজ করতে আপনার ভালো লাগে, সেই কাজই করুন। উন্নতি হবেই। শুধু ঝুঁকি নেওয়া শিখতে হবে।
কল্পনায় থাকো। আর সেগুলোকে বাস্তবে পরিণত করার চেষ্টা করে যাও কল্পনাতেই।
শুধু নিজে কিছু করবো, এমন নয়। বরং, এমন কাজ করবো, যাতে ১০০ কোটি মানুষ উপকার পায় প্রতি মুহূর্তে; গুগল যেটা অনবরত করে যাচ্ছে।
ব্যর্থতা হচ্ছে সফলতার মতোই জীবনের একটি অংশ। সফলতাকে স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার মধ্য দিয়েই একটি ভালো কোম্পানি আরো সেরা হয়ে ওঠে।
যদি আপনি সব ক্ষেত্রেই সফল হয়ে থাকেন তাহলে হয় আপনি একজন অবিশ্বাস্য রকমের মানুষ (যা অনেকটা অসম্ভব) নতুবা আপনি জীবনে খুব বড় কোনো লক্ষ্য স্থির করতে পারেননি।
আমরা সব সময় উচ্চাকাঙ্ক্ষা সামনে রেখেই কাজ করি এবং যৌক্তিকভাবে সব সময় সফল হই না। যদি সফল হতাম তবে আমরা সব সময় যথেষ্ট উচ্চাকাঙ্ক্ষী হতাম না। যদি আমরা লক্ষ্যের ৭০ শতাংশেও পৌঁছাতে পারি সেটিকে অবশ্যই সফলতা হিসেবে মেনে নেব।
যেকোনো উদ্যোগের ক্ষেত্রে ব্যর্থতা একটি অপরিহার্য অংশ। অবশ্যই ব্যর্থতাকে উদযাপন করবেন, কারণ এখান থেকে যে শিক্ষা আসবে সেটাই সাফল্যের পথ দেখাবে।
ব্যর্থতা ও ঝুঁকির শিক্ষা স্কুলেই দেওয়া উচিত। কারণ শিক্ষালয়ে এটি না জানলে বয়স হলে মানুষ যেকোনো উদ্যোগের ক্ষেত্রে ব্যর্থতা ও ঝুঁকির ভয়ে থাকে। প্রত্যেক শিক্ষা ব্যবস্থাতেই সৃজনশীলতা থাকা দরকার। যেখানে প্রকল্পভিত্তিক বাস্তব জ্ঞান শেখানো হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা শিশুদের ঝুঁকি নেওয়া শেখাব, ব্যর্থতার জন্য তাদের শাস্তি দেব না।’