মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে সাঁতারু অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ-২০১৬’ তে বয়সভিত্তিক চার ক্যাটাগরিতে ২৭৪ ছেলে এবং ৬৫ মেয়েসহ ৩৩৯ জন প্রতিযোগীয় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে পল্লব কুমার কর্মকার (বয়স ১১) এক পা না থাকার পরও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্বে অংশগ্রহণ করে তার বিভাগে সফলতার সঙ্গে পরবর্তী পর্যায়ে উন্নীত হয়।
খুদে সাঁতারু পল্লবের দারুণ ইচ্ছাশক্তিতে মুগ্ধ হয়ে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সভাপতি ও নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ জানান, ‘এক পা নিয়েও সে সাঁতারের পুলে নেমেছে। চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় চলে এসেছে। পল্লবের এই ব্যাপারটা পুরো দেশের জন্যই অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আমি বিশ্বাস করি তারাই একদিন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পুরস্কার এনে দেবে।’
পল্লব কুমার কর্মকার এর বাবা কাজল কর্মকার, মা শিউলী রানী কর্মকার। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবতলা। সে ফতেপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। ছেলেবেলায় দুর্ঘটনায় একটি পা হারানো এই বিস্ময় বালক চাপাইনবাবগঞ্জের সেরা সাঁতারুদের একজন। একটি পা না থাকলেও দমে যায়নি পল্লব। পানিতে ঝড় তোলার স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলেছে সে। বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চায় পল্লব। হতে চায় বিশ্বমানের একজন সাঁতারু।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় পর্বের বাছাইয়ে প্রতিযোগীদের শারীরিক কাঠামো, সাঁতারের স্টাইল এবং টাইমিং বিবেচনায় বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের নির্বাচন কমিটি তৃতীয় পর্বের জন্য বয়সভিত্তিক নারী ও পুরুষ মোট ১৬০ জন প্রতিযোগীকে মনোনীত করবেন। তৃতীয় পর্বে মনোনীত এই ১৬০ জন প্রতিযোগীদের বিদেশী প্রশিক্ষকের মাধ্যমে ৩ মাসব্যাপী নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।