উদ্যোগে ব্যর্থ হওয়ার যত কারণ

ব্যবসায় উদ্যোগ সফল করতে চাইলে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। অনেকেই অনেক আগ্রহ নিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করেন কিছুদিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন হতাশ হয়ে সরে আসেন নিজের উদ্যোগ থেকে।

এক নজরে দেখে নিন লুকিয়ে রাখুন
পরিকল্পনা অভাব

ব্যবসায়ের পদ্ধতি খারাপ

অধিকাংশ সময় দেখা যায় ভাল ব্যবসা আইডিয়া হওয়া সত্ত্বেও ব্যবসা ব্যর্থ হয়। অলটপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং উদ্যোক্তা গাই কাওয়াসাকি বলেন, আইডিয়া করা সহজ। বাস্তবায়ন কঠিন।

ব্যবসায়ের মডেল না থাকা

পণ্য বা সেবা কোন শ্রেণীর কাস্টমারদের জন্য? কোন ধরণের কাস্টমার গুরুত্বপূর্ণ? কোন ধরণের মূল্য বা সেবা কাস্টমারকে সন্তুষ্ট করবে? কাস্টমার কেন পণ্য কিনবে? কি এবং কিভাবে মূল্য পরিশোধ করতে স্বাচ্ছন্দ্য পায়? কাস্টমারের কাছে কোন মাধ্যমে পণ্য বা সেবা পৌঁছতে চান? কোন মাধ্যম সবচেয়ে ভালো কাজ করে? সে মাধ্যমে ব্যয় কত?

কিভাবে গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখেন? ব্যবসা চালানোর জন্য প্রতিদিন কি করেন? ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় লোক, জ্ঞান, কৌশল এবং অর্থ আছে কি? মূল অংশীদার/সরবরাহকারী কারা। অর্থাৎ, যাদের ছাড়া আপনার ব্যবসা করা কঠিন। ব্যবসায় কোন পণ্য বা কার্যক্রম সবচেয়ে ব্যয় বহুল, তার তালিকা তৈরি করুন।

বাজার চাহিদা না থাকা

ওয়েন্ডির প্রতিষ্ঠাতা ডেভ থমাস বলেন, ‘ব্যবসা শুরু করার জন্য দরকার কি? তিনটি সহজ বিষয়: আপনার পণ্য সম্পর্কে ভালভাবে জানুন, আপনার গ্রাহককে জানুন এবং সফল হওয়ার তীব্র ইচ্ছা পোষণ করুন।’ অথচ ব্যবসায়ের প্রাথমিক পর্যায়ে বেশিরভাগ উদ্যোক্তা তাদের পণ্যের লক্ষ্য স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে না। তারা কার জন্য পণ্য তৈরি করছে? কোন সমস্যার সমাধান করা উচিত? এই ব্যবসা কি বাজার দখল করতে পারবে? এমন কিছু তৈরি করতে হবে যা অনেক মানুষ চায়।”

বাজার গবেষণা না করা

বাজারে পণ্যের বা সেবার চাহিদা কেমন তা না বুঝলে ব্যর্থ হবেন। বাজার গবেষণার সময় ৩টি বিষয় মাথায় রাখবেন। পণ্য বা সেবা কি মানুষের চাহিদা বা সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম? পণ্য বা সেবা কি বর্তমান সময়ের জন্য প্রযোজ্য। বাজারে পরীক্ষামূলক-ভাবে পণ্য বা সেবা ছাড়তে পারেন। এর মাধ্যমে সহজে আইডিয়া পেয়ে যাবেন।

 টার্গেট কাস্টমার নির্বাচন করতে না পারা

ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম একটি কারণ সঠিকভাবে টার্গেট কাস্টমার নির্বাচন করতে না পারা। তাই পণ্যের ধরণ, উপযোগিতা, সম্ভাব্য ব্যবহারকারী ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে টার্গেট কাস্টমার নির্বাচন করতে হবে এবং সে অনুযায়ী স্ট্র্যাটেজি সাজাতে হবে।

দ্রুত সফলতার আকাঙ্ক্ষা

অনেকে ব্যবসায়ে ইউনিকর্ন স্ট্রাটেজি অনুসরণ করতে চায়। অর্থাৎ, দ্রুত অনেক কর্মী নিয়োগ দেয়া, নতুন নতুন পণ্য বা সেবা বাজারে ছাড়া এবং বিনোয়গকারীদের আকৃষ্ট করে বিনিয়োগ নেয়া। সত্যিকার, অর্থে ৭০% ব্যবসা এই পদ্ধতি অনুসরণ করার কারণে ব্যর্থ হয়।

অসর্তকতা

ধীর ও স্থিরভাবে ব্যবসা শুরু করলে ব্যর্থ হওয়ার আশংকা কম থাকে। তাই, ব্যবসায়ের প্রতিটি ধাপ সর্তকতার সাথে নিতে হবে। যেমন: আপনার কাস্টমার ঠিক করুন? আপনার পণ্য বা সেবা কি কাস্টমারের চাহিদা পূরণে সক্ষম? পরীক্ষামূলক-ভাবে পণ্য বাজারে ছাড়ুন এবং বাজার যাচাই করুন? পণ্যে সমস্যা থাকলে তা সমাধান করুন। পণ্য বা সেবার মার্কেটিং করুন। কিভাবে অধিক কাস্টমারের মনোযোগ আকর্ষণ করা যায়, তা বের করুন।

অদক্ষ টিম

এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে ২৩% ব্যবসা ব্যর্থ হয় অদক্ষ টিমের কারণে। ব্যবসা বা স্টার্ট আপ শুরু করার সময় যে ৩ সেকশনে অদক্ষ লোক নেয়া ঠিক নয়। যথা: অনেক উদ্যোক্তা নতুন পর্যায়ে বেশি টাকা খরচ করে দক্ষ লোক নিতে চায় না। অথচ, পণ্য বা সেবার মান উন্নয়নের জন্য টেকনিক্যাল এক্সপার্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ।একজন দক্ষ ব্যবস্থাপক সহজে যেকোনো ব্যবসায়ে লাভের মুখ দেখায়। মার্কেটিং, সেলস এবং যোগাযোগ খাতকে ব্যবসায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলা যায়। ভালো মার্কেটিং ছাড়া কাস্টমারের নিকট পৌছাতে পারবেন না।

নেতৃত্বে অদক্ষতা

ব্যবসায়ের নেতৃত্বে অদক্ষতা থাকলে ব্যবসা সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। আপনার ভুল পদক্ষেপ সম্পূর্ণ ব্যবসায়ীকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কেননা, আপনার হুকুম মতোই ব্যবসা পরিচালনা হয়।

পরীক্ষা নিরীক্ষা না করা

যথেষ্ঠ পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে, তাড়াহুড়া করে কাজ করা নতুন ব্যবসা ব্যর্থ হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। একটি আইডিয়া মাথায় এলেই তা নিয়ে মার্কেটে নেমে যাওয়াটা বোকামী। আইডিয়াটা মার্কেটে কতটা চলবে, মানুষ আসলেই এই জিনিস চায় কিনা, আইডিয়া বাস্তবায়ন করার খরচ মার্কেট থেকে দ্রুত উঠিয়ে আনা সম্ভব কিনা – ইত্যাদি অনেক বিষয় মাথায় রেখে কাজ করা উচিৎ।  আবেগ দিয়ে ব্যবসা হয় না।

প্রথমেই বড় বিনিয়োগ না করে অল্প অল্প করে পরীক্ষামূলক ভাবে পন্য বা সেবা বাজারে ছাড়া উচিৎ। সেটার সম্ভাবনা কতটুকু, মানুষ সেগুলো কিভাবে গ্রহণ করছে, ভালো ভাবে না চললে কি ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে – ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা না করলে উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। একটি নতুন পন্য বা সার্ভিসের আইডিয়া প্রথমে অল্প কিছু মানুষের ওপর পরীক্ষা করতে হয়। সেখান থেকে পাওয়া মতামত ও ফলাফলের ভিত্তিতে পারফেক্ট প্রোডাক্টটি গড়ে তুলতে হয়।

 বোঝাপড়ার অভাব

এল-স্পার্ক এর ডিরেক্টর ও সফল উদ্যোক্তা এলিজা সেরেগিলি এই বিষয়ে লেখকদের বলেন, “যদি কোনও নতুন টিমের সদস্যরা চিন্তাশীল হয়, ও যুক্তি দিয়ে সবকিছু বিচার করতে পারে – তবে তাদের মাঝে কোনও সমস্যা হবে না। যে কোনও সমস্যাই তারা আলোচনার মাধ্যমে সফল ভাবে সমাধান করতে পারবে। কিন্তু টিমের মাঝে যদি একপেশে চিন্তা ভাবনার কোনও লোক থাকে,  তাহলে সেই টিমের সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।”

টিম মেম্বাররা যদি প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের চেয়ে ব্যক্তিগত মতামত প্রতিষ্ঠা করাকে বেশি গুরুত্ব দেয়, তাহলে সেই টিম ব্যর্থ হতে বাধ্য। আদর্শ টিম হওয়ার জন্য সেরা লোকের দরকার নেই। বেশি ভালো হলে তারা সবখানেই নাক গলাতে চাইবে। একটি ভালো টিমের প্রয়োজন সঠিক লোক, যারা অন্যদের সাথে মিলে মিশে কাজ করতে পারে, এবং অন্যদের মতামতের প্রতি সম্মান দেখাতে পারে। টিমের সবার লক্ষ্য এক না হলে, সেই টিম যত দক্ষই হোক, তাদের দিয়ে কিছু হবে না।

লক্ষ্যে অটল না থাকতে পারা

লক্ষ্যে অটল না থাকতে পারা নতুন ব্যবসার উদ্যোগ বা স্টার্টআপ ব্যর্থ হওয়ার জন্য ৫০% এর ও বেশি দায়ী।আপনি যখন নতুন একটি আইডিয়া নিয়ে ব্যবসায় নামবেন, তখন ধরে নিতে হবে যে, এটাকে সফল করতে গেলে অনেক সময় লাগবে, শ্রম দিতে হবে, আর ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

একবার, দুইবার ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দিলে সেই ব্যবসা শুরু করাই উচিৎ নয়।  লাঞ্চ আলাস্কা এর এ্যালসে ডাউনিস বলেন, ‘একজন উদ্যোক্তাকে অবশ্যই মানতে হবে যে নতুন উদ্যোগ সফল করা অনেক কঠিন একটা কাজ। এর জন্য অনেকটা সময় দিতে হয়, এবং অনেক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়’।

লোভ লালসা

লোভের কারণে যে কত সম্ভাবনাময় উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে – তা গুনে শেষ করা যাবে না। সফল সিলিকন ভ্যালি স্টার্টআপ ‘ওয়াইল্ডকার্ড ইনকিউবেটর’ এর ম্যানেজিং পার্টনার নাবু কুমাগাই বলেন. ‘ব্যবসার ক্ষেত্রে লোভ হয় দুই ধরনের। এক, আভ্যন্তরীন লোভ, যা পার্টনারদের নিজেদের ভেতরের ব্যাপার। একজন পার্টনার হয়তো অন্যদের চেয়ে বেশি চায়, অন্যরা তাকে দিতে চায় না। এই কারণে বহু সম্ভাবনাময় স্টার্ট আপ শেষ হয়ে যায়।

দুই নম্বরে আছে, বাইরের লোভ। এই লোভের কারণে একটি নতুন সম্ভাবনাময় ব্র্যান্ড তার ক্রেতাদের হারিয়ে ফেলে। হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে দেয়া, টাকা বাঁচানোর জন্য পন্যের কোয়ালিটি খারাপ করে ফেলা – ইত্যাদি একটি নতুন ব্র্যান্ডকে শেষ করে দিতে পারে। লোভ তখনই একটি উদ্যোগকে আক্রান্ত করে, যখন তারা দীর্ঘমেয়াদী বা লং টার্ম সাফল্যের বদলে স্বল্পমেয়াদী বা শর্ট টার্ম সাফল্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়।

আমরা অনেক সময়ই সুযোগ পেলে কাস্টমারের কাছে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করি যা কখনোই কাম্য নয়। কারণ পরবর্তীতে কাস্টমার যখন বুঝতে পারবেন তার কাছে বেশি দাম রাখা হয়েছে তখন তিনি আর কখনোই রিপিট কাস্টমার হতে চাইবেন না।

পরিকল্পনা অভাব

লক্ষ্য যদি হয় ১০ বছরের, তবে তাকে ১ বছরের ১০টি ভাগে ভাগ করতে হবে, তারপর প্রতিটি বছরকে ১২ মাসে, প্রতিটি মাসকে ৪ সপ্তাহে, এবং প্রতিটি সপ্তাহকে ৭ দিনে ভাগ করে প্রতি দিনের প্ল্যান সাজাতে হবে। এভাবে প্ল্যান সাজিয়ে কাজ না করতে পারলে, আপনার ব্যর্থ হবার সম্ভাবনাই বেশি।

University of Central Florida Business Incubation Program এর এ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জেমস বোয়ি বলেন, ‘যদি একটি সেলস প্ল্যান, এবং সেই প্ল্যান ঠিকমত কাজ করছে কিনা – তা জানার উপায় না রাখা হয়, তবে ব্যবসা ব্যর্থ হতে বাধ্য’। প্ল্যান কতটা কাজ করছে, তাতে কি কি পরিবর্তন আনতে হবে – এসব প্রতিদিন চেক করতে হবে।

হিসাব সংরক্ষণ না করা

অবশ্যই টাকা পয়সার হিসাব ঠিকভাবে রাখতে হবে। প্রতিটি টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে, কি পরিমান আয় হচ্ছে, বাজেট অনুযায়ী সব চলছে কি না, লাভ-লসের পরিমান কি, লস হলে সেই লস কিভাবে কাটানো যায় – এইসব হিসাব ঠিক মত রাখার ওপর একটি ব্যবসার টিঁকে থাকা অনেকটাই নির্ভর করে। সঠিকভাবে হিসাব-নিকাশ রাখলে ব্যবসায় গ্রোথ এনালাইসিস করা যায় সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সহজ হয়।

সঠিকভাবে মূল্য নির্ধারণ না করা

প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সঠিকভাবে মূল্য নির্ধারণ করতে না পারলে বাজারে টিকে থাকা মুশকিল।

 ভুল স্বীকার না করা

যে কোনও জিনিস প্রথমবার করতে গেলে ভুল হবেই। ভুল থেকে যে যত শিক্ষা নিতে পারে, সে তত সফল হয়। কিন্তু অনেক তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটা সমস্যা দেখা যায়: তারা নিজের ভুল স্বীকার করতে চায় না। কোনও একটি প্ল্যান ব্যর্থ হলে তারা অন্যদের দোষ খুঁজতে শুরু করে – কিন্তু নিজের কোথায় ভুল হয়েছে, তা ভেবে দেখে না।

অনেক উদ্যোক্তা এটাও বলেন, যে ক্রেতারাই খারাপ, তার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসে কোনও সমস্যা নেই। এই ধরনের মানসিকতা থাকলে সেই উদ্যোক্তা কখনওই তার সেরা পন্য বা সেবাটি দিতে পারবে না। শুধু এই স্বভাবের কারণে অনেক প্রতিভাবান উদ্যোক্তা ব্যর্থ হয়ে গেছেন। আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো, কিন্তু অহংকার ভালো নয়। ভুল স্বীকার না করাটা একজন উদ্যোক্তার সবচেয়ে বড় ভুল। কোনও ভুলকে ঠিক করতে হলে সবার আগে দরকার ভুল স্বীকার করা। কিন্তু এটা না করতে পেরেই অনেক সম্ভাবনাময় স্টার্ট আপ ধ্বংস হয়ে যায়।

 চেষ্টার অভাব

ব্যবসায়ী মার্ক কিউবানকে জিজ্ঞাসা করা হলো যে ব্যবসায় ব্যর্থ হওয়ার এক নাম্বার কারন কি? তিনি বললেন- জ্ঞান আর চেষ্টার অভাব। অসম্ভব ভাগ্যবান না হলে আপনি কখনো এমন বিজনেস পাবেন না যেখানে কোনো প্রতিযোগীতা নাই। সমস্যা হলো অধিকাংশ উদ্যোক্তাই তাদের ইণ্ড্রাস্ট্রি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে না। ক্লায়েন্ট সম্পর্কে জানে না। প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে বেশি জানার-বুঝার চেষ্টা করে না।

অধ্যবসায়ের অভাব

প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে আসলে অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ভালো হতে হবে। কাজের প্রতি অটল থাকা, ধারাবহিক কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান হওয়া, কাজে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করাই একজন সফল উদ্যোক্তার লক্ষ্য। সফল হতে গেলে অধ্যবসায়ের কোন বিকল্প নেই।

কঠোর পরিশ্রম না করা

শুধু স্বপ্ন দেখাতেই আনন্দ পান, বাস্তবায়নে নয় এই ধরনের লোকরা নিজেদেরকে প্রায়ই ‘আইডিয়া পিপল’ বা ‘ধারণা লোক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এরা শুধু তাদের স্বপ্ন নিয়ে গালগল্প করেই আনন্দ পান কিন্তু তা বাস্তবায়নের জন্য যে কঠোর পরিশ্রম দরকার তা করতে আগ্রহী নন। অলসতা, ফাকিবাজি ও শর্টকাট খোঁজা একটি ব্যবসাকে ব্যর্থ করার জন্য যথেষ্ট। নিজের উদ্যোগকে সফল করতে চাইলে কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে।

দক্ষতা অর্জনে অনিচ্ছা

প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে অনিচ্ছুক বা অক্ষম আমাদের মাঝে ব্যবসায়িক দক্ষতা অর্জন সম্পর্কিত বেশ কিছু অযৌক্তিক ধারণা প্রচলিত আছে। যেমন রকেট সায়েন্স সম্পর্কিত দক্ষতা শুধু শ্রেণিকক্ষ বা ল্যাব থেকেই অর্জন সম্ভব। ইন্টারনেট প্রযুক্তির এই রমরমা সময়ে এ ধরনের অযৌক্তিক ধারণা বাতুলতারই নামান্তর। এখন ইন্টারনেট থেকে নিজে নিজেই যেকোনো বিষয়ের জ্ঞান ও দক্ষতা প্রায় বিনামূল্যেই অর্জন সম্ভব।

ঝুঁকি গ্রহণে অনাগ্রহ

প্রতিটি মানুষের মাঝেই ব্যর্থ বা বিব্রত হওয়ার অজানা বিষয়ের অযৌক্তিক ভয় কাজ করে। ব্যবসায় সফল হতে গেলে এই অজানা ভয়কে অতিক্রম করতে হবে এবং ঝুঁকি গ্রহণ ও ব্যর্থতার মধ্য দিয়েই শিখতে হবে। অনেকে আবার ভয়ে পুরোপুরি হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকেন এবং যেকোনো মূল্যে ঝুঁকি এড়াতে চান। ফলে তাদের আর ব্যবসা করা হয়ে ওঠে না।

শিক্ষা না নেয়া

সাফল্য মোকাবিলার অযৌক্তিক ভয়ে কিছু লোক সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও হাল ছেড়ে দেন। এটা সত্যি যে, কোনো ব্যবসায় অনেক তাড়াতাড়ি সাফল্য আসলে সেই ব্যবসার মৃত্যুও ঘটতে পারে। তবে সত্যিকার উদ্যোক্তারা ব্যর্থতা থেকে যেমন শিক্ষা গ্রহণ করেন তেমনি দ্রুত অর্জিত সাফল্য থেকেও শিক্ষা গ্রহণ করে সামনে এগিয়ে যান।

বাস্তববাদী না হওয়া

সবকিছুতেই নিখুঁত হতে চান এমন অনেকে আছেন যারা হয়তো গত ২০ বছর ধরেই কোনো একটি প্রযুক্তিপণ্য নিয়ে শুধু গবেষণাই করে যাচ্ছেন। কিন্তু বাজারজাত করতে পারছেন না। কারণ সেটিকে নিখুঁত করে তোলার জন্য তারা শুধু আরো গবেষণাই করে যেতে চান। বর্তমান দুনিয়ার দ্রুত পরিবর্তনশীল বাজার ব্যবস্থায় নিখুঁত হওয়ার এই চেষ্টা ভাসমান এবং বাস্তবতার বোধশূন্য। বাস্তববাদীরা কোনো পণ্য মোটামুটিভাবে ভোগযোগ্য হলেই তা বাজারজাত করেন। এরপর তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে সাফল্যের পথে এগিয়ে যান।

ফোকাস ঠিক না রাখা

বিক্ষিপ্ততা মোকাবিলায় অক্ষম কোনো ব্যবসায় উদ্যোগে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি ফোকাস ঠিক রাখা। একই উদ্যোগের মাধ্যমে অসংখ্য বাজারে অসংখ্য জিনিস বিক্রির চেষ্টা করা করলে তাতে কোনো কিছুতেই সাফল্য আসে না। এতে বরং কাস্টমাররা হতাশ হন। ফোকাস ঠিক রাখার মানে হলো, অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোতে অনড় থাকা, জরুরি থেকে গুরুত্বপূর্ণকে আলাদা করা, সংগঠিত করা ও প্রতিনিধিত্ব করা।

দায়-দায়িত্ব এড়ানো

ব্যর্থতাগুলোকে মেনে নেওয়ার যৌক্তিক ভিত্তি সৃষ্টির জন্যই সাধারণত অজুহাত তৈরি করা হয়। এর মধ্যদিয়ে আসলে নিজের দায় এড়ানোর চেষ্টা করা হয়। সত্যিকার উদ্যোক্তারা কখনো অজুহাত খাড়া করে নিজেদের ব্যর্থতার দায়-দায়িত্ব এড়িয়ে যান না। তারা বরং বাস্তব কোনো বাধা-বিপত্তিকে মেনে নিয়ে বিকল্প পথে পুনরায় চেষ্টা করেন। বা সৃজনশীলতার মাধ্যমে সমস্যার মোকাবিলার চেষ্টা করেন।

পরনির্ভরশীলতা

নিজে শুরু করা, নেতৃত্ব দেওয়া বা সিদ্ধান্ত গ্রহণে অক্ষমরা হলেন শিল্প বিপ্লবের ফল। কী করতে হবে তা বলার জন্য এরা অন্যদের ওপর নির্ভর করেন। এরপর ভুল করে নিজেদেরকে পরিস্থিতির শিকার বলে ভান করে আনন্দ পান। অন্য কেউ আপনার জন্য সিদ্ধান্ত নেবে এবং ঝুঁকি ও ব্যর্থতার দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করবে এমন ভেবে যদি বসে থাকেন তাহলে কোনোদিনই আর আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। সুতরাং সফল উদ্যোক্তা হওয়ার সহজ উপায়টি হলো সঠিক মনোভাব এবং পূর্ণ দায়িত্ববোধ লালন করা।

সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যের অভাব

যার কাছে চমৎকার কিছু আইডিয়া আছে, তার নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণার অভাব হয় না। ব্যবসায় সাফল্য বলতে মূলত অর্থনৈতিক মুনাফাকে বোঝালেও কোম্পানির সাফল্য কেবল অর্থনৈতিক উন্নতিই নয়, আরো অনেক কিছু। নতুন কিছু করতে পারা, নতুন পথের সন্ধান দেয়া, নিজের লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন, কাছের মানুষদেরকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দেয়া, সামাজিক দায়বদ্ধতা মেটানো, এরকম অনেক কিছুই একজন সফল উদ্যোক্তার পক্ষে করা সম্ভব।

কৌশলী দৃষ্টিভঙ্গির অভাব

ব্যবসায়ে অনেক কৌশল অবলম্বন করতে হয়। একটি মাত্র সিদ্ধান্তই একটি ব্যবসাকে সর্বোচ্চ সফলতায় নিয়ে যেতে পারে আবার ব্যর্থতায় পর্যবসিত করতে পারে। সে ক্ষেত্রে উদ্যোক্তার ব্যবসায়ে কৌশলী হওয়ার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

অপর্যাপ্ত মূলধন

ব্যবসার শুরুর মূলধন জোগাড় করা হবে মূলত জমানো এবং ধার করা টাকায়, ব্যাংক লোন নিয়ে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে। কাছের ও পরিচিত মানুষেরা এইক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা রাখন। তবে নিজের ও পরিবারের সর্বস্ব কখনোই খোয়ানো যাবে না|

সুযোগ তৈরি না হওয়া

বিভিন্ন ব্যবসায়িক সুযোগ সুবিধা তৈরি না হওয়ার কারনে অনেক উদ্যোক্তাই ঝরে পড়ে। দেখা যায় ভালো আইডিয়া কিংবা ভালো প্রোডাক্ট থাকা সত্ত্বেও অনেক ব্যবসায়ী সফল হতে পারছেন না। ব্যবসায়ে সুযোগ তৈরি হওয়ার একটা ব্যাপার আছে আবার সুযোগ তৈরি করারও একটা ব্যাপার আছে। একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে সুযোগ তৈরি হওয়ার পাশাপাশি তৈরি করার প্রতি বেশী মনোনিবেশ হতে হবে।

বিশ্বাসের অভাব

বিশ্বাসের অভাব হলে কোন কিছুই সফল ভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। একজন সফল উদ্যোক্তা তার লক্ষ্যের প্রতি বিশ্বাস থাকতে হবে। বিশ্বাস হারিয়ে ফেললে তার ব্যবসায়ে সফলতা আসবেনা।

পরিচালনায় অদক্ষতা

ব্যবসায়িক মনোভাব এবং ব্যবসয়ে পরিপক্কতা অর্জন খুব জরুরী বিষয়। অনেকেরই প্রচুর অর্থ ইনভেস্ট করার ক্ষমতা আছে কিন্তু একজন ব্যবসায়ী হিসেবে সেই অর্থ সঠিক ভাবে ব্যবস্থাপনা এবং পরিচালনা ব্যবসায়ের ভবিষৎ নির্মান করে। পরিচালক হিসেবে দক্ষ না হয়ে উঠলে ব্যবসা তার উদ্দেশ্য হারাবে। মূলধন আছে জনবল আছে সম্ভাব্য কাস্টমারও আছে কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিষ্ঠানকে চালাতে না পারলে ব্যর্থতা অনিবার্য।

অভিজ্ঞ সহকর্মীর অভাব

ব্যবসায়ে সহকর্মী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন অনভিজ্ঞ সহকর্মী ব্যবসায়ে শুধু অকার্যকরই নয় সে ব্যবসায়ে বয়ে আনে ক্ষতি যা ব্যবসাকে দিন দিন নামিয়ে নিয়ে যায় অনেক নিচে। তাই ব্যবসা ক্ষতির আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অনভিজ্ঞ সহকর্মী।উপরের সব অভাব দূর করতে পারলে একজন ব্যবসায়ী জীবনে সফলকাম হতে পারবে।

অক্ষমতা

আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। দুনিয়ার প্রভাবশালী, সম্পদশালী আর ক্ষমতাবান মানুষের মধ্যে যদি একটা মিল থাকে তো ঐ আত্মবিশ্বাসের জোর। একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আত্মবিশ্বাসের এভারেস্টে চড়ে বসতে হবে এর কোনো বিকল্প নেই। আমি অক্ষম, আমার দ্বারা হবেনা, এটা মনে যদি কাজ করে তাহলে উদ্যোক্তা কোনো কিছুতে সফল হতে পারবে না।

 ক্রেতা সন্তুষ্টি বিষয়টি বিবেচনা না করা

আমরা অনেক উদ্যোক্তাই ক্রেতা সন্তুষ্টির দিকটি বিবেচনা করি না। অনেক সময় ক্রেতাকে মানহীন পণ্য সরবরাহ করি অথবা বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানে অনীহা প্রকাশ করি যার কারণে ক্রেতা অসন্তুষ্ট হয়। ক্রেতার অসন্তুষ্টি একটি ব্যবসায়ের জন্য হুমকিস্বরূপ।

পর্যাপ্ত ধারণা না থাকা

নিজ উদ্যোগ সম্পর্কে ভালো ধারনা না থাকলেও ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। অনেক সময় কাস্টমাররা প্রডাক্ট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য চায় তাই প্রডাক্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকলে সঠিক তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব নয়। আর ক্রেতা পণ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য না পেলে কিনবে কেন!

অসময়ে পণ্য বাজারজাতকরণ

একজন উদ্যোক্তা সিদ্ধান্ত নিলেন এবার শীতে শাল নিয়ে আসবেন। কিন্তু শাল নিয়ে আস্তে আস্তে শীত পার হয়ে গেল এমনটি হলে উদ্যোগটি ব্যর্থ হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই ব্যবসায় ভালো করতে চাইলে কোন সময় কোন পণ্য নিয়ে আসতে হবে এ বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে।

 প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারা

প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে চাইলে প্রতিযোগীদের হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। অনেকেই বিষয়টি বুঝতে চান না যার ফলে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ব্যর্থ হন।

টেকনোলজির সাথে আপডেট না রাখা

একসময়ের জনপ্রিয় ফোন কোম্পানি সিটিসেল আজ তারা বিলুপ্ত কারণ টেকনোলজির সাথে সাথে তারা নিজেদের আপডেট রাখতে পারেনি।

 কাস্টমারদের চাহিদা বুঝতে না পারা

একজন ক্রেতা বা ভোক্তার চাহিদা রুচি অভ্যাস লাইফস্টাইল পরিবর্তনশীল। তাই একজন উদ্যোক্তা যদি পরিবর্তনশীল লাইফস্টাইল ও ক্রেতার চাহিদা সম্পর্কে আপডেট না থাকেন তাহলে সফলতা সম্ভব নয়।

দুর্বল বিপণন

বলা হয়, শুধু পণ্য বা সেবা তৈরি করা যথেষ্ট নয়, তা যথাযথ বিপণন করার কৌশলও জানা থাকতে হবে। সঠিক বিপণনের অভাবে অনেক স্টার্টআপ ব্যর্থ হতে দেখা গেছে। ১৪ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনো উদ্যোগের ব্যর্থতার পেছনে দুর্বল বিপণনকে দায়ী করা হয়। কোনো ব্যবসার গ্রাহককে বোঝা ও তাদের আকর্ষণের কৌশল সফলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বাজারে অপ্রয়োজনীয়

কোনো ব্যবসা উদ্যোগ বা স্টার্টআপ তৈরির আগে তা বাজারে চলবে কি না, তা অবশ্যই যাচাই করা উচিত। কোনো সমস্যার চটকদার সমাধান তৈরির বদলে বাজারে তার চাহিদা কেমন, তা বিবেচনা করে ব্যবসায় উদ্যোগ নিতে হবে। অনেকেই বাজারের চাহিদা না রেখে আকর্ষণীয় সমাধান হিসেবে নিজেকে জাহির করে। সাধারণত এ কারণে ৪২ শতাংশ ক্ষেত্রেই স্টার্টআপগুলো বাজারে ব্যর্থ হয়।

অর্থ শেষ তো সব শেষ

অনেকের হাতে নগদ অর্থ থাকার সময় স্টার্টআপ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু যখনই নগদ অর্থে টান পড়তে শুরু করে, তখনই উদ্যোগ নুয়ে পড়তে থাকে। কোনো স্টার্টআপের ব্যর্থতার দ্বিতীয় প্রধান কারণ হিসেবে নগদ অর্থের যথাযথ ব্যবহার না করাকে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা। ২৯ শতাংশ ক্ষেত্রে স্টার্টআপের ব্যর্থতার জন্য অর্থ ঠিকমতো খরচ না করার বিষয়টিকে দায়ী করা হয়।

সঠিক দল না থাকা

স্টার্টআপের ব্যর্থতার আরেকটি কারণ হচ্ছে, সঠিকভাবে দল তৈরি করতে না পারা। ২৩ শতাংশ ক্ষেত্রে স্টার্টআপের ব্যর্থতার কারণ সঠিক দলের সমন্বয় না হওয়া। দক্ষ ও বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ দল না থাকলে স্টার্টআপ সফল হয় না। একটি উদ্যোগ নেওয়ার সময় যদি দলের সদস্যের যথাযথ সমন্বয় না থাকে, তবে সে স্টার্টআপ বেশি দূর নেওয়া যায় না।

ব্যবহারবান্ধব পণ্য না থাকা

স্টার্টআপের তৈরি পণ্য বা সেবা অবশ্যই ব্যবহারবান্ধব হতে হবে। তা না হলে সে স্টার্টআপ চালানো কঠিন। ১৭ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহারবান্ধব পণ্য না হওয়ায় স্টার্টআপ ব্যর্থ হয়। পণ্য তৈরির সময় ব্যবহারকারীর চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তার কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, ক্রেতাই রাজা।

About পরিবার.নেট

পরিবার বিষয়ক অনলাইন ম্যাগাজিন ‘পরিবার ডটনেট’ এর যাত্রা শুরু ২০১৭ সালে। পরিবার ডটনেট এর উদ্দেশ্য পরিবারকে সময় দান, পরিবারের যত্ন নেয়া, পারস্পরিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করা, পারিবারিক পর্যায়েই বহুবিধ সমস্যা সমাধানের মানসিকতা তৈরি করে সমাজকে সুন্দর করার ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পরিবার ডটনেট চায়- পারিবারিক সম্পর্কগুলো হবে মজবুত, জীবনে বজায় থাকবে সুষ্ঠুতা, ঘরে ঘরে জ্বলবে আশার আলো, শান্তিময় হবে প্রতিটি গৃহ, প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের মানবিক মান-মর্যাদা-সুখ নিশ্চিত হবে । আগ্রহী যে কেউ পরিবার ডটনেট এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ যেকোনো বিষয়ে লেখা ছাড়াও পাঠাতে পারেন ছবি, ভিডিও ও কার্টুন। নিজের শখ-স্বপ্ন-অনুভূতি-অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দিতে পারেন সবার মাঝে। কনটেন্টের সাথে আপনার নাম-পরিচয়-ছবিও পাঠাবেন। ইমেইল: poribar.net@gmail.com

View all posts by পরিবার.নেট →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *