সময়কে পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করা দরকার

আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মো. সাইদুর রহমান। সদা হাসি–খুশি, সদালাপি, প্রাণোচ্ছ্বল ও সদাচারে বিশ্বাসী মানুষ। ব্যতিক্রমী এই ব্যক্তিত্ব অনেকেরই প্রিয় মানুষ। অনেকেরই অনুকরণীয়, বর্ণাঢ্য জীবন ও ডায়নামিক কর্মযজ্ঞে উদ্ভাসিত, বহুমুখী প্রতিভায় ভাস্বর, বর্ণিল গুণাবলীর কর্মযোগী বিশেষ মানুষ। একদিকে তিনি খতিব, শিক্ষক, ওয়ায়েজীন, কণ্ঠশিল্পী ও সফল ব্যবসায়ী; এবং অন্যদিকে সহজ-সরল, প্রাণবন্ত মানবপ্রেমী, ত্যাগী দেশপ্রেমী ও আমুদে ব্যক্তিত্ব। মানুষটি চিন্তায়, কর্মে, সৃজনেও অগ্রসর। বর্ণাঢ্য জীবনের আলোকচ্ছটায় উদ্ভাসিত জীবনের আলোর দীপ্তিতে ভাস্বর তাঁর মননশীল কর্মজগৎ।

অক্লান্ত পরিশ্রমী ও নিরলস সংগ্রামী মানুষটি ঢাকার শনির আখরার গোবিন্দপুরে অবস্থিত দারুল উলুম হোসাইনিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গোবিন্দপুর নূর মসজিদের খতিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। মাতুয়াইল ট্রাভেল এন্ড হজ্জ এজন্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আরো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডেভেলপার কোম্পানি আছে ।

তিনি হাফেজে কোরআন। পড়াশুনা দাওরা-ই-হাদিস। বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়েই আগামীর পথে এগিয়ে চলছেন বীরদর্পে। তার পিতা মোক্তার হোসেনও এলাকায় সজ্জন হিসেবে পরিচিত। জন্ম টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর থানার হাতীবান্দা গ্রামে। এই বহুমুখী প্রতিভাবান স্পষ্টবাদী-নির্লোভ-নির্মোহ-চৌকস ব্যক্তিত্বের সাথে আলাপের অংশবিশেষ উপস্থাপন করা হলো।

আপনি বিভিন্ন দেশে সফর করেছেন। সেই সফরের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা জানতে চাই।

 আল্লাহ আমাকে পৃথিবীর অনেক দেশেই যাবার সৌভাগ্য নসিব করেছেন। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য দেশ হলো মিসর। হেফজখানায় নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থী থাকাকালিন ১০-১২ বছর বয়সেই মিসর যাওয়ার স্বপ্ন আমার মাঝে তৈরি হয়েছিল। কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পাওয়ার পর আমাকে ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ নামক একটি বই পুরস্কার দেয়া হলো। বইটিতে মুসা (আ.) এর জীবনী জানলাম। মুসা (আ.) কে জন্মের পর বাক্সের ওপরে নীলনদে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।দেশটিতে মুসা (আ.), হারুন (আ.), ইবরাহিম (আ.) সহ অনেক নবী-রাসূল এসেছে । ফেরাউনের জন্ম হয়েছে সেখানে। তখনই আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলাম যাতে দেশটিতে ভ্রমণের সুযোগ পাই।

আলহামদুলিল্লাহ। সেই সুযোগ পেলাম ২০১৬ সালে। বাংলাদেশ হাব এসোসিয়েশন থেকে ১২০ জনের একটি প্রতিনিধি দল কনফারেন্সে গেলাম।মিসরের কায়রোর ফাইভস্টার হোটেল, অত্যাধুনিক পরিবহনে একসাথে যাত্রা, ফজরের নামাজের পরই পিরামিড পরিদর্শনে যাত্রা- সবই ছিল খুবই আনন্দের। পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যর একটি পিরামিড বিশাল এরিয়া জুড়ে। সারাদিন ঘুরলাম, দেখলাম। ছোট-বড় অনেকগুলো পিরামিড আছে। মারা যাবার পর যার আর্থিক অবস্থা যত ভালো সেই সামর্থ্যের আলোকে পিরামিড তৈরি করতো। অনেক মূর্তিও আছে দেখলাম। যেসব নিদর্শনই স্পষ্ট করে তৎকালীন সময় থেকেই মিসরের প্রভাবশালী মানুষ মূর্তি-পূজায় অভ্যস্ত ছিল।

পরের দিন গেলাম আলেক্সান্দ্রিয়ায়। মিশরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। দেশটির সবচেয়ে বড় সমুদ্রবন্দরও সেখানে। কায়রো থেকে ৩৫০-৪০০ কি.মি. দূরত্বে অবস্থিত। ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত অনেক প্রাচীন একটি শহর। শহরটিকে ভূমধ্যসাগরের বধূ ও ভূমধ্যসাগরের রত্ন বলা হয়। অনেক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা দেখলাম। আধুনিক স্থাপনাও রয়েছে। সাগরবেষ্টিত শহরটির রূপ-সৌন্দর্য মুগ্ধ করলো। সাগর পারের বাঁধ এত চমৎকার যে কাউকে আকৃষ্ট করার মতোই। সারা পৃথিবীর পর্যটকরাই মোহিত হয়। সেখানে সম্রাট আলেকজান্ডারের মহল দেখলাম, সুলতান নূর উদ্দীনের মহল দেখলাম।

পরদিন কায়রো এসে মিসরের আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম। বাংলাদেশি অনেক শিক্ষার্থীদের পেলাম, তাদের সাথে কথা বলে খুব ভালো লাগলো। গ্রামে গেলাম। ক্ষেত খামার ও কৃষি কাজ দেখলাম। আপেল বাগান, কমলা বাগান দেখলাম। এর পরদিন নীলনদের ওপরে কনফারেন্সে যোগ দিলাম। ফেরাউনের মমি দেখলাম। নীলনদে জাহাজে কনফারেন্সে অংশ নিলাম। জাহাজ নিয়ে নীলনদে ঘুরলাম।পরদিন দক্ষিণ সাইনা নবীদের বরকতময় ভূমি। এই এলাকায় অনেক নবী রাসূলের আগমন ঘটেছে। এখানেই রয়েছে সেই ঐতিহাসিক‘জাবালে মূসা’,অনেক নবীদের কবর,বনী ইসরাঈলের ‘তীহ’ নামক ময়দান ।

কায়রো থেকে শারমুশ শাইখ ৫৩৫ কিলোমিটার। শারমুশ শাইখ থেকে তুরে সাইনা ২০৫ কিলোমিটার। মোট ৭৪০ কিলোমিটার।  শারমুশ শাইখের আত তুরে  তুর পাহাড়ে গেলাম। স্থানটি মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইয়াহুদিদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশ বিদেশের খ্রিস্টান ও ইয়াহুদি ধর্মের লোকজন উপাসনা করে, মুসলমানরাও মসজিদে ইবাদাত করে। আমিও দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করলাম। আল্লার আছে দোয়া করলাম। পবিত্র উপত্যকা তুরে সায়েনা ঘুরে ঘুরে দেখলাম। পৃথিবীর এই একটি জায়গায়ই আল্লাহর নূরের তাজাল্লি পড়েছে। জাবালে মুসার পাদদেশে হজরত মুসা (আ.)-এর ভাই হজরত হারুন (আ.)-এর কবর রয়েছে। ফেরার পথে কবর জেয়ারত করলাম।

পরদিন সাগরে সাবমেরিন পরিদর্শনে গেলাম। সাগরের নীচে পাহাড়, হাঙর, মাছ, অনেক ধরনের জীবজন্তু দেখলাম। খুবই সৌন্দর্যময় সেসব দৃশ্য সারাদিন দেখলাম। পরের দিন সেই রাস্তায় গেলাম যেখানে ফেরাউনের সৈন্যবাহিনী মুসা (আ.) ও তার অনুসারীদের ধাওয়া করেছিলেন। আল্লাহ সাগরে ১২টি রাস্তা তৈরি করেছিলেন, ১২টি রাস্তারৈই চিহ্ন রয়ে গেছে। ১২টি ঝর্ণা এখনো ঐখানে বিদ্যমান রয়েছে। যেখানে ফেরাউন বাহিনীসহ ডুবে মরেছিল।

  আর কোন কোন দেশে ভ্রমণ করেছেন?

মিসরের কথাতো বললাম। ভারতে অনেকবার গিয়েছি। নেপাল, ভুটান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কাতার, কুয়েত, দুবাই, আবুধাবীতে বেড়িয়েছি। আর সৌদি আরবেতো অনেকবারই গিয়েছি। ভারত সফর খুবই ভালোলাগার ছিল। কলকাতাতে অনেকবার গিয়েছি। তবে দিল্লির আগ্রা, হরিয়ানা, রাজস্থান, মানালি, কুল্লু- এসব জায়গায় আমার ভালো লেগেছে মুসলিম স্থাপত্যগুলো। ঐতিহাসিক স্থাপনা, গৌরবময় জায়গাগুলো, পুরোনো মহলগুলো মুসলমানদের স্মৃতিবিজরিত। ৮০০ বছর শাসন করা অবস্থায় মুসলমানরা যেসব প্রাসাদগুলো নির্মাণ করেছেন তা দেখার মতো।সারা পৃথিবীর পর্যটকেরা আসছে, দেখছে, শিহরিত হচ্ছে।

বিদেশ ও নিজ দেশের বাস্তবতাকে কিভাবে তুলনা করবেন বা মূল্যায়ন করবেন?

আমার দেশ আমার প্রাণের দেশ। বিভিন্ন দেশ ঘুরে আমার কাছে মনে হয়েছে আমার দেশই সেরা দেশ। বিদেশে গেলে দেখি এদেশের প্রবাসীরা সেদেশের নিয়ম-কানুন খুব সুন্দরভাবে মেনে চলছে। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ট্রাফিক সিগন্যাল মানতেছে।বসবাসরত দেশটিতে প্রচলিত আইন-কানুন যথাযথভাবে মেনে চলছে। অথচ এরাই দেশে আসলে তখন নিজ দেশের নীতি-পদ্ধতি মানে না। সিস্টেম না মানায় দেশে উচ্ছৃঙ্খলা-বিশৃঙ্খলা বাড়ছে।

রাস্তাঘাটে যানজটেরও অন্যতম প্রধান কারণ আইন না মানা। অনেকে দেশেই রাস্তাঘাটে কোনো যানজট নেই, মানুষ নিরাপদে চলাচল করছে, জীবনযাত্রার মান উন্নত; এর পেছনের কারণ সিস্টেম মানা। আমাদের দেশেও আইন আছে কিন্তু বাস্তবে আইনের প্রয়োগ নেই, আইন মানার প্রবণতাও নেই।

সরকারের দিক-নির্দেশনা যদি আন্তরিকতার সাথে সবাই মানে আর সরকারও যদি আইন-কানুন যথাযথভাবে প্রয়োগ করে তবে এদেশটাও আরো সুন্দর হতে পারতো। ঘুষ না থাকলে, দিুর্নীতি না থাকলে, নীতি ভাঙাকে বাহাদুরি মনে করার মতো পরিস্থিতি না থাকলে, সবাই যার যার কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করলে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার না হলে দেশটা আরো সুন্দর হতো, আরো এগিয়ে যেত।

 

জীবন সংগ্রাম থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে কিছু বলবেন কী?

 প্রত্যেক মানুষেরই একটি টার্গেট থাকা উচিত, ভিশন-মিশন থাকা উচিত। একটি উদ্দেশ্য নিয়ে যদি সে সামনে চলে তাহলে তার সফলতা আসবেই। চেষ্টার মাধ্যমেই সাফল্য চলে আসে। স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান হয়েও নষ্ট হয়ে যায় আবার অতি দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েরাও প্রতিষ্ঠিত হয়। মূল কথা স্বপ্ন এবং স্বপ্নপূরণে লেগে থেকে পরিশ্রম করা, কাজ করা। প্রতিটি মানুষেরই রুটিন থাকা দরকার, সময়কে পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করা দরকার। গুছিয়ে কাজ করা দরকার। যেমন এই বয়স থেকে এই বয়সের মধ্যে এই কাজ করব, এরপর এই বয়স পর্যন্ত এই কাজ করব- এইভাবে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকা দরকার।

আপনি মাদরাসা শিক্ষিত ও মসজিদ-মাদরাসার সাথে সম্পৃক্ত হয়েও ব্যবসা-বাণিজ্যে এসেছেন। মানুষকে বিভিন্নভাবে সেবাদানের চেষ্টা করছেন। কিভাবে উদ্বুদ্ধ হলেন?

আমার ছাত্রজীবন থেকেই ইচ্ছা ছিল দ্বীনের খেদমতের কাজে আত্মনিয়োগের পাশাপাশি ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার। আল্লাহ আমাকে তৌফিক দিয়েছেন। আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবও সহযোগিতা করেছে, পরামর্শ দিয়েছে। আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাওলানা শামসুজ্জামান আমাকে বরাবরই পাশে থেকে বুদ্ধি-পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দিয়ে আসতেছে। আরো অনেকেরই সৎচিন্তা ও সুপরামর্শ আমাকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে।

বাগান করায় আপনি কিভাবে উদ্বুদ্ধ হলেন?

 রাসূল (সা.) এর হাদীছ হচ্ছে- তুমি একটি গাছ রোপণ কর।যদি কিয়ামতও সংঘটিত হয়ে যায় তাহলেও একটি গাছ রোপণ কর। গাছ পরিবেশ সুরক্ষা দেয়। গাছ লাগানো সুন্নাহ, আমি সুন্নাতের আমল হিসেবে নিয়েছি। বাগান করাটা আমার শখও। আমার শখের বাগানে রয়েছে- আম গাছ, ত্বীন গাছ, মাল্টা গাছ, আপেল গাছ, ড্রাগন গাছ। এগুলো সৌন্দর্য বাড়ায়, আত্মীয়-স্বজনকে দেয়া যায়, বিক্রি করলেও আর্থিক সাপোর্ট পাওয়া যায়। এসব কিছু মিলিয়েই আমি গ্রামের বাড়ি সংলগ্ন বাগানটি গড়ে তোলেছি।

গ্রামে আসা-যাওয়া ও বাবা-মায়ের সেবা-যত্নের মানসিকতা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে কিভাবে ছড়িয়ে দেয়া যায়?

 মুসলমান পরিবারের সন্তানদের ওপরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বাবা-মায়ের খেদমত করা। আল্লাহর পরেই বাবা-মায়ের অধিকার। তাদের সেবা-যত্ন করা আল্লাহর নির্দেশ, রাসূলের (সা.) নির্দেশ। স্রষ্টার সুস্পষ্ট নির্দেশের পর সৃষ্টির আর কোনো কথা থাকতে পারে না। আল্লাহর নির্দেশের ওপরে কোনো কথা নেই, কোনো চিন্তা নেই, কোনো কাজও নেই। বাবা-মা খুশি মানে আল্লাহ খুশি। আর আল্লাহ খুশি হওয়া বান্দার জন্য সবচেয়ে সৌভাগ্যের, সবচেয়ে সুখের। ফলে ঐ বান্দার জীবনে আর কোনো দুঃখ-কষ্ট থাকতে পারে না। পৃথিবীর সব মানব সন্তানেরই বাবা-মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করা উচিত, তাহলে ঐ সন্তানের নেক আশাও আল্লাহই পূর্ণ করবেন।

পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন কী?

পরিবার ডটনেট খুবই ভালো একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। এর মাধ্যমে পাঠক ভালো কিছু পাবে। পাঠকরা যদি নিজেরা মনোযোগ দিয়ে পড়ে এবং অন্যদেরও পড়তে উৎসাহিত করে তাহলে প্রয়োজনীয় অনেক বিষয়ে জানতে পারবে। জানার পরিধি বাড়বে। মনের খোড়াক যোগাবে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব ম্যাগাজিনটি নিয়মিত পড়ার জন্য এবং অন্যদেরকেও পড়তে উদ্বুদ্ধ করার জন্য।

ব্যস্ততার মাঝেও সময়দানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে পাঠক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।

 

 

 

 

About পরিবার.নেট

পরিবার বিষয়ক অনলাইন ম্যাগাজিন ‘পরিবার ডটনেট’ এর যাত্রা শুরু ২০১৭ সালে। পরিবার ডটনেট এর উদ্দেশ্য পরিবারকে সময় দান, পরিবারের যত্ন নেয়া, পারস্পরিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করা, পারিবারিক পর্যায়েই বহুবিধ সমস্যা সমাধানের মানসিকতা তৈরি করে সমাজকে সুন্দর করার ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পরিবার ডটনেট চায়- পারিবারিক সম্পর্কগুলো হবে মজবুত, জীবনে বজায় থাকবে সুষ্ঠুতা, ঘরে ঘরে জ্বলবে আশার আলো, শান্তিময় হবে প্রতিটি গৃহ, প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের মানবিক মান-মর্যাদা-সুখ নিশ্চিত হবে । আগ্রহী যে কেউ পরিবার ডটনেট এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ যেকোনো বিষয়ে লেখা ছাড়াও পাঠাতে পারেন ছবি, ভিডিও ও কার্টুন। নিজের শখ-স্বপ্ন-অনুভূতি-অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দিতে পারেন সবার মাঝে। কনটেন্টের সাথে আপনার নাম-পরিচয়-ছবিও পাঠাবেন। ইমেইল: poribar.net@gmail.com

View all posts by পরিবার.নেট →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *