আনিসুর রহমান এরশাদ
সবচেয়ে রহস্যময় দেশ ভ্যাটিকান সিটি। পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম নগররাষ্ট্রটি রহস্যঘেরা। গোপনীয়তার কারণেই যুগ যুগ ধরে রয়েছে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র এই দেশটি পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক পট পরিবর্তন ও গুরুত্বপূর্ণ সব ঘটনাপ্রবাহের সাক্ষী।
এই দেশে মূলত স্থানীয় জনসংখ্যার চেয়ে পর্যটকই বেশি। ভ্রমণপিপাসুদের তীর্থস্থান এই দেশটিতে জনসংখ্যার তুলনায় টুরিস্ট বেশি আসে। ভ্যাটিকান সিটি নগররাষ্ট্রটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়, কিন্তু সেনজেনভুক্ত। আজ জানাব ধর্মীয়, ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক দিক থেকে সমৃদ্ধিশালী ভ্যাটিক্যান সিটি সম্পর্কে।
একনজরে ভ্যাটিকান সিটি
রাষ্ট্রীয় নাম: স্টেট অব দ্য ভ্যাটিকান সিটি
রাজধানী ও বৃহত্তর শহর: ভ্যাটিকান সিটি
সরকারি ভাষা: ইতালিয়ান
সরকার: নিরঙ্কুশ নির্বাচিত রাজতন্ত্র
পোপ: পোপ ফ্রান্সিস
সেক্রেটারি অফ স্টেট: পিয়েত্রো পারোলিন
প্রেসিডেন্ট অব দ্যা গভর্নোরেন্ট: গিসেপে বের্তেল্লো
স্বাধীনতা: ইতালি রাজত্ব থেকে
স্বাধীনতা লাভ: ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৯
জনসংখ্যা: ৮২৫
আয়তন: ১২১ একর
জাতিসংঘের অসদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র
মুদ্রা: ইউরো
পবিত্র স্থান
খ্রিস্টধর্ম প্রবর্তনের আগে থেকেই ভ্যাটিকান সিটিকে পবিত্র স্থান বলে গণ্য করা হতো। বর্তমানে ভ্যাটিকান সিটি ইতালির রাজধানী রোম শহরের ভিতরে অবস্থিত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। একে পবিত্র দেশও বলা হয়ে থাকে। উত্তর-পশ্চিম রোমের ভ্যাটিকান পাহাড়ের উপর একটি ত্রিভুজাকৃতি এলাকায়, তিবের নদীর ঠিক পশ্চিমে ভ্যাটিকান শহর অবস্থিত। দেশটির রয়েছে নিজস্ব সংবিধান, মানচিত্র, ডাকব্যবস্থা, সীলমোহর, পতাকা এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতীক। রয়েছে সরকার পদ্ধতি। কিছু মানুষ সুন্দর ও সুচারুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন।
ইতিহাস
ইতালীয় সরকার ও পোপ সম্প্রদায়ের মধ্যে বহু বছর ধরে বিতর্কের পর ১৯২৯ সালে লাতেরান চুক্তির অধীনে ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই চুক্তির অধীনে ক্যাথলিক গির্জা ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে অন্য সব পোপীয় রাষ্ট্র থেকে দাবী প্রত্যাহার করে নেয় এবং স্বাধীন ভ্যাটিকান সিটি হিসেবে সার্বভৌমত্ব অর্জন করে। দেশটির রয়েছে নিজস্ব টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও। পৃথিবীর প্রায় ৪০টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় তাদের রেডিও থেকে ধর্মীয় বাণী প্রচার করা হয়ে থাকে। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ক্যাথলিক গির্জাগুলো এই পোপীয় রাষ্ট্র থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
রাজনীতি
ভ্যাটিকান সিটি শেষ পোপীয় রাষ্ট্র। এখানকার রাজনীতি একটি পরম ধর্মীয় রাজতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। রাষ্ট্রের নির্বাহী কর্মকাণ্ড, আইন প্রণয়ন ও বিচার ব্যবস্থা সমস্ত কিছু পোপের অধীনে। মহামান্য পোপ হলেন দেশটির রাষ্ট্রনেতা। এর বর্তমান প্রধান পোপ ফ্রান্সিস ২০১৩ সালের ১৩ই মার্চ দায়িত্বগ্রহণ করেন। তার আসল নাম জর্জ মারিও বেরগোগলিও।
জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেস। জাতীয়তা হচ্ছে- আর্জেন্টিনীয় সাথে ভ্যাটিকান নাগরিকত্ব। ভ্যাটিকান রেডিও নামের সরকারি বেতার স্টেশন সারা বিশ্বে পোপের কণ্ঠ ছড়িয়ে দেয়। এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করে ও পোপের দেয়া বিশেষ দায়িত্ব পালন করে এখানকার নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব।
রোমান ক্যাথলিক গির্জা
এটি রোমান ক্যাথলিক গির্জার বিশ্ব সদর দফতর হিসেবেও কাজ করে। দেশটির প্রধান আয়ের উৎস হলো অনুদান এবং যার পুরোটাই আসে রোমান ক্যাথলিক ধর্মের বিলিয়নিয়ার অনুসারীদের কাছ থেকে। এছাড়া আয় আসে এই পর্যটকদের মধ্যে থেকেই। সম্পূর্ণ দারিদ্র্যমুক্ত এই দেশটি। এই দেশের সাধারণ মানুষের গড় আয় এবং জীবনযাত্রার মান উভয়ই যথেষ্ট ভালো। এই দেশের সুন্দর সুন্দর বাড়ি খুব সহজেই সাধারণ পর্যটকদের মন আকর্ষণ করে।
দ্য হলি সিটি
সারা বিশ্বের অন্যতম পবিত্র স্থান বলে ঘোষিত ভ্যাটিকান সিটিকে ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ ‘বিশ্ব ঐতিহাসিক স্থান’ হিসেবে ঘোষণা করে। ভ্যাটিকান সিটিকে ‘দ্য হলি সিটিও’ বলা হয়। ভ্যাটিকান সিটির অভ্যন্তরে কোনো প্রাকৃতিক জলাশয় নেই। শহরটি মূলত একটি ছোট পাহাড়ের উপর অবস্থিত, যার নাম ভ্যাটিকান পাহাড়। ভ্যাটিকান সিটির চতুর্দিকে শুধু সবুজ আর সবুজ, নানা গাছ-গাছালিতে পরিবেষ্টিত এই ছোট্ট রাষ্ট্রটি।
ভাষা
ভ্যাটিকান সিটির কোন সরকারি ভাষা নেই, তবে ইতালীয় ভাষা সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা। রোমান ক্যাথলিক গির্জার দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে লাতিন ভাষার বিশেষ মর্যাদা আছে। ভ্যাটিকান সিটিতে ইতালীয়ান ভাষা সর্বাধিক ব্যবহৃত। পোপের সুইস গার্ডদের ভাষা হলো জার্মান। ডিপ্লোম্যাটিক ভাষা হলো ফরাসি। এছাড়া স্পেনীয় ও পর্তুগিজ ভাষাও ব্যবহার হয়। এখানে রয়েছে পৃথিবীর একমাত্র ল্যাটিন ভাষার ফিচার লেখা এটিএম বুথ।
অবস্থান
তিবের নদীর কূল ঘেঁষে ভ্যাটিকান সিটি অবস্থিত। এই নদী পুরো রোম নগরীর মাঝ বরাবর চলে গেছে। সিটির প্রবেশমুখের একটু আগে হাতের বাঁ দিকে বিখ্যাত চিত্রকর লেওনার্দো দা ভিঞ্চির স্মরণে ‘মিউজিক লেওনার্দো দা ভিঞ্চি এক্সপেরিয়েন্স’ নামের একটি গ্যালারি চোখে পড়ে। রাস্তার দুপাশে সারি সারি ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়েছেন বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা। তারা সেখানে বিভিন্ন স্যুভেনির বিক্রি করেন।
এক পাশে রয়েছে মিউজিয়াম আর আরেক পাশে রয়েছে ট্যুরিস্ট ইনফর্মেশন সেন্টার এবং সেন্ট পিটার্স স্কয়ারের দু’পাশে দুটি বিশাল আকৃতির পানির ফোয়ারা। সেন্ট পিটার্স স্কয়ার বিশাল মাঠ। নগরীর প্রবেশমুখে দাঁড়ালে একটি বিশাল আকৃতির বিল্ডিং চোখে পড়ে। ধর্মীয় যাজকরা দর্শনার্থীদের আশীর্বাদ করেন।
সেন্ট পিটার চত্বর
দক্ষিণ-পশ্চিমের পিয়াৎসা সান পিয়েত্রো বা সেন্ট পিটার চত্বর বাদে বাকি সবদিকে ভ্যাটিকান শহর মধ্যযুগ ও রেনেসাঁর সময়ে নির্মিত প্রাচীর দিয়ে রোম শহর থেকে বিচ্ছিন্ন। প্রাচীরের ভিতরে আছে উদ্যান, বাহারি দালান ও চত্বরের সমাবেশ। সবুজের মধ্যে বিভিন্ন রঙের ফুলে ছেয়ে আছে সুন্দর বাগান। দর্শনার্থীরা বসে, দাঁড়িয়ে ছবি তুলন বিভিন্ন ভঙ্গিমায়। বিভিন্ন স্থাপনা দেখতে দেখতে বিভিন্ন রঙের ফুল দিয়ে বানানো আইসক্রিম খান পর্যটকরা।
সেন্ট পিটারের ব্যাসিলিকা
সেন্ট পিটারের ব্যাসিলিকা রোমান ক্যাথলিকদের প্রধান গির্জা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা। বিখ্যাত ইতালিয়ান চিত্রকর মিকাইল অ্যাঙ্গেল পিএতের ছবি এবং ‘দ্য ক্রিয়েশন অব অ্যাডাম’ রাখা আছে এই বিখ্যাত গির্জায়। কোনো পোপ মারা গেলে অথবা অবসরে চলে গেলে এই অট্টালিকার ব্যালকনি থেকেই নতুন নির্বাচিত পোপ দেখা দেন।
এই দৃশ্য দেখার জন্য সারা পৃথিবীর মানুষ টেলিভিশনে চোখ রাখেন। আর বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি হিসেবে ক্যাথলিক ধর্মীয় নেতারা এ দেশে এসে জড়ো হন। ১৬২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশাল ও প্রাচীন অট্টালিকা বিশ্ব ঐতিহ্যগুলোর একটি প্রায় ২০ হাজার মানুষের সমাগম হতে পারে এ দালানে।
স্টোর হাউস অব সিক্রেট
এ দেশের সবচেয়ে রহস্যের জায়গাটি হলো ভ্যাটিকান সিটি আর্কাইভ বা সংগ্রহশালা। জায়গাটিকে বলা হয়, ‘স্টোর হাউস অব সিক্রেট’। অর্থাৎ গোপনীয়তার সংগ্রহশালা। বিগত শতাব্দীগুলোতে বিভিন্ন সময়ে পোপদের আদান-প্রদানকৃত নানা চিঠিপত্র, অধ্যাদেশ এবং এমনই অনেক ঐতিহাসিক জিনিস নিয়ে গড়ে উঠেছে ভ্যাটিকানের এ আর্কাইভটি।
ভ্যাটিকান সিটি আর্কাইভ বা সংগ্রহশালাতে সাধারণ তো নয়ই; ভ্যাটিকান সিটির কেউই ঢোকার অনুমতি পান না। খুব অল্প সংখ্যক পণ্ডিতরাই এখানে প্রবেশ করতে পারেন। মহামান্য পোপের অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হয় এখানে। পোপোর অনুমতি ছাড়া সেটি একেবারেই অসম্ভব।
শুধু গবেষণার কাজেই স্বল্প সময়ের জন্য প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যায় এই সংগ্রহশালাতে। সংগ্রহশালাতে রয়েছে ৮০০ শতক থেকে বিভিন্ন ডকুমেন্ট। আর্কাইভে পাওয়া ডকুমেন্টগুলোর মাঝে সবচেয়ে পুরনোটি ৮০৯ খ্রিস্টাব্দের। লাইব্রেরি ভ্যাটিকানে প্রায় ৮৪ হাজার বই আছে।
জাদুঘর
ভ্যাটিকানের বিখ্যাত জাদুঘরে রয়েছে ইতালিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত সব চিত্রকরের অঙ্কিত ছবি, বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য, ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের ইতিহাস, ঐতিহ্যসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম। হাজার বছরের পুরোনো দলিল, বই, ছাপা না হওয়া বাইবেল, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির হাতে লেখা ডায়েরি, গ্যালিলিও এর বই- কি নেই এই সংগ্রহশালায়!
টাইম ভিউয়ার
ভ্যাটিকান সিটিতে সবচেয়ে রহস্যজনক যে বস্তুটিকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক রয়েছে তা হচ্ছে টাইম ভিউয়ার। অর্থাৎ সময়কে দেখার যন্ত্র বা অতীত-ভবিষ্যৎ দেখতে পারা যন্ত্র। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন দ্বারা চালিত অসাধারণ প্রযুক্তিগত ক্ষমতা সম্পন্ন সময়ের এই যন্ত্রটিকে ভ্যাটিকান গির্জার গোপন স্থানে রাখা হয়েছে।
শুধু গির্জার শীর্ষ ব্যক্তিরাই প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করেন। দেখে নেন অতীত ও ভবিষ্যতের বিভিন্ন ঘটনা। তাদের দাবি, সেই যন্ত্রটিই গির্জার ক্রমাগত শক্তি ও ক্ষমতা ধরে রেখেছে। ধারণা করা হয় মহাজাগতিক বিষয়ও পর্যবেক্ষণ করা যায় মহাকাশ অবজারভেটরি যন্ত্রটি দিয়ে।
ক্ষুদ্র রেলওয়ে
কিছু অবাক করা তথ্য হচ্ছে- এই দেশেই বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র রেলওয়ে অবস্থিত। মাত্র ৩০০ মিটার রেল লাইনবিশিষ্ট এই রেলওয়ের নাম সিটা ডেল ভ্যাটিক্যানো। তবে কোনো যাত্রী নেওয়া হয় না। মূলত মালামাল আনা-নেওয়ায় রেলওয়েটি ব্যবহৃত হয়।
পটেনশিয়াল সুইস আর্মি
ভ্যাটিকান সিটির অফিশিয়াল নিরাপত্তারক্ষীর নাম ‘পটেনশিয়াল সুইস আর্মি’। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র সেনাবাহিনী এটি, সদস্য সংখ্যা মাত্র ১৩৫। যারা নিরাপত্তা দেন, তাদের বলা হয় সুইচ গার্ড। লাল, হলুদ ও নীল- এই তিন রঙের অদ্ভুত ইউনিফর্ম। পোশাকটা যথেষ্ট ভুতুড়ে হলেও এই বাহিনীতে যোগ দিতে যথেষ্ট নিয়মকানুন মানতে হয়।
বয়সসীমা ১৯ থেকে ৩০। প্রত্যেকের উচ্চতা হতে হয় কমপক্ষে পাঁচ ফিট সাড়ে আট ইঞ্চি। ক্যাথলিক হতে হয়, এর চেয়েও বড় ব্যাপার এদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ। ৫০০-এর বেশি বছর ধরে এই বাহিনী পোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে।
হোপ অন হোপ অফ
পর্যটকদের সহজে চলাচলের সুবিধার্থে ইতালির রোম নগরীতে ‘হোপ অন হোপ অফ’ নামের বাস সার্ভিস রয়েছে। মূলত দ্বিতলবিশিষ্ট এসব বাসের ওপর ছাদ নেই। তাই পর্যটকেরা সহজেই বিভিন্ন স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পটগুলো দেখে দেখে পুরো নগরী ভ্রমণ করে থাকেন। আর যেখানে মন চায়, সেখানে নেমে যান।
অপরাধের দেশ!
অনেকে অপরাধের দেশ বলে থাকেন ভ্যাটিকান সিটিকে। জনসংখ্যার তুলনায় এখানে অপরাধ অনেক বেশি সংঘটিত হয়, তাই। ওয়াইন আসক্ত ভ্যাটিকান সিটি। শীর্ষ পাঁচটি ওয়াইন আসক্ত দেশের একটি বলা হয় দেশটিকে। প্রতি বছর একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ দেশটিতে কমপক্ষে ৫৪.২৬ লিটার ওয়াইন পান করেন। ভ্যাটিকানে চাইলেই কেউ বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারবেন না। কারণ, বিচ্ছেদের আপিল করলেও কোনোটাই আমলে নেওয়া হয় না।
সবসময় শান্ত
নগররাষ্ট্র ভ্যাটিকান সিটি সবসময় থাকে শান্ত। এর চারপাশে বিরাজ করে সুনসান নীরবতা। দেশটিতে কোনো রমণী বসবাস করে না। যারা ভ্যাটিকান সিটিতে বসবাস করে সবাই ক্যাথলিক পোপ। ভ্যাটিকান সিটির যেসব নাগরিক বৃদ্ধ হয়ে যায় তাদের ইতালিতে প্রেরণ করা হয় বাকি জীবন অতিবাহিত করার জন্য। আর এতে বৃদ্ধদের পরিবর্তে আনা হয় তরুণ সাধু-সন্ন্যাসীদের। বিশ্বের নানা প্রান্তের শতকোটি ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখে ছোট্ট এই ভূখণ্ডটিকে।