আনিসুর রহমান এরশাদ
স্পেন ফুটবল প্রেমিদের কাছে পরিচিত বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের দেশ হিসেবে। তবে এটি ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিকভাবেও বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ। রয়েছে পাথর দিয়ে নির্মিত দুর্গ, বরফাবৃত পর্বতমালা, ভূমধ্যসাগরীয় সৈকত ও বিশাল আকৃতির সৌধ। আয়তনে ইউরোপের ৪র্থ বৃহত্তম এবং দক্ষিণ ইউরোপের বৃহত্তম দেশ। আধুনিক, পরিশীলিত ও প্রাণবন্ত শহরগুলো ভ্রমণার্থীদের খুব আকৃষ্ট করে।
একসময় শিক্ষা, গণিত, ভূগোল, স্থাপত্য, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও কাব্যচর্চায় বিশ্বসেরা ছিল স্পেন। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতার অনন্য অধ্যায় স্পেনেই রয়েছে মুসলিম ঐতিহ্যের সোনালি অতীত। সভ্যতা, সৌন্দর্য ও শিক্ষার বিচিত্র লীলাভূমি ও কীর্তিমন্দির হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিল স্পেনে প্রতিষ্ঠিত নগরীগুলো। আজ জানাব ভ্রমণপ্রিয়দের অন্যতম আকর্ষণ ও অভিবাসীদের কাছে পছন্দের দেশ স্পেন সম্পর্কে।
একনজরে স্পেন
সরকারি নাম: কিংডম অব স্পেন
রাজধানী ও বৃহত্তর শহর: মাদ্রিদ
দাপ্তরিক ভাষা : স্প্যানিশ
জাতিগোষ্ঠী : ৮৯.৯ শতাংশ স্প্যানিশ, ১০.১ শতাংশ অন্যান্য
সরকার পদ্ধতি: ইউনিটারি পার্লামেন্টারি কনস্টিটিউশনাল রিপাবলিক
আইনসভা: কোর্টেস জেনারেলস
উচ্চ কক্ষ: সিনেট
নিম্নকক্ষ: কংগ্রেস অব ডেপুটিস
রাজা : ৬ষ্ঠ ফিলিপ
প্রধানমন্ত্রী : পেদ্রো সানচেজ
আয়তন: ৫ লক্ষ ৫ হাজার ৯৯০ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা: ৪ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯৫ জন
প্রধান ধর্ম: খ্রিস্টধর্ম (রোমান ক্যাথলিক)
জাতিসংঘে যোগদান: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৫
মুদ্রা : ইউরো
অবস্থান
স্পেন ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত একটি ভূমধ্যসাগরীয় রাষ্ট্র। ইউরোপ মহাদেশের ইবেরীয় উপদ্বীপের প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকাজুড়ে অবস্থিত স্পেন। উপদ্বীপটির বাকি অংশজুড়ে রয়েছে স্পেনের ক্ষুদ্র প্রতিবেশী রাষ্ট্র পর্তুগাল এবং ব্রিটিশ প্রশাসনিক অঞ্চল জিব্রাল্টার। উত্তরে আটলান্টিক মহাসাগর, উত্তর-পূর্বে পিরিনীয় পর্বতমালা, পূর্বে ভূমধ্যসাগর, দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগর এবং পশ্চিমে পর্তুগাল ও আটলান্টিক মহাসাগর।
আটলান্টিক মহাসাগরের লাস কানারিয়াস দ্বীপপুঞ্জ এবং ভূমধ্যসাগরের বালিয়ারীয় দ্বীপপুঞ্জ স্পেনের শাসনাধীন। মরক্কোর সেউতা ও মেলিয়া নামে দুটি ছিটমহলও স্পেন পরিচালনা করে। ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত ৩,৭১৮ মিটার উচ্চ তেইদে পর্বতশৃঙ্গ হল স্পেনের সবচেয়ে উঁচু পর্বত। সমুদ্রতলে অবস্থিত এটার পাদদেশ থেকে যদি পরিমাপ করা হয়, তা হলে দেখা যাবে এটা হল, পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম আগ্নেয়গিরি।
রাজনীতি
স্পেনের রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের কাঠামোতে পরিচালিত হয়। এই ব্যবস্থায় স্পেনের রাজা হলেন রাষ্ট্রপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি হলেন একটি বহুদলীয় ব্যবস্থাতে সরকারি নেতা। সরকারের হাতে নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত। কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়ন ক্ষমতা সংসদের দুইটি কক্ষের হাতে ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী ও আইন প্রণয়নকারী বিভাগ থেকে স্বাধীন।
বার্সেলোনা
কাতালনিয়ার রাজধানী আধুনিক বার্সেলোনা খুব কম সময়ে ইউরোপের অন্যতম গন্তব্যস্থলে রূপান্তরিত হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম প্রধান শহর এই বার্সেলোনা একটি ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল যেখানে বহু ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ আধুনিক স্থাপনাসমূহ একইসাথে দেখা যায়।
বার্সেলোনার রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে এর মাধুর্যতা। জীবন এখানে উপভোগ করা যায় খুব সুনিপুণভাবে। এখানকার রেস্টুরেন্টগুলোর খাবার সৃজনশীল। ধর্মনিরপেক্ষ স্থাপত্য এবং নৌপরিবহন শিল্পের জন্য সুবিদিত। ক্যাথলিক ব্যাসিলিকা বা ক্যাথলিক গীর্জা সাগ্রাদা ফ্যামিলিয়া বার্সেলোনা শহরের প্রতীক।
মাদ্রিদ
মাদ্রিদ স্পেনের রাজধানী এবং প্রধান শহর। বিশ্বের সেরা বাসযোগ্য নগরীর একটি। মাঞ্জানারেস নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরটির ভৌগোলিক অবস্থান, সম্পদ ও ঐতিহাসিক কিছু কারণে বিখ্যাত। মাদ্রিদ ইউরোপ মহাদেশে সমুদ্র সমতল থেকে সর্বাধিক উচ্চতায় অবস্থিত রাজধানী নগর। মাদ্রিদকে আইবেরীয় উপদ্বীপের ব্যবসা ও অর্থনীতির প্রধান কেন্দ্রস্থল হিসেবে গণ্য করা হয়।
দেশটির আর্থিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও শিল্পকেন্দ্র। তবে যে কারণে মাদ্রিদ বিশ্ব মানচিত্রে উপরের সারির শহর হিসবে পরিচিতি পেয়েছে তা হলো তার জাদুঘরগুলোর জন্য। প্রাদো জাদুঘর ইউরোপের শ্রেষ্ঠ চিত্রকলা প্রদর্শনীগুলির একটি। রেইনা সোফিয়া জাদুঘরে আধুনিক শিল্পকলার সংগ্রহ রয়েছে। তিসেন-বোর্নেমিসা জাদুঘরে অন্যান্য সম্পূরক শিল্পকর্মের সংগ্রহ আছে। এ তিনটি জাদুঘরকে একত্রে ‘শিল্পকলার স্বর্ণালী ত্রিভুজ’ বলা হয়। এছাড়াও আছে জাতীয় পুরাতাত্ত্বিক জাদুঘর ও কিছু বিস্ময়কর পার্ক।
জাতীয় প্রাসাদ ভবনে যোদ্ধাদের বর্ম ও তরবারির একটি বিশ্বসেরা সংগ্রহ আছে। মাদ্রিদ শপিং ট্যুর এবং জাঁকজমক নাইট লাইফের জন্যও বেশ বিখ্যাত। আঁকাবাঁকা সরু পথ, জাদুঘর, গ্রন্থাগার এবং দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা ধরে সক্রিয় জীবনধারা। মাদ্রিদে স্পেনের রাজার বাসভবন ও কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যালয়সমূহ অবস্থিত; ফলে এটি স্পেনের রাজনৈতিক জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। এখানে রয়েছে পুয়ের্তা দেল সোল বা সূর্যের প্রবেশদ্বার নামক চত্বর এবং বুয়েন রেতিরোসহ ৪০টিরও বেশি নগর উদ্যান ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত সরকারি বাগিচা।
মাদ্রিদের উদ্ভিদবিদ্যা উদ্যানে ৩০ হাজারের বেশি প্রজাতির উদ্ভিদ আছে। প্লাসা সিবেলেস চত্বর ও এর ফোয়ারাটিকে মাদ্রিদের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। বিশ্ব পর্যটন সংস্থা -এর সদর দপ্তর এই শহরে অবস্থিত। সান লরেঞ্জো দি এল এস্কোরিয়াল মাদ্রিদ থেকে ৪৫ কিমি. উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। এই রাজপ্রাসাদটি ব্যবহার করা হত স্পেনের তৎকালীন রাজাদের গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদ হিসেবে। এটি রেনেসাঁস স্থাপত্য যুগের বৃহত্তম নিদর্শন। দেশটির এডলফ সুয়ারেজ মাদ্রিদ- বারাজাস বিমানবন্দর ইউরোপের বৃহত্তম বিমানবন্দর।
আন্দালুসিয়া
সেভিল স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল আন্দালুসিয়া প্রদেশের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। এই শহরটি গাদালকুইভির নদীর তীরে অবস্থিত। মূলত এটি স্পেনের ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত ফ্লামেনকো এবং ষাঁড় লড়াই খেলার জন্য বিশ্ববিখ্যাত। সঙ্গীতের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যবাহী জীবনযাপনের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও এই শহরের অসাধারণ জলাময় স্থাপত্য নিঃসন্দেহে ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করবে। ইউরোপের বৃহত্তম ক্যাথিড্রালসহ তার প্রাচীনতম এলাকাগুলোর বেশিরভাগ এই অঞ্চলেই অবস্থিত যেখানে দেখা যায় সাদা অলঙ্কারিক বিশাল বিশাল প্রাসাদ।
ভ্যালেন্সিয়া
ভ্যালেন্সিয়া হলো ভ্যালেন্সিয়া স্বশাসিত সম্প্রদায়ের রাজধানী এবং এটি মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার পরে স্পেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। ভ্যালেন্সিয়া বন্দর ইউরোপের ভূমধ্যসাগরের সবচেয়ে ব্যস্ততম কন্টেইনার বন্দর। এই শহরের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ যেকোনো পর্যটককে আকৃষ্ট করবে। বিশ্ববিখ্যাত আর্কিটেক্ট সান্তিয়াগো ক্যালাতরাভা দ্বারা নির্মিত আধুনিক স্থাপত্য পরিদর্শনের জন্য প্রতিবছর এখানে প্রচুর লোক ভিড় করে। সুন্দর এই শহরটিতে হাঁটার দূরত্বের মধ্যেই বেশিরভাগ দর্শনীয় স্থান পাওয়া যায়।
গুগেনহেইম জাদুঘর
আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত পাহাড় বেষ্টিত বিলবাও উত্তর স্পেনের একটি শহর। স্পেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর এই বিলবাও ১৯৮৩ সালে বন্যা ও দুর্যোগের কারণে ব্যাপক ক্ষতিগস্থ হয়। ফলশ্রুতিতে ৯০-এর দশকে এটি ইউরোপের একটি পুরনো ও দুর্বল শহরে পরিণত হয়। তখন স্থানীয় পৌর সরকার এই শহরকে অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম করার জন্য পর্যটন শিল্প উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নেন এবং তারই ফলশ্রুতিতে ১৯৯৭ সালে গুগেনহেইম জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়। নেরভিয় নদীর তীরে গুগেনহেইম জাদুঘর বিলবাও শহরের এক আশ্চর্য নিদর্শন যা প্রতি বছর প্রায় দশ লক্ষাধিক পর্যটক পরিদর্শন করেন।
আন্দালুসিয়া
স্পেনের আন্দালুসিয়া রাজ্যের গ্রানাডা শহরটি ইউরোপের মধ্যযুগীয় ইসলামিক সাম্রাজ্য বিস্তারের মূলকেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত হয়ে আছে। এখানে অবস্থিত আলহামব্রা একটি বিখ্যাত প্রাসাদ এবং দুর্গ। প্রাসাদটি গ্রানাডা শহরের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের আসসাবিকা পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত। প্রাসাদটি স্পেনের ইসলামী সংস্কৃতির এক অপরূপ শৈল্পিক নিদর্শন। মুসলিম ঐতিহ্যেও স্থাপনাগুলোর মধ্যে এ প্রাসাদ অন্যতম।
আলহাম্বরাতে রয়েছে বেশকিছু ভবন, টাওয়ার, দেয়াল, বাগান এবং একটি মসজিদ। গ্রানাডার আলহামব্রা এবং জিনিরালাইফের সবুজ বাগান পর্যটকদের বেশ আকর্ষণ করে। এর বিস্ময়কর রূপ লাবণ্য মনে প্রশান্তি বয়ে আনে। ইউরোপের মুসলিম ইতিহাস হাতড়ে বেড়াতেই প্রতিবছর এখানে কয়েক মিলিয়ন পর্যটক ভিড় জমায়। ১৯৮৪ সালে ইউনেস্কো এই স্থানটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
কর্ডোবা
স্পেনের দক্ষিণ অংশের আন্দালুসিয়া অঞ্চলের শহর কর্ডোবা একটি ঐতিহাসিক স্থান। শহরটি ইউরোপের মধ্যযুগীয় ইসলামিক সাম্রাজ্যের পরিচয় বহন করে। দর্শনীয় স্থান হিসেবে কর্ডোবা মসজিদটি রয়েছে সবার উপরে। ৭৮৪ থেকে ৭৮৬ সালে স্পেনের তৎকালীন রাজধানী কর্ডোভায় নির্মাণ করা হয় ঐতিহাসিক মসজিদটি। যেটিকে ‘লা মেজকিতা’ কিংবা ‘দ্য গ্রেট মস্ক অব কর্ডোবা’ নামেও পরিচিত।
মুসলিম সভ্যতার অনন্য নিদর্শন মসজিদটি। মসজিদটি ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত। বিস্ময়কর নির্মাণশৈলী এবং ব্যাতিক্রমী কারুকার্যের কারণে এটি মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য কীর্তি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। স্পেনের অন্যতম এই আকর্ষণই স্পেনকে পৃথিবীর অন্যতম দর্শনীয় দেশের মর্যাদায় সমাসীন করে রেখেছে। আজও ভ্রমণপিপাসুদের কাছে কর্ডোবা পৃথিবীর আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট হিসেবে স্বীকৃত।
ঐতিহাসিক মসজিদটির প্রতিটি দৃশ্য মুসলিম দুনিয়ার প্রতিটি মানুষের হৃদয় আন্দোলিত করে। স্থাপনের পর প্রায় ৫০০ বছরেরও বেশি সময় এ মসজিদে নামাজ আদায় করেন মুসলমানরা। সে সময় মসজিদটি ইসলামী শিক্ষা, শরিয়া আইন ও সালিশকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো। ১২৩৬ খ্রিস্টাব্দে মুসলমানরা পরাজিত হলে বদলে যায় সবকিছু। দীর্ঘ ৭’শ বছরের বেশি সময় ধরে আজান ও নামাজ নিষিদ্ধ এই কর্ডোবায়।
টলেডো
স্পেনে উমাইয়া সালতানাত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে টলেডো শহরটি খ্রিষ্টান রাজা-বাদশাহদের প্রধান রাষ্ট্রীয় নগরী তথা রাজধানী ছিল। বহু কারণে টলেডো শহর ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর হিসেবে বিবেচিত হয়। ইউরোপে ইসলামী চিন্তাধারার বিস্তার, আরবী সাহিত্যের প্রতি ইউরোপিয়ানদের আগ্রহ সৃষ্টি ইত্যাদি তার মধ্যে অন্যতম কারণ।
সালামানকা
স্পেনের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত সালামানকা শহর ক্যাসেট ও লিয়ন সম্প্রদায়ের সালামানকা প্রদেশের রাজধানী। শহরটি টর্মাস নদীর বিভিন্ন পাহাড়ের উপর অবস্থিত। ১৯৮৮ সালে এই শহরকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষণা দেয়। এখানকার সালামানকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত।
সান্তিয়াগো ডি কমপোস্তেলা
খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের তীর্থযাত্রার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম সান্তিয়াগো ডি কমপোস্তেলা শহরটি। ট্যুরিস্টদের কাছেও খুব জনপ্রিয়। বিশ্বের সেরা স্কয়ারগুলো এই শহরেই অবস্থিত।
ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি
স্পেনের আছে গভীর সাংস্কৃতিক ও শিল্পকলাগত ঐতিহ্য। ঐতিহাসিকভাবে স্পেনের মূল সাংস্কৃতিক অবদান দুইটি ক্ষেত্রে অধিক পরিলক্ষিত হয়: চিত্রকর্ম ও সাহিত্য। সাম্প্রতিককালে ঐ দুই ক্ষেত্রে নিজের উপস্থিতি বজায় রেখে স্পেন চলচ্চিত্র নির্মাণ, স্থাপত্য এবং সঙ্গীতে অনেক বড় মাপের শিল্পী ও শিল্পকলা বিশ্বকে উপহার দিয়েছে। বহু বিচিত্র সংস্কৃতির মিলনে স্পেনের সংস্কৃতি গঠিত হয়েছে। ফুটবল স্পেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। স্পেন একবার ফিফা বিশ্বকাপ জিতেছে।